সীমানদারার সীমানায়
কালিম্পং এর অনতিদূরে পাহাড়ি উপত্যকার এক সবুজ টেবিল টপে আট থেকে দশটি ঘরের বসতি নিয়ে,পাহাড়ের সীমানায় রূপের ছটা ছড়াতে সদা ব্যস্ত মেঘবালিকার দেশ সীমানদারা। সে এতটাই ছোট যে গুগল ও তাকে খুঁজে পায়না। সবুজ পাহাড়ের খাঁজে স্বপ্নের মতো ভেসে থাকা মেঘের আঁচল হওয়ার টানে উড়ে এসে মুখ ভিজিয়ে দেয়। সামনেই জুলুক পাহাড়ের গায়ে গভীর মতো মেঘেরা সব চড়ে বেড়ায়। নিচে পাইন বনের ফিসফিসানি। সাদা মেঘের পর্দা সরে গেলে দিকচক্রবালে উঁকি মারতে থাকে সোনালী আভার কাঞ্চনজঙ্ঘা। আদি অনন্ত কালধরে স্পর্ধার চোখে , চোখ রেখে যেন কিছু বলতে চায় সে।
সন্ধ্যার পাহাড়ে ঝুপকরে আলো নিভে গেলে গভীর নীরবতার আস্তরণে গুটিশুটি হয়ে একলা দাঁড়িয়ে থাকে দূরের পাহাড় গুলো। নীল কুয়াশার আস্তরণ ছিঁড়ে জোনাকির মতো ভেসে থাকা কুচি কুচি আলোককণা জ্বলে ওঠে দূরের পাহাড়ে। কোনো এক হোমস্টের খোলা বারান্দায় ধূমায়িত কাফির কাপে চুমক দিতে দিতে রূপকথার গাঁথা গ্রথিত হতে থাকে গোটা মস্তিস্কের চেতনা জুড়ে খুব গভীরে। অখ্যাত সীমানদারার দুচোখের পাতায় ঘুম নেমে আসে ক্রমে ।
পাহাড়ি অকৃত্রিম ভালোবাসার মাঝে দুদণ্ড সময় কাটাতে চলে আসুন এখানে হাতে দিন কয়েক সময় নিয়ে।একান্ত নিরিবিলিতে, খুব যত্নে প্রকৃতি শরীরে বুলিয়ে দেবে তার নরম স্পর্শ। বিশ্ব প্রকৃতির অপার নির্জনতার মাঝে সহজ সরল পাহাড়ি মানুষ গুলোর অকৃত্তিম আতিথেয়তা মুগ্ধ করবে আপনাকে। অলস সময় কাটাতে চাইলে এখান থেকে গোটা কালিম্পং শহর ঘুরে দেখতে পারেন এবং কাছের প্রাচীন 'রাবগে চোলিং মনাস্ট্রী' ও খুব উপভোগ্য। চাইলে রংপো নদী থেকে ধরা মাছ বা বারবিকিউ চিকেন সমেত বনভোজনও করতে পারেন।
কিভাবে যাবেন :
এনজেপি বা শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন সীমানদারাতে। গাড়ি ভাড়া আনুমানিক ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। অথবা শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে কালিম্পং বাস স্ট্যান্ড। ৮০ কিমি এই পথে ভাড়া প্রায় ৯৫ টাকা। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া(৬০০ টাকায়) করে সোজা সীমানদারা।
কোথায় থাকবেন :
থাকার একমাত্র জায়গা অবজার্ভেটরি হোমস্টে। জনপ্রতি ভাড়া ৯০০ টাকা প্রতিদিন থাকা খাওয়া সহ। যোগাযোগ শ্রী রাজেশ মোক্তান 08145867939 ও শ্রীমতি বন্দনা সুব্বা 08436511491,
গাড়ির জন্য 08967567446/ 08436577035
=================================
Tarun kumar Pramanik
9332881855
9875349800