পোস্টগুলি

১৬শ সংখ্যাঃ আষাঢ় ১৪২৬ জুন ২০১৯ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

মুক্তভাবনাঃ সম্পা পাল

যদি কোনো পাঁচ বছরের শিশুকে জিজ্ঞেস করা হয় 5th june কী ? সে এক ঝটকায় বলে দেবে বিশ্ব পরিবেশ দীবস । ইদুঁর দৌড়ের প্রতিযোগিতা যে চলছে জানতে তো হবেই । আবার ব্রেনোলিয়ার গুনও হতে পারে । এখানেই নদী আর মানুষের পার্থক্য ! নদীর বয়স কি আর একটা দুটো । ভাবুন তাহলে নদী কী শিখলো ? এই ধরুন গঙ্গা, যমুনা -ঋকবেদেও এদের উল্লেখ পাই । সেই অনুযায়ী এদের বয়স ৩৫০০বছর । এরও যে কত হাজার বছর আগে এরা নেমে এসেছে কে জানে ? এতোটা বয়স হওয়া সত্ত্বেও 5th june কী এরা জানে না । আমাদের ভাষায় বলতে পারি 5th june হচ্ছে ইয়ে পরিবেশকে পরিস্কার রাখার দিন । একটাই কিন্তু দিন । আর আমরা মানব জাতি বছরের ৩৬৫ দিনই নিজেদের পরিস্কার নিয়ে ব‍্যস্ত থাকি ।জন্ম থেকে মৃত্যু আমরা পরিস্কারই থাকি ।জন্মের সময় যত নোংরা আবর্জনা বের হলো step by step সেটা নদীতে গেলো আর আমরা পরিস্কার হলাম আবার মৃত্যুর পরও যা যা নোংরা আবর্জনা এমনকি আমাদের অস্থি পযর্ন্ত নদীর বুকে ভাসিয়ে দিয়ে আমাদের পরিবারের লোকজন পরিস্কার হলো । এতো গেলো জন্ম মৃত্যু তাছাড়া আর যতো নোংরা আবর্জনা যেমন ধরুন বিভিন্ন  অনুষ্ঠানের  মোড়ক থেকে শুরু করে পাতা , গ্লাস, বোতল,ফুল ,ফল, ঠাকুর-দেবতা, অফিস- আ

শ্যামাপদ মালাকারের গল্প

ছবি
নবজীবন ------------ আমাকে চিনতে পারছেন, আমি কে?--জানি, আপনি আমাকে ভুলে গেছেন। ভুলবেনই তো--পারিজাত নারীদের কি কম যাতয়াত ছিল--আপনার বৈঠকখানায়। ঠিক আছে, এখনো চিনতে পারেননি তাই তো? তবে আমার পরিচয়টা একটু দিই---- তারপর, দেবাদিদেব  শিবকে আমি খুব ভক্তি করতাম। সমাজিক নিয়মানুসারে তার ব্রত-উপোস করে আর পাঁচটা নারীর মতোই, গোপেশ্বরের চিন্তায় মনকে নিবিষ্ট করে রাখতাম। কিন্তু মহাকালও আমার প্রতি বিমুখ হলেন। বিবাহনামক সামাজিক একপ্রকারের রীতির শিকার হয়ে-- অপরিণীতা বয়সেই, শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে পিতার ভবন ত্যাগ করে চললাম। সম্পূর্ণ অপরিচিত ঘর--অপরিচিত পুরুষ! কিছু না বুঝে উঠার আগেই আমি 'মা' হয়ে গেলাম--যাকে একালে পুরুষেরা "ডানাকাটা পরী" বলে। তখনও  আমি বুঝতে পারিনি, ভালবাসা কি, তবু নবজাতকের নাম রাখতে হবে---শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছেলের নাম রাখলেন 'শুভ'। বাপেরবাড়ি থেকেই আমি একটু জেদী হয়ে এসেছিলাম, আমি নিজে যা ভাল বুঝতাম-- তাই করতাম, তবু আত্মীয়স্বজনদের নিকট হতে স্নেহ-মায়া-আদরের কোনো ঘাটতি ছিল না। অনেকদিন থেকে লোকমুখে শুনতাম, ট্রেশন পেরিয়ে কয়েক পা এগিয়ে গেলেই নাকি রাধা-

নিসর্গ নির্যাস মাহাতোর মুক্তগদ্য

ছবি
শেষ বেলা আবার ছোট বেলার ঘর। বহু বছর পর। পূর্ব দিকে মাথা করে শুয়ে আছেন রবি। বাধ্য। শরীর অষাড়।   আবছা স্মৃতি ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকে। এই ঘরেই না কত বেয়াদপি, চাকর বাকর অতিষ্ঠ হয়ে উঠত। আর আজ উঠবার জো টুকু নেই। মৃত্যু দেখে- শুনে ক্লান্ত রবি ঠাকুর। নিজের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও নির্বিকার। আফসোস একটাই, শেষ পর্যন্ত কাটা ছেঁড়া হলোই তবে। কি যন্ত্রণা! এবার তারও ছুটি নেবার পালা।  বউঠান কী জন্য? ডুকরে উঠল কবির বুক। অবহেলা ক্ষমা করো ছুটি। মায়ের মুখ বারবার ভেসে আসছে। সেই গন্ধ! কী নরম শীতল হাত। কী উষ্ণ আঁচল। কানের কাছে জপ হচ্ছে ব্রাম্ভ মন্ত্র, "শান্তম্, শিবম্, অদ্বৈতম্... তমসো মা জ্যোতির্গময়" । ঘর জুড়ে কান্নার রোল।  রবি নেই।... ওকি কাঁপা কাঁপা বাম হাত সরে এল বুকের কাছে, ডান হাতের পাশে। হাত জড়ো হল উল্টানো বই-এর মতো। এবার সত্যি নিথর। দুপুর ১২ টা ১০ ।  গুরুদেব নেই। বাড়ি থেকে বাইরে লোক জমায়েত। শেষ দেখা টুকু। ছাদে সাধের নন্দন কাননে হাওয়া বইল। ছুটিকে রবির পাঠানো অনেক চিঠির মাঝে অভিমানে পড়ে থাকল, একটা ঘোলাটে না পাঠানো প্রত্যুত্তর, মৃণালিনী । ============================

সৌরভ দত্তর মুক্তগদ্য

ছবি
" নামেও কিছু এসে যায় " গ্রুপ হাউজিং কমপ্লেক্সের দপ্তরে পৌঁছে নতুন ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে এইচ-আই-জি ফ্ল্যাট ও এল-আই-জি ফ্ল্যাটের ধারণা মাথায় ঢুকতেই জোর এক হোঁচট খেল শাসমল দম্পতি। পরিমল ও অর্পিতা। পরিমলের বয়স ত্রিশের কোঠায়। অর্পিতা বছর চারেকের ছোট। ভাড়াবাড়িতে নতুন সংসার ওদের। সংসারে শান্তি-সুখের যথাযোগ্য সহাবস্থান। দুজনেই একাধারে শিক্ষিত-মার্জিত-রুচিশীল, অন্যদিকে খোলামেলা-হাসিখুশি-প্রাণবন্ত। সব মিলিয়ে নিজেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান নিয়ে ওরা পরিতৃপ্ত। ভাড়াবাড়িতে মালিক-ভাড়াটিয়ার সম্পর্কে সামান্যতম চিড় ধরেনি কখনও। তবে মাসের পর মাস ধরে মোটা অংকের টাকা বাড়িভাড়া না দিয়ে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আনুমানিক একই অংকের টাকার মাসিক কিস্তিতে ঋণ শোধ করার পরিকল্পনা করে একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট কেনার চিন্তাভাবনা দুজনের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল কদিন ধরে। পরিমল একটি বেসরকারি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক। বরাবরই অঙ্কে তুখোড় পরিমল বছর দুয়েক আগে ডক্টরেট থিসিস জমা করার পরদিনই সহকারি অধ্যাপক পদে যোগ দিয়েছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। শিক্ষকতায় অভিজ্ঞতা শূন্য। প্রার

সুমিত্রা পালের মুক্তগদ্য

ছবি
অ্যালবাম              সেই ছেলেবেলা থেকেই দেখে এসেছি, অ্যালবাম বা আলেখ্য কুঁচিকা নামক জিনিসটির খুব  কদর। প্রায় প্রতি বাড়িতেই এই বিশেষ বস্তুটি খুব যত্নের সঙ্গে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে থাকে।  অবসর সময়ে আমরা প্রত্যেকেই সেই অ্যালবাম নিয়ে নাড়াচাড়া করি, পাতা ওল্টাই। কত ঘটনা, কত স্মৃতি মনের পর্দায় বুদ্বুদের মত ভেসে ওঠে, আঁকিবুঁকি কাটে, তরঙ্গায়িত করে যায় আমাদের...         আসলে , অনেকগুলি অ্যালবামের মাঝে, আমার অতি প্রিয় অ্যালবামটি খুলে বসতেই, জ্বলজ্বল করে উঠলেন সেই মানুষটি, যাকে নিয়ে আমার আগ্রহের শেষ নেই। যাকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় কোন লেখা পেলে আমি গোগ্রাসে পড়ে ফেলি।   ১৯৫১ সনে শান্তিনিকেতন পৌষমেলায় গিয়েছেন, সদ্য কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হওয়া  ছাত্র পূর্ণেন্দু পত্রী । এক বন্ধু তাঁকে নিয়ে গেলেন রতনপল্লির একটি মাটির বাড়িতে । যে মাটির বাড়িতে থাকেন দুটি চোখে বুঁদ হয়ে থাকা স্বপ্ন নিয়ে বলিষ্ঠ, ঋজু, টানটান সেই মানুষটি । যাঁর দুর্ধর্ষ সব ভাস্কর্যে ভরে উঠেছে শান্তিনিকেতনের খালি প্রাঙ্গণ। যাকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ডেকে বলেছেন- "তুই তোর মূর্তি আর ভাস্কর্য দিয়ে আমাদের সবখা

নিবন্ধ: অনিরুদ্ধ সুব্রত

ইয়েতি যদি প্রশ্ন করে, আমাদের উত্তর নেই           ----------------------------------------------------------- সাম্প্রতিক  দুটি খবর--- এভারেস্টে আবর্জনা এবং কাঞ্চনজঙ্ঘায় অভিযাত্রীদের মৃত্যু। যে কথা দুটির কোনওটাই যে হালক নয়--- তা দুঁদে নেতা মন্ত্রী থেকে সাধারণ ভোটারদেরও জানা কথা। আর ঠিক এখানেই একটা প্রশ্ন রাখা হয়তো যায়, আমাদের অমন মৃত্যু- উপত্যকায় না গেলে কী হয় ?         'অভিযান' শব্দটির আভিধানিক অর্থ, দেশাবিষ্কার বা দেশজয় বা শত্রু দমনের উদ্দেশ্যে সদলবলে যাত্রা অথবা যুদ্ধযাত্রা (সংসদ্ বাংলা অভিধান)। পর্বতাভিযান সে অর্থে দেশ কালের সীমা ছাড়িয়ে বর্তমানে একান্তভাবে ব্যক্তিগত ইচ্ছার। শোনা যায় ৮৮৪৮ মিটার উঁচুতে পৌঁছে অভিযাত্রীরা আধ ঘন্টার মতো সময় সেখানে অবস্থান করেন, পতাকা পুঁতে দেন,ছবি তোলেন এবং পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছবার সাফল্য ও অনুভব নিয়ে ফেরার পথ ধরেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর এই সাহসিকতা খুব সহজ নয় । সফল অভিযাত্রীদের বিবরণ থেকে এই যাত্রার দুর্ধর্ষ প্রতিমুহূর্তের মৃত্যু-লড়াই সম্পর্কে জানতে আমাদের বাকি নেই । আমরা জেনেছি বছরে মাত্র কিছু সময় মে মাসের দ্বিতী

আকাশ নীল মাইতির গল্প

ছবি
                         **** পুতুল ****                                                সারাদিন কখনও টিপটিপ আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো । আজ রবিবার । প্রবীর বাড়িতেই ছিল । বৃষ্টি একটু ধরতেই সে বাজার থেকে ইলিশ মাছ এনে কাজল কে দিয়ে বলল - আজকের মেনু , খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজা । বর্ষায় একেবারে জমে যাবে ।    রাত একটু বাড়তেই বৃষ্টির সাথে শুরু হল ঝড়। আর সঙ্গে মুহূর্মুহু বজ্রপাত। হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। এই ঝড়ের রাতে কে এলো ! প্রবীর দরজা খুলতে এগিয়ে যায়।  -- এ কি বিনয়! তুই ? এই সময়ে? ভিজে গিয়েছিস যে একেবারে! আয় আয় ভেতরে আয়। -- তোদের এখানেই তো আসছিলাম। অফিস ফেরত ভাবলাম অনেকদিন হোল তোদের সাথে দেখা হয়নি। একবার দেখা করে যাই। তারপর যা ঝড় বৃষ্টির মুখে পড়লাম! বাপরে বাপ!  আমার রুমকিমা কোথায় ? দেখছি না তো? -- ঐ যে আছে ভেতরে মায়ের সঙ্গে। মামণি এই দেখো কে এসেছে। এসে ভালোই করেছিস। জমিয়ে খাওয়া যাবে। এই নে তোয়ালে। জামা প‍্যান্ট ছাড়। আমার লুঙ্গি আর জামা দিচ্ছি... -- হ‍্যাঁ ঠিক গলা শুনেই বুঝেছি বিনয় ঠাকুরপো। তা আসবে যখন একটা খবর তো দেবে?  -- অসময়ে এসে তাহলে ভুল করেছি বৌদি।

ফরহাদ হোসেনের ছোটগল্প

অসমাপ্ত ------------------------- বিকেল বেলা রাস্তা সুনসান;মানুষের ভিড় তেমন একটা নেই।দিপা হিরু গল্প করতে করতে রাস্তা হাঁটছে।আগের সাক্ষাতে হিরু যে মেয়ের কথা বলেছিল-তার নাম কি শোনার জন্য দিপা কৌতহলী হয়ে উঠেছে? হিরু সরল,লাজুক ছেলে।মেয়েদের চোখে চোখ রেখে কথা পর্যন্ত বলতে পারেনা।কিসের যে ভয় বুঝতে পারেনা! বছর তিনেক আগে অরুণা নামে একজনকে পছন্দ করতো কিন্তু মনের কথা বলতে পারেনি।অরুণা যদি রাগ করে!আরো কত ভাবনা।তার চেয়ে না বলাই শ্রেয় মনে করেছে! আবার সুপ্ত আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা দেখা দিল কোন মেয়ের জন্য,তাকে দেখার কৌতহল দিপার হওয়াই স্বাভাবিক। -'দিপা জানিস আবার এই অনুভূতিটা কি করে যে এল!আজ চোখ ক্লান্ত,মন ব‍্যকুল,পা উদভ্রান্ত!কোথাও যেন শান্তি পাই না।সব সময় মনের মধ্যে অস্থিরতা।' হিরু দ্বিতীয় ভালো লাগাকে যেদিন দেখেছিল খুশিতে উথাল-পাথাল হয়েছিল মন।মেয়েলি ঢংয়ে কতবার যে লজ্জা পেয়েছে আপন মনে আয়নার সামনে! -'নামটা তো বলবি?' -'নিলীমা।' -'ওহ!এই জন্যই আকাশ আজকাল এত বেশি নীল।' -'হয়তো!' হিরু আগের ভুল আর এবার করেনি।বৈপ্লবিক শক্তি নিয়ে

গল্পঃ রণেশ রায়

একাল থেকে সেকাল রাতে ঘুম আসে না। আধমরা হয়ে পরে থাকি । মাথায় নানা চিন্তা কিলবিল করে। ঘুম জানে স্নায়ুতন্ত্র এত ভিড়ের মধ্যে তাকে জায়গা দিতে পারে না। সে সরে যায়। ভিড় কমলে সে আবার আসে। তখন  সাদরে আশ্রয় পায়। তবে সেটা অল্প সময়ের জন্য। সকালে অনেক বেলায় বিছানা ছাড়ি । বাইরে মেঘ আর কুয়াশা তার সঙ্গে রাস্তা থেকে ভেসে আসা ধুলো। পোড়া পেট্রল ডিজেল রোদের পথ আগলে রাখে। তাই ছুটির দিন না হলে রোদের দেখা নেই।  ছুটির দিন আকাশ পরিস্কার থাকলে একচিলতে রোদ বারান্দার এক কোনে এসে হাসি তামাসায় গড়াগড়ি খায় । ছুটি বলে পেট্রল ডিজেল-এর দৌরাত্ব না থাকায় রোদ চেষ্টা করে ঘরে ঢুকতে। কিন্তু পারে না। দরজা বন্ধ থাকে।তাকে আজকাল আর ঢুকতে দেওয়া হয় না। ভয়, তার সঙ্গে  যদি চোর বাটপার ঢুকে পরে ! পরিবেশটা আমার মতই মুখ গোমরা করে থাকে। সন্ধ্যের পর মনে  হয় আকাশে কেউ কালো চাদর পেতে দিয়েছে। পূর্নিমার জোৎস্না  আলোর চ্ছ্টা হয়ে বারান্দায় পৌছয় না। যেন রবিমামার সঙ্গে চাঁদ  মামীর বিরহ। তাই মামী আঁধারের অন্ধকারে বিমর্ষ। অথচ এই সেদিনও রাতে দুই বারান্দায় আলোর চ্ছ্টা। মামীর পূর্ণ যৌবন।বহুতল বাড়িগুলো তখনও তৈরি হয়নি। দুষণে বাতাস  এত ভারী হ

তুলি মণ্ডলের অণুগল্প

ব্যস্ত জীবন ------------------------- সেই দিনগুলির কথা তোর মনে আছে? যখন আমি ঠোঙা বানাতাম আর তোর বাবা অন্যের দোকানে মশলা মাপতো! কোন দিন সেকেন্ড হোসনি। বলতাম যতদূর ইচ্ছা পড়। আমি যেমন করে পারি তোর খরচ জোগাব। আমরা কি খেয়ে কি পরে কীভাবে দিন কাটিয়েছি তুই চাইলেও ভুলতে পারবিনা।এক দিকে তোর ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়া অন্য দিকে নিজেও টিউশানি পড়াচ্ছিস। #  মনে আছে যেদিন অফিস থেকে প্রথম মাইনে পেলি! বাড়ি ফিরে টাকাগুলো আমার হাতে দিতে দিতে..... আজ ও যেন কানে বাজে সেই আনন্দ ভরা কান্নার শব্দ । # যেদিন আমাদের বাড়ির প্রথম বিম গড়ল সেদিন তুই আমি আর তোর বাবা একসাথে বনেদে চাল পয়সা দিয়ে প্রণাম করেছিলাম।বাড়িটা সম্পূর্ণ হতে অনেকটা দিন সময় লেগেছিল ঠিকই কিন্তু তাকে দূর থেকে দেখলেই মনে হতো সে যেন এক রাজকন্যা, সেজেগুজে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, আমার আদরের ছেলেটার জন্য।  # মনে আছে বাবু তৃষা কে দেখে আসার পর আমি বলেছিলাম সবই ঠিক আছে কিন্ত উকিল মেয়ে... ।তোর মামা বললো একেবারে রাজ্যটক আমার ইঞ্জেনিয়ার ভাগ্নার উকিল বউ। তোর বাবা বললো দেখো না পাশের বাড়ির বিপুল দার দিদিমণি বৌমা। একা হাতে দশ দিক সামলায় যেন মা দুগ্

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪