
প্রিয় মুখ
অন্ধকার নিকষ হাঁটতে পারে মৃত্যু
জীবনানন্দের কবিতার নৈঃশব্দ্য বুকের অতলে
ভেসে যায় ধানসিঁড়ি নদী।
দিগন্তের ঘামে ভেজা পৃথিবীর চাঁদ
কারণ খুঁজতে চায়নি কোন দিন ।
#
সিঁড়ি অদৃশ্য হয়ে যায় ধোঁয়া ধোঁয়া
নিতান্তই খড়কুটোর বেলা সমাগত ।
#
বাহিরে দাবদাহ কেমন সে প্রপাত-সুখ
ভিতর জলে সাঁতরে মরে কান্না রঙের মুখ ।
------0------
ক্যানভাস
শ্রাবণ বিকেলের এপিটাফে আঁকা পাখির চোখ
কাঙ্খিত জয় পেতে বকের-ধ্যান
মেঘের ডোর বেলের কাঁটা.
জলের ছলাৎ বোঝে নদী অরণ্য ।
#
কাঁপন ধরিয়ে টান-টান কলসির মুখ
যমুনা বিনোদন জানে বাঁশি ও নূপুর
#
মন্দ্র তালে আকাশের মল্লার বাজে
জোনাকি পাড়ায় আলোর শুভেচ্ছা নিয়ে
পাতায় জল চন্দন
জাগে একতারা সারারাত ।
------0-----
নীল নক্ষত্র
প্রহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলাতে পারো
তোমার কথার আগুনে উপন্যাস
ছায়া জীবন আমার
আয়নায় ধরে রাখতে চায় আয়ুক্ষয়ের ফুল
#
ছায়া বদলে গেলেই কম্পদিয়ে জ্বর আসে
তোমার হৃদয় মাঝে যুদ্ধের শঙ্খ
অথচ শিকল ভাঙার গান
আর কতদিন ছদ্মবেশে থাকবে হে জনার্দন !
-----0-----
দৃশ্য
ডালপালা থেকে ঝুরঝুর ঝুরি নামিয়ে বটগাছ
ক্ষণিকের শুশ্রূষা খুঁজে নেয় শ্রান্ত পথিক ।
#
পাখিগুলি দিন শেষে নীড়ে ফেরে ,
পথের কোন ধুলো আছে বাড়ি নেই
হুইসেল বাজিয়ে চলে যাচ্ছে শেষ লোকাল ।
#
বিরহের ভাষা ঢেউয়ের মতো দাঁড়িয়ে
পৌরানিক ছাতিম বাতাসে তোমার গায়ের গন্ধ
তবে কি মৌসুমি বসন্তপুর গাঁয়ের মেয়ে?
বসন্ত কী খুঁজে পাবে রেখে যাওয়া সংসার ?
------0------
শান্তিপুর দক্ষিণ পাড়া, মেচেদা
পূর্ব মেদিনীপুর--721137
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন