পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

গল্প ।। স্মৃতিময় হালখাতা ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
স্মৃতিময় হালখাতা গোবিন্দ মোদক – মেসোমশাই, পহেলা বৈশাখের দিন আমাদের দোকানে আসবেন। ঐদিন ছোট্ট করে গণেশ পুজো আছে, সেই সঙ্গে নতুনখাতা পুজো। আসবেন কিন্তু।  – আসবো বাবা, আসবো। তোমাদের সঙ্গে আমাদের এতদিনের সম্পর্ক!  – শুধু তাই নয় মেসোমশাই, আপনি আমাদের অত্যন্ত ভালো একজন কাস্টমার। আপনাদেরকে সঙ্গে না নিয়ে কি নতুন খাতা পুজো করতে পারি! ওই দিন কিন্তু অবশ্যই আসা চাই! এই নিন কার্ড।  – কার্ড দাও বা না দাও, মুখে বলেছো এই অনেক। ঠিক আছে বাবা, নিশ্চয়ই আসব। এবছর কি বার পড়েছে নববর্ষ? – রবিবার। কমল দত্তের স্টেশনারি দোকান থেকে এগিয়ে জুড়োন সাহার মুদিখানা দোকানের সামনে রিক্সাটাকে দাঁড়াতে বলেন সুনীলবাবু। সুনীলবাবুকে দেখে দোকানের ছেলেটি এগিয়ে আসে – আসুন কাকু, ভালোই হয়েছে। নইলে আপনার বাড়িতে যেতাম। হালখাতা তো এসেই গেল। যদিও ব্যবসা-পত্রের অবস্থা বিশেষ ভালো নয়, কিন্তু হালখাতা তো করতেই হয়। আর ছোট্ট করে গণেশ পুজোও করছি ওইদিন। আপনাকে আসতেই হবে। এই নিন কাকু কার্ড।  – আচ্ছা বাবা, আসবো। কার্ড নিয়ে সুনীলবাবু রিকশায় ওঠেন। তারপর বাড়ি ফেরার পথে সনাতনের সবজি দোকানের সামনে দাঁড়ান। কয়েকটি সবজি দিতে সনাতনকে নির্দেশ দ

গল্প ।। নববর্ষের উপহার ।। কেতকী বসু

ছবি
নববর্ষের উপহার কেতকী বসু সকাল থেকেই মায়ের ডাকাডাকি,আর ব্যাস্ততায় ঘুম ভাঙ্গলো সুবর্ণার,বিশেষত একটু বেলা করেই উঠতে ভালোবাসে চিরকাল,কিন্তু কে শোনে কার কথা,অনেক্ষন ডাকার পর অবশেষে উঠতেই হলো সুবর্ণার,হাজির হলো মায়ের সামনে, জানতে চাইলো কি ব্যাপার বলতো,আজ কিসের তাড়া তোমার, "জানো কতো রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করি আমি" ',তারপর একটু সোশাল মিডিয়া নিয়ে থাকি' , 'এতো সকালে ওঠার অভ্যেস আছে আমার'! মা, এভাবে কেনো ডাকলে, শান্ত হয়ে মা, সুবর্ণাকে বললেন আজ ১ লা বৈশাখ, সকাল সকাল স্নান সেরে পূজো দিতে যাবো দুজনে তারপর একটু মিষ্টি মুখ করবি, বড়োদের প্রণাম করবি,তাই জন্যেই তো ডাকছি সোনা। চুপ করো আজকের এই আধুনিক যুগে বাংলা সাল আর তারিখ নিয়ে এত বাড়াবাড়ি সত্যি ভালো লাগে না। তোমরা সেই  পুরানো যুগেই পড়ে আছো। ততক্ষণে বেনু মাসী ঘর পরিষ্কার করে নিয়েছে। সুবর্ণার  মায়ের ও স্নান সারা,ভেবেছিল মেয়েকে সাথে নিয়ে পূজো দিতে যাবে। কিন্তু অমন কথায় একটু ব্যথিত হলো সুদীপা,কি আর করা নিজেই তৈরি হতে গেলো।  সুবর্ণা মুখ ভারি করে সোফায় বসে আছে।ততক্ষণে রমেন বাবু ,(সুবর্ণার বাবা) দুহাত ভর্তি বাজারের ব্য

গল্প ।। ভালবাসার বাড়ি ।। বন্দনা সেনগুপ্ত

ছবি
ভালোবাসার বাড়ি বন্দনা সেনগুপ্ত  এই গল্পের সঙ্গে নববর্ষের বিশেষ কোন যোগ নেই। তবে ঘটনাটা ঘটল চৈত্র মাসের একেবারেই শেষের দিকে। আর, তাছাড়া এটা কোন গল্পও না। একটা খুব সুন্দর ঘটনার কথা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। কারুকে বিব্রত করতে চাই না বলে শুধু নাম ধাম পাল্টে দিয়েছি। গত পরশু দিন মানে বুধবার ছিল আমার পরিচিত কৃতিশ্রীর জন্মদিন। ফেসবুক তাকে বেশ নামকরা কবি এবং সুলেখিকা বলে জানে। আমার সঙ্গেও ওই পাড়াতেই আলাপ। আমি ওকে বড্ড ভালোবাসি। সে আমাকে ডাকে দিভাই। আর, সেই সম্মানটাও দেয়।  তো আমি ভাবলাম কি মেসেজ না করে ওকে ফোন করি। করলাম। শুভ কামনা জানানো ছাড়াও, যা হয়, মেয়েদের কত্ত কত্ত কথা থাকে। বেশ কিছু ক্ষণ চলল তুমুল আড্ডা। "ও দি, তুমি গোধূলিদিকে চেনো তো! জানো কি হয়েছে?" গোধুলিদিকে আমি সামান্য চিনি। কিভাবে জানেন? আমি, কৃতিশ্রী, গোধুলিদি, এবং প্রায় আরও আড়াই তিন হাজার জন একটি ফেসবুক গ্রুপের মেম্বার। গ্রুপটির নাম "ভালোবাসার বাড়ি"। তো কিছুদিন ধরে ওই গ্রুপে ওঁর লেখা পড়ছিলাম। দারুণ মজার মজার লেখা লেখেন উনি। নিজেই বলেন যে শুধু যে যৌবন কালেই দুষ্টু ছিলেন তাই নয়, এখনও মাথার মধ্যে

কবিতা ।। নতুন দিন ।। রবীন বসু

নতুন দিন রবীন বসু নতুন বছর নতুন দিন স্বপ্ন ভরাক আলাদিন, যা গেল তা পিছে থাক যত দুঃখ শোক তাপ l মনের মাঝে জল ছবি কাঁপছে দেখ নিরবধি, কী ওঠে কী-বা পড়ে ঘন্টা কেবল নড়েচড়ে l জোনাক জ্বলে আঁধারে স্মৃতিরা উড়ছে বাহারে, মন পবনের নাও ভাসে কোন সুদূরে সুখ হাসে ! দুঃখ-সুখের ভেলা চেপে পাওনাগণ্ডা দেখি মেপে, গেল বছর কিই-বা দিল কতটা যেন কেড়ে নিল? ওই যে মেয়ে পণের বলি গায়ে আগুন শুধুই জ্বলি, মুখে অ্যাসিড নাহলে রাজি জামিন দেন হিসেবি কাজি l ভয় যে আছে ঘরের মধ্যে বাঘ বেশে বসেছে ঘোগে l নতুন বছর নতুন সে দিন ওদের এবার বাঁচতে দিন l ও মেয়ে তোর করুণ হাসি এবারও যেন না হয় বাসি ! ==================== রবীন বসু ১৮৯/৯, কসবা রোড, কলকাতা-৭০০০৪২

পয়লা বৈশাখের কবিতা ।। সুমিত মোদক

ছবি
তারিন দাদু ও পয়লা বৈশাখ সুমিত মোদক ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে কয়টা খড়ের আঁটি নিয়ে মাঠের দিকে হনহন করে হাঁটা দেয় তারিন দাদু; আজকের দিনে জমিতে, বাগানে, ঘাটে, খামারে, বাড়ির প্রবেশ দ্বারে খড়ের আগুন দেয়; সে কোন ছেলেবেলা থেকে দেখে আসছি; তারিন দাদু, আমার ঠাকুরদার ছোট ভাই; আমাদের আবাদি জমিগুলো বেশির ভাগটাই  বেদখল হয়ে গেছে ; তবুও দাদু যায়, জমি গুলোর প্রতি খুব যে মায়া; যে জমিতে এক সময় নিজের হাতে  সোনালী ধান ফলিয়েছে, যে বাগানগুলোতে নিজের হাতে সবজি ফলিয়েছে, সেগুলো এখন অন্যের দখলে; অথচ, পয়লা বৈশাখে খালি পায়ে পৌঁছে যায় সে জমির আলপথে; আলপথও ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে; ছোট হয়ে আসছে পাড়া-পড়শির হৃদয়গুলো; সুতি খালে আর ঢোকে না জল … একে একে অনাবাদি হয়ে পড়ছে জমি, চোখের সামনে দেখা সমাজটাও; গ্রামের বাড়িতে এখন তেমন কেউ থাকে না; তবে পালে-পার্বণে মোটামুটি প্রায় সকলে আসে, আমরাও … এখানে বছর শেষে চড়ক মেলা বসে; চড়ক গাছ ঘোরে বনবন করে; বনবন করে ঘোরে শিব সন্ন্যাসী; শুরু হয় শিবের গাজন; ছোট ছোট অনেক দোকান বসে; জেনেরেটরের আলোতে মাঠ জুড়ে আলো; আলো আর আলো .… আর শিকড়ের টানে ফেরা মানুষের মুখ; একে অপরের সঙ্গে দেখা হলে কত কথা; অতীতের

কবিতা ।। নববর্ষের প্রার্থনা ।। দীনেশ সরকার

ছবি
নববর্ষের প্রার্থনা দীনেশ সরকার নববর্ষ আসুক ফিরে জ্বালুক খুশির আলো সবার মুখে হাসির ধারা পড়ুক ঝরে ঝরে, মেরুদন্ড সোজা রেখে সবাই খাকুক ভালো নববর্ষ বিমল আলো ছড়াক নতুন ভোরে। খাঁচাবন্দি জীবন থেকে মনের মুক্তি হোক শত্রু-মিত্র আলিঙ্গনে দিক তারা সব ধরা, স্বজনহারা বিয়োগব্যথা, সকল দুঃখ-শোক দূর হয়ে যাক্‌ মন থেকে সব, মন হোক খুশি ভরা। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আর ভেদাভেদ থাক্‌ পড়ে সব দূরে ভালোবাসার ভুবনডাঙা উঠুক ভরে ফুলে, সবাই মিলে জীবনের গান গাই যেন একসুরে হাসি-খুশির মিলন মেলায় উঠুক হৃদয় দুলে। নতুন বছর আসুক আবার আশার প্রদীপ নিয়ে দূর করে দিক কালিমা-কলুষ, মনের গ্লানি যত, সবার হৃদয় দিক সে ভরে ভালোবাসা দিয়ে বাঁধার সাগর পেরিয়ে সবাই হাসুক ফুলের মতো। ************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ---- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। দিনটা ছিলো ।।বদ্রীনাথ পাল

ছবি
দিনটা ছিলো বদ্রীনাথ পাল নববর্ষের প্রথম দিনের কথা-- চোখ বুজলে আজও মনে পড়ে, সকাল হলেই দেখতাম মা নিজে আলপনাটি দিচ্ছে ঠাকুর ঘরে। আমরা যারা ছিলাম কঁচিকাঁচা-- সবাই মিলে স্নানটি সারা হলে, নতুন জামা নতুন কাপড় গায়ে ঘুরতে যেতাম পাড়া দলে দলে। সেদিন হতো নানান খাওয়া দাওয়া-- মাছ মিষ্টি পড়তো সবার মুখে, বৈষ্ণবীটাও হরি নামটি গেয়ে টহল দিতো গ্ৰামটি মনের সুখে। তারপরে যেই হতো বিকেল বেলা-- পায়ে পায়ে গিয়ে দাদুর সাথে, গদী ঘরে নতুন খাতা করে ফিরে আসা মিষ্টি প্যাকেট হাতে ! দিনটা ছিলো আনন্দেতে ভরা-- উৎসব আর হাসি খুশি মিলে, সুখের সেদিন আজ পাইনা খুঁজে নিউ ইয়ার খেলো তাকে গিলে। ========= বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া, 

কবিতা ।। অজিত কুমার জানা ।। নববর্ষ নক্ষত্র

ছবি
অজিত কুমার জানা  নববর্ষ নক্ষত্র তাপবৃক্ষে বসে বৈশাখ,  ঝিঁঝিঁ বাঁশরি হাতে। রাই কিশোরী রোদ,  উষ্ণ নূপুর পলকে,  দুপুর পুড়ে নীরবে।  তাপ জল ঘাম স্রোতে,  বৈশাখী ডিঙি বেয়ে।  রাজ সিংহাসনে নতুন বছর,  তাপের টোপর মাথায়। ধূলো, ধূলো হয়ে যাচ্ছে, জলন্ত উনুন পিচরাস্তা।  উচ্চরক্ত চাপে হাঁস ফাঁস,  চলন্ত গাড়ির চাকা।  শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হলে,  জ্বলে নববর্ষ নক্ষত্র।  ================== অজিত কুমার জানা, গ্রাম +পোষ্ট-কোটরা, থানা-শ্যামপুর  জেলা-হাওড়া, পিন-৭১১৩০১, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 

কবিতা ।। প্রতীক মিত্র ।। নতুন বছর

ছবি
প্রতীক মিত্র নতুন বছর নতুন বছরের কাছে আবদার আমার বেশিই রাখবো বলে ভেবেছিলাম। তারপর দেখলাম বেশি কিছুই চাওয়া হল না। পাওয়াও হল ততধিক কম। উত্তাপ, বাজার দর, ভোটের ডামাডোলে আরো যেন গুটিয়ে গেছি। স্মৃতির সাঁকো ধরে হেঁটে দেখেছি পেছনে, শৈশবে বাবা-মা'র হাত ধরে  দোকানে যেতাম। ব্যস্ততায় মিষ্টি আর ঠান্ডা পানীয়ে ঘেমো আলোকিত সন্ধ্যেগুলো বেশ কেটে যেত। এখনও ইচ্ছে হয়  সন্তানকে নিয়ে যাই। সে বলে না। সে তেমন কিছু জানেনা। কিভাবে যে তাকে শেখাই? কিই বা শেখাই? বাঙালিয়ানা থেকে নববর্ষ থেকে আমিই  কত দুরে! বহুত্ববাদের ভারে ইংরেজীর জোরে  অতীতের মতন বর্তমানও অন্ধকার। না আবেগে ভাসি না উত্তর দিতে পারি কোনো সওয়াল। জানার যেন তাগিদ নেই মোটে। উত্তরাধিকার, প্রশ্ন লটকে যানজটে আমার সন্তান কতটা আমার?এটাই বা বাংলার কোন সাল? প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235, পশ্চিমবঙ্গ

বাঙালিমানসে বাংলা নববর্ষ ও হালখাতা ।। পাভেল আমান

ছবি
বাঙালিমানসে বাংলা নববর্ষ ও হালখাতা পাভেল আমান বছরের এই একটা দিন সমস্ত বাঙালিরা একাকার হয়ে যায় বাঙালিত্বের জাগরনে। বাঙালি যেনো আবারো খুঁজে পাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একটু আনন্দ ভাব বিনিময়ে নিজস্ব ঐতিহ্য কৃষ্টি ঘরানাকে। সেই বহুকাঙ্খিত পয়লা বৈশাখ প্রতিবছরেই বাঙ্গালীদের  কে  নব আশায় উদ্দীপিত করে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গোটা বাংলা  অধীর আগ্রহে প্রহর গুনতে থাকে। শুরু হবে বাংলা ১৪৩১ সাল। চৈত্র সংক্রান্তির পরের পয়লা বৈশাখ থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন বছর শুরু হয়। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ওতো কত ভাবে জড়িয়ে আছে আবহমানকাল ব্যাপী চলে আসা হালখাতা। কত স্মৃতি ঘটনার চিরন্তন সাক্ষী বহন করছে এই হালখাতা। বাংলার ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রথম দিনটাকে হালখাতা হিসেবেও পালন করে থাকেন। এই হালখাতা নামের নেপথ্যে আছে অনেক ইতিহাস লোক গাথা যার পড়তে পড়তে বাঙালিয়ানা। কিন্তু ব্যবসার খাতার নাম 'হালখাতা' কেন?শুধু হিসেবের খাতা হালনগদ করার আনুষ্ঠানিকতাই নয়, পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা আয়োজন করেন হালখাতা। দোকানপাটে থাকে পরিপাটি সাজ। ফুল, মালা দিয়ে সাজিয়ে এ দিন দোকানে দোকানে গণেশের পুজো করা হয়। নতুন খাতার প্রথম প

স্মৃতির পাতায় নববর্ষ ।। মিঠুন মুখার্জী

ছবি
স্মৃতির পাতায় নববর্ষ মিঠুন মুখার্জী  বাঙালি আনন্দপ্রিয়। বারো মাসে তেরো পার্বণকে কেন্দ্র করে তারা সারা বছর আনন্দে মেতে থাকেন। তবে সবার কাছে সব অনুষ্ঠান বিশেষ থাকে না, কোনো কোনো পার্বণ বিশেষ হয়ে ওঠে। তারা ইংরাজি নববর্ষকে যেমন আপন করে আনন্দে মেতে ওঠেন, তেমনি নিজেদের বাংলা নববর্ষে নানান অনুষ্ঠানে সামিল হন। সকল বাঙালিরই থাকে নববর্ষকে কেন্দ্র করে নানান স্মৃতি। তবে সকল স্মৃতি তারা মনে রাখেন না। কিছু কিছু স্মৃতি চিরকাল মনে থেকে যায়। আমার মনেও নববর্ষকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ স্মৃতি আজও জেগে আছে, যার কথা আজ আমি ব্যক্ত করব। ১৪১০ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ। তখন আমার বয়স ছিল কুড়ি বছর। এখনকার থেকে অনেক প্রানচঞ্চল ছিলাম আমি। আমাদের গোবরডাঙায় পয়লা বৈশাখ থেকে দশ দিন গোষ্ঠবিহার নামে একটি মেলা হয়। আজ এই মেলা দুশো বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে গুরুজনদের নমস্কার করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। কালীবাড়ি প্রসন্নমায়ের মন্দিরে প্রনাম করে গিয়েছিলাম একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল কলকাতায়। নববর্ষ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। গান, নাচ , কবিতা আবৃত্তি সব কিছ

অণুগল্প ।। শীর্ষা ।। অমিত কুমার রায়

ছবি
  শীর্ষা অমিত কুমার রায় নববর্ষের সকালে একমনে ছবি  আঁকছিল শীর্ষা। ওর মা অনিন্দিতা বলছে শীর্ষাকে হরিরতলায়, ঘরের প্রবেশ পথে চালের পিটুলি করে আলপনা দিতে। সেসব শীর্ষা এখনো করেনি বলে অনিন্দিতা ঘরে ঢুকে দেখে সুন্দর একটি ছবি এঁকেছে মেয়ে! কৌতূহল এবং আবেগ তাড়িত হয়ে অনিন্দিতা জিজ্ঞেস করলো --- কী ফুলের গাছ রে শীর্ষা! শীর্ষা ছবিতে শেষ তুলির টান দিতে দিতে বলল --- ভ্যান ঘগের বিখ্যাত ছবি ' Almond Blossoms'! মা অনিন্দিতা বিস্ময় দৃষ্টিতে বলল বাঃ! শীর্ষা নিজের আঁকা ছবির দিকে চোখ রেখে বললে, এই শাখা প্রশাখা যেন জাগরণ আর স্টার ফুলগুলো যেন সতেজ চেতনা ! এই আমার প্রতি দিনের নববর্ষ ! অনিন্দিতা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল --- খুব খুব সুন্দর ! শীর্ষা হেসে জিজ্ঞেস করেছিল কে ছবি না আমি ! অনিন্দিতা বুকে চেপে মুখে চুমু দিয়ে শীর্ষাকে বলেছিল -- দুইই। ========== অমিত কুমার রায় ঝিখিরা   হাওড়া ৭১১৪০১

কবিতা ।। নববর্ষ ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
 নববর্ষ রঞ্জন কুমার মণ্ডল নববর্ষ আসে বাংলা সনে  চৈত্র অবসানে শুভকামনা, শুভেচ্ছাবার্তা আনন্দ দেয় প্রাণে।  বাংলা সনের নববর্ষেই হালখাতা উৎসব মিষ্টি মুখ মঙ্গল কামনায় ওঠে খুশির রব। বাংলা সনের নববর্ষেই গাছেতে কচিপাতা  খুশি আনন্দে হয়ে মশগুল  দেয় শুভ বারতা। বাংলা সনের নববর্ষেই মিঠে কড়া রোদ্দুর তপ্ত হাওয়া শোনায় গান কালবৈশাখী সুর। বাংলা সনের নববর্ষেই বৈশাখ দেয় ডাক নতুন বছর হোক শুভ হোক সম্প্রীতি দৃঢ় থাক। ===================== যোগাযোগ: রঞ্জন কুমার মণ্ডল সারাঙ্গাবাদ, মহেশতলা দক্ষিণ -২৪ পরগণা। পশ্চিমবঙ্গ। .

ছড়া ।। সময় কৈ ।। কার্ত্তিক মণ্ডল

ছবি
সময় কৈ কার্ত্তিক মণ্ডল সকাল হতেই মা ডেকে কন ওঠ রে খোকন ওঠ নববর্ষের রোদ মেখে গায় মাঠে মাঠে ছুট।  ছোট্ট আছিস তাইতো তোর নাইকো বাধার বাঁধ একটু বড়ো হলেই সামনে কত জটিল ফাঁদ।  কর্মমূখী জীবন হবে সামনে পাহাড় খাই সংসারটা দাবানলের মত আরও চাই আরও চাই।  পুরাতন আর নতুনের ভেদ  করাটাই খুব শক্ত নববর্ষ ভাবার সময় কৈ জল হয় গার রক্ত । 

ছড়া ।।রবীন্দ্রনাথ ।। রূপালী মুখোপাধ্যায়

ছবি
রবীন্দ্রনাথ  রূপালী মুখোপাধ্যায়  এলো বৈশাখ  বাজে ওই শাঁখ আসছে বিশ্ব কবি  দাও উলু দাও  শংখ বাজাও  ছোটরা আঁকো রে ছবি  গাও জয় গান  রাখো তার মান তিনি তো প্রাণের কবি  লিখেছেন গান  তুলেছেন তান  আঁকাও তাঁহার হবি ছোটরা জানো  কত ছড়াগানও  লিখেছেন মজা করে  পৃথিবী জুড়ে  ফিরেছেন ঘুরে  আছেন সবার ঘরে  স্মরণ করবে  তবেই পারবে  করতে বিশ্বজয়  বিপদ আসুক  বন্যা ভাসুক  পাবে নাকো কোন ভয় । ====================

কবিতা ।। আসছে নবীন বৈশাখ ।। অনুপম বিশ্বাস

ছবি
আসছে নবীন বৈশাখ অনুপম বিশ্বাস ও আসছে বৈশাখী ঝরের দাপটে তাই তো প্রকৃতি সবুজ মুকুলে সাজে, ও আসছে মুকুল ঝরা মেঠো পথে তাই তো উষ্ণ দুপুরে নুপুর বাজে। ও আসছে আনন্দের বার্তা নিয়ে তাই তো সকলে খুসির জোয়ারে মাতে, ও আসছে পূর্নিমার চাঁদ হয়ে আকাশে তারা ঝলমলে জোৎস্না রাতে। ও আসছে বলে দুর করে দাও মনের যত ময়লা, মুখে হাসি,ভালোবাসি বৈশাখী পয়লা। ও আসছে বলে দূর হয়ে যাক রোগ-ব্যাধি-জরা, ও আসছে বলে নব হিল্লোল শান্তিতে পূর্ণ হবে ধরা। ও আসছে বলে ঞ্জানের আলো জ্বলুক মস্তকে, ও আসছে বলে ভয় ভেঙে যায় অসীম সাহস বুকে। ও আসছে বলে জ্বলুক অগ্নিশিখা বাজুক আগমনী শাঁখ, আসো আসো আসো হে পহেলা বৈশাখ।

গল্প ।। হালখাতা ।। মধুরিমা ব্যানার্জী

ছবি
হালখাতা  মধুরিমা ব্যানার্জী জীবন নদীর কঠিন নাও তে ভর করে এগোচ্ছে অজিত। এভাবে আর কতদিন? সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। শহরের কাজটা চলে গেছে এই কথাটা বলতেও কষ্ট হয়। অজিত বৌদির শুকনো মুখ দেখে ভাবে কি করে বলে শহর তার সহ্য হয়না কেন? বাউন্ডুলে অজিতের কোনো কাজ ই যে বেশিদিন টেকেনা এই কথা সকলের জানা। এবার অজিত চেষ্টা করেছিল যাতে কাজটা তার টিকে যায়। এবার সে ফাঁকি দেয়নি বৌদি ছাড়া এই কথা আদৌ কেউ বিশ্বাস করবে? সবাই বৌদিকে অপবাদ দেয় তার আস্কারা তেই অজিত এমন হয়। যাক সে সব কথা। মন্দ ভালো দিন মিলিয়ে জীবনের অধ্যায় অজিত শহরে কাজ করতো এক নাম কোম্পানি এর পিয়ন হিসাবে। দাদা সেই যে শহরে গিয়েছিলো আর ফেরেনি বৌদি পথচেয়ে বসে থাকতো। অজিত ভাবতো শহরে গেলেই দাদাকে পাবে অভিজ্ঞতা কম থাকলে যা হয়। কাজ কর্ম আর সময় পেরিয়ে বিজ্ঞ হয়ে অজিত বুঝলো এত বড়ো শহরে দাদাকে খোঁজা খুব কঠিন। দিনগুলো ভালোই কেটে যেত যদি না দাদা তার অফিসে আসতো। দাদা এসেছিলো অজিত এর বস এর চেম্বার টাতে। অজিত পরিষ্কার করছিলো। দাদাকে দেখে ব্যস্ত হয়ে অজিত এগিয়ে যায়। অজিত কে না দেখার ভান করে দাদা। পরে বস এর থেকে জেনেছিলো উনি অনেকবড়ো কোম্পানির মালিকের জামাই সব ভার

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪