বিশ্ব সঙ্গীত দিবস
অমিতাভ সরকার
পৃথিবী শরীর জ্বালা ক্রোধ স্তবপান
বেসুরো অসুখ ছবি এবেলার গান।
একলা মনের ঘর
গলা ছেড়ে গান ধর
দুঃখ রোদের ব্যথা প্রেম খানখান।
উৎসবের দোকানদারি
সকালের অকালেতে ফোনে বাসা
আশা শুভাকাঙ্ক্ষা।
স্মৃতির ভাঁড়ার ঘর সঞ্চয়ে সাড়া ফেলে যায়।
চেনা অচেনার ভিড়ে আসা-যাওয়া
ছবি আঁকা সেরা সন্দেশ।
দেখানোর পৃথিবীতে দোকানদারির খেলা বিবেকে।
একলা মনের ঘরে চির অমানবিকতার দর
ভালোবাসা আলো বাঁশি হাসি পেয়ে রেগেমেগে
ফোনের গরম-ভরে কাজ ছেড়ে অকাজের ঝাঁপি ভরে চায়।
দেখা চাওয়া ছবি পাওয়া রোদ মাখে আঙুলের চরম অদেখায়।
তবুও চলার বেলা ব্যস্ত কাজের ধারা মনটা সে
চেনা বাসা পাশে বসা রোজ পেতে চায়।
ছবি পাওয়া ঠিকই চলে।
মন পাওয়া রোজ সেটা না-পাওয়া।
আর কতদিন?
জীবনধারা
সিলিন্ডারের অক্সিজেন আজ জীবন মেপে রয়।
ছোঁয়াছুঁয়ি ছোঁয়াচে রোগ মনেতে সংশয়।
বাতাসে ভয় মনের পাড়া একলা বিজন সুর,
মুখ ঢাকা মন জীবন ছোটে
তাও সে কি হয় দূর?
মানুষ বোঝে সবটা যোঝে
অবুঝ তাতেও দুখ
একটা তো নাক ডাক না দিলে
বাঁচার আর কি সুখ!
অস্পৃশ্য
আকাশের পথ চলা শেষ হয় আরও একবার।
মনের গহীন কোণে তারাদের তারাবাজি।
নবমীর শেষরাত; ঝলমলে রোশনাই।
একলা রাতের চাঁদ ম্লান হয়ে কেঁদে ফিরে যায়।
গ্রহণ লাগলো বলে।
সুরাসুরে ফুটবল খেলা।
পূর্ণিমা রাতে আজ মাটিতেই ওঠানামা
অসহায় দলে।
জীবনের স্কুলসীটে বরফের শীতলতা।
শীত তো পড়েই গেছে!
আসল পোশাক ছেড়ে কাজগুলো কাজ শেষে দাড়ি টানে অকাজের।
খাদ্যশালায় রোজ খাবারেরা লাইনেই পাত
পাড়ে।
সব্বার খাওয়া ঠিক হয় না।
চাকরি যাবার বেলা লাইনে।
বেলাইনে চলে এসে গাড়ী ঠিক পথ পেয়ে যায়।
জীবন চলার দলে অচলা।
মাস্কগুলো তবু আজ অধরা।
কথা
এতো বেশি কথা সেটা ভালো কি?
মাড়ি-চোয়ালের ঘষা লাগছে!
এছাড়া হাওয়াও সেটা চাইই চাই।
ঠোঁটদুটো ওঠানামা কতবার!
মুখদেরও খাটনি কি খুব কম?
রোজ ওরা সুখে-দুখে বকছে।
এত কথা রোজ রোজ বললে
গলা দিয়ে জল কিসে নামবে?
চারিদিকে এতো এতো চিৎকার।
কত কথা কতদিকে বাজছে।
ফোনেদের ডিউটি তো সবটা।
এদের তো বিশ্রাম দরকার।
পৃথিবী নিজেও ছোট বাচ্চা।
সারাদিন বকা শুনে ধুঁকছে।
অনলাইনেই তার এত ক্লাস।
বেশ কম ছিল অফলাইনেও।
এতো বেশি কথা যদি অকাজে,
গাল,মুখ বিদ্রুপ করবে।
সত্যি যখন কোনো দরকার
কথা নিজে কারো কানে ঢুকবে?
-------------------
অমিতাভ সরকার
বারাসাত, উত্তর ২৪ পরগণা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন