নদী ও নারী
নদী আর নারী দুইয়ে মিলে এক; অশরীরী।
জলের নহর ভেসে আসে তাহাদের বুক থেকে
মায়ার নহরে ভরা পুরো মুখ; চোখ; চিবুক।
প্রেমের নহরে ভরা পুরোটা শরীর;
পা থেকে মাথার চুলের অগ্ৰভাগ পর্যন্ত খেলা করে কোনো এক নদী; জল তার প্রেমে পরিপূর্ণ। নেকাবের ভেতরে রঙিন রুমাল।
রঙিন রুমালে মেশানো খাঁটি জাফরান।
নদী না নারী কাকে বেশি ভালোবাসি?
কে বা বেশি ভালোবাসে পুরুষকে?
নারী যেন নদীতে বিলীন; তীর জুড়ে শুভ্র আঁচল
বেদনার নীল রঙে ভরপুর সারাদেহ চোখ তবু চৈতী হরিণ।
কখনো নদী কখনো নারী কখনো কলকল জলপ্রেম অবিরল।
নারীর ভেতর এক নদী বয়ে যায় করুণ রঙিন।
ঢেউ উঠে তার কলব থেকে গোলাপী হলুদ।
---------------------------------------------------------------------
পাথর ও পরবাসী বাতাসের ঘ্রাণ
রাবাত রেজা নূর
পাথরের গায়ে লিখে রাখি পরবাসী বাতাসের ঘ্রাণ।
কংক্রিট ভেবে গায়ে জমা শ্যাওলা খেতে আসে আসে শহুরে পুটির ঝাঁক।
শামুকের মত খোলস খুলি খুব সন্তর্পণে।
উপরে আকাশ নীল; দূর পরবাসে ঘর বেধেছে বধুয়া। একলা অচঞ্চল।
হে পরবাসী বাতাস!
পাথরের ঘ্রাণ নিয়ে যাও; বিলিয়ে দিও তার আঙিনা জুড়ে। কোমল ঘাসের ভেতর যেন সে বুঝতে না পারে।
উপরে চাঁদের আলোয় বুক ভেসে যায়; দূর পরবাসে বধুয়ার ঘর।
পরবাসী বাতাস রে!
নিত্য যাহার লাগি পরান কাঁদে; বুঝেনা সে; এতোটা পাষাণ হৃদয়; নিদারুণ পর।
পাথরের বুকেও প্রেম থাকে ঝিনুকের পেটে মুক্তার মত।
কোনো ডুবুরি নেয়না সে খোঁজ তাই সেই প্রেম বুঝে নাকো কেউ।
পরবাসী বাতাসের ঘ্রাণ!
তাকে বলে দিও
বধুয়া!! ভালোবাসি রে।
রাবাত রেজা নূর
কবি ও কথাসাহিত্যিক
ঢাকা, বাংলাদেশ।
ফোন: ০১৯৬০-৫৪৬৯০৫
মেইল: rabatrezanoor@gmail.com