পরম্পরার আঁতুর ঘর
-------
ইতিহাসের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে, হাঁটতে হাঁটতে নেমে পড়েছি শিকড়ের সন্ধানে ;
হাঁটতে হাঁটতে দেখেছি এ পথে কেবল আমি নই ,
অনেকেই আছে ;
তুমিও আছো .....
তুমি না থাকলে হয় তো এ পথে কোন দিন আসা হতো না ;
দেখাও হতো না নিজের সঙ্গে ,
এক একটা সভ্যতায় , সময়ের ধারাপাতে ;
#
তুমি থাকলে আমার পথ চলাটা অনেক সহজ হয় ;
পথ চলতে সে আরেক আনন্দ ;
সে আনন্দে ঢুকে পড়েছি এক সভ্যতা থেকে আরেক সভ্যতায় ;
একটা সংস্কৃতি থেকে আরেকটা সংস্কৃতিতে ;
কোথাও সুখের শিলালিপি ,
কোথাও বা যন্ত্রণার গুহাচিত্র ;
আমাকে অবাক করেছে ,
আমাদেরকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে বারবার ;
#
এবারের পথ চলা আমার পূর্বপুরুষের সন্ধানে ;
সে পথে হাঁটতে হাঁটতে , হাঁটতে হাঁটতে
কখনও রামায়ণের সময়ে , কখনও বা মহাভারতের সময়ে ,
কখনও আবার হরিবংশে , কখনও বা বিষ্ণুপুরণের ,
কিংবা মনু সংহিতায় ঢুকে পড়া ;
পাঠ নেওয়া , সময়ের পাঠ , জীবন-জীবনাচারের পাঠ ,
কৃষ্টি-সংস্কৃতির পাঠ ;
সে পাঠে তুমি আমার সহায়ক ;
আমার উৎসাহের আধার ,
অফুরন্ত শক্তি , তুমিই ইতিহাস-সত্য ;
#
সময়ের হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে , হাঁটতে হাঁটতে
পৌঁছে যেতে পারি আমারই পূর্বপুরুষের বাসভূমিতে
মাহিষ্মতি নগরীতে;
পৌঁছে যাই....
যেখানে আমাদের মূল শিকড় ,
আমাদের পরম্পরার আঁতুর ঘর ;
#
নর্মদা উপত্যকায় গড়ে ওঠা একটা নগরী
মাহিষ্মতি ;
চন্দ্র বংশীয় ক্ষত্রিয় রাজা যজাতির অধস্তন দশম পুরুষ গড়ে তুললেন ;
স্বতন্ত্র এক কৃষ্টি , স্বতন্ত্র তার জীবন-জীবনাচার ;
দিনদিন তার বিস্তার নর্মদা ছাড়িয়ে
ছড়িয়ে পড়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে
দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তেও ;
সাম্রাজ্য তার মাহসিক ;
অধিবাসী মাহিস্য নামে পরিচিত ;
#
আর আমি তাদেরই উত্তর পুরুষ ,
তুমিও .......
--------