সব কিছু থমকে গেল আচমকা
সব কিছু কেমন থমকে গেল আচমকা !
স্টপেজে দাঁড়ানো ফাঁকা বাসের দরজায়
অনেক লোক ঠেলাঠেলি করছিল
একটুখানি বসার জায়গা দখলের জন্য।
সেই লোকগুলো হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেল,
ফাঁকা বাসটা আরশোলা-ইঁদুর-মাকড়সার সূচিপত্র হয়ে
রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে।
ক্লাসে ঘাড় নেড়ে পড়া বলতে বলতে
বাধ্য ছেলে-মেয়েগুলো হারিয়ে গেল।
ক্লাসরুমে একটা বড় তালা ঝুলছে,
তালার উপর ড্রাগন ফ্লাই সাজিয়েছে সংসার।
যে 'শুভরাত্রি' লেখা অটোরিক্সায় আমি অফিস যেতাম,
তার স্টিয়ারিং ধরে গৌতমদা বলেছিল,
"জুলাই মাসে দাদা আরেকটা অটো কিনব,
প্রতিদিন অল্প অল্প করে টাকা জমাচ্ছি-
ছেলেটা ঘরে বেকার বসে",
সেই প্রতিশ্রুতিটাও আচমকাই হারিয়ে গেল।
কত কি যে হঠাৎ করে দূরে সরে গেল!
ক্লান্ত বিকেলে অফিস ফেরতা চেনা মুখের ভীড়,
ফুটব্রীজের উন্মত্ততা আর
ঘাসের ওপর হাতে হাত রেখে বাঁচতে চাওয়ার আবেগ।
নারকেল গাছে অনেকগুলো রংচটা ঘুড়ি
এলোমেলো হাওয়ায় একলা একলা উড়ছে,
শ্যাওলা ওপড়ানো ছাদের কার্নিশে
গড়িয়ে যেতে যেতে
সূতো ছাড়ছে
একটা বেগুনী লাটাই।
================
কানুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
রাজগঞ্জ, বর্ধমান
যোগাযোগ-৯১২৬৫৭৩০১০
যোগাযোগ-৯১২৬৫৭৩০১০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন