ঝিল্লি
প্রায় এক সপ্তাহ
ধরে ঝিল্লির আবদারে প্রাণ ওষ্ঠাগত মায়ের।
খুব বেশি দোষ মেয়েটাকেও দিতে পারছেনা
রমলা, ঝিল্লির মা।এখন
সেপ্টেম্বর চলছে। ক্লাসের সব বন্ধুরা সেই
একমাস আগে পূজোর বাজার সেরে ফেলেছ।
ঝিল্লি মা বাবার একমাত্র মেয়ে।বাবা
সরকারি অফিসে গ্রুপডি স্টাফ। নামকরা এক
ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী। ওর সব বন্ধু
বড়লোক।
পরীক্ষা দিয়ে হেটেই স্কুল থেকে ফিরছিল মনমেজাজ
তিরিক্ষে।পুজোর জামা এখনো কেনেনি তাই বন্ধুরা কথা শুনিয়েছে।হঠাৎ এক শিশুর
তীক্ষন কান্না টের পায়।।ফুটপাতে একটা খুব ছোট বাচ্চা চিৎকার করে কাঁদছে।একটা মহিলা
বারেবারে জল খাওয়ানোর চেষ্টা করছে ওকে।
ও কেন কাঁদছে।
খেতে পায়নি
কিছুদিন।
কদিন
তিনদিন।
কেন
পয়সা কোথায়।খাবার
কিনতে পারিনি।
কথাটা বলতেই ছেড়া
শাড়ী পরা মহিলাটার চোখ জলে ভরে যায়।
কত খাবার নষ্ট
করে ঝিল্লি।টিফিন কৌটা খুলে বেচে যাওয়া চাউমিন আর দশটাকা ভদ্রমহিলাকে দেয়।
সেদিন রাতে বাবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরেরদিন
পুজোর জন্য জামা কিনতে যাওয়ার কথা বলে রেডি থাকতে বলেন ঝিল্লিকে।
বাবা, আমি জামা নেব না।আলমারি খুলে দেখেছি অনেক জামা
আছে আমার।তুমি আমাকে কিছু দিতে চাইলে ঐ টাকায় স্কুলের পরের গলি পার করে ফুটপাতের
মানুষগুলোর জন্য খাবার কিনে দাও।আমার খুব ভালো লাগে।
মন্ত্রমুগ্ধের মত
কথাগুলো শোনে মা বাবা।আবেগে ঝিল্লিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন গর্বিত দম্পতি।