পোস্টগুলি

৬০তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। অমর একুশে ।। অশোক দাশ

ছবি
অমর একুশে অশোক দাশ   আজি বসন্তে পলাশের বুকে নিত্য অলির গুঞ্জরন, কাঙ্খিত  স্বপ্ন  বুকে  অমর  একুশের শহীদ  তর্পণ। মেঘনা -পদ্মার   তুফানে   আজও   রক্তধারা  বহে, শহীদের আত্ম বলিদান গৌরব গাঁথা সমীরণে ভাসে। আধো-আধো বলে গাইছে শিশু মায়ের ভাষার গান, সারা  ভুবন  ঋণী, শহীদদের  জানায়  শ্রদ্ধা- সম্মান। কান্না  হলো  হীরা -পান্না, মাতৃভাষা  অমর  মহীয়ান, বুকের   মাঝে    রক্ত    কমল    চির     অনির্বাণ। রক্ত শোনিতে পদ্মা -মেঘনা -ইছামতির  জল  রাঙা, বিদ্রোহের অগ্নি শিখায় মীরজাফররা পেয়েছে কি সাজা! আজও ধর্মের নামাবলী  গায়ে  রক্তে  হোলি  খেলে, ভাতৃ  বিদ্বেষে  দাঙ্গার  ক্ষতবুকে তাণ্ডব নৃত্যে মাতে। মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় একুশের রক্ত ঝরা ইতিহাস, উদ্ধত ধর্মের ব্যাপারীদের কাছে কেবলই প্রহসন উপহাস। -----------------------------   অশোক দাশ ভোজান, রসপুর, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

পুরুলিয়া : টিলা আর পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা লালমাটির রূপকথা ।। কুহেলী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
বসন্তে পলাশের দুয়ারে কুহেলী বন্দ্যোপাধ্যায়   প্রকৃতি যখন তার দখিন দুয়ার খুলে দেয় বইতে শুরু করে ফাগুন হাওয়া,পাতা ঝরা শুষ্ক শীতের শেষে ঠিক তখনই আসে রঙিন বসন্ত। চারদিকে নতুন কচিপাতা আর ফুলের সমাহার। যেদিকে চোখ যায়,যেন রঙের রায়ট।অলস দুপুরে একটানা বসন্তের মহাজনের মন উদাস করা কুহু কুহু ডাক আর বাতাসে ঝিম ধরা বাতাবি ফুলের মিষ্টি নরম গন্ধ। বসন্ত মানেই পলাশ। আর পলাশের পরিপাটি সংসার হলো পুরুলিয়ায়। তবে পুরুলিয়া বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছোট ছোট টিলা আর পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা লালমাটির রূপকথা। আমবাঙালির কাছে পুরুলিয়া মানেই গরম, দারিদ্র,মাওবাদী, বনজঙ্গল,আদিবাসী আর অনুন্নত জীবনযাত্রা। কিন্তু আমার কাছে পুরুলিয়া মানে সহজ-সরল মানুষজন আর গভীর এক নৈঃশব্দ‍্য। ঠিক কোন বহ্নির আকর্ষণে মানুষ এই সময় এমন পতঙ্গের মতো ছুটে যায় মূলত তা চাক্ষুষ করতেই এবারের পুরুলিয়া গমন। গড়পড়তা পুরুলিয়া নয়,এক অন্য পুরুলিয়ার খোঁজে বেড়িয়ে পড়া। যেখানে গড়ে উঠেছে প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ‍্য সম্পর্ক।           দিনের প্রথমভাগেই আমরা রানিগঞ্জ - মেজিয়া হয়ে সাঁতুরি পৌঁছোয়। সেখান থেকে ডানদিকে ঘুরে বড়ন্তি। বড়ন্তি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে রয়েছে

গল্প ।। গাম্ভীর্যের আড়ালে ।। সমর আচার্য্য

ছবি
গাম্ভীর্যের  আড়ালে সমর আচার্য্য অফিসের কাজে কলকাতা যাচ্ছিলাম। ঝড়ের গতিতে রেলগাড়িটা ছুটে চলেছে । আমার লোয়ার বার্থের উল্টোদিকের  বার্থে  তনিমা বসে আছে । তনিমা সেন। আমার কলেজ জীবনের বান্ধবী। আমার দিকে একবার আড়চোখে দেখেই না দেখার ভান করে বসে রইল। আমি ওর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক  চেষ্টা করলাম । একসময় বলেই ফেললাম, কি ব্যাপার আমাকে চিনতে পারছো না? আমি সমরেশ, তোমার সেই কলেজের বাজে বকাটে ছেলেটা। তুমি তো তনিমা? একবার আমার দিকে একটু গম্ভীর হয়ে তাকিয়ে বললো, আপনার বোধহয় কোথাও ভুল হচ্ছে । আমি তো কোন সমরেশকে চিনি না । বলেই আবার জানালার দিকে মুখ করে বসে রইল। খোলা জানালা দিয়ে দুরন্ত বাতাস এসে ওর চুলগুলো  উড়িয়ে দিয়ে মুখখানা ঢেকে দিচ্ছিল, ও হাত দিয়ে সরিয়ে সরিয়ে নিচ্ছিল । একবার ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মনে হলো ওর চোখে জল । নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না, ওর সীটে, ওর কাছাকাছি বসে আস্তে করে বললাম, কেন না চেনার ভান করছো তনিমা । আমার কতটুকু দোষ ছিল বলো ।  আমিতো কতবার তোমাকে হ্যাংলার মত প্রপোজ করেছিলাম, কিন্তু তুমি তো তখন অনিমেষের প্রেমে পাগল। আমাকে পাত্তাই দেওনি । আর দেবেই বা কেন? অনিমেষ বড় লোকের ছেলে, বিশাল তা

মার্গারেট স্যাঙ্গার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে কিছু কথা ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
মার্গারেট স্যাঙ্গার এবং  জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে কিছু কথা  অনিন্দ্য পাল  ঠিক যখন এই লেখাটা শুরু হচ্ছে, তখন পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৭৯৭ কোটির কাছাকাছি! গত এক বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫ কোটি ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার! পৃথিবীর এই বিপুল জনসংখ্যার ৩৬% অবদান চিন আর ভারতের। বর্তমানে চিনের জনসংখ্যা ১৪৪ কোটি এবং ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। গবেষকদের ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার নিরিখে ভারতবর্ষ চিনকেও ছাপিয়ে যাবে। এখন জনসংখ্যার এই বহর যে কোন দেশের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এত বিপুল জনসংখ্যার দেশে অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক রেখে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাওয়া যথেষ্ট কঠিন হলেও পৃথিবীর মোট ১৯৫টা দেশের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া পৃথিবীর বাকি দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার তেমন কোন দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।    পৃথিবীর ইতিহাসে সুপরিকল্পিতভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা বা আন্দোলন যাঁর হাত ধরে শুরু হয়েছিল, তিনি মার্গারেট স্যাঙ্গার। আমেরিকান এই মহিলা আজ থেকে একশো বছরেরও বেশি সময় আগে খোদ মার্কিন মুলুকে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আন্দোলন করেন। ১৮৭৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর জন্ম হয় মার্গ

কবিতা ।। বাংলা আমার শক্তি ।। ইমরান খান রাজ

ছবি
বাংলা আমার শক্তি  ইমরান খান রাজ  বাংলা আমার মায়ের ভাষা  বাংলা আমার শক্তি,  বাংলা ভাষাতেই পাই খুঁজে  স্বাধীনতার মুক্তি।  বাংলা আমার নিঃশ্বাসজুড়ে  বাংলাতে খুঁজি সুখ,  বাংলাতেই পাই আশার আলো  দূর হয়ে যায় দুখ।  ================= ইমরান খান রাজ   সাতভিটা, নারিশা, দোহার-ঢাকা ১৩৩২।  পোস্ট কোড: ১৩৩২, নারিশা৷ 

ছড়া ।। নাড়ীর টানে বাঁধা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল

ছবি
       নাড়ীর টানে বাঁধা                   কার্ত্তিক মণ্ডল       সব ভুলতে পারি;ভুলব না              মায়ের মুখের ভাষা     এ ভাষা প্রাণে দোলা দেয়           বাড়ায় মনে উচ্চাশা।    নাড়ীর টানে বাঁধা এ ভাষা           কত স্বপ্নের চাঁদ তারা  উল্লসিত স্রোতস্বিনী বহমান             প্রেরনার সুধা ধারা।    বাংলা আমার জীবনানন্দ       বাংলা নক্সি কাঁথার মাঠ বাংলা হৃদয়ের কোণে থাকা                   নিস্তব্ধ আহাট।         এ ভাষাই সারা বিশ্বকে                        জাগ্রত করে       বুঝিয়ে দেয় বাঙালিরাই                 রক্ত দিতে পারে। ---------------------------- কার্ত্তিক মণ্ডল  গ্রাম-পশ্চিমবাড় পোস্ট-ধনেশ্বরপুর থানা-পিংলা জেলা-পশ্চিম মেদিনীপুর  

'নবপ্রভাত' বইমেলা ২০২৩ সংখ্যা পাঠে দু-একটি কথা ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
'নবপ্রভাত' বইমেলা ২০২৩ সংখ্যা  একান্ত পাঠে দু-একটি কথা অরবিন্দ পুরকাইত একটি বছর পরে নব প্রভাত মুদ্রিত আকারে আবার হাতে এল। বইমেলা ২০২৩ সংখ্যা হিসাবে। যদিও এই পত্রিকার মাসিক ওয়েবজিন সংস্করণ নিয়মিত চলছে। নিয়মিত চলছে এই গোষ্ঠীর 'কথাকাহিনী' এবং শিশু-কিশোরদের 'কিশলয়' ওয়েবজিনও।        সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগ নিয়ে প্রস্তুত সংখ্যাটির বেশ কিছু লেখা ভাল লেগেছে। প্রথমেই বলতে হবে অনিন্দ্য পালের 'যুদ্ধ-কবিতা এবং কবিতায় যুদ্ধবিরোধ' ও অভিষেক ঘোষের 'কবিতা লিখব কেন' লেখা দুটির কথা। বলতে বাধা নেই, এ লেখা দুটি এবারের সংখ্যার অন্যতম মূল্যবান লেখা। দৃষ্টান্তযোগে শ্রী পালের লেখাটি একটি নিটোল প্রবন্ধ হয়ে উঠেছে। দু-একটি ব্যতিক্রমের উল্লেখ-সহ তিনি লিখেছেন, "আমাদের দেশের কবিরা অবশ্যই 'যুদ্ধ নয় শান্তি চাই' এর পক্ষে কবিতা লিখেছেন, কিন্তু সেগুলো যুদ্ধ-কবিতা বা যুদ্ধবিরোধী কবিতার কোনটাই নয়। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আর যুদ্ধ সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান ছাড়া সৈনিকের সঙ্গে গোলাবারুদের এবং মৃত্যুর বিভীষিকাময় ভালোবাসার স্বাদ পাওয়া খুব দুরূহ ব্যাপার।" অবশ্যই প্রণি

কবিতা ।। তেইশে জানুয়ারি ।। সোমনাথ মুখার্জী

ছবি
তেইশে জানুয়ারি সোমনাথ মুখার্জী পুড়ে যাচ্ছে দহনের তীব্রতায় সময়ের গোপন পুঞ্জিভূত পাপাচার। অনুষ্ঠানের নানান গূঢ় ফন্দি ফিকির ভিন্ন মতবাদের চটুল মন্তব্য শর, অন্ধ ফেউ, মুছে নেয় প্রাণিত স্বাধীন মূল্য। তেইশে জানুয়ারি- স্বপ্নে গড়া জীবনের অমূল‍্য ভাবাদর্শ তোমার স্বপ্নদীপ্ত চোখে আগুনের দিশা। তীব্র দহনে পুড়ে যাচ্ছে সমকাল, কালের ফল্গুজলে জীবনের বৈধ অনুতাপ। ========== শ্রী   সোমনাথ মুখার্জী  ৫৬১/সি,লেক ভিউ পার্ক রোড,বনহুগলী, সোলারিস ফেজ-১, টাওয়ার-১, ফ্ল্যাট নম্বর -১০০৫, কলকাতা-৭০০১০৮

কবিতা ।। যূপকাষ্ঠে বেকার ।। সুব্রত কুণ্ডু

ছবি
যূপকাষ্ঠে বেকার সুব্রত কুণ্ডু শিক্ষা বন্দি আন্তর্জালে, বেকার বন্দি ঘুষে, হাতে দেওয়া চুষিকাঠি খাচ্ছে চুষে চুষে। টাক-ডুমা-ডুম বাদ্যি বাজায় ঢাকি এবং চ্যালায়, তিন নম্বরি ছাগলছানা বাড়ছে অবহেলায়। সৃষ্টি তো নেই কর্মক্ষেত্র, নির্বিচারে ধ্বংস,  শোষণ করে অত্যাচারী-- রক্তবীজের বংশ। পেটের জ্বালায় হয় তো খাবে শংসাপত্র গুলে, মরে মরুক বেকারগুলো, মরুক পিত্তশূলে। ঢাকের সঙ্গে ঢোলও বাজে, বাজে ঘন্টা,কাংস্য, যূপকাষ্ঠে বেকার বলি, সুস্বাদু তার মাংস।   ===============   সুব্রত কুণ্ডু নবগ্রাম, রহিমপুর, হুগলী পশ্চিমবঙ্গ,ভারত

কবিতা ।। অজগর পিপাসায় ভালোবাসার গান ।। দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়

ছবি
অজগর পিপাসায় ভালোবাসার গান দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় বনসাই চাঁদ আমার ভালোবাসা খুঁজতে এলে দ্যাখে মরুদ্যানে রয়ে গেছে কয়েকফোঁটা জল। বালির বুকে আকাশটা আছড়ে পড়ে যেন ! নীলচে বালির শরীরে কয়েকটা খেজুর গাছের সবুজ নাচন । পাথরের বুকের জলে লেখা -- ফেলে আসা গোল গোল দুটো চোখ , গালে টোল হাসি, আর কপালে লাল টিপ । হৃদয় খুঁড়ে জল ভরতে চাইলে অগস্ত্যের চুমুকে শেষ হতে থাকে বুকের ঝর্ণা। বুকের আর্তনাদ কি বালি হয়ে যায়? অবাক প্রশ্নগুলো চেয়ে দেখে  নীল বালির বুকে একটা শরীর নদী হয়ে বয়ে চলেছে শাড়ির পাতলা আবরণে। দুচোখ জুড়ে অবাধ্য আবেগ অতিরিক্তের বৈভবে আক্রান্ত হলে বুকের ভেতর জ্বলে ওঠে সব ঝাড়বাতিগুলো।                       *************   দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ৪৬/১, চড়কডাঙ্গা রোড, কাঁঠাল বাগান, উত্তরপাড়া, হুগলি।  

জামশেদপুর : পরবাসী টুসুর দেশে ।। শাশ্বত বোস

ছবি
  পরবাসী   টুসুর   দেশে   শাশ্বত বোস “ এই শহর থেকে আরও অনেক দূরে চলো কোথাও চলে যাই ওই আকাশটাকে শুধু চোখে রেখে মনটাকে কোথাও হারাই কি চাইনি , কি পাইনি , সবই ভুলে যেতে চাই |”   প্রবাসী এক আত্মীয়র তরফে জামশেদপুর আসার নিমন্ত্রণ পেয়ে যাবো কি যাবো না এই দোটানার মাঝে পরে প্রথমেই যেটা মনে হয়েছিল সেটা হলো দীর্ঘস্থায়ী কোভিড কালের আত্মসুরক্ষা বলয়ের বাইরে বেরিয়ে নতুন করে মানসিক মুক্তির স্বাদ আস্বাদনের কথা | তাই সস্ত্রীক ট্রেনপথে অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রাম , ঘাটশিলার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে আপন মনের খেয়ালে উপরের গানের কলিগুলি কখন ওষ্ঠাগ্রে সুরারোপিত হয়ে মৃদুমন্দ সঙ্গীতের আকার ধারণ করেছে , আমার ভ্রমণপিপাসু কল্পনাপ্রবণ মনের পালে হাওয়া লাগিয়ে , খেয়ালই করিনি | চাওয়া পাওয়ার হিসেব করার মতো দীর্ঘ্যতর বয়সভারে না পৌঁছালেও বাঙালির চিরায়ত পশ্চিম প্রিয়তার কথা জানতাম ছোট থেকেই | সেই সাথে বাবার মুখেও অনেক শুনেছি এই আপাতরুক্ষ , ছোটনাগপুর মালভূমির উপরিস্থিত , টিলাবেষ্টিত শৈল শ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪