"বন্যায় কেরল"
ভেসে গেল আবেগের এক একটা প্রকোষ্ঠ
বিচ্ছিন্নতার দস্তক ঘোষণা কেরলের বুকে
সবুজের শোভা ঢেকে নিল আপাতত
বছর বছর কেটেছে যাদের অনাবিল সুখে
আশ্রয় দ্বীপ গেছে অন্ধকারের উত্তাল স্রোতে
প্রাণের মূল্য নেমেছে খড় আর কুটোর দরে
গোরু বাছুরে বাঁধ ভেঙেছে মাঝদরিয়ায়
প্রত্যকের ধর্ম তখন সূত্র ধরে গিয়েছে সরে
ছয় মাসের সংসার জীবন হয়েছে দুঃসংবাদ
রাজ্যজুড়ে সুখী প্রেমের হদিশ গেছে মুছে
সাগরের স্রোতে নিয়েছে নাম্বার কেড়ে
সোনার ফসল সব একাকার হয়েছে ঘুচে
দেশের রাজ্য আপাদমস্তক দারুন সংকটে
উদ্ধার কার্যে হাতে হাত মিলেছে শত শত
বরুণদেবের কেন বিনাশকারী রোষ
ছাপ রেখেছে ইতিহাসে একশ বছরে গত।
"১৪ই ফ্রেব্রুয়ারি"
অনেক প্রতীক্ষার পরে গোলাপের অনুষ্ঠান
আদরে ভরেছে টবের মাটি আবার
কার সোনা দাঁড়িয়ে গোলাপের ওপারে
কাপড়ে জড়িয়ে সোনালী রোদে এপার
কান্নায় ভেঙে পড়া তুলসী তলা
অব্যক্ত পত্রিকায় উঠে আসে হরিনাম
স্বপ্নের ভিতর দুঃস্বপ্নের রেষারেষী
ভিজিয়ে দেয় মৌন চরিত্রের সেলাম
মানদণ্ডে সীমানা মানুষ দিয়েছে এক
শিমুল ফুল আম বকুল জেগে উঠেছে সুখে
চাঁদের আলোর মনমরা সে আভাস
আমার ভারত সেজে উঠেছে প্রতিক্রিয়া বুকে।
"দেশভূষণ"
আমার দেশ যখন শান্তি পুরষ্কারে ভূষিত হয়
ক্রোধ হুমকি দেয় এই বাগান বাড়িতে
বাগানের রাস্তার ধারে হিংসা ঈর্ষা
অমানুষের উৎপাতে প্রজ্বলিত হয়
নারীদের অসন্তোষ
ইলেক্ট্রিক বালব্ সেজে ওঠে
সজাগ গন্ডারের চামড়া পরিহিত
শিশুর মতো বিবেকহীনতায়
পরিচয় দেয় প্রথম ও দ্বিতীয় পুরুষ
অভিভাবক হিসাবে
অনধিকার প্রবেশ করে গোপন ডেরায়
একশ শীতের দেশে
দারিদ্র্যতা পয়লা নম্বরেই থাকে
তখন আমার দেশ ভূষিত হয়।
=================