ধ্বজা ও ধ্বনির দাস পরবাসী হে
দেখাও এমন ভাব যেন অনাহুত নাভিহীন আমি
তুমিই নির্ভেজাল অং বং বিশুদ্ধ রক্তবাহী কোনোদিন
বেডে শুয়ে অচিন রক্তস্রোত টানোনি শিরায় বলে
গোপন গর্বে বুঝি ফুলে ফুলে ওঠো আর ধ্বনি দাও
ভুবনকাঁপানো যেন ফারাওদের আত্মা থেকে আরকগন্ধ
মেখে একবিংশ শতাব্দীতে সটান এনেছো বয়ে তুমি
শুদ্ধস্বর ও পবিত্র পতাকা ...
ছড়িয়ে দিয়েছ খোলা দেশময় বদ্ধজলার গন্ধ যারপরনাই
দিচ্ছ চেতাবনি শ্বাস যদি রোধ হয়ে আসে তো যাও
যেখানে তোমার ভালো লাগে তুমি জানো কোথায় আমার
ভালো লাগে তাই ভূখণ্ডও দেগে দাও নির্বাসিতের
এহেন হিম্মত দেখাও আজকে যেহেতু নিশান হারিয়ে
ভুল পথে বেপাড়ায় পা রেখে বেকুব হয়েছি বড়
সেহেতু সইতে হবে তোমার রোয়াব ও সারমেয়স্বর
তুমিই পাতাল থেকে পাঠক্রম তুলে এনে পাঠশালা খুলে
পড়াবে অচল পাঠ ধূপধুনো জ্বেলে সকলে ধন্য বলে
মগজ ফাটিয়ে ঘিলুর অঞ্জলি দেবে তোমার সমীপে
কার আর কিংশুক আছে জেগে নিগুম কোঠায় ধিকিধিকি
জ্বলে আজও অনির্বাণ নিষেধ এড়িয়ে যেন পারসি আতার
সযত্নে অপেক্ষায় থাকে বসন্ত এসে কবে উষ্ণ ছোঁয়া দেবে ...
এই বর্ণময় দেশে তুমি একটি রঙের স্রোতে সমূহ ডুবিয়ে
যার তকমা ছিড়ে নিতে চাও সে কি খুব কুসুমিত আছে
নেই আমি জানি ঠিক তোমার ওপথ পাতালের দিকে
টেনে নিয়ে যায় নিশির ঘোরের মতো ওয়ান ওয়ে
যা ফেলে রেখে একুশ শতকে আমরা যোজন যোজন পথ
এগিয়ে এসেছি বিনম্র আলোর দিকে সেদিকে আবার তুমি
ফিরতে চেয়েছ পরম আগ্রহে কী তোমাকে দেবে সেই
জাফরানি পূতিগন্ধী দিন কেবল পবিত্র ধোঁয়া অর্থহীন ধ্বনি
তুমি জানো আমাদের দেশীয় চাষিরা মাঠে নেমে
ঘেমে নেয়ে চাষ করে গান যেত গেয়ে মাঝিরাও তাই
অথবা মানবজমিন জোড়া চাষবাসে ছিল যারা তারাও
নিরঞ্জন হেঁকে অমায়িক গেয়ে যেত মানুষের গান ...
এমন আওয়াজ তোলো সবার গলায় যেটা স্বাচ্ছন্দ্যে খোলে
এমন ওড়াও ধ্বজা বেবাক জনতা যা কাঁধে নিতে পারে
এ কেমন ধ্বনি দাও উন্মাদজাগানো এ কেমন নিশান তোলো
মৃত্যু-জাগানিয়া ...
======================
======================
চন্দন মিত্র
ভগবানপুর ( হরিণডাঙা )
ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ।