মেঘ-বৃষ্টির গল্প
স্বাতী রায় চৌধুরী
অনেকদিন পর মেঘ এসে দাঁড়িয়েছে অভিমানী বৃষ্টির দরজায়।
সমস্ত অভিমান ভাঙিয়ে তাকে বুকে টেনে নেবে
এইটিই তার একমাত্র অভিপ্রায়। কিন্তু বৃষ্টি কোথায়?
একা তার খোঁজে মেঘ ঘুরতে থাকে পাড়ায় পাড়ায়
এ-পাড়া থেকে ও-পাড়া,ও-পাড়া থেকে সে- পাড়া
ঘুরে ঘুরে মেঘ এক্কেবারে সারা; কিন্তু বৃষ্টির দেখা মেলে না।
তবে কি অভিমানী বৃষ্টি মেঘ আসার খবর পেয়ে ছেড়ে চলে গেছে তার ঘর ?
এত অভিমান জমে আছে তার মেঘের উপর?
কিন্তু মেঘ ভাবে বৃষ্টিকে যে তার খুব দরকার
নইলে জীবন যে রোদে পুড়ে ছারখার!
চিৎকার করে মেঘ ডাকে বৃষ্টিকে; "বৃষ্টি,বৃষ্টি,বৃষ্টি"
তার আর্তচিৎকারে কেঁপে ওঠে গোটা সৃষ্টি;
গগনবিদারী সে ডাক পৌঁছায় তপনেরও কানে;
বৃষ্টিকে যে নিজের কাছে বন্দী করেছে সেই;
সে জানে ঐ বুকফাটা কান্নার মানে;
কারণ অমন কান্না যে সেও কাঁদতে জানে
শুধু তার দাম পাবে না বলেই গনগনে আগুনে বুকের জ্বালা জুড়োয়;
প্রবল প্রতাপান্বিত ভাস্কর তবু, ওই একফোঁটা বৃষ্টির কাছে কত অসহায়!
ছেড়ে দেয় বৃষ্টিকে সে,যেতে দেয় মেঘের কাছে
ওদের যে জন্ম- জন্মান্তরের গাঁটছড়া বাঁধা আছে
ছুটে আসে বৃষ্টি, মেঘের কাছে করে সমর্পণ
দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে হয় মেঘ-বৃষ্টির মিলন
ঠিক তখনই পৃথিবীর বুকে মেঘ মল্লার গেয়ে ওঠে জীবন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন