Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রবন্ধ ।। শরীর ও মনের সুস্থতা ।। রতন বসাক

শরীর ও মনের সুস্থতা 

রতন বসাক


একজন মানুষের শরীর ও মনের সুস্থতায় তাঁর সম্পূর্ণতা। শরীর সুস্থ কিন্তু মন অসুস্থ কিংবা তার উল্টোটা হলেও, কোন মানুষের সম্পূর্ণতা পায় না। এই শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য, আমাদের সদা সচেষ্ট থাকা উচিত। আর তা না করতে পারলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। মনুষ্য রূপে প্রাণ পেয়েও আমরা সুখ ও শান্তি থেকে বঞ্চিত থেকে যাবো। তাই জীবনকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।

আমরা যখন অবুঝ থাকি অর্থাৎ শৈশবকালে আমাদের মা ও বাবা আমাদের শরীরের যত্ন নেয় ও সুস্থ রাখার চেষ্টা করে। সঠিক ও পরিমাণ মতো খাবার ঠিক সময়ে খাইয়ে আমাদের সুস্থ রাখে। শরীর আছে তাই অসুস্থ অর্থাৎ রোগের সম্ভাবনাও থাকে। আর এই পরিস্থিতিতে পড়লে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ ও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ মুক্ত করে শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করে। শৈশবকালে আমাদের মানসিক অসুস্থতা খুব কমই হয়। তাই মনকে নিয়ে শৈশবকালে ততটা চিন্তার বিষয় নয়।

শৈশবকাল পেরিয়ে আমরা যখন কৈশোর কালে প্রবেশ করি, তখন আমরা অনেক কিছুই বুঝতে শিখি। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ? কোনটা উচিত? কোনটা অনুচিত? এসব আমরা বুঝতে শিখে যাই। কি খেলে কিংবা কি করলে, শরীর সুস্থ থাকবে তাও আমরা ভালোভাবে বুঝে যাই। তাই এই সময় অবহেলা না করে আমাদের প্রত্যেকেরই শরীরকে সুস্থ রাখার দিকে নজর দিতে হবে। আর মনটা কিসে সুস্থ ও ভালো থাকে, তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

কৈশোরকালে আমরা ভীষণ সেন্টিমেন্ট হয়ে পড়ি কোন কিছুর ব্যাপারে। এই সময় কিছু ঘটলে কিংবা চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারে আমরা একতরফা ভাবি। দু'দিকের কথা না ভেবেই এই সময় আমরা অনেক সময় খারাপ ডিসিশন নিয়ে ফেলি। ফলে অনেকেই জীবনের মূল্য না বুঝে, আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যায়। কিংবা অজান্তেই নিজের অনেক ক্ষতি করে ফেলে। তাই মন খারাপ হলে মা-বাবার সঙ্গে কিছু না লুকিয়ে, মন খুলে  কথা বলে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আমাদের কারো জীবন সহজ ও সরল নয়। একটার পর একটা সমস্যা টোপকে আমাদের এগিয়ে যেতে হয় থেমে থাকলে চলে না। প্রত্যেকটা সমস্যার সমাধান আছে কিংবা সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ারও পথ আছে। কোন সমস্যার সমাধান নিজে না পেলে, যাকে আমরা ভালো মনে করি ও যে আমার মনের কথা বুঝতে পারবে , তাকে গিয়ে বললে একটা উপায় ঠিক বেরিয়ে আসে। মনকে সুস্থ রাখার একটাই উপায় হলো, খুলে কথা বলতে হবে কিছু না লুকিয়ে।

যেকোনো কাজ করতে গেলে সবার আগে সুস্থ শরীরের প্রয়োজন হয়। শরীর অসুস্থ থাকলে আমরা কোন কাজই ঠিক মতো করতে পারবো না ও মনকে দুর্বল করে তুলবে। শরীর ও মন দুর্বল থাকলে আমরা কোনদিনই উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো না। আবার মন যদি অসুস্থ অর্থাৎ খারাপ থাকে, তাহলে শরীর যতই সবল হোক না কেন, একটা ছোট্ট খুব সাধারণ কাজও আমরা ঠিক মতো করতে পারবো না। তাই যেকোনো কাজে মনের জোরটা সবার আগে দরকার।

আমাদের জন্মের পূর্বে ও মৃত্যুর পর সম্পর্কে আমরা কেউই কিছু জানি না। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হলো জীবন, আর এটা একটাই প্রত্যেকের। এই জীবনকে সুন্দর ও সফল করে তোলার জন্য আমাদের সর্বদা প্রয়াস করা উচিত। আমরা যতই দুঃখ ও কষ্ট পাই না কেন, কিংবা আশাহত হই না কেন, কোন সময়ই আত্মহত্যা করা উচিত নয়। চেষ্টা করতে থেকে অপেক্ষা করা উচিত, হতাশার  কালো মেঘ সরে একদিন আলো ঠিকই আসবে। আর তার জন্যই আমাদের শরীর ও মনকে সর্বদা সুস্থ রাখতে হবে।

বেঁচে থাকাটাই এক আশ্চর্য ঘটনা, মৃত্যু কোন ব্যাপার নয় যেকোনো সময় হতেই পারে। তাই মৃত্যু নিয়ে আমাদের কোন সময় ভাবা উচিত নয়, সে তো একদিন আসবেই। জীবনের সময়সীমা কারো বেশি আবার কারো কম। যে যেটুকুই সময় পাই না কেন এই জীবনে। পরম করুনাময় ঈশ্বরের আশীর্বাদে পাওয়া, আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে উপভোগ করা উচিত। আর এটা সম্ভব হবে আমরা যদি নিজেরাই নিজেদের শরীরকে ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটা দিন, প্রতিটা সময় ধ্যান দিই তবেই।

===========


নাম - রতন বসাক,
গ্রাম - ২, নং বঙ্কিমনগর,
ডাকঘর - আতপুর,
জেলা - উত্তর ২৪ পরগনা,
রাজ্য - পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,
পিন - ৭৪৩১২৮








মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক