পোস্টগুলি

৪৩তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রবন্ধ ।। রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি ।। সিদ্ধার্থ সিংহ

ছবি
  বৃষ্টি শুরু হয়েছে কি হয়নি, শুধু আকাশে মেঘ করেছে দেখেই, অনেকে আছেন যাঁরা ছাতা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। যে সব মেয়েরা জলের ছাঁট থেকে বাঁচার জন্য সামান্য কোনও শেডের তলায় দাঁড়িয়ে আছেন বা বড় বড় ফোঁটা পড়ার আগেই বাস স্টপেজে পৌঁছে যাওয়ার জন্য ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই লম্বা লম্বা পা ফেলে প্রায় ছুটছেন কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই অল্প বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাঁরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন, তাঁদের মাথায় একটু ছাতা ধরার সুযোগ পাওয়ার জন্য। না, পুরুষ হলে হবে না। বাচ্চা হলেও নয়। মেয়েই হতে হবে এবং বয়স হতে হবে ষোলো থেকে ছত্রিশের মধ্যে। না হলে ছাতা ধরে কী লাভ! কারও কারও ক্ষেত্রে এই বয়সের গণ্ডিটা অবশ্য একটু কম বেশি হয়। আর এই সব পুরুষরা বেরোবার সময় মনে মনে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেন, হে মা কালী, ও বাবা লোকনাথ, হে জগধাত্রী, আজ যেন কোনও মেয়েই ছাতা নিয়ে বেরিয়ে না থাকে। বেরোলেও সেই সব ছাতা যেন দরকারের সময় না খোলে কিংবা হ্যান্ডেল ভাঙা থাকে। হে মা, হে বাবা, এই অভাগাকে একটু দেখো! এই সব পুরুষরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করেন, কবে আসবে আষাঢ় এবং শ্রাবণ মাস! কারণ, এই দু'মাসই হল বর্ষাকাল। বৃষ্টির সঙ

প্রবন্ধ ।। বিজ্ঞানের চোখে কান্না ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
দুঃখ হলে, কষ্ট পেলে এমনকি আনন্দেও আমাদের চোখে জল চলে আসে। কান্না আমাদের খুবই সাধারণ একটা অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। কান্না অনেক প্রকারের হয়। অনেক মানুষ চিৎকার করে কাঁদেন। আবার অনেক মানুষের কান্নার সময় গলা থেকে কোনও শব্দই হয় না। কান্না কিন্তু শরীরের পক্ষেও প্রয়োজনীয়। অনেক মানুষের আবার চোখে জল আসে না। এই মানুষগুলো ঠিক কাঁদে না, এরা সুস্থ মানুষ নয়।  কিন্তু কেন এই কান্না? মানুষ কাঁদে কেন ? কী এমন হয়, যার ফলে চোখে জল আসে? কোথায় হয়? শরীরে না মস্তিষ্কে?  বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশি কাঁদেন।  কান্না কী? এর উত্তরে বলতে হয়, কান্নার তেমন নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। যখন আমরা কষ্ট পাই, যখন আমাদের মস্তিষ্কে চাপ পড়ে। বিশেষ করে একা অনুভব করলে আমরা বেশি কাঁদি। তাই কান্নাকে বলা যায় মনের রেচক। কান্না মনকে পরিস্কার করে আর আবেগ তাড়িত মনকে শান্ত করে।  মানব জীবনের শুরুই হয় কান্না দিয়ে। মানুষের জন্ম থেকে আমৃত্যু রোজকার জীবনের অনেক উপলক্ষে জড়িয়ে আছে কান্না। কখনো আমরা কাঁদি কষ্ট হলে, কখনো আনন্দে।  আবার রান্নাঘরে পেঁয়াজ কাটার সময়ও মা, পিসিমার চোখ থেকে ঝরণার মতো জল পড়তে দেখা যায়।   কান্না

রুবাই ও শায়েরী প্রসঙ্গে ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
    নিবন্ধঃ রুবাই ও শাযেরী কি এক জিনিষ? -  না শাযেরী ও রুবাই এক জিনিষ নয়। তবে সব রুবাই-ই এক একটি শায়েরী , কিন্তু সব শায়েরী-ই কিন্তু এক একটি রুবাই নয়। কারণ, তবে তফাৎ কি? তফাৎ হলো - দার্শনিক চৌপদী কবিতা হলো 'রুবাই'।  রুবাইয়ের চলন খুব নিয়মানুগ ও লাগসই।  লেখা হবে চার লাইনে।  প্রথম দুই লাইনে অন্ত্যমিল থাকবে।  তৃতীয় লাইনের শেষে অন্ত্যমিল মুক্ত।  আবার চতুর্থ লাইনে  প্রথম দুই লাইনের মতো অন্ত্যমিল থাকবে।  প্রথম দুই লাইনে মূল বিষয়ের অবতারণা করা হবে। অন্ত্যমিল সেই বিষয়ের ঐক্য ধারণ করবে। তৃতীয় লাইনে কবি বা দার্শনিক তাঁর সেই ভাবনা তুলে ধরবেন, যা তিনি পদ্ধতিগত আলোচনা বা চর্চায় উত্তর পাচ্ছেন না। চতুর্থ লাইনের অন্ত্যমিলের মধ্য দিয়ে তৃতীয় লাইনের সমস্যা নিয়ে কবির নিজের কথা থাকবে। আর তা প্রথম দুই লাইনে বলা আলোচনার সঙ্গে যোগ হবে।  এর ইঙ্গিত বহন করবে চতুর্থ লাইনের অন্ত্যমিলে। যেমন দু'টি রুবাইয়ের উদাহরণ - After so long time I met you in my dream last night From  bloomed body-garden  I smelt the perfume-delight, Your soft touch gave me spirit in my heart's  gloominess  Woke up from dream-rema

করোনাকাল ও ভারতে কৃষিসংস্কার ।। রণেশ রায়

ছবি
ভূমিকা: করনার আক্রমণের এক বছর সমাপ্তি। এই এক বছরে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতি তলানিতে। বাজারে ইতিমধ্যে এই রোগ প্রতিষেধক টিকা এসেছে। তার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় যায় নি। এমনকি ডাক্তার বা স্বাস্থ্য সেবায় যুক্ত মানুষজনও এই টিকা নিতে ভরসা পাচ্ছে না। সরকারি হিসেবে বরাদ্দের অন্তর্ভুক্ত মানুষজনের ৫০ শতাংশ মানুষও টিকা নিতে আসছে না বলে খবর। মানুষ বিভ্রান্ত।হয়তো টিকা গ্রহণকে বাধ্যতমূলক করা হবে বাজার ধরার স্বার্থে।  সংক্রমণের হার ভারতের মত দেশে কমে চলেছে। মৃত্যুহার নেহাতই নগণ্য। তাও আতংক যায় নি। এরই মধ্যে টিকা উৎপাদনকারী দেশ ও উৎপাদন সংস্থাগুলোর মধ্যে অশুভ প্রতিযোগিতা কে কত বাজার পাবে তার। একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনের কুৎসা। সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। এরই মধ্যে বিশ্বায়ানের কর্মসূচির প্রকল্পে থাকা বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি অবলীলায় গৃহীত হয়ে চলেছে। ভারত তার বাইরে নয়। এই কর্মসূচির বিরোধিতা করলেই কাউকে দেশদ্রোহী সন্ত্রাসবাদী তখমায় ভূষিত করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক কৃষি সংস্কার এর অন্তর্ভুক্ত যার ওপর আমরা আজকের আর্থ সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আলোচনা করব। এর জন্য কৃষ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪