পোস্টগুলি

৩৫তম সংখ্যা: মাঘ ১৪২৭ জানুয়ারি 2021 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

স্মরণ ।। তুষার কাঞ্জিলাল ।। সুদীপ পাঠক

ছবি
স্মৃতি-বিস্মৃতির অতল থেকে উদ্ধার  একমুঠো শুভ্রকান্তি তুষার    সুদীপ পাঠক খবরে প্রকাশ : বিশিষ্ট সমাজকর্মী, পদ্মশ্রী শ্রী তুষার কাঞ্জিলাল আর আমাদের মধ্যে নেই ( জন্ম : ১ মার্চ ১৯৩৫ , মৃত্যু : ২৯ জানুয়ারী ২০২০ )  । চমকে উঠলাম ! যাহ শেষ হয়ে গেল একটা ধারা , একটা ঘরানা , একটা শৈলী , একটা বিশেষ রকমের জীবনচর্চা । তিনি এই সব কিছুর প্রতিষ্ঠাতা ও পথিকৃৎ । এমন এক দর্শন যা গড়পড়তা গেরস্তপোষা বাঙালি জীবনে খুবই অচেনা আর তাই যথেষ্ঠ অস্বস্তিকর । কিছু মানুষ থাকেন যারা চলে গেলে একটি মাত্র বাক্য প্রযোজ্য হয়ে ওঠে : লাস্ট অফ্ হিজ কাইন্ড । নিজের ফিলজোফিকে হাতে কলমে প্রমাণ করার স্বনিয়জিত দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়ে যারা পথ চলেন আজীবন ।  সে সব আঠারো উনিশ বছর আগের কথা । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ইতালির সেন্ত্রো ওরিয়েন্তামেন্ত এদুকেতিভো সংস্থার কাছ থেকে কারিগরী সহায়তায় নিয়ে ২০০২ সালে রূপকলা কেন্দ্র নামের প্রতিষ্ঠানের  যাত্রা শুরু করলো । গোড়ার দিকে অনেকেই ধন্দ্ধে ছিলেন এই ভেবে যে এই প্রতিষ্ঠানটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রকৃতপক্ষে ঠিক কি ? এটিকে ফিল্ম স্কুল হিসাবে মান্যতা দেবার ব্যাপারে বহুজন সংশয়

মুক্তগদ্য ।। ভ্রু, ব্ল্যাকহোল ও দেবী ।। সোমনাথ বেনিয়া

ছবি
ভ্রু, ব্ল্যাকহোল ও দেবী   সোমনাথ বেনিয়া দু-ভ্রুর মাঝের দূরত্ব আসলে একটি ছায়াপথ। চোখ বন্ধ করলে সেই ছায়াপথে অন্তর্দৃষ্টিতে ধরা পড়ে ব্ল্যাকহোল। ক্রোধ সংযম করতে না পারলে রক্ত অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে গিয়ে ব্ল্যাকহোলের ভৌত পরিবর্তন ঘটিয়ে রূপ দেয় তৃতীয় নয়নের। তখন আগুন, তখন দাবানল, তখন ছারখার, তখন পোড়া মাংসের গন্ধ ব্রহ্মাণ্ডের ইথারজুড়ে। কে তখন এগিয়ে এসে বলবে, "হে দেবী প্রসন্ন হ‌ও!" ওই লাল টিপ আমার স্বপ্নেও আরাধ্য চিহ্ন। নৈবেদ্যে কিছু না দিতে পারলেও রিপু দমনের প্রতিশ্রুতি বারবার দিতে পারি, হয়তো রক্ষা করতে পারি না। এখানে কে কী পারে, সেটা এখনও অজানা। যে জানে সে চুপ আর যে প্রচুর বলছে সে ভাঁড়ে মা ভবানী৷ "A little learn is a dangerous thing." এই আপ্তবাক্য সবাই কপালে শিরোনাম করে পথ চলছে। মাটিকে ভালোবেসে যারা খালি পায়ে হাঁটেন তাদেরকে জোনাকি ছেড়ে খুঁজতে হবে। অন্যদিকে ডগমগ করে হাঁটছে যে তার গোড়ালিতে বোরোলিন ফি বছর কাঁদে। সেই ছায়াপথে যত অ্যাসট্রয়েড দেখতে পাওয়া যায় তা সবই কবিতা পাঠের মঞ্চ। খ্যাতিপিপাসু কবি কবিতা পাঠ করে হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়। ঝোলায় তার ব্যর্থতার শংসাপত

শ্রুতিনাটক ।। লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট ।। ইন্দ্রাণী দত্ত

ছবি
লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট ইন্দ্রাণী দত্ত ........................................................ চরিত্র : বিশ্বরুপ ও প্রিয়ংবদা শব্দ :  ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে যাবার শব্দ,তারপর  হাল্কা পাখির ডাক বিশ্বরুপ : (মাঝারি স্বরে)শুনছেন,এই যে শুনছেন,হ্যালো ম্যাডাম,আপনাকে ,আপনাকে বলছি প্রিয়ংবদা :( সামান্য দূর থেকে আমতা,আমতা করে ) : অ্যাঁ,আমাকে ? আমাকে কিছু বলছেন? বিশ্বরুপ: হ্যাঁ,আপনাকে,আপনাকেই বলছি প্রিয়ংবদা :আস্তে,আস্তে,এইভাবে কেউ দৌড়ায় ,পড়ে যাবেন  যে!! বিশ্বরুপ : (জোরে,জোরে দম নিতে নিতে) দাঁড়ান,দাঁড়ান একটু হাঁফ ছেড়ে নি,আপনার পায়ে দম আছে বলতেই হচ্ছে ! প্রিয়ংবদা:তা আমার পিছু ,পিছু এভাবে না দৌড়ে, দূর থেকেই না হয় একটু  উঁচু স্বরে হাঁক দিলেই তো পারতেন! নাকি আমাকে ফলো করছিলেন ? বিশ্বরুপ:( জিভ কেটে )আরে না,না,তবা,তবা,তা কেন,আচ্ছা বলুন তো যৌবনের সেই তারুন্যতা কি আর গলার স্বরে আছে,একজন রমনীতে মিষ্টি করেঅ ডাকলে impression খারাপ হয়ে যাবে না ? তাই তো ,মানে.. প্রিয়ংবদা: হুম,হুম,বুঝলাম,এবার  একটু খুলে বলুন তো আমার সাথে আপনার ঠিক কি দরকার? বিশ্বরুপ:(লজ্জা পেয়ে)কি যে বলেন,এই মাঝ রাস্তায় সব  যদি খুলে

প্রবন্ধ ।। করোনা ভাইরাসের বিশ্বভ্রমণ ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
  করোনা ভাইরাসের বিশ্বভ্রমণ                                                                                                                সবিতা বিশ্বাস       ছটফটে, স্মার্ট করোনাকে কেউ আটকে রাখতে পারলনা | ১৯৩০ সাল থেকেই সে চেষ্টা করছিল বেরিয়ে পড়ার, কিন্তু ডাক্তাররা, বিজ্ঞানীরা আটকে দিয়েছে বারবার | তখন অবশ্য অন্য নাম ছিল, ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস | সেবার বেশিদূর যেতেও পারেনি | ওই মুরগীর খোঁয়াড় পর্যন্ত | একেবারেই যে মানুষদের বাড়ি যায়নি তা নয়, তাদের বাড়ি গিয়ে তাদের দেহের কুঠুরিতেও হানা দিয়েছিল | তবে ওই যে ডাক্তার! তারা টেনে বের করে নিয়ে গেল গবেষনাগারে |   এবার অবশ্য একটা নয়, দু'দুটো নাম দিয়ে দিল | 'মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই' এবং 'মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩' | বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন একে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন, কিন্তু করোনা ভাইরাস একা নয়, আরো জ্ঞাতিদের ডেকে নিয়ে এল | তাদের নামকরণ ও হল | ২০০৩ সালে 'এসএআরএস-সিওভি',২০০৪ সালে 'এইচসিওভি এন এল ৬৩, ২০০৫ সালে 'এইচকেইউ১', ২০১২ সালে 'এমইআরএস-সিওভি' এইরকম সব কঠিন কঠিন নাম | তবে

প্রবন্ধ।। বাংলায় মুসলিম বিজয় ও বাংলা সাহিত্য।। আবদুস সালাম

ছবি
বাংলায় মুসলিম বিজয় ও বাংলা সাহিত্য  আবদুস সালাম দিল্লীতে তখন মুসলমান রাজ‍্য প্রতিষ্ঠিত।১২০৬ থেকে ১৭৬৫ (১২০০ থেকে ১৮০০)  ইতিহাসের বিচারে যেমন মধ‍্যযুগ, তেমনি বাংলা ভাষা সাহিত্যের হিসেবে ও মধ‍্যযুগের সূচনা। তুর্কী সেনা মহম্মদ বখতিয়ার খিলজী ( ১১৯৯_১২০৪খ্রীষ্টাব্দ )বাংলা দেশ জয় করেন ।তখন লক্ষন সেন বাংলা র রাজা। বখতিয়ার খিলজী র  ভয়ে রাজা লক্ষণ সেন পূর্ব বঙ্গে পলায়ন করেন।  ফলে এই সময় থেকে বাংলায় মুসলমান অনুপ্রবেশ ও শাসন চালু হয়।লক্ষণ সেনের সঙ্গে   বহু রাজপুত্র,বিজ্ঞজন তার সহযোগী হয়।  আর অনেক হিন্দু ও বৌদ্ধ নেপালে পলায়ন করেন।  অবশ্য পূর্ব বঙ্গের রাজত্ব  হিন্দু, বৌদ্ধ ,সেন ও বর্মণ রাজারা  সম্মিলিত ভাবে একশত বৎসর তুর্কী আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।১২০০থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত এই সময়কে বাংলা ভাষা সাহিত্যে মধ‍্য যুগের সূচনা, আবার যুগ সন্ধিকাল ও বলা চলে।১২০০থেকে ১৩৫০এই দেড়শত বৎসর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে সাহিত্য  শূন্যতার  ইতিহাস বলা যেতে পারে ।   তুর্কী বিজেতাগণ  রাজ‍্য বিস্তার করার সময় দলে দলে সুফী দরবেশ গাজী গণের  প্রবেশ ঘটে। তাদের চরিত্র মাধুরী , এবং ব‍্যাবহার দেখে দলে দলে হিন্দ

স্মৃতিকথা ।। চলার পথে মজার গল্প ।। সুবীরঘোষ

ছবি
চলার পথে মজার গল্প সুবীর ঘোষ      সবার জীবনেই পথ চলতে চলতে অনেক মজার ঘটনার দেখা মেলে । অনেকরকম মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা হয় । কেউ তা ভুলে যান , কেউ সযত্নে তা মনের ভিতর লালন করেন দীর্ঘদিন । আমার জীবনেও এমন কিছু কিছু স্মৃতি আছে , যা অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিলে যাঁরা তা শুনছেন তাঁরাও আনন্দ পাবেন ।    এক সময় আমাদের বাড়ির কাছে একটা মিষ্টি তৈরির কারখানা ছিল । অনুকূল বাতাসে মাঝে মাঝেই নানারকম মিষ্টির সৌরভ ভেসে আসত । একবার উজ্জ্বল নামে আমার এক বন্ধু এসেছিল আমাদের বাড়ি । ঠিক সে সময়ই বাতাস ভাসিয়ে আনল মিষ্টির সুগন্ধ । উজ্জ্বল সুরসিক লোক । বলল --- বাড়ির ভেতর এরকম গন্ধ , কী মিষ্টি টিষ্টি হচ্ছে না কী ? তখন তাকে নিকটস্থ কারখানার কথা বলি । শুনে উজ্জ্বল বলল ---এক বাটি মুড়ি দাও । কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেয়ে আসি ।    ঐ উজ্জ্বলকে নিয়ে আর একটি গল্প আছে । একটি বাচ্চার জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছে । আমি আগেই পৌঁছে গেছি । উজ্জ্বল ঢুকল । ঢুকেই একটি বাচ্চা মেয়ের দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলে উঠল--- ও কী ট্রেন ফেল করেছে না কী ? দেখলাম সেই ম

রম্যরচনা।। সুকুমারী চিঠি।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
সুকুমারী চিঠি  গোবিন্দ মোদক  স্নেহের হিজিবিজবিজ্,               সেদিন হুলোর গান শুনে খিচুড়ি খেয়ে কাতুকুতু বুড়োর বাড়ি থেকে ফেরবার পথে তোমার আবোল-তাবোল কি একটা অসুখ করেছিল শুনেছি। সাবধান ! ট্যাশ গরু থেকে উৎপন্ন এই রোগে সবাই নাকি রামগরুড়ের ছানার মতো হয়ে যায়, আর রোগ সারলেই কুমড়োপটাশ ! ভাবছো অবাক কাণ্ড !  ভালো রে ভালো ! তুমি সেই বোম্বাগড়ের রাজার একুশে আইন-এর গল্প শুনেছো তো --- ওরকম কিম্ভূত খুড়োর কল আর হয় না ! তার ওপর আবার আছে কাঠবুড়ো-র গানের গুঁতো কিংবা লড়াই ক্ষ্যাপার ছায়াবাজী ! আর হুঁকোমুখো হ্যাংলা-র হাত গণনা কিংবা গন্ধবিচার-এর গল্প শুনলে অতি বড় ডানপিটের-ও কাঁদুনে রোগ ধরে ! তবে ভয় পেয়ো না ! এসব ভূতুড়ে খেলা আর চলবে না, কেননা 'বিজ্ঞান শিক্ষা' এইসব হ-য-ব-র-ল কে পাকাপাকি ভাবে বিদায় করবে।                   ওহো ! কথায় কথায় আসল কথা ভুলে গেছি --- পাগলা দাশু আর কানে খাটো বংশীধর --- এরা দু'জনেই চালিয়াৎ হিসাবে ধরা পড়েছে। আজব সাজা পাবে ব্যাটারা ! ওদেরকে ডিটেকটিভরা-ই ধরেছে বটে, তবে জগ্যিদাসের মামা অবশ্য ওদেরকে খুব সহায়তা করেছে। ওরা ধরা পড়বার ফলে ভোলানাথের সর্দারি এবার

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪