পোস্টগুলি

২৬তম সংখ্যা : বৈশাখ ১৪২৭ এপ্রিল ২০২০ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

অণু-বন্ধ: অর্যমা ভট্টাচার্য

ছবি
মৃত্যু কথা __________       মৃত্যু শব্দটাই কেমন কান্না-ছোঁয়া, আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে বুক --- এতটাই নঞর্থক সে।     প্রানহীনতাই মৃত্যু --- এ বড়ো অলীক লাগে আমার। কত মানুষই তো দেখি নিঃসাড়, শেষ প্রাণরসটুকুও নিঃশেষিত --- তবু সে সমাজের অ্যাসিড দৃষ্টিতে পুড়তে পুড়তে শরীরের বিনিময়ে গোলাপ কিনে আনতে পারে মৃতপ্রায় স্বামীর জন্য, পরীক্ষার ফি'স্ ভরতে পারে ছেলের, ভাঙাচোরা সংসারটাকে বুকে করে আগলে রাখতে পারে। তাহলে মৃত্যু ঠিক কোনখানে --- প্রাণহীন জীবন্ত মানুষটায়, নাকি তার শিয়রে-মৃত্যু স্বামীর, নিভন্ত সংসারটায় নাকি সমাজের অ্যাসিডিক চাউনিতে ?     আসলে মৃত্যু এখানে কোথাও নেই, কেবল কিছু 'মরে যাওয়া' আছে।     হারানোতে বড়ো ভয় আমাদের, তাই মৃত্যুকে বড্ড বেশি কুৎসিত মনে হয়।     নিতল নীলের স্তব্ধতা যদি শুনতে পাও, তবেই মৃত্যুকে চিনবে। কালো টানেলটার ওপারে যে আলোর নিঃশ্বাস --- মৃত্যু সেখানে --- পালক-তুলোয় শুয়ে --- ঠিক যেন কোলের শিশুটি।     সৃষ্টির উল্লাস খুঁজে পাবে মৃত্যুতে, আদর চোখে চেয়ে দেখো কখনও, দেখবে  --- কচি হাতে নতুন স্বপ্নের আঁকিবুকি কাটছে সে।

দুটি কবিতা : সম্পা পাল

ছবি
                         সময় কেটে যাবে   আমার বইয়ের বারান্দা ঘরে কোনো লকডাউন নেই কোনো 'করোনা' আতঙ্কও নেই এখানে এখনও অদ্ভুত আনন্দ বেশ কিছু নতুন পাখি এসেছে পুরোনো শিমুল গাছটায় আগে ওদের দেখিনি এই পর্বে ওদের সাথে একটা পরিচয় হলো হয়তো এরপর ওরা আর আসবে কিনা জানিনা তবে মনে রাখবে তুমিও আসতে পারো একটা নিস্তব্ধ দুপুর সঙ্গে এনো সময় কেটে যাবে রবীন্দ্রনাথ কিংবা জীবনানন্দ পড়ে ........   কাঁচঘর উপেক্ষিত সময় তবু নিখুঁত বর্ণনা কারা রেখে গেছে ? যদি একটু উঁকি দিয়ে দেখা যেত কে যেন নিস্তব্ধতা লিখছে বলছে চুপ করো কঠিন সময়টুকু শুধু  পার হতে দাও কোভিড 19 এর আতঙ্ক মন্দির, মসজিদ ,গীর্জায় পৌঁছে গেছে শুধু কয়েকটা দিন কাঁচঘর থেকে নাহয় মাছেদের মতো করে পৃথিবীকে দেখে নেওয়া যাক ....... ================== সম্পা পাল , শিলিগুড়ি

জনতার অর্থনীতি বনাম কর্পোরেট অর্থনীতি : রণেশ রায়

ছবি
  করোনা আক্রান্তের প্রেক্ষাপটে জনতার  অর্থনীতি বনাম কর্পোরেট অর্থনীতি       মনে আছে নিশ্চয় আজকের আমার মত বৃদ্ধদের। প্রতি বসন্তে বসন্ত রোগের ফুল ফুটত ঘরে ঘরে। দুরকম বসন্ত--- গুটি বসন্ত আর মুরগি বসন্ত। গুটি বসন্ত ছিল মরক রোগ আর সাংঘাতিক সংক্রমক। মারা যেত খুব আর বাঁচলেও তার অজস্র চিহ্ন রেখে যেত সারা শরীরে যা দেখলে বোঝা যেত তার গুটি বসন্ত হয়েছিল। মুরগি বসন্ত বা চিকেন পক্স তেমন বিপজ্জনক ছিল না। তবে সাংঘাতিক সংক্রমক। আজও আছে। একবার ঘরে ঢুকলে সবাইকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। ২১ দিন ঘর বন্দী। রোগীকে বিচ্ছিন্ন করে তার ঘটি বাটি কাপড় সব আলাদা করে দেয়। আজকের কেতাবী সামাজিক দুরত্ব বা  social distancing আর কি । অনুরূপ রোগ টিবি ফ্লু দিপথরিয়া প্লেগ কলেরা সব। আমার যখন মুরগি বসন্ত হয়েছিল ছোটবেলায় তখন বাবা মাও আক্রান্ত হয়। সুতরাং এই করোনা আক্রমণ এক নামে বা আরেক নামে। মানুষ এদের সঙ্গে যুদ্ধ করেই বাঁচে। তাই কবি বলেন মন্বন্তরে মরি নি আমরা মারি নিয়ে ঘর করি। আজও আমাদের সেই লড়াই, নতুন কিছু নয়। নতুন টা হল আতংক যেটা ছিল না সকালে। আজ এই আতংক ছড়াচ্ছে সংবাদ মাধ্যমকে হাতিয়ার করে বিশ্বের বাণিজ্য যুদ্ধ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪