পোস্টগুলি

৪৭তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪২৮ জানুয়ারি ২০২২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

গল্প ।। মিৎসুবিশি ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
 মিৎসুবিশি   অনিন্দ্য পাল ঠাণ্ডাটা আজ একটু বেশিই পড়েছে। কিঙ্কর এখনও শুয়ে আছেন, বলা ভালো-- ইচ্ছা থাকলেও উঠতে পারছেন না বিছানা ছেড়ে। বড়বৌমা যতক্ষণ না চা দিয়ে যাবে ততক্ষণ বিছানা ছেড়ে ওঠার হুকুম নেই কিঙ্করের। 'বেড টি'র অভ্যাস আগে ছিল না, রমলা চলে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সকালে একসঙ্গে বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে গল্প করেছেন। গল্প শুধু নয়, সংসারের খুঁটিনাটি নিয়েও চলতো কথাবার্তা, খুনসুটি, এমনকি কখনও সখনও জম্পেশ তক্কাতক্কিও বেঁধে যেত দুজনার। হঠাৎ কি যে হল, আর ফেরানো গেল না।  --উঠুন বাবা।  বড়বৌমা মিলি চা নিয়ে ঢুকলো ঘরে। এবার উঠতে পারবেন কিঙ্কর। ছেলে মেয়েদের এবং সবাইকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে তবে মিলি তার জন্য চা নিয়ে আসার ফুরসত পায়। প্রথম প্রথম এই ব্যবস্থা মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল কিঙ্করের, কিন্তু যখন বুঝলেন মিলি ও তার মতই এই ব্যবস্থায় বাধ্য সৈনিক, তখন মেনে নিলেন। বুঝেছিলেন এর আগে বিছানা ছাড়লে বাথরুম ফাঁকা পাওয়া যাবে না। এখন কিঙ্করের মনে হয়, মিলি যদি তার মেয়ে হত তবে কি এর চেয়ে যত্ন পেতেন? বোধ হয় না। মাসের পর মাস কেটে যায় খোঁজও নেয় না ছোট ছেলে। গ্রামেই দুই ছেলের জন্য বাড়ি করেছিলেন, ব্যাঙ্ক থেকে হা

অণুগল্প ।। শতরূপা ।। বিজয়া দেব

ছবি
শতরূপা বিজয়া দেব সেদিন তোমাকে দেখেই চিনতে পারলাম। অনেক মানুষের ভিড়ের ভেতর তুমি রাস্তা পার হচ্ছিলে। আমি ছিলাম গাড়িতে। সিগনাল এর লাল হলুদ হল তারপর সবুজ হল আমার গাড়ি স্টার্ট দিল, ততটুকু সময় তোমাকে আদ্যপান্ত দেখা হয়ে গেল। হালকা গোলাপী শাড়ি, সাদা ব্লাউজ, ঠোঁটে হালকা গোলাপী লিপস্টিক খোঁপায় লাল গোলাপ। রঙিন জীবন তোমার। শেষ দেখা হয়েছিল একটি বারে। সেখানে মাইক্রোফোন হাতে বিলিতি গানে গোটা বার মজিয়ে রেখেছিলে। একদিন খুব হতাশা থেকে মদ খেয়ে তোমার কাছে গিয়েছিলাম, তুমি আমায় খুব যত্ন করলে, তোমার খুঁটিনাটি সব দেখলাম তোমার জীবন যাপনের জন্যে একতাড়া নোট দিলাম আর সঙ্গে নিয়ে এলাম তোমার ছায়া। সে ছায়া গ্রীষ্মের দুপুরে পায়ের কাছে পড়ে থাকে শীতে দীর্ঘায়িত হয়। আমার ক্যানভাস জুড়ে তোমার আঁচল তোমার বক্ষাবরণী তোমার ঠোঁট তোমার নগ্ন পা তোমার কাঁচের চুড়ি তোমার স্তনসন্ধি... আমার ডাইরিতে তোমার কষ্ট তোমার অসহায়ত্ব তোমার অসুস্থ বৃদ্ধা মা তোমার আমার পঙ্গু সমাজ...  আমার ব্যক্তিগত হতাশার জায়গায় তুমি রেখেছ তোমার বিপ্রতীপ হাতের ছাপ, সেই থেকে দেখছি আমার হতাশ হৃদয়ের অন্ধকার নিজের কাছেই বড় তুচ্ছ মনে হচ্ছে। আমি

কবিতা ।। দুপুর তার ।। অনিরুদ্ধ সুব্রত

ছবি
  দুপুর তার অনিরুদ্ধ সুব্রত ১ দুপুর মাত্রা ছাড়ালে  দুটি পাখি বসল এসে শহরের বৈদ্যুতিক তারে মুখোমুখি হলো চোখের নিয়মে, ঠোঁটের নিয়মে দেখল তাদের কিছুটা পালক খসা ডানা, যার ধূসরের পরে, গ্রন্থি-স্নেহ তারা মাখালো বারে বারে। ২ কোনো শহর পাখিদের নয় সেই বেশি ভালো বলে ভেবে নিয়ে উড়ল দুজনে পাশাপাশি অন্য শহরের টেলিফোন টাওয়ারে পায়ে পায়ে বিদ্যুৎ,পায়ে পায়ে প্রবাহ, দাহ দ্রোহ সবচেয়ে ভালো, তাদের কথোপকথন তারা জানে।   ======০০০====== অনিরুদ্ধ সুব্রত বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা

কবিতা ।। ফিরে আসতে হয় ।। সুমিত মোদক

ছবি
  ফিরে আসতে হয় সুমিত মোদক তুমি বোঝোনি কোনও দিন; আসলে তুমি বুঝতে চাওনি কোনও দিন; সে কারণে, বার বার উঠে আসে হাজার হাজার প্রশ্ন, পৌষালি বাতাস;   জানো তো, একটা জ্যোৎস্না-রাত তোমার জন্য ধরে রেখেছি বুকের মধ্যে; ধরে রেখেছি কুয়াশার চাদরে ঢাকা মেঠো পথ; যে পথ ধরে হেঁটে গেছো বহু বার; এখন বুকের ভিতরের সকল জানালা খুলে রেখেছি; যাতে সেখান দিয়ে যাতায়াত করতে পারে  শব্দ তরঙ্গ,  তোমার অলৌকিক ঘ্রাণ; আমারই চেনা সকল ছন্দ; একটু একটু করে যখন রাঙামাটির মিষ্টি গন্ধ উঠে আসে, তখনই মনের মধ্যে জাগে কন্ঠিবদলের বাসনা; তখনই মনে পড়ে যায় অজয় নদীর কথা, জয়দেবের মেলার কথা, একতারা মায়াবী সুর; বার বার ফিরে ফিরে আসতে হয় নিজের কাছে; জীবনের কাছে, মৃত্যুর কাছে, জন্মান্তরের চক্র বলয়ে; কেবলমাত্র তোমার জন্য; তুমি কোনও কালের জন্য বুঝতে চাওনি আমাকে; আমার আমিত্বকে; অথচ, আমার সঙ্গে তোমার অস্পষ্ট এক ঘর-সংসার,  না-বলা বহু সংলাপ ভেসে বেড়ায় মহাজাগতিক সংসারে; সে কথা তুমি কোনও দিনের জন্য জানবে না  জানি; অথচ, সে কথা জেনে গেছে আগামী সকাল; পৌষালি বাতাস রেখে যেতে জানে  হলুদ পাতা, আমারই জন্মান্তরের রেখা চিত্র সকল । =====০০০=====

কবিতা ।। বল্ দেখি মা ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
বল্ দেখি মা বদ্রীনাথ পাল সরস্বতী, মাগো তোকে প্রশ্ন করি আজ, ফুরিয়ে গেলো তোর কি এবার বিদ্যাদানের কাজ ? স্কুলগুলোতে পড়লো তালা, বন্ধ যে ক্লাস ঘর- অনলাইনে পড়াশোনা ! কি হবে এরপর ? পড়ুয়াসব ভুলেই গেলো ইস্কুলের-ই পথ- বুকে ওদের কাটছে না কি আঁচড়, গভীর ক্ষত ? কেমন করে মিটবে মাগো বল্ তো ওদের আশ, লেখাপড়া ছাড়াই যদি পরীক্ষাতে পাশ ? পুজো করেই কি হবে আর বল্ দেখি মা তোর- শূন্য যদি থেকেই গেলো ওদের মনের জোর ? বিবেক যদি জাগলো না মা, সব যে মূল্যহীন- বল্ দেখি মা, কাটবে কখন এই ঘোর দুর্দিন ?   -----------------------------------------------        বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোষ্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া ৭২৩১২১

গল্প ।। একই সূত্রে ।। রণেশ রায়

ছবি
  একই সূত্রে   রণেশ রায় ১ শহরের উপকণ্ঠে একটা ছিমছাম পল্লী। তারই একপ্রান্তে একটা ছোট অর্ধ সমাপ্ত বাড়ি। বাড়িটাতে অভাবের ক্লেদ যেমন চোখে পড়ে না তেমনি প্রাচুর্যের আতিশয্য নেই। এ বাড়িতে গত প্রায় পনেরো বছর ধরে থাকেন এক মহিলা তাঁর চোদ্দ পনেরো বছরের ছেলেকে নিয়ে। মহিলার বয়েস যা অনুমান করতে পারি আর ছেলের বয়সের হিসেব থেকে বলা যায় মহিলা একটু দেরীতে বিয়ে করেছেন বোধ হয়। অবশ্য ধরে নিই যে ওনার এই একই ছেলে। আর সেটা প্রতিবেশীদের ধরে নেওয়ার কারণ আছে বৈকি। কারণ গত পনের বছরে এ বাড়িতে এমন কাউকে আসতে দেখা যায় নি যাকে দেখলে তাঁর বড় ছেলে বা বড় মেয়ে বলে মনে হতে পারে। এসব অনুমানের ওপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে যে ওনার বয়স আনুমানিক পঞ্চাশ বছর। আরেকটা বিষয় হল যে এ বাড়ীতে এমন কোন প্রবীণ পুরুষ দেখা যায় নি যাকে ওঁর স্বামী বলে মনে হতে পারে। তবে পাড়ার অনুসন্ধিৎসু অনেকের মতে ওনার স্বামী ওনাকে ছেড়ে গেছেন । ছেড়ে গেছেন বললে ভুল হবে। ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ওদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকলেই সমালোচকদের ওনার সম্পর্কে অনুমানগুলো সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ভেবে তারা তৃপ্তি পান। সম্ভবনা

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪