অর্থহীন
ফোন করলাম, সুইচ অফ। সেকেন্ড সেটটার উত্তর, গ্রাহক পরিষেবা সীমার বাইরে। এবার বন্ধুকে ফোন করি, হদিশ নেই।
লজ্জার মাথা খেয়ে ওর মেয়েবন্ধুকে। না, সেও জানে না। বরং তাকেও উলটো উদ্বেগে ফেলে দেওয়া হোল। ২১০০ কিলমিটার দূরে থাকে, কী করি এখন।
রাত ৯:৩০ টা, কাজের যায়গায় যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা হবে না।
হঠাৎ রিং ব্যাক।
-ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, কিচ্ছু ভেবো না, বিন্দাস আছি। কথা বাড়ল ণা।
ও ফোন করলে আমিও প্রায়শ ঘুমিয়ে পড়ি। অনেক পরে রিং ব্যাক করলে রাগ, অভিমান আর দুচোখে উৎকন্ঠার ধারাজল।
আজ নিজের উদ্বেগের নিরিখে তার উৎকন্ঠা পরিমাপ করার চেষ্টা করি। তল পাই না।
এই পার্থিব জীবনে দুজন দুজনের সাথে জড়ানো, দূরত্ব অর্থহীন।
একা নয়
সব্যসাচী এখন একলা নয়, দুজন মানুষ। নিজের সাথে আড্ডা দেয়, গল্প করে। একজন আরেকজনকে গাল দেয়, ভালোও বাসে।
রাতের কাঁটা ১১টা ছুঁয়েছে। দু-দুটো ঘুমের ঔষধ গেলা হয়ে গ্যাছে, এবার কণ্টকশয্যার ভেতর এক ফুলশয্যার ভেতর যাবে।
বউ বুবু কথা বলে না। চ্যাট করে ফোনে। সব কলহাস্যময় জোয়ান মরদ। সব্যসাচীর কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। মানে তার ভেতরের আগুন, রস, রক্ত গলে জল, বরফে রপান্তরিত হওয়ার অপেক্ষায়।
ঘন যামিনীর ভেতর এক সব্যসাচী আরেক সব্যসাচীকে চাবকে নেয় খুব। কখনও প্রভু, কখনও ক্রীতদাস। সকালে যথারীতি দাঁত মাজে, খেপ চাটতে যায়। বুড়ো হতে থাকে।
=================
দেবাশিষ সরখেল
রঘুনাথপুর
পুরুলিয়া (পশ্চিমবঙ্গ), সূচক – ৭২৩১৩৩
ফোন – ৯৯৩২৬৬৭৮৮১
No comments:
Post a Comment