বিষণ্ণ
উৎপল হালদার
অগণিত বরচন্দনের নিবিড় সারি---
বহু যোযন বিস্তৃত এ কাননভূমি
দুপুরবেলার তপ্ত বাতাসের উচ্ছাস
শঙখচিলের ইতস্তত দিক পরিক্রমা,
কোকিলের অতি মধুর ঝংকার
অস্পষ্ট হয়ে মিলিয়ে যায় দূর শূন্যে।
সহসা ফিরে এসে মথিত করে মনকে
দূরে-অনেক দূরে ঐ সবুজের সমারোহে
ময়ূখমালা রূপসী হয়ে নাচ দেখায়।
তখন কে যেন মন-বীনায় গান গায়
আর রঙিন স্বপ্ন দেখায় তপ্ত বাতাস
স্বপ্ন দেখায় আর গান গায়-- গান গায়--
তারপর গোধূলির কোমল সন্ধিক্ষণে
অচ্ছোদ সরোবরের জলে মায়াবী মূর্তি!
কণকের রঙে রঞ্জিতা সেই মায়াবিনী!
নিভে যাওয়া সূর্যের রঙ মাখে বলাকা
নীলিমায় হেসে ওঠে রাতের নক্ষত্ররা
দূর থেকে ভেসে আসে বনফুলের গন্ধ--
রাত্রির নিস্তব্ধতা জোনাকির ঝিকিমিকি
অসম্ভব বিষণ্ণতা এই বুকের মাঝে --
আবার বাতাস যোগাল স্পৃহা, উৎসাহ
জোছনায়-ছায়ায় জীবনের আনাগোনা
বিলাসী কল্পনায় উৎসারিত কামনা
মানস পটে এঁকে চলি মানস প্রতিমা !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন