শরৎকালীন প্রহরমিছিল...
সকালগুলো কিছু আশ্রয় বয়ে নিয়ে আসে ---শাপলা, পদ্ম,শালুকের ঘুম ভাঙে। দশ-বারো ফুট উপরে সাঁকো থেকে দেখেছি জলশরীরে কিশোরী মেয়ের মত হাসি। জলের ওষ্ঠে হাত রাখলে আকাশের গায় ভাঁজ পড়ে। এভাবেই একদিন নূপুর বেজে ওঠে। ভারী হয় ফসলের মুখ। খেলার ইচ্ছেয় খেলা চলে...
কাদার পরিমাণ কমতে থাকে।উবে যেতে থাকে শাওন গন্ধ। রেশমি হয়ে ওঠে পাতার বুক। ভেলভেট কোমলতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রোদ্দুরগাছ। ছাতের কার্নিশ থেকে শুরু করে ভাষা গড়িয়ে যায় চিলেকোঠার ঘরে। তারপর ?
তারপর চাদরে বালিশে লুটোপুটি করে হরেক রকম চাঁদমারি।
নামযজ্ঞ হয়ে যাবার পর থেকে ফাঁকা পড়ে থাকা দুর্গামন্ডপে শুধুই ঝিমধরা ভরদুপুর। না বলা শব্দেরা সাঁতপাক খায় প্রতিমাহীন মণ্ডপ ঘিরে। ধীরে ধীরে পাখির ডানায় উড়ে আসে মেঘের আস্তরণ। নির্মিত হতে শুরু করে বিমূর্ত চিত্র। আলোর অবয়ব। ঘুম হঠে যায়। ডুবে যাই তোমার ভারী কোলে। আমি ঘামি। কুমোর এসে হাজির হয় ; খড় আর পাটের সুতো দিয়ে সেখানে বাঁশের কাঠামোর উপরে শক্ত করে প্রতিমার বেনা বানিয়ে রেখে যায়। মা হবার সম্ভাবনা...উৎসবের হাওয়া গায়ে লেপে দেয় সোনালি আভা।
===================
উদয় সাহা
কোচবিহার