google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re মানুষের অস্থিরতা : বাংলা সাহিত্যে প্রভাব ।। তপন মাইতি - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

মানুষের অস্থিরতা : বাংলা সাহিত্যে প্রভাব ।। তপন মাইতি

নবপ্রভাত

প্রবন্ধ

মানুষের অস্থিরতা : বাংলা সাহিত্যে প্রভাব

                                   তপন মাইতি


নদী আর সাগরের সাথে তুলনা করলে অস্থির বা চঞ্চল হবে নদী।তার কারণ সাগরের চেয়ে নদীর গভীরতা কম।কিছু কিছু নদী যদি সাগরের গভীরতা ছাপিয়ে যায় সে কথায় যাচ্ছি না আপাতত।ওদিকে ফুলস্টপ দিয়ে মানুষের অস্থিরতার দিকে আলোকপাত করবার চেষ্টা করছি।মানসিক অস্থিরতায় ভোগা মানুষ কখনোই সুখি হতে পারে না।তারসাথে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
ভোররাতে করল।বিকেলে সন্ধ্যার দিকে করল। রাতে খাওয়ার পর করল। তবু বলছো করেনি?বলি একটা ছেলে কতবার ফোন করতে পারে বলো? বলছি তোমার মাথা টাথা ঠিক আছে তো?এরকম করতে থাকলে মাথায় জল ঢেলে দেব।আগে তো এমন বলতে না?আগে তো এমন করতে না?যত বয়স হচ্ছে তত দিন দিন ভীমরতি চাপছে?মনে আছে ছেলেটা দিন দিন বড় হচ্ছে?আগের দিনের কথা একটু ভাবো সোনার বাবা?তখন হাতের লেখা চিঠির যুগ ছিল।এত ফোনাফোনি ছিল না সেদিন।এখনকার কথা আর আগেকার কথার মধ্যে আকাশ পৃথিবী চাঁদ পার্থক্য।সে কথা বললে শুনবে কেন এখনকার ছেলেরা?তারা কি সেদিনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে কখনও?হয়নি তো? বুঝবে কীভাবে?যেমন যুগ তেমন তাল মিলিয়ে চলতে হয়। না চলতে পারলে পিছিয়ে পড়তে হয় বলে মনে হয়।
এখন যান্ত্রিক-দ্রুত-শর্টকাট যুগ।আধুনিক যুগে কাজের অনেক দরজা খুলে গেছে ঠিকই।তবে যন্ত্র কেড়ে নিয়েছে মানুষের হাতের কাজ ও গুরুত্বপূর্ণ সময়।১০ জনের কাজ একটি যন্ত্র করে দিচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে।বেকারত্ব বাড়ছে।পৃথিবীতে জনবিস্ফোরণ ঘটে চলেছে অনবরত।মানুষের ভিড় যত বাড়ছে।তত ঘর বাড়ছে।ছোট পরিবার সুখী পরিবার মানসিকতায় দিন চলছে।ফলস্বরূপ চাষের জমিন কমছে।জমিন কমলে খাদ্য সংকট বাড়ছে।একটা জমিতে যতই বারবার চাষ করা হোক না কেন।চাহিদা কি মিটবে?জমির মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে ক্রমাগত।ক্ষতিকর কীট পতঙ্গ পোকামাকড় রোগ শোক বাড়ছে।দুর্যোগ বাড়ছে।ফলে মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে।অভাবগ্রস্ত হচ্ছে মানুষজন।যত অভাবগ্রস্থ হচ্ছে তত মানুষের অস্থিরতা বাড়ছে।এটাই স্বাভাবিক এটাই বাস্তবতা ও এখনকার হালহকিকৎ।
এই ধরুন!আজকের দিনে সবার হাতে হাতে মোবাইল।ধরুন আপনার হাত থেকে কয়েক মুহূর্তের জন্য আপনার মুঠোফোনটা হারিয়ে গেল বা কেউ ছিনিয়ে নিল!আপনার কত নথিপত্র হারিয়ে যাবে বলুন তো?পাগলের মত হাতড়ে বেড়াবে।আপনার কি অবস্থা হবে একবার ভাবুন।আপনি কেমন অস্থিরতায় ভুগবেন বলুন তো?এই অস্থিরতায় বসে জল্পনা কল্পনা ভাবনায় শান দিতে হবে।
মানুষের জীবনে মোবাইল প্রতিনিয়ত বহুমুখী ব্যবহৃত হওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষজন।এর প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী।বহু কাজ একসাথে করা হয়ে যায়।ইচ্ছেমতো ভার্চুয়ালের বিভিন্ন শাখায় অবাধ বিচরণ করতে পারা যায়।স্মার্টফোন বা আইফোন থাকলে আপনার হাতে কত অপশন চলে আসবে।ঘড়ির সময় থেকে ব্যাংক ব্যালেন্স,রিচার্জ বা নিত্যনৈমিতিক যাবতীয় প্রয়োজনীয় দেখতে এবং কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন তা হাতে নাতে।মানুষের হাতে যখন বহু অপশন চলে আসে সব ভালো ভালো তথ্য সুবিধা পেয়ে যাবেন। তখন মানুষ কোনটি ছেড়ে কোনটি ধরবে এমন অস্থিরতার মধ্যে পড়া খুব স্বাভাবিক।
এই সেলফি প্রয়োজনীয় অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট যুগে মানুষের হাতে যেমন বহু অপশন রয়েছে তেমন করে মানুষের ব্যস্ততা ও বেড়েছে।মানুষের যত ব্যস্ততা বাড়বে তত অস্থিরতা বাড়বে।
এখন রিলাক্স আর ভোগের যুগ।আপনি কেন বই কিনে পড়বেন বলুন তো?আপনি ঘরে কেন আলমারি ভর্তি বই রাখবেন?শুধু শুধু ঘরের জায়গা অধিকার করে রাখা কী ঠিক হবে?এই ওয়াইফাই ইন্টারনেট বিভিন্নরূপ অ্যাপসের যুগে কত কম দামে পিডিএফ পেয়ে যাবেন মুঠোফোন এক মুহূর্তের মধ্যেই?ডাউনলোড করতে পারবেন।এই মোটা মোটা বই বইতে অসুবিধা ও হ্যাঁপা আছে।সেটা যদি মোবাইল বন্দি থাকে তো বেশ ভালো হয়।তাই না?সেটা খুব শৌখিন স্টাইল পোর্টেবল খুব সুবিধাজনক তাই না?মানুষের যেটা সুবিধাজনক সেটাই গ্রহণযোগ্যতা পায়।মনে রাখতে হবে বেশি আরাম হারামের কারণ।অনেক ক্ষণ মোবাইল স্ক্রীনে চেয়ে থাকলে অন্ধকার হয়ে আসে এবং ঝাপসা লাগে।যদিও স্ক্রীনটাচ হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে।
এখন মানুষের বিনোদনের চাহিদা এসে গেছে হাতের মুঠোফোনে।অনেক সিনেমাহলগুলোয় তালা ঝুলছে।একটা কথা আছে না?অতি জিনিসটা একদমই ভালো না।সে যাইহোক না কেন।মানুষের অস্থিরতার শিকার হতে হয় খুব।এর প্রভাব বাংলা সাহিত্যে ও পড়ে।যেহেতু আমাদের মাতৃভাষা বাংলা।আমাদের পিতৃভিটে মাটির বাতাসে মিশে আছে বাংলা ভাষা।মায়ের ঘুম পাড়ানি গান।ঠাকুরমার ঝুলি।আবোল তাবোল। বর্ণপরিচয়। সহজপাঠ। একুশে ফেব্রুয়ারি।সাহিত্য হল সমাজের দর্পণ।সমাজের মধ্যে সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা যত বাড়বে বাংলা সাহিত্যের স্রষ্টা-সৃষ্টি স্থাপত্য ভাস্কর্য নিদর্শনে তত অস্থিরতার ছাপ পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
আসলে আগেকার মানুষের কিছু থাক আর নাই থাক তবু একটা বইয়ের আলমারি থাকতো।তারা সময় কাটাত বই পড়ে।এখন মানুষের কাছে বইয়ের বদলে রয়েছে মোবাইল ফোন।আর মোবাইল থাকলে অতি বহু অপশন ও প্রচুর পরিমাণে ভ্যারাইটি আছে।তা মানুষের সময় কাটাবার জন্য যথেষ্ট।আপনি যেমন ভাবে মোবাইল ব্যবহার করবেন কেমন করে তার সুফল কুফল ঠিকই পাবেন।সেটা মানুষের ব্যবহারের উপর ডিপেন্ড করে।এবার মানুষ পড়ে কষ্ট করতে যাবেন কেন?যদি তার কাছে পড়াশোনার গল্পটি যদি অডিও ভিডিও একসাথে পেয়ে যান অ্যাপসে বা ব্লগে এবং সেটা পাওয়া যায় সস্তায় কম দামে।তাহলে আপনি কোনটা বেছে নেবেন বলুন তো?মানুষ ওটাই করছে এবং করাটি স্বাভাবিক তাই না?
এই দ্রুত যুগ ব্যস্ততার যুগে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে পাল্টে প্রিয় লাইনে আন্ডারলাইন করে উপন্যাস পড়বে কে?তেমন পড়বাবার মানুষ আছে?শখ থাকলেও সময় কি তিনি পান?আপনি কি করবেন বা করেন?বোধহয় না!আপনি যদি না যান তাহলে আপনি খুব ভালো।ধরে নেওয়া যাবে আপনি আর পাঁচজনের মত নয়।আপনি ব্যতিক্রম।
ষোলো লাইনের কবিতা দু লাইন পড়তে পড়তে স্কিট করে সেই সময়ে পাঁচ সেকেন্ডের অনেকগুলো রিলস দেখে নেয়।কম সময়ের মধ্যে আপনি বেশি বিনোদন পেয়ে যাচ্ছেন?দীর্ঘ কবিতা তো দূরের কথা কবিতা পড়বার লোক দুনিয়াতে তুলনামূলক ভাবে অনেক কমে গেছে।এসবের জন্য আরও সংখ্যা কমে যাচ্ছে ক্রমাগত। আর যে সমাজের মানুষ যত কম বই পড়েন সে সমাজের অস্থিরতা তত বেশি দেখা দেয়।মানুষের প্রকৃত যদি কেউ বন্ধু থাকে সে হল ভালো ভালো বই। ভালো বই অমৃতযোগ অমৃত সমান।একটি বই মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।সময় কাটাতে পারে।বিনোদনের সামগ্রী হতে পারে।একটি বই একজীবনের অনেক কিছুই হতে পারে।
আজকাল শুধু পড়েও মন টেকে না পড়ুয়াদের।পড়তে বসলে ফোন।স্কুলে যেতে ফোন।পথ হাঁটতে হাঁটতে ফোন।খেতে বসলে ফোন।ঘুমোতে গেলে ফোন।আর সেই ফোনের মধ্যে যদি বই থাকে।পড়াশোনার শিখন পদ্ধতি থাকে।তাহলে কেল্লাফতে।এই বহুমাত্রিক যুগে কোনো একদিকে থাকলে চলবে না।ভালো মন্দ উভয়েই নিয়ে চলতে হবে।তবে ভালোকে দমিয়ে মন্দকে প্রশ্রয় দিলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে।মানুষের মানসিকতা মুঠোফোনের মত হওয়ার ফ্রাসট্রেশনে ভোগে প্রতিনিয়ত।আমাকে কিছু একটি করতে হবে।নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এই অস্থিরতায়।ফলে অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।তারা মানুষের ভিড়ের মিছিল যেদিকে হাঁটছে তার বিপরীত দিকে হাঁটছে।তারা রহস্যময় ভূত,ভৌতিক,অলৌকিক গল্পের দিকে ঝোঁক বাড়ছে।ওইদিকে ঝোঁক বাড়ছে।কারণ মানুষ ব্যতিক্রমী কিছু চাইছে।একটু অন্য স্বাদ পেলে মানুষ মুখিয়ে পড়ে।ফলস্বরূপ বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল মানুষজন নিজেদের ভালো লাগা বা মাথায় নতুন প্লট ছেড়ে ওদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।কারণ মানুষ নিচ্ছে আজকের দিনে শুনতে বেশ খারাপ লাগে মানুষ নাকি খাচ্ছে!এর অস্থিরতার প্রভাব স্রষ্টার উপরেও পড়ে বা শিল্পীদের উপরে বর্তায়। এই অস্থিরতার প্রভাব সাহিত্যও পড়ে।
মানুষ যেভাবে চাইছে সেভাবে করতে গিয়ে অনবদ্য অসাধারণ কিছুই হচ্ছেই না।ক্ষণজন্মার মত হুজুগে আবেগী শিল্পসত্ত্বা বেঁচে থাকে অস্থিরতায়।প্রাণবন্ত সহজিয়া প্রাণোচ্ছ্বল হৃদয়ঙ্গম হচ্ছে কোথায়।ফলে পাঠকগন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।আকৃষ্ট না হয়ে অনীহা দেখা দিচ্ছে।এমনভাবে দেওয়ার চেষ্টা করলে একটা যুগ শেষ হয়ে যাবে পক্ষাঘাতের মত।এমন চলতে থাকলে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।এখনকারের মানুষ ভার্চুয়াল জগতে ডুবে থাকে প্রতিনিয়ত।ফলে অধিকাংশ মানুষ শিক্ষিত বা পড়াশুনা বা জ্ঞান সঞ্চয় থেকে দূরে যাচ্ছে।এখন ভার্চুয়ালে অবাধ স্বাধীনতা।আমাদের সাহিত্য ভার্চুয়াল কেন্দ্রিক হতে হবে।হলে পাঠকবৃন্দের সন্তুষ্টি পাবে।
কিস্তি খেউর আর নিষিদ্ধ ছবির ফোয়ারায় ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে মামুলী ফিল্টার লাগানো অতিসাধারণ সুন্দর সুন্দরীগন।কিছু ফেক আইডি।কিছু ফেক আইডি নিয়ে দু'নম্বর বেআইনী কাজ রমারমা চলছে গোষ্ঠীবদ্ধ ভাবে।নৈতিক শিক্ষার জায়গাটা কোথাও যেন অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে। মানুষের রুচি মার্জিত সেটা উবে যাচ্ছে মনে হচ্ছে দিন দিন।লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে ফেলছে ক্রমাগত।ফলে মানুষ একটা শিক্ষিত আর অশিক্ষিতর মাঝ বরাবর থেকে যাচ্ছে।মানে ধুতিটাও ছাড়তে পারছে না আবার শুভদিন আসলে পড়তেও পারছে না।আবার ইঙ্গবঙ্গ বাবু হচ্ছে।একটি বাক্য সম্পন্ন হচ্ছে তিনটে ইংরেজী দুটো হিন্দি আর না পারলে তিনটে কোনরকম বাংলা ভাষা গুঁজে দিয়ে কোনরকম বলে স্মার্ট হওয়ার দেমাক দেখানোর ধারাবাহিকতা চলে আসছে দেখা যাচ্ছে।এই জগা-খিচুড়ি সংমিশ্রণ সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করছে।আর বানানের কথা বলব কি তার তো কোন মাথামুন্ডু নেই।
 এই জনবিস্ফোরণ,কর্মসংকট,কর্মসংকোচন,বেসরকারিকরণ,ই-কমার্স ও দ্রুত আপডেট যুগে শুধু তীব্র প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা।ফলে সেরার সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতা।সে ক্যারিয়ার হোক আর বাংলা সাহিত্য হোক।তোমাকে কিছু না কিছু একটা হতে হবে বা করতে হবে তবেই আপনাকে চিনবে এর অস্থিরতায় ভুগছে।এখন ক্লাসে হয় খুব ভালো ছেলে হও নচেৎ খুব খারাপ ছেলে হও। তবেই তোমাকে ক্লাসমেট,জুনিয়র সিনিয়র ক্লাসশিক্ষক থেকে প্রিন্সিপাল এক ডাকেই চিনবে।এই হাই নম্বর যুগে বেশি নম্বর না তুলতে পারলে কিছু করতে পারবে না।কারণ এটাই সিস্টেম।সেজন্য ডিভিশন থেকে এখন সেমিস্টার গ্রেডেশন এসেছে।ঠিক এমন ভাবে বাংলা সাহিত্যে একটি বিপ্লব বা নবজাগরণ ঘটাতে হবে।কাজ করে ফেলতে পারলে পাঠকদের ভালোবাসা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।
এখন মানুষ একটুতেই সন্তুষ্ট নয়।এক্সপেক্টশন অনেক বেশি।আগ্রাসনও খুব।আগ্রাসী না হতে পারলে এই তীব্র প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে সবার পিছনে পড়ে থাকতে হবে। আমাদের প্রতিবেশীর ছেলে অনি অঙ্কে একশোর মধ্যে একশো পেয়েছে।সকলে বলবে। এটা সবেমাত্র মাধ্যমিক।সবে তো শুরু।এখন অনেক বাকি।এখানে এত নম্বর পেয়ে ডানা গজিয়ে গেলেই সব যাবে।হয়ে গেল ধপ করে পড়ে যাবে বাস্তবের মাটিতে। নিজেও বুঝতে পারবে না।এই পড়াশোনা ধরে রাখো যতদিন না নিজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছ ততদিন থামবে না।মাঝখানে কত ভালো ছেলে তলিয়ে গেল নিজের চোখে দেখলাম।তেমন ভাবে বাংলা সাহিত্যেকে তলিয়ে যেতে দিলে হবে?
একটা কিছু পাওয়ার জন্য কত কিছু ত্যাগ করতে হয় জানা আছে?তুমি কত কঠোর পরিশ্রম করলে কত অধ্যাবসায় থাকলে কত ধৈর্যশীল হলে সেটাই তোমার সফলতার উপর নির্ভর করবে।তবে মনে রেখো তপু আট ঘন্টা ধরে পড়েছে অনি।আমাকে দিনে ৯ ঘন্টা ধরে পড়লে হয়তো ভালো রেজাল্ট হবে।এই পথে না গিয়ে দেখো নিজেকে আগে চেনো। নিজের দুর্বল পয়েন্ট আর স্ট্রং পয়েন্ট চিনতে হবে।তুমি কি পারো আর কি পারো না।কোনটি খুব সহজে ভালো লাগে।সেটাই কর।যেটা সহজে আসে সেটাই গ্রহনযোগ্য।সেটি জীবন হোক বা বাংলা সাহিত্য।
পৃথিবীতে কোনরূপ তুমি সস্তা নও।শুধু মনে করলে হবে না সেটা কাজ-কর্মে দেখাতে হবে এবং প্রমাণ দিতে হবে।এটা দিয়ে কোন ভবিষ্যৎ নেই আমি বলব না। কোন স্বপ্ন ছোট নয়! স্বপ্ন দেখে সবাই কিন্তু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কতজন আছে? পৃথিবীতে তা খুব সামান্য।বেশিরভাগই আমরা তো স্বপ্ন দেখে ঘুমিয়ে পড়ি আর স্বপ্ন দেখে মৃদু ব্যর্থতার হাসি হেসে ফেলি।এই স্বপ্ন ভাঙা স্বপ্ন নিয়ে অস্থিরতা নিয়ে বেঁচে থাকে মানুষ। 
আমাদের চোখের সামনে পাড়া-প্রতিবেশীর একটি ছেলে সুমন নাম তার।পড়াশুনায় ভালো। বাবা-মা দুজনে চাকরিজীবী। বাবার ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। হয়নি।কোনমতে টেনেটুনে কোনমতে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছে।তা আবার অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে।এখন তার ছেলেকে সেই স্বপ্নের টিপস দেয়। বাবা তোমাকে ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে...ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে এভাবে পড়তে হয়।ওভাবে আঁকতে হয়।তেমন অভ্যেস করতে হয়।অনুরূপ এভাবে ডিসপ্লিন হও।ইঞ্জিনিয়ার পেশাটি এমন যে যেকোন কিছু করতে পারবে একজীবনে।তার মা স্কুলে পড়ান।ছোটবেলায় তার ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হওয়ার।বাপের বাড়ির আর্থিক দুরবস্থার জন্য জীবনের দিক পরিবর্তন করে কোনরকম স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছে।সুমন তোমাকে ডাক্তার হতে হবে।এমডি হতে হবে।তার জন্য ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।পড়াশুনা আরও ভালো হতে হবে।একবার ডাক্তার হতে পারলে জীবনটা ঝিঙ্গালালা।তোমাকে মানুষের মত মানুষ হতে হবে।মনে রাখবে নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে।সুমনের দাদু ব্যাংক ম্যানেজার রিটিয়ার্ড মানুষ।তিনি বললেন।চল্লিশ বছর অভিজ্ঞতা থেকে বলছি দাদু?ব্যাংকে চাকরি একদম করবি না। আমি যেভাবে ঠকেছি তুমি ঠকবে না দাদু।যদি আমার কথা শোনো।ওখানে শুধু টাকা ছাড়া কোন গল্পই নেই। মানুষের শুধু সমস্যা আর সমস্যা। সমস্যার শেষ নেই। যদিও সকলকে ব্যাংকেই যেতে হয়। তবু তোকে বলবো দাদু আজকালকার যুগে সব মিটে যাবে নিমেষের মধ্যে।তোর গাড়ি বাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স সব হবে।যদি তুই নেতা মন্ত্রী হতে পারিস।ঠাকুমা রিটিয়ার্ড উকিল।জানিস দাদু এটিএম ক্রেডিট কার্ড অনেক দেখলাম দাদু।মানুষ এখন বড় জটিল।চোখের সামনে পরিবারে সবকিছু শেষ হতে দেখেছি।আর শেষ হওয়ার বাকি কি আছে দেখতে?তুমি বাবা কলেজে প্রফেসর হও। তার মানে পড়াশোনায় তুমি ভালো।আত্মীয়-স্বজন পরিজন সকলে যে যার মত কথা বলে।কেউ বলে ভালো ছবি আঁকো।কেউ বলে ভালো পড়াশোনা করো।কেউ  বলে ভালো রেজাল্ট করো।কেউ বলে ভালো সাঁতার কাটবে,কেউ বলছে ভালো দৌড়োবে, বন্ধু বান্ধবী সবার সঙ্গে ভালো করে ঘুরবে। জীবনের সবকিছু করতে হয়।যতক্ষণ বাঁচো এনজয় করে যাও।দুঃখের বিষয় সুমন কিছু হতে পারেনি।
সব মানিয়ে নিতে হবে।আগে গোল্ডেন যুগের গানের সাথে সাথে এখনকার  ডিজে গানে নেচে নেওয়া শিখে নিতে হবে।এতকিছু করার পরেও প্রতি বছর পরীক্ষা হয় না।সুযোগ কম।মানে চাকরির বাজার মন্দা।অবশেষে ভার্চুয়াল জগতে চুটিয়ে ফেসবুক ইউটিউব ভাইরাল হওয়ার জন্য মুখিয়ে পড়ে যুব সমাজ।বিলিয়ন সাবস্ক্রাইব হলেই মুনাফা।এখন ধরাছাড়া প্রেম ভালবাসা বিরহ বিচ্ছেদের যুগ।বাজারে তো চাকরি অবস্থা বেহাল তা জোটাতে না পারলে ভালো ব্যবসা জুড়ে দিতে হয়।নচেৎ ভবঘুরে,মামুলি টিউশন বা কোচিং সেন্টার বা রাস্তার পাশে খাওয়ার দোকান খুলে বসে পড়তে হয়।কিছু করবার নেই।একটা সময়ের পর না পারবে সংসার করতে না পারবে কোন চাকরি করতে।না পারবে কুলে মুটে মজুরদের সাথে কাজ করতে। একটা ইঁচড়ে পাকা ইঁদুর মার্কা লাটসাহেব বলা ছাড়া উপায় নেই।ওটাই হয়ে যেতে হয়।কিছু করবার নেই।এসব অস্থিরতার বাংলা সাহিত্যে ও প্রভাব পড়ছে।
দলছুট স্কুলছুটের মত কিছু হবে না।মানে কোন কিছু সহ্য হবে না।এবার ধামা ধরে চলতে হবে।তেল দিয়ে চলতে হবে।গাধা পিটিয়ে ঘোড়া।আর ঘোড়া পিটিয়ে বাইক করতে হবে।পৃথিবীতে সব কিছু হয় তেমনটাই মনোভাব মানুষের আজকার দিনে। এমন আকাশ কুসুম স্বপ্নের পর ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বলবে এই জীবনে কিছু তো করতে পারলাম না।এভাবে শিশুদের শৈশব গেল।কৈশোরের কিশোর স্বপ্ন গেল।যৌবনের টগবগে ফাগুন গেল।অফুরন্ত ঝক্কি ঝামেলা এল। টালমাটালের দিন কাটবে কবে?যত জীবনে নেগেটিভগুলো সরাতে সরাতে জীবনটা এক্কবারে ঘুঁচিয়ে গুছিয়ে গেল।আর যত রাজ্যের খিস্তি খেউর অপসংস্কৃতির মন্ত্র জপ করতে লাগল।আর যত রাজ্যের নিষিদ্ধ গল্প,রগরগে রসিকতা স্থান কাল পাত্র না মেনে চলতে থাকলে সেই অস্থিরতার ও তার প্রভাব বাংলা সাহিত্যে পড়বে।তারপরে মাথায় হাত পড়বে।আমরা কোন সমস্যার সমাধানের পথ না খুঁজে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গা ভাসিয়ে দিলে কি হবে?ক্ষতি তো আমাদেরই হবে তাই না?বলবে ভাই এবারে আর কিছু করতে পারছি না লোকের পকেট মারা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই।লোকের টাকা ঝেড়ে ঝুড়ে ট্রেনে বোম মেরে কোথাও লুকিয়ে পড়া ছাড়া কোন উপায় নেই।পৃথিবীতে যত নেশা আছে একসাথে সব নেশায় ডুবে থাকে।জীবনের সমস্যা এভাবে নিরাময় হয় না।হতে পারে না।বাঁচতে তো হবে তাই না?আমি বলি কি আমি মরে যাব।দেওয়াল ধরে চলব।নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করব।তবু কারোর কোন কিছুর প্রতি একটুও লোভী হব না।লোভ সংবরন করব।তাতে এত অস্থিরতার সম্মুখীন হতে হবে না কাউকে।যা আছে সেটা নিয়ে চলতে থাকলে সারাজীবন ভালোভাবেই চলে যাবে।এই অস্থিরতা সমাজের বিশৃঙ্খলা সম্পর্ক ভাঙন বিচ্ছেদের সৃষ্টি হবে।ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব হবে।লোভ লালসায় জায়গা জমি বিষয় সম্পত্তি ভাগ বাঁটোয়ারা সৎ সততার পথে না চলে জোর করে হাতিয়ে নেওয়া হলে অরাজকতা বাড়বে।আর অরাজকতা বাড়লে অস্থিরতা বাড়বে।আর তা যেহেতু আমরা বাঙালি তাহলে বাংলা সাহিত্যেও এর প্রভাব পড়বে।
শিক্ষানীতি যদি ব্যবসায়ী নীতিতে পরিচালিত হয় সেটি মানবতার দিকে লক্ষ্য  রাখতে হবে।আর এটির দিকে আলোকপাত না করলে মানুষের শোচনীয় অস্থিরতায় ভুগতে হবে।যে সমাজের মানুষ যত বেশি শিক্ষিত এবং সমজদার বুঝদার।সে সমাজের উন্নতি কোন কিছুতেই আটকায় না।নচেৎ সব কিছু চুলোয় যাবে। সমাজের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে।বড়লোকের ব্যাটারা শুধু পড়বে।বিশেষ বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবে।তারা সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সব সুযোগ সুবিধা পাবে।ভাড়াটে বাদশারা অরাজকতা চালাবে।গরিবরা আরো পিছিয়ে পড়বে।ওরা শোষিত নিপীড়িত বঞ্চিত অবহেলিত হবে।মন সহজে খারাপের রাস্তার দিকে পরিচালিত হবে বা ধাবিত হবে। সমাজ যাবে রসাতলে। মানবতারগুলি ধুঁকে ধুঁকে মরবে।সৎ সততা রাষ্ট্র ছেড়ে চলে যাবে।সহানুভূতিশীলতা যুবকাষ্ঠে বলি হবে।মানবতা তো জ্ঞানের ঝুলি নিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।এসব প্রতিবিম্ব হতে বাধ্য বাংলা সাহিত্যে।মানুষ অস্থিরতায় পড়ে হাবুডুবু খাবে।কোন সময়ে কি করা উচিত তার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা মুস্কিল হয়ে পড়বে।সহজে মাথা গরম হয়ে উঠবে।অসৎ অবলম্বনকারী মানুষেরা দাপিয়ে বেড়াবে।সব কিছুতে অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।তার প্রভাব বাংলা সাহিত্যে পড়া খুব স্বাভাবিক।
এখন একটি নগ্ন নিষিদ্ধ ছবি ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে অসংখ্য লাইক, কমেন্ট, সেয়ার আসে।রাতারাতি ভাইরালও হয়।ইনকাম ও হয়।এই ভার্চুয়াল চক্কর এ পড়ে কত মানুষের ভবলীলা সাঙ্গ হচ্ছে তার ঠিক আছে?এখন বিচিত্রানুষ্টান হলে লোক হয় না।যদি কোন কমিটি ড্যান্স হাঙ্গামা বা ধামাকা করে।লোকের জায়গা দিতে পারছে না।শিল্পীরা কোথাও স্টেজ পারফরম্যান্স করতে গেলে।গানের সাথে সাথে বিকৃতি নাচ করতে হবে।তালে তালে শরীর নাচাতে হবে।অনেক দর্শকদের দেখেছি তারা এই মানসিকতার পরিচয় দেয় যে আমরা তো সবসময়ই গোল্ডেন গান শুনতে পারি যেকোন সময় তবে আজকের অনুষ্ঠানে এসেছি তো নেচে কুঁদে এনজয় করে চলে যাব।সব কিছুর একটা সীমা থাকে তা অতিক্রম হলে অস্থিরতা তো বাড়বেই।তাই অনেক শিল্পীদের আর ডাক পড়ে না কারণ তারা হট গান নাচ উভয়েই করতে পারেন না বলে।অনেক শিল্পী তালে তাল মিলিয়ে পপ সিঙ্গার হতে যাচ্ছে কিন্তু পুরোপুরিই ব্যর্থ হচ্ছে।আচ্ছা বলুন তো জোর করে কেমিক্যাল দিয়ে তাড়াহুড়ো করে ফল পাকালে ভালো লাগে?গাছে পাকা ফলের সুস্বাদটাই কিন্তু আলাদা।তার তুলনা হয় না।মুখে লেগে থাকা স্বাভাবিক।এভাবে কবি সাহিত্যিক শিল্পী সত্ত্বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।তাদের মত করে কিছু করতে দেওয়া হচ্ছে না।তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেককিছুই।আর তারা করতে বাধ্য হচ্ছে তার কারন তারা মানুষের মনে জায়গা করবার জন্য সব কিছু করতে পারে। মনে জায়গা করবার জন্য সদা প্রস্তুতি নেয়।এই অস্থিরতার ও বাংলা সাহিত্যে প্রভাব পড়ছে বা পড়ে।
মানুষের মনের অস্থিরতা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে মানুষের মধ্যে সমন্বয়হীনতা অসন্তোষ সংঘাত জটিল কুটিলতা পরিস্থিতির কারণে ও হয়। অস্থিরতায় ভোগে মানুষ। অস্থিরতা একটি জটিল ও বহুমাত্রিক সমস্যা। যা রাজনৈতিক অস্থিরতা,অর্থনৈতিক বৈষম্য,সামাজিক বৈষম্য,সাংস্কৃতিক সংঘাত,বেকারত্ব,শিক্ষার অভাবের ফলে সাংসারিক পারিবারিক প্রয়োজনীয়তা চাহিদা মনের অস্থিরতা প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।অর্থনৈতিক বৈষম্য সামাজিক অস্থিরতার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।যদি মানুষ দারিদ্র পীড়িত হয় মানুষের অসন্তোষ ও হতাশা ব্যর্থতা অবজ্ঞা ঘৃণা এগুলো শেষ থাকে না। গোষ্ঠী বৈষম্য দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। ধনী-গরীবের অবদমনের সুযোগ পায়। নিম্ন মধ্যবিত্তদের আর্থিক সুযোগের অভাব,বেকারত্ব সামাজিক অস্থিরতার কারণ বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। যখন যুব সমাজ শিক্ষিত হয়ে কোন কর্মসংস্থানের সুযোগ না পায় তখন তারা তীব্র হতাশায় ভেঙে পড়ে এবং হাতের কাছে যা পায় তাই নিয়ে সন্তুষ্ট  থাকতে হয়।কিছু করবার থাকে না।পি এইচ ডি হোল্ডার স্টেশনে ঝাঁট দেয়।এইট পাশ রাষ্ট্র নায়ক হয়।এমন বিষম অরাজকতা অস্থিরতার প্রভাব যেকোন সাহিত্যের উপর পড়া কি খুব স্বাভাবিক নয়?এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সামাজিক অস্থিরতার প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক ও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। সামাজিক অস্থিরতার ফলে মানুষ বিশৃঙ্খলা মূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। দুর্নীতিতে জর্জরিত হয়ে পড়ে।অর্থনৈতিক প্রবৃত্তি ব্যবহৃত হয় এবং বিনিয়ককারীরা ভীত থাকে সন্ত্রস্ত হয়।সামাজিক বন্ধনকে দুর্বল করে দেয়।সমাজে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন এবং অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়।যা সামাজিক ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম আবিষ্কার বা হাতিয়ার হল ইন্টারনেট ইমেইল ফোন।যোগাযোগের ব্যবস্থা অন্যতম হাতিয়ার হল মুঠোফোন স্মার্টফোন বা iphone। মনের অস্থিরতা সভ্য জীবনের একটা অপরিহার্য অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সময় সংকট ও চরম ব্যস্ততা মানুষের অস্থিরতার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এর ফলস্বরূপ মানুষের মন খারাপের আকাশ মেঘলা হচ্ছে ক্রমাগত।নিঃসঙ্গতা একাকীত্বে ভুগছে মানুষ।টেনশনের চাপে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে। উচ্চরক্ত চাপ,সুগারের মত দুরারোগ্য রোগ হামেশাই লোকের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।অপুষ্টিতে ভুগছে একাংশের মানুষজন।ক্যান্সার সৃষ্টি হচ্ছে।রোগ শোক জরা ব্যাধি দূষণ উষ্ণায়নে পরিপূর্ণ হচ্ছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।মানুষ বই বিমুখ হয়ে পড়ছে।অস্থিরতার সমস্যা ঘুন পোকার মত কুরে কুরে খাচ্ছে।
বর্তমানে আট থেকে আশি বছরের সকলেই যন্ত্রনির্ভর মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে।যে এটা ঠিকই এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। পড়ুয়ারা পড়ায় তেমন মনোযোগ দিচ্ছে না।বই থেকে মুখ ফিরে আছে এটাও দেখা দরকার।মানুষের যত দুঃখ কষ্ট অশান্তি অস্থিরতা বাড়ছে তত মানুষ হাসির খোরাক মনের খোরাক এবং বিনোদনের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।আগেকার মানুষ একাকিত্ব নিঃসঙ্গতা ঘোঁচাতে ভ্রমণে সময় কাটাতো প্রিয় বই পড়ে সময় কাটাতো।এমনও অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল কারোর কারোর কিছু কিছু মানুষের।যে রাতের বেলা না পড়লে তাদের চোখে ঘুম আসতো না। এখন আর তেমন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উপন্যাস পড়া তো দূরের কথা ষোলো লাইনের কবিতা পড়বার সময় বা ধৈর্য নেই কারোর।কারোর স্কুল কলেজের পড়া।কারোর আপিসের ভীষণ কাজকর্ম।কারোর সাংসারিক কাজ।এসব করতে করতে বই পড়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। তাই facebook টুইটার ইনস্টাগ্রাম ফেসবুক পেইজ ইউটিউব আর ও অন্যান্য দেখা যাচ্ছে একসাথে। মানুষের বিনোদনের অনেক অপশন হয়ে গেছে এখন। কোনরকম ভাবনা চিন্তা না করে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।এভাবে চললে হয়তো মানুষের অস্থিরতার ভয়াবহতা রূপ দেখা যাবে একদিন এবং এর প্রভাব যথারীতি পড়ে গেছে বাংলা সাহিত্যে।
এই রিলস আর বহু অপশন যুগে মশকরা খিস্তি খেউর পর্নোগ্রাফি নগ্ন শারীরিক বা দৈহিক নিষিদ্ধ ছবির অবাধ বিচরণ দেখা যাচ্ছে সর্বত্র।স্বাধীনতা আছে বলে মানুষ যা খুশি তা করতে পারে না।তার একটা সীমা থাকে।তা লঙ্ঘন করলে তার খেসারত গুনতে হবে।মানসিক অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।সেটা রুচিশীল মার্জিত হওয়া উচিত। মোবাইল ফোনে অনর্থ কথা বলে সময় নষ্ট করা।এসএমএস করা। গেম খেলা।নানা ধরনের নিষিদ্ধ ছবি দেখায় লিপ্ত না হয়ে আমরা পৃথিবীর ভালো ভালো বই পড়ে ফেলতে পারি।তাতে আমাদের জ্ঞানের পরিধি প্রসার হবে এবং উন্নত মানসিকতার পরিচয় দেওয়া যাবে তাই না?
এখনকার যুবক-যুবতীরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে সংসার ভাঙছে,সম্পর্ক বিচ্ছেদ হচ্ছে।আরও ভালো কিছু পাওয়ার আশায়।একজীবনে একজিনিসে আসক্ত হওয়ার একঘেঁয়েমি লাগার মনোভাব তৈরি হচ্ছে।একজীবনে পৃথিবীর সবকিছু দেখে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে।সেটা কি একটি মানুষের দ্বারা সম্ভব?অনেক কিছু বাজিয়ে দেখবার জন্য,পরীক্ষামূলক অভিজ্ঞতার পাওয়ার জন্য মানুষজীবন স্বার্থপর জটিল ও কুটিল হয়ে পড়ছে। আগেকার মানুষজন রাত জেগে জেগে প্রিয় লেখকের প্রিয় লেখার লাইন খুঁজতো।তার মনের কথা কোথায় লেখা রয়েছে।তার মনের মানুষ কাছের মানুষ পাশের মানুষ হাত ধরে সারাজীবন কাটিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার বদ্ধ মানুষকে গুছিয়ে গাঁথিয়ে বাঁচিয়ে প্রিয় মানুষটার কাছে প্রকাশ করবে কীভাবে তা ভাবতো।উপহারের বইয়ের উপরে লেখা এখনকার ক্যাপশনের মধ্যে খুঁজে পাই তার ধারাবাহিতা।আগেকার মানুষজন তা আন্ডারলাইন করে রাখতেন বইয়ের পাতায়।কিছু না বলে বলতো বইটা পড়ে দেখো বইটায় অনেক কিছু খুঁজে পাবে।আজকাল তো সেসব বালাই নেই।চোখেও পড়ে না।এখন চার পাঁচজন সম্পর্কে ঝুলে থাকে।কোন সময় নেই!ট্রেন এসেছে চড়তেই হবে।কোথায় নামবো?সে ট্রেনে উঠলেই দেখা যাবে। ফলে সমাজের এখন এই অস্থির অবস্থা। তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন এমন হলে তার ছাপ তো বাংলা সাহিত্যে প্রতিনিয়ত প্রতিবিম্বিত হতে বাধ্য।

মনে পড়বে সেটাই করতে হবে? না করতে পারলেই অসুখ অস্থিরতা বাড়বে এবং আরও অনেক কিছু বাড়তে বাধ্য হবে?না করতে পারলে সমস্যা?আজকের সময়ের মানুষের অপেক্ষা প্রতীক্ষায় বালাই নেই।হাইভোল্টেজ টানটান ম্যাচ দেখার আমেজের মত।ইউজ অ্যান্ড থ্রুর মত মানুষের মনোভাব দেখা যাচ্ছে ফলে অস্থিরতার সূচক ক্রমশ উর্দ্ধগতির দিকে ধাবমান।তা তো বাংলা সাহিত্যে প্রভাব পড়বেই।
মানুষের একটা বড় অংশ বই থেকে বিমুখ হচ্ছে।এর ফলে কবি সাহিত্যিক শিল্প ব্যবসা বাণিজ্য সংস্কৃতি সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সব জায়গায় মানুষের অস্থিরতার ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।মানুষ যা চাইছে তা করতে গিয়ে অস্থিরতায় ভুগছে। নতুন ভালো কিছু প্লট বা থিম রেখে সৃজনশীল স্রষ্টা রসিক রহস্য ভৌতিক জাতীয় অবাস্তব অলৌকিক অবান্তর কিছু জিনিস নিয়ে মজে আছে স্রষ্টামহল।এই সমস্ত কিছু কারণ তাদেরকে ওইদিকে যেতে বাধ্য হতে হচ্ছে অর্থাৎ ভার্চুয়াল জগতের দিকে যেতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। কিছু করার নেই। কারণ সভ্যতার সৃষ্টি সস্তায় সহজিয়ার  মধ্যে বেঁচে থাকে। যদি পাঠক তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে।তবে সে বাঁচে।সে কদর পায়।তাকে মাথায় নিয়ে নাচানাচি করে।পাঠকেরা যেদিকেই চায় যা চায় সৃজনশীল স্রষ্টারা সেই দিকেই যেতে বাধ্য হয়।উল্টোটা হওয়া কোন ব্যাতিক্রম নয়।কিছু করবার নেই।আর এই অস্থিরতার ছবি প্রতিফলিত হচ্ছে পুরো সমাজ তথা বাংলা সাহিত্যে।
সময় নেই এই অজুহাতে মানুষ ছুটছে অনুগল্প পরমাণু গল্প বা কবিতায়। লেখা শুরু হয়ে গেছে। কিছু পাঠকের চোখ তৈরি হয়ে গেছে ছোট লেখা ছাড়া পড়বই না।কে পড়বে ইয়া বড় বড় উপন্যাস।হাতে এত সময় কই?মানুষ যা অভ্যস্ত কে ছেড়ে অনভ্যাসকে অভ্যস্ত করে নিচ্ছে।তার মধ্যে ভালোবাসা বা ভালোলাগা না থাকলে সে জিনিসটা সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। অর্থাৎ জোর করে কাঁঠাল পাকানোর মতো অবস্থা আমাদের এখন এই অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে আমাদের সাহিত্যে।
ফলে মানুষ যেদিকে দাঁড়িয়ে আছে সেটা আছে ভেবে তার চারপাশের জন্য পাওয়ার  বা ব্যাকুলতা হয়ে পড়াটা সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। ভার্চুয়াল এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছে মানুষজন যে তারা পারিপার্শ্বিক প্রকৃতির দিকে তাকাচ্ছে না।ফলে সৃজনশীল মানুষেরা ভার্চুয়ালের উপর আকৃষ্ট হতে হবে।এবং সুপাঠকের মনমত করে তুলতে হবে।তুলতে পারলেই সফলতা।আর সেই সফলতার ফসল ফলবে আমাদের বাংলা সাহিত্যের উর্বর জমিনে।
মানুষের  যন্ত্রনির্ভর মানবতা সহনশীলতা সহানুভূতিশীল নির্ভর করে তুলতে হবে।যন্ত্র মানব যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে।নচেৎ তাদের চাহিদা পূরণের অস্থিরতা ক্রমশ কমবে।আমাদের মনের মতো কোনো কিছু না পেলে মানিয়ে নেব ধৈর্যশীলত দেখিয়ে।আমাদের মনে রাখতে হবে যে দেশের মানুষের মানসিকতা যত উন্নত এবং মানবিক তাদের উন্নত এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে দারিদ্র্যসীমার নিচে অশিক্ষিত সর্বাগ্রেই এদের উন্নতির কথা চিন্তা করতে হলে সাহিত্য ও বিজ্ঞানের দিকে তাকাতে হবে এবং প্রসার ও সার্বজনীন গ্রাহ্য করতে হবে।সাহিত্যিক তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রযুক্তির সাফল্য যদি জনসাধারণের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে আমাদের সাহিত্যের সৃজনশীলতা সফলতা দোর গোড়ায় টৌকা মারবে।
আমাদেরই ব্যর্থতা আমাদের অস্থিরতা ক্রমশ বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমাদের জীবন নিয়ে লক্ষ্য মর্মভেদ করা উচিত।অন্ধভাবে ভুলবশত অস্ত্রপ্রচার করা হলে তা বিপদ। তা বিবেচনা করতে হবে।সমালোচনা করতে হবে।তার অস্থিরতার কারণ খুঁজে অতিসত্বর তার সমাধান করে ফেলতে হবে।দুর্নীতি পাহাড় বিলাসিতায় মগ্ন হয়ে থাকা নয়।আমি তো ভালো আছি কার কি হল আমার জানবার দরকার নেই।এত বড় পৃথিবী সবার ঠিক চলে যাবে।আমার কোন যায় আসে না।এমন স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বার্থপরতা সমাজের কাছে কিন্তু মঙ্গলদায়ক নয়।দেওয়া যেমন ঠিকই তার অপব্যবহারী যে কি পরিণাম হতে পারে তার দূরদর্শী চিন্তাভাবনা বা চিন্তা করা আমাদের কর্তব্য।হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে অস্থিরতা বাড়বে বইকি কমবে না।নচেৎ পরের প্রজন্মকে শুধু কি সেলফি ছাড়া আর কি দেখানো থাকতে পারে কি?
 বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।মানুষের জ্ঞান মান ইজ্জত নিরাপত্তা নিম্নতম পর্যায়ে পৌঁছাতে বেশিদূর আর বাকি নেই।পৃথিবী এসে মানুষের অবাসযোগ্য হয়ে উঠছে দিন দিন। বর্তমানে বিশ্বের সামাজিক অস্থিরতা মৌলিক কারণ বলা যেতে পারে।আত্মকেন্দ্রিকতা পারস্পরিক স্বার্থপরতা যুবসম্প্রদায় এবং মান ইজ্জত মর্যাদা লাভের প্রতিযোগিতা বাড়ছে দিন দিন।কাঁচা হাতে সুন্দর হাতে লেখা ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে।সমালোচনা মানে শুধু নিন্দা বা কাদা ছেটানো নয়।অনেক সম্মানিত পাঠক পরেন দৈনন্দিন পারিবারিক ও সামাজিক বহুমুখী চিন্তা হতাশা অস্থিরতা মাননীয়তার ঘাটতি মেটাতে পারেন। তারা যদি ধৈর্য ধরে পড়ে সঠিক মূল্যায়ন করেন।নতুনদের সৃজনশীলতা দেখানোর উত্তম প্রন্থা বা সুযোগ পায় কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে আমরা চাইলে সবকিছু আমাদের মনে করলে চলবে না।এই দৈনিক তার পত্রিকা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে অজস্র সৃজনশীল কাজ চলছে বা হচ্ছে এখন।সেটার সুযোগ নিয়ে প্রি বুকিং ব্যবস্থা,যে লিখবে সে টাকা দিয়ে বই কিনে পড়বে।তার শুভেচ্ছা মূল্য দিয়ে তাকেই  মানপত্র,মেডেল,বিরিয়ানি ভোজন করানো হবে।এটা ঠিক করতে হবে।,কেউ কারোর কিছু সৃজনশীলতা শোনে না দেখে না শুধু সেলফির ফোয়ারা হয়।বিখ্যাত কারোর পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি যোগাযোগের মাধ্যম বা প্ল্যাটফর্ম খোঁজা ভালো।এর ফলস্বরূপ যারা প্রতিভাবান তাদের মুখ চাপা পড়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।সত্যিকারের মেধা বা স্রষ্টাদের সঠিক মূল্যায়নের কোথাও যেন একটা খামতি থেকেই যাচ্ছে।এই অস্থিরতার প্রভাব সাহিত্যে পড়াটা খুব স্বাভাবিক।
সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ তা মানুষের নৈতিকতা অবক্ষয়।সাহিত্য হল সমাজের দর্পণ।সমাজে যা কিছু ঘটবে কবি সাহিত্যিক স্রষ্টা-সৃষ্টিমহল শিল্প জগত তাই ফোটাতে সদা প্রস্তুত।এবার যদি কোন সংবাদ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া তার ব্যবসার জন্য তোষণ পোষন করতে ব্যস্ত থাকে।তবে অস্থিরতার সম্মুখীন হতে হবে সেটাই স্বাভাবিক।সেই সমাজের ছবি প্রতিবিম্বিত হবে সাহিত্যে এটাই স্বাভাবিক।সাহিত্যিকেরা স্রষ্টা গণ তাঁরা সত্যান্বেষী।আমাদের ভাবনার সময় এসেছে মানুষ মানুষের জন্য। সাহিত্য মানুষের জন্য।মানুষের হৃদয়ঙ্গম থেকে মস্তিষ্কে স্থান করে নিতে হবে বাংলা সাহিত্যকে।মানুষের সকল অস্থিরতা ঘুঁচে যাক মুছে যাক।সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই আশা রাখি।বাংলা ভাষা হল পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম সুমিষ্ট ভাষা।
==================
নাম:তপন মাইতি
ঠিকানা:গ্রাম:পশ্চিম দেবীপুর;পো:দেবীপুর;থানা:মৈপীঠ কোস্টাল;জেলা:দঃ২৪পরগণা;পিন-৭৪৩৩৮৩;

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন