পোস্টগুলি

29th issue লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

নিবন্ধ : সুদর্শন মণ্ডল

ছবি
রাখি বন্ধন উৎসব  ভাই-বোনের প্রীতির সম্পর্কের উৎসব বলতেই ভাইফোঁটার পর যে উৎসবটির নাম মনে পরে তার নাম রাখি-বন্ধন | এমন দিনে দাদা বা ভায়ের মঙ্গল কামনায় রাখি নামে প্রবিত্র সুতো হাতে বেঁধে দেয় দিদি বা বোনেরা | রাখি  হল এক শপথের প্রতীক | দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার শপথ এই রাখি বন্ধন উৎসব  |           বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয় |রাখি পূর্ণিমার আরেক নাম শ্রাবণী পূর্নিমা বা সৌভাগ্য পূর্ণিমা | এই শ্রাবণী পূর্ণিমা বলার একটা কারণ আছে | রাখি পূর্ণিমার পাঁচ দিন আগে শ্রী কৃষ্ণের ঝুলন পূর্ণিমা শুরু হয়, আর সাত দিন পরে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করা হয় | এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রাখি পূর্ণিমা উৎসব উজ্জাপন করা হয় বলে এর আর এক  নাম শ্রাবণী পূর্ণিমা |           ইতিহাস বলে চিতোরের বিধবা রানী কর্ণবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে একটা রাখি পাঠান | তারপর থেকে এই রাখি বন্ধন উৎসব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে |           এই রাখি উৎসব সম্পর্কে আরও এক গল্প কথা প্রচলিত আছে |আমরা জানি 326খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ

প্রবন্ধ ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
  লিচো একটি মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল একটি ভাষা                                                  নামকরণে রয়েছে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল একটি ভাষা, এটি না বলে বলা চলে মৃত্যু ঘটল একটি ভাষার | হ্যাঁ, এখানে গ্রেট অন্দামানিজ পরিবারের প্রাচীনতম ভাষা “সারে” র কথাই বলা হচ্ছে | অন্দামানি ভাষা হল এক জোড়া ভাষা নিয়ে গঠিত একটি ভাষা | গ্রেট অন্দামানিজ “ নেগ্রিট ” এবং “ ওগান ” ভাষা | এই পরিবারেরই প্রাচীনতম ভাষা ছিল ‘সারে’ ভাষা |        ২০১০ সাল অবধি এই পরিবারে ছিল আন্দামানের প্রাচীনতম চারটি ভাষা | জেরো, সারে, খোরা এবং বো |  ওই বছরেই আন্দামান থেকে মুছে গিয়েছিল খোরা এবং বো | যে ভাষাটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি সেই ‘ সারে ’ ভাষায় কথা বলতে পারতেন মাত্র একজন | তিনি লিচো | লিচো ছিলেন রাজা জিরাকের প্রথম সন্তান | বয়স হয়েছিল ষাট বছর | যক্ষা ছাড়াও হৃদযন্ত্রের অসুখে ভুগছিলেন তিনি | এরমধ্যে থাবা বসাল করোনা | যদিও কোভিড—১৯ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মহল নিশ্চিত নন | ৪ঠা এপ্রিল মৃত্যু হয় লিচোর | তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু ঘটল আন্দামানের প্রাচীনতম ভাষা সারের |   এখন প্রাচীন গ্রেট অন্দামানিজ ভ

শ্রদ্ধাঞ্জলি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

ছবি
বিস্মৃত বাঙালি বিপ্লবী ইন্দুভূষণ রায়                                হাতে ঘা- মুখে,  খাবার তুলতে পারতেন না পর্যন্ত। সেই অবস্থায় কাজ দেওয়া হয়েছিল তেলের ঘানিতে- যন্ত্রণায় ছারখার হতে হতে, রাতের পর রাত যন্ত্রণায় দগ্ধে দগ্ধে মরতে মরতে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন। কাদের জন্য এত কিছু করলেন? কেই বা মনে রাখল?  খুলনার ছেলে ইন্দুভূষণ রায় কলকাতায় এসেছিলেন। একদিন কীভাবে যেন কলেজ স্কোয়ারে দেখা হয়ে যায় বারীন ঘোষের সঙ্গে। বারীন ঘোষ, সেই যুগান্তর ও অনুশীলন সমিতির বারীন- অরবিন্দের ভাই। বিপ্লবী সংসর্গে এসে ইন্দুভূষণের পরিবর্তন ঘটে। চলে, গীতা ও আনন্দমঠ পাঠ, উদ্বুদ্ধ হন দেশকে বিদেশি শাসন মুক্ত করতে।  চন্দননগরের মেয়রের ওপর বোমা ছোঁড়ার অপরাধে এবং বিখ্যাত আলিপুর বোমা মামলায়- যুগান্তরের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরও সাজা হল। যে-সে সাজা নয়। দ্বীপান্তর- কুখ্যাত কালাপানি- সেলুলার জেলে। ক'জন আর ফেরে? সেলুলার জেলে রাজনৈতিক বন্দি আর অরাজনৈতিক বন্দিদের অবস্থা এক ছিল না। ব্রিটিশদের শত্রু মেনে যারা প্রাণ সমর্পণ করেছেন, তাঁদের কি ব্রিটিশ সরকার সহজে পরিত্রাণ দেয়। তাই, রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য ছিল হাড়ভাঙা খাটুনি, অসুস্থ হলেও সহজে

প্রাণজি বসাক-এর দুটি কবিতা

ছবি
//সীমারেখা // তীব্র কঠিন রোদের অন্তরালে কথা হল চলাচল হল অনেকদিন অনেককাল তারপরও প্রথাগত আদান-প্রদান ছিল তুমিই উপলক্ষ  - তোমারই হেতু সময়কাল আজ বুঝি সাদাকাগজের মত সকাল হল গতরাত ছিল চিরন্তন সত্য চারদিক থেকে ঘিরে থাকা ঘন অন্ধকারে পোড়া এক জীবন মধ্যবর্ত্তী সংলাপ কারোরই মনে নেই এখন অনন্তকালেরও বস্তুত জীবনসীমা আবদ্ধ রাতআকাশে তুবড়ির দ্যুতি যেমন ক্ষণিকমাত্র গতরাত ছিল চিরন্তন সত্য .... ঘন অন্ধকারে পোড়া এক দ্যুতিময় জীবন ******** // পড়োশি ছায়া // চোখের দিকে তাকালে দেখি মেহফিল মধ্যরাতে কোথাও বাজনা বেজে ওঠে দখিনা বাতাস পেয়ে একমানুষের ছায়া অন্য মানুষের কাছে যায় - থেমে যায় সানাইয়ের একটানা লয় ঘুমঘুম ভোরে সুচারু ভ্রমণ ছিল মঙ্গলশোভাযাত্রায় অনায়াসে ভেঙে গেছে জানলার প্রতীক্ষা চরণবদ্ধ তরিকায় ক্রমে বেঁধে ওঠে সংসার মেহফিল চোখে অনিদ্রা পাড় ভাঙা জীর্ণ বুক গ্রাম্যমেলায় পোড়ামাটির ঘোড়া তবু্ও লাফায় মরুচরে কাঁটাঝোপের ছায়া আজ শান্তি দেয় ** ******* Pran G Basak, E- 60 A,  F/Floor, Mahavir Enclave Bengali Colony, New Delhi - 110045 .Ph.. 9310736484 . email : prang

দুটি কবিতা // তৈমুর খান

ছবি
রাজনৈতিক _____________________ সভ্যতার আলোকোজ্জ্বল রাস্তায় অন্ধকার মনেদের ভিড় আস্ফালন জিঘাংসা জাগে হীন প্রবৃত্তির আত্মরক্ষা হবে তবে? সংখ্যালঘুর প্রশ্ন বিশ্বাসের কাছে বিশ্বাস হারায় রোজ বিবেকহীন দেশে তবুও নরম গাল উজ্জ্বল রোদের আভাসে লাল শীতকালে ঈষৎ ফেটে গেলে চুম্বন ক্রিম লাগায় রোজ, যত্নআত্তি করে   ব্যতিক্রম __________________ ব্যতিক্রমকে আমি চিনি আমাদের পাড়ায় থাকে হ্যান্ডসাম দেখতে, টল্ ফিগার সব শব্দেরা ওর প্রেমে পড়ে যায় সব ক্রিয়া বিশেষণ কাঁপে সব কথা ফুলের বাগানে ফুল হয় আমি তৎসমের কাছে বসি দেশী ও বিদেশী ফণাগুলি দোল খায় ব্যতিক্রমকে তাদের মাথায় বসাই যদিও কলহে বন্ধ কথা কথাবাহিনীর উৎসব ফিরবে আবার, মুখোশ খুলে খুলে দেখি ===================== Taimur Khan, Ramrampur (Shantipara), POST Rampurhat, District Birbhum, West Bengal, pin 731224, Mobile 9332991250, India.

কবিতা // রঞ্জনা রায়

ছবি
অনুঘটক  নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে কখনো স্বপ্নের কাছাকাছি আসি  আবার নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে দূরে চলে যাই  ভাঙ্গা গড়ার এই দোলন   দৃশ্যপটে  কখনো উজ্জ্বল রোদ, কখনো মেঘলা তন্দ্রা। #  সাজানো বাগানের ইতিহাস-ভূগোল  এখন চায়  একটু নিঃশঙ্ক  বিশ্রাম ।  কারণ তোমার চোখে ইতিহাস সত্য নয়  আমার চশমায় কম্পাঙ্ক  সঠিক নয় । #  বিরোধ জন্ম নেয় রক্তের নীলনদ  মেয়েটি ডাইনি হয় অথবা ধর্ষিতা  মুম্বাই মেল এ প্রেমিকই দালাল  মাংসের কারবারে প্রেম এক অণুঘটক ।

কবিতা : অংশুমান চক্রবর্তী

ছবি
বৃষ্টিধোয়া অন্ধকার কে যেন আঁকড়ে ধরে, শুনতে চায় অফুরন্ত কথা সময় তো বেমানান, এঁকে যাই দ্রুত নীরবতা। নিজেকে গুটিয়ে রাখি, মুড়ে রাখি শুধু রাংতায় কালোমেঘ দেখলেই অদৃশ্য হয়ে যাই প্রায়। অভিমান জমে বুকে, মনে মনে চেয়ে নিই ক্ষমা বুঝি না তো ভাষা তার, করে দেয় কেউ তর্জমা। উদাসীন অনুভব শরীরের ভাষা পড়তে পারে? কে দেবে আমাকে পাঠ বৃষ্টিধোয়া গাঢ় অন্ধকারে? ============================ Angshuman Chakraborty 61 H.I.T Road. Hatpukur. Howrah 711112 Mob 9836819379

কবিতা : বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
বিদারী ছায়া পেয়ালায় রাখা আস্ত পৃথিবী বস্পায়িত হতে থাকে আঁধার নামতে কোন বাহানার প্রয়োজন হয় না নদীর বুকে বিঁধে গেছে তির নাব্যতা কখন প্রাগৈতিহাসিক হয়ে ওঠে আমার ঠোঁটে শুধুই কবরের গান গড়ে তুলছে একটি লেলিহান গর্ত। আমি অপেক্ষা করে আছি একটি ফুলে ভরা আকাশ একটি উজ্জলন্ত ঝড় আমায় ডুবিয়ে দিল  ক্ষতের পর ক্ষত দিয়ে  উলকি এঁকে পতনের অপেক্ষায় হাজারো তারা সাজানো প্লেট থেকে খুঁটে নিচ্ছে  হজম না হওয়া এক বিশাল শুন্যতা। তোমার নাভিতে গেঁথে রাখা একটি গনগনে ভালোবাসা কিভাবে বিষবৃক্ষ হয়ে  ভেঙ্গে ফেলে নিজেরই ভূখণ্ড জানা ছিলনা আমার। এক মেঘ জল উবে যাচ্ছে মৃত্যু হয়ে আর আমার উপর প্রতিফলিত হচ্ছে এক বিদারী ছায়া। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় গ্রাম পোস্ট বৃন্দাবনপুর বাঁকুড়া ফোন 9732154888

কবিতা // অনিন্দ্য পাল

ছবি
সিঁড়ি =============== সমতলে পা ফেলে মাড়িয়ে এসেছি এতদিন  পেন্সিলে আঁকা মানচিত্র  আত্মপ্রতিকৃতিও বলা যায় সেই সব রেখাগুল্মকে অথবা ভেঙেচুরে পড়া বনেদি ঠিকানা  যাই হোক, যে ভাবেই হোক সেই হিসেব  তার হালখাতা রাখাছিল সমতল ড্রয়ারে  হঠাৎ কী এক আলো নেমে এল কোথা থেকে  যেন সেই বিদেশী সিনেমার দেবতার টর্চ আর নেমে এল পাণ্ডুরঙের তকতকে সিঁড়ি  এঁকে বেঁকে উঠে গেছে যেখানে রাখা আছে  আমার শেষ শ্বাসবায়ু ... =============================== অনিন্দ্য পাল প্রযত্নে- বিশ্বনাথ পাল  গ্রাম - জাফরপুর  পোঃ- চম্পাহাটি  পিন - ৭৪৩৩৩০ থানা- সোনারপুর  দঃ চব্বিশ পরগনা 

কবিতা : সৌমিত্র চ্যাটার্জী

ছবি
ভূপর্যটন   আকাশের খুব কাছে আমাদের বসবাস নীরব সম্মতির স্বরচিত দেওয়ালে কবোষ্ণ স্মৃতিচারণ সুদূর প্রেরিত অমরসঙ্গীত আর কিছু নিশ্চিত ভ্রম এই আমাদের সাদামাটা ভূপর্যটন   আগুনের তাপে সেঁকে ভুঁইফোড় জীবনকে বাজী রেখে চোখে চোখে বিদ্ধ হয়েছে সর্পিল রোদ্দুর বিশুদ্ধ অভিমানের ফেলে আসা বাঁকে   যেসব দিনরাত কেটেছে শর্তহীন কে ভেবেছিল তারা প্রতিশোধ নেবে ফিরিয়ে দেবে সব প্রতিরোধ অন্তরীক্ষের পথে   জানবে না কেউ কেন স্তব্ধতা দু'চোখ ছাপানো কান্নার অন্দরে কেন দূরে ঠেলে দেওয়া বুকের ভিতরে জমানো বেদুইন অবরোধ...     ------------------------------------------------------ Soumitra Chatterjee Flat No. 2C , AS-2 , Ashiyana Society, Shankarpur  PO : Arrah , District Burdwan(west) , West Bengal  PIN : 713212 ।  Durgapur  ----------------------------------------------- Mobile No. 8967774027 ---------------------------------------- E-Mail ID :  poesy.soumitra@gmail.com ----------------------------------------------

কবিতা : তীর্থঙ্কর সুমিত

ছবি
সুযোগ আমি চলে আসবো এটা তুই জানতিস তানাহলে আজ সূর্যের দিকে চেয়ে প্রনামের অছিলায় একবার দেখে নিতিস অন্যায় বলে আদৌ কিছু নেই সব পাপ জমা হলে  একটা কালো দাগ ঘিরে নেয় নিজেকে আর সেই দাগে থাকে এক একটা বিষ সব বিশ একত্রে জমা হলে  যেমন আশি হয়না ঠিক সেইরকমই সব বিষ একত্রে  জমা হতে হতে কখনো কখনো অমৃত ও হয়ে ওঠে দিনকে রাত আর রাতকে গোটা দুপুর ভাবলে এক একটা বর্ণমালায় খুঁজে পাওয়া যায় এক একটা সরস্বতী সবাইকে চিনে নেওয়ার একটা দারুন সুযোগ। ============= তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুন্ডু ব্রাম্ভন পাড়া হুগলী ৭১২১৩৯ মো ৯৭৪৮০৫২২২০ 

কবিতা // জগবন্ধু হালদার

ছবি
             ঘুমকাতুরে                       মিশমিশে অন্ধকার আর উঠতি বাতাসেরা  একটা  ছিরিছাঁদহীন দেয়ালের পাশে সারারাত জটলা করে,  শিস দেয়, হাসাহাসি করে বিষাক্ত বীজ ফেলে কানাচে উল্লাসে আমি জানলায় থুতনি রেখে তারাখসা দেখি  দেখি দুমড়ে যাওয়া আড়কাঠে                                          কীভাবে ধোঁয়া জমে ঝুল হয় ঝুলে থাকা জাল কীভাবে মৃত্যু-ফাঁদ হয় স্বভাবের দেখি বিনা বাক্যে বয়স্ক গাছেরা                                            কেমন মুড়ো নাড়ে দ্বিধাহীন                                                                        , চেনা চেনা ঘাসও দোসর হয় এসবের আমার ছোট-বড়ো-মেজো আঙুলে টাঁশ লাগে খুব  আর কনকনে শীতকাল এসে জড়ায় শরীর... মুখ বাড়ানোর আগেই শুরু হয় শ্বাসটান দেয়াল আমাদের নয়, ও বাড়ির, এপাশের নিঃশ্বাসে  কান পাতা আছে তার, তেরছা চোখও এদিকেই  অগত্যা চুপচাপ আমি ঘুম খুঁজি...  

ব্যক্তিগত গদ্য ।। সিদ্ধার্থ সিংহ

ছবি
আমার মাস্টারমশাই স্যার বললেন, আজকে স্কুলে ঢুকে আগে টিচার্স রুমে এসে আমার সঙ্গে দেখা করবি। বুঝেছিস?  আমি খুব খুশি। স্যার টিচার্স রুমে যেতে বলেছেন মানে, এই স্যারও জানেন, ঘণ্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্যারেরা যেই ক্লাস থেকে বেরোতে যায়, অন্যান্য ছেলেদের মতো আমিও স্যারের কাছ থেকে চকের টুকরো নেওয়ার জন্য পিছু পিছু যাই। কোনও কোনও দিন পাই, কোনও কোনও দিন পাই না। পেলেও, ব্ল্যাকবোর্ডে অনেক কিছু লেখার জন্য কিংবা লিখতে লিখতে মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়ার জন্য স্যারের হাতের শেষ অংশটা এত ছোট হয়ে যায় যে, ধরে লেখার মতো অবস্থায় থাকে না।  তখন আমরা ওগুলিকে গুঁড়ো করে হাতের তালুতে নিয়ে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এর তার মুখের সামনে আচমকা ফুঁ দিয়ে এমন করে উড়িয়ে দিই যে, সে একেবারে সাদা ভূত হয়ে যায়। কারও কারও চোখেও চলে যায়। সেটা নিয়ে কেউ কেউ আবার শুধু মনিটারকেই নয়, ক্লাস টিচারকেও নয়, সোজা হেড মাস্টারমশাইয়ের কাছে গিয়ে কেঁদেকেটে একশা করে। তখন হাতে বেতের বাড়ি খাওয়ার জন্য অথবা ক্লাসের বাইরে নিল ডাউন হয়ে বসে থাকার জন্য রেডি হয়ে থাকতে হয়। তা সত্ত্বেও পর দিন সব কিছু বেমালুম ভুলে গিয়ে আবার যে কে সেই।  তা হলে কি স্যার আজকে আমাকে এক

কবিতা // অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

ছবি
২২শে শ্রাবণ ও রবীন্দ্রনাথ শ্রাবণ মেঘ চোখে পড়লে বুকের ভেতর যন্ত্রণার রেখাচিত্র এলোমেলো উড়ে যায় তারাদের কাছে . তারা'রা দুধের গুড়োর  মতন ছড়িয়ে পড়ে মনে হয় যেন শেষেবিদায়ের বেলা দিন ঘুরে রাত্রি, মাস ঘুরে বছর এভাবেই আসে বাইশে শ্রাবণ সাদা পালকের মতন  নরম সকালে কি করে যে আঁধার নামে ভাবতে ভাবতে চলে যায় দৃষ্টি দুটো গাছের কাছে, যেখানে গাছ সমুদ্রস্রোত উপেক্ষা করে আজ  ও সমুদ্রভূমির ওপর.... তেমন ভাবে যদি তুমি এখন ও আমাদের কাছে বট গাছের মতন শতাব্দী ধরে চিরকালীন হয়ে থাকতে তাহলে আমরা তোমার ছায়া তলে এসে দাঁড়াতাম, প্রাণ ভরে শ্বাস নিতাম বছর ঘুরে যখন বাইশে শ্রাবণ এসে দাঁড়ায় তখন ছাতিম তলা থেকে উড়ে যায় পাখি উদয়ন বাড়ির দিকে, তোমার খোঁজে....

প্রবন্ধ ।। বটু কৃষ্ণ হালদার

ছবি
২২ গজের বাইরে সৌরভ গাঙ্গুলী স্বমহিমায় মূর্তিমান   ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী সম্বন্ধে যে কোনো তথ্য আমাদের কাছে অক্সিজেনের সমান। সৌরভ গাঙ্গুলীর ক্রিকেট জীবন বিশ্লেষণ করলে,আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় ক্রিকেটে বাঙ্গালীদের অবস্থান যে কতটুকু সে সম্বন্ধে একটা সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। সেই দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিচার করলে ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলী এক ব্যতিক্রমী চরিত্র।বারবার ভারতীয় ক্রিকেটে তার লড়াইটা নতুন রূপে পেয়েছি। জীবনের শুরু থেকে লড়াইটা শুরু হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে তাকে বেঙ্গল ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচন করা হয়। ঠিক সেই সময় দাদা স্নেহাসিশ গাঙ্গুলিকে বেঙ্গল ক্রিকেট দল থেকে অপসারিত করা হয়। জীবনের ক্ষীন আশা টুকু ও শেষ হয়ে যায়। হাল ছাড়েননি তিনি। ১৯৯০_১৯৯১ সালে এই দুই বছর তার জীবনের চরম মুহূর্ত। রঞ্জি ট্রফিতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করার জন্য প্রথমবার ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলার জন্য সুযোগ পান। কিন্তু ডেবিউ ম্যাচে মাত্র ৩ রান করে আউট হন। যার ফলে ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে। আবার শুরু ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। পুনরায় তিনি রঞ্জি ট্রফি খেলতে শুরু করেন। সাফল্য

প্রবন্ধ ।। বিস্মৃত ত্রয়ী: দুর্গাদেবী, মিস এলিস ও সত্যবতী দেবী ।। টুবাই মন্ডল

ছবি
বিস্মৃত ত্রয়ী টুবাই মন্ডল "বিজন বনে কুসুম কত বিফলে বাস বিলায়ে যায়, নীরবে আহা ঝরিয়া পড়ে কেহ ত ক্ষতি মানেনা তাই। তবু ত প্রভু তাহারো তরে করুণা ধারা তোমার বয়, বরষা বারি ধরায় ঝরে, উথলে আলো ভুবনময়।"                    বাস্তবিকই এমন অনেক 'কুসুম' ই আমাদের অগোচরেই প্রস্ফুটিত হয়ে, তার রুপ, রস, গন্ধ অকৃপনভাবে বিলিয়ে দিয়ে আবার সবার অগোচরেই ঝরে যায়। নিতান্ত অবহেলাভরে তাদের নাম হয়ত বা লেখা থাকে ইতিহাসের জীর্ণ পাতার কোনো এক অনাবিষ্কৃত প্রকোষ্ঠে। তাঁরা যা করেছেম তা অর্থ বা খ্যাতির মোহে নয়, তাই হয়ত স্তাবক-ইতিহাস এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। ' বিস্মৃত ত্রয়ী' সেই বিস্মৃত ইতিহাসকে আবিষ্কার করে, শতাব্দী প্রাচীন ধুলো ঝেড়ে নতুনের মাঝে উপস্থাপন করেছে।          "বিস্মৃত ত্রয়ী' এর প্রথমার জন্ম হয়েছিল উত্তর ভারতে,১৯০৭ সালে। তদকালীন ভারতীয় রক্ষনশীল হিন্দু পরিবারের সন্তান হয়েও যে উন্নত, প্রগতিশীল, সংষ্কারমূক্ত এবং আধুনিক মনের পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন তার উপজীব্য ছিল নির্জলা স্বদেশপ্রেম। তার দেশের প্রতি ভালোবাসা পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হল যখন তিনি তদকালীন ভারতের প্রখ্যাত নবীন স্ব

কবিতা : রোনক ব্যানার্জী

ছবি
     ভেদ    ——————— একচ্ছত্র সাম্রাজ্য পড়ে রয়েছে পাশে, স্তাবকের তাঁবেদারি মাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে দুর্বোঘাস দুর্বোধ্য বিশেষণ                         উষ্মার প্রাচীরে ফাটল কালো খামের চিঠিতে প্রেরকের ঠিকানা অনুপস্থিত; মূলরোমহীন শিকড়ের পাশে প্রগলভতার পরিখা, সার্চলাইটের আলোয় উচ্চাকাঙ্খিত জীবনের অবসান,              মৃগয়াফেরত আসামি  অস্থিমজ্জার বাদামী স্রোত বিশৃঙ্খলার ওপর বয়ে চলেছে,  গড় পরিস্থিতির পরীক্ষালব্ধ ফল জলবায়ুর বিপরীত,            বিপ্রতীপ কোণে দাঁড়িয়েও সুফল আসেনি,  হঠাৎ এক দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সহানুভূতি জুটে যায়।            

কবিতা । । শম্ভু সরকার

ছবি
                ফিনিশিং পয়েন্ট ঐ চেয়ে দেখ অমল দিগন্ত জুড়ে পড়ে আছে ফিনিশিং পয়েন্ট শত হতাশা পিছনে ঠেলে আরেকটু ছুটতে পারলেই আমরা জিতে যাবো, আমাদের জিততে হবে অমল দুঃখিনী মায়ের মুখটা মনে করে সাহসে বুক বেঁধে নে ভোর রাত থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ঐ দেখ অন্ধকারে এঁটো কল তলায় একটা শীর্ণ ছায়া কেমন পরম মমতায় গুছিয়ে নিচ্ছে সংসার অভুক্ত কাঁপা কাঁপা হাতে সেলাই করে চলেছে আমাদের দৈন্যতা দিন মজুরের ভিড়ে ঐ চেয়ে দেখ একজন রুগ্ন পিতা প্রাণপণ কোদাল চালাচ্ছে, যেন মাটির নীচে খুঁজে চলেছে এক কাঙ্খিত ভবিষ্যৎ যারা স্বপ্ন দেখে তাদের থেমে যেতে নেই অমল একবার শেষ সীমা ছুঁতে পারলেই মাটি ফুঁড়ে উঠে আসবে গগনচুম্বী সিঁড়ি আমরা হাত ধরাধরি করে আলোর দিকে হাঁটবো আরেকটু জোরে ছোট অমল  দুর্গম পথ পেরিয়ে ঐ চেয়ে দেখ দিগন্ত জুড়ে পড়ে আছে ফিনিশিং পয়েন্ট। ============== Sambhu Sarkar Chakdaha, Nadia Mobile 9126434148

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪