শারদীয়া
ঢাকের বাদ্যি বাজার আগেই খুশীতে মন সাজে,
শারদীয়ার আগমনী সুর হাজার কাজের মাঝে৷
বছর ঘুরে মা আসছেন— তাইতো প্রকৃতি আজ,
আভূষণে উঠলো সেজে এমন খুশীর সাজ!
কর্মব্যস্ত জীবনযাপন প্রাণবন্ত হলো,
কর্মব্যস্ত জীবনযাপন প্রাণবন্ত হলো,
ভুলে গিয়ে দ্বন্দ্ব-বিবাদ মনের আগল খোলো৷
বিগ বাজেটের থিমপুজো সব, জাঁকজমকে পূর্ণ,
উৎসবেতেও জ্বলেনি আলো— কারোর ভাঁড়ার শূণ্য!
বন্যা হয়ে ঘর ভেসেছে, শুকায়নি জল চোখে;
সেই গ্রামেতে উৎসব নেই— স্তব্ধ সবাই শোকে!
করুণাময়ী মায়ের আশীষে সকলে থাক ভালো,
হতাশার সব আঁধার কাটুক, জ্বলুক আশার আলো৷
শারদীয়ার উৎসবে যেন কেউ না থাকে পিছে,
সন্তানেরা দুঃখ পেলে মায়ের পুজো মিছে!
শারদপ্রাতে আঁধার মুছে নবীন রবি উঠুক,
হৃদয় মাঝে মানবপ্রেমের পারিজাত ফুল ফুটুক!
সকলের উৎসব
নীল আকাশের ছদ্ম-জলে সাদা মেঘের ভেলা,
আর মন-সায়রে সুখ-সরোজের খুশীর পাপড়ি মেলা৷
শিউলি ফুলের গন্ধ নিয়ে শরৎ এলো ফিরে,
আগমনীর উদযাপনে নৃত্য হৃদয় ঘিরে৷
পরমা প্রকৃতি মহামায়া, উমা হয়ে আজ আসবে;
আর জগন্মাতার নৈকট্য দুষ্টশক্তি নাশবে৷
নিত্যদিনের রোজনামচায় একটু খুশীর স্পর্শ,
তারপর উমা চলে যাবে, আবার ঘুরবে বর্ষ৷
আলোকোজ্জ্বল উৎসবেতেও আঁধারে রবে যারা,
সবার সাথে সামিল হতে পারবে কবে তারা ?
তাদের খালি দুঃখ আছে; অন্য কারো সুখ!
আরশিটা আজ ভেঙে গেছে; কেউ দেখেনা মুখ!
মনের মাঝে ডুব দিলে ঠিক অন্তরাত্মা জাগে,
মানব রূপে ঈশ্বর আজ ন্যায়-বিচার মাগে!
উৎসবের আনন্দতে সকলের অধিকার,
অর্থ-ধর্ম ভেদাভেদে কেন এ অত্যাচার ?
উৎসবের আবাহনে মাতবে সবাই যেদিন,
উদযাপনের পূর্ণতা নিয়ে আসবে কবে সেদিন ?
নাম — উৎস ভট্টাচার্য
ঠিকানা — ১৬/৫৮৭ ৩নং ফিঙ্গাপাড়া(অরুণাচল),জেলা— উত্তর চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, পিন নং— ৭৪৩১২৯;
চলভাষ নম্বর/ Whatzapp নম্বর- ৯৫৯১০১৩৭৩৮; বৈদ্যুতিন ডাক-utsobhattacharyya@gmail.com