প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

বিধান দিলেন একশো দেড়শো তিনশো শব্দে বাঁধার
সত্যি বলছি, হর-হামেশাই দেখছি চোখে আঁধার!
লিখতে গেলে গল্প আরও শব্দ করলে দাবি
বিধান ভেবে যারপরনাই খাচ্ছি বেবাক খাবি!
শুনছি শব্দসংখ্যা কমেই আসল এলেম পাই
এদিক পত্র ব্লগজিন বইয়ে গাছ না কি বনসাই!
আরও বেপরোয়া হলেন – বিধান এল বিশ দশ
সত্যি বলছি, ঠুকছি মাথা – শব্দ কি আর হয় বশ!
সংজ্ঞা বৈশিষ্ট্য আদি লাগিয়ে থাকেই তাক
তাও থিওরি-প্র্যাকটিক্যালে বরাবরের ফাঁক।
এদের অনেক বৈশিষ্ট্যেই ছোটগল্পের শুরু,
তবে এরা আরও তীব্র গন্ধে ভুরুভুরু!
তীক্ষ্ণ অমোঘ অনুভূতি যারপরনাই মোচড়
ক্ষুদ্র অবয়বেই এরা করায় বহুৎ গোচর।
আবেদনে এদের নাকি জুড়ি মেলাই ভার
চিকন ফলা ঢের মজবুত এলেম বেশি কাটার।
পাঠের সময় স্বল্প ভেবে গল্প না হয় মাটি,
সারাংশ না গুটোয় লাটাই গল্প-ঘুড়ি কাটি।
গল্প যখন, খোঁজার সেটাই – দশ কি বা শ'-হাজার
শব্দ যা হোক, গল্পপাঠের অনুভব হোক রাজার!
* * * *
অরবিন্দ পুরকাইত
গ্রাম ও ডাক – গোকর্ণী,
থানা – মগরাহাট,
জেলা – দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা,
ডাকসূচক – ৭৪৩ ৬০১।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন