বন্ধুত্ব
তীর্থ মণ্ডল
বন্ধুত্ব বা Friendship এই শব্দটা এক সুন্দর ভাব প্রকাশ করে। বন্ধুত্ব সব সময় যে একই বয়স বা বয়সী কারো সাথেই হতে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।আট থেকে আশি যেকোন বয়সের সাথেই হতে পারে।
বন্ধুত্বের জন্য কোন বয়সের সীমা নেই। আশি বছরের বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার সাথে কুড়ি বছরের বেশি বা তার থেকে কম বয়সী কোন যুবক বা যুবতীর বা ছেলে মেয়ের মধ্যেও হতে পারে।
বন্ধুত্ব স্বামী-স্ত্রীর, বাবা-মা, কাকা- কাকী,মামা-মামী, বন্ধু-বান্ধবী, বা কোন পরিচিত,পরিচিতার মধ্যে বা হয়তো কর্মস্থলের কোন সহকর্মীর সাথেও হতে পারে।
কিন্তু ভালো বন্ধুত্ব হল জীবনের সর্বোত্তম সম্পদ, যেখানে সম্পর্কের কোন বাধা নেই, কোন চাহিদা নেই, যেখানে দুই ব্যক্তির মধ্যে মনের মিল, চিন্তা ভাবনার মিল হলেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব।পরস্পর সুখ দুঃখের কথা আদান প্রদান বা জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মত বিনিময় বা এ নিয়ে আলোচনা করে মনের কষ্ট বা গ্লানি লাঘব করা, দূর করা।
বন্ধুত্ব হল বিপদে আপদে বন্ধুর পাশে থেকে তার হাত শক্ত করে তার মনে সাহস দেওয়া,ভরসা দেওয়া,তাকে সবরকম ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
এই বন্ধুত্ব বিভিন্ন ভাবে হতে পারে সেটা সময়ের, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে । তবে অনেক ক্ষেত্রে এই বন্ধুত্ব আবার কোন কোন ক্ষেত্রে স্থায়ী হয়, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে স্থায়ী হয় না। এর কারণ বন্ধুত্বের মধ্যে কোন ছল কপটতা বা স্বার্থের উপস্থিতি। এর উপরে নির্ভর করেই বন্ধুত্ব চির স্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী হয় ।
এই বন্ধুত্ব মানুষের জীবন গড়ে দেয় এবং জীবন আরো রঙিন করে তোলে , তবে কেউ যদি মন থেকে নির্ভেজাল বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় সেই বন্ধুত্ব গ্ৰহণ করে বন্ধুত্বের মান দেওয়া উচিত।
ভালো বন্ধুত্ব মানুষের জীবনকে এক অন্যমাত্রা দেয় ,বন্ধুত্বই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক যেখানে কোন বাধা নেই কোন টানাপোড়েন নেই।শুধু একে অপরের মনের কথা জেনে জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে সর্বদা এক সাথেই পথ চলা উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন