পোস্টগুলি

৫৪তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪২৯ আগস্ট ২০২২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রবন্ধ ।। অনুগ্রহের অর্থনীতি ও তার বিষময় ফল ।। রণেশ রায়

ছবি
অনুগ্রহের অর্থনীতি ও তার বিষময় ফল  রণেশ রায় ভূমিকা: খুবই দুঃখজনক যে রাষ্ট্রের গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সমাজে তাঁদের মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করা, তাঁদের মধ্যে যে সুপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে তার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানো, বিপুল জনশক্তিকে সংস্কৃতিবান করে তোলার বিষয়টা আজ ভারতের মত তথাকথিত সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে শাসকগোষ্ঠীর হাতে হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।গরীব সাধারণ মানুষের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়ে তাকে অনুৎপাদনশীল খাতে প্রবাহিত করে দেওয়া হচ্ছে।এটা শুধু ব্যক্তি মানুষকে জাহান্নামে পাঠাচ্ছে তাই নয় সমাজও জাহান্নামে যাচ্ছে। মানুষের অধিকার বোধ আত্মসম্মানবোধ ধ্বংস হচ্ছে। মানুষ নিজের ওপর ভরসা না করে পরজীবী অনুৎপাদনশীল জীবে পরিণত হচ্ছে। একে কেন্দ্র করে লুঠ চুরি দাঙ্গা বেড়ে চলেছে। দেশের অর্থনীতি একধরনের খয়রাতির অর্থনীতিতে পরিণত হচ্ছে যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে।মেহনত করে নিজের অধিকার বজায় রেখে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ লোপ পাচ্ছে। মানুষের ইজ্জত বলে কিছু থাকছে না।সঠিক পথে উন্নয়নের দিশা থাকছে না, তা বিপথে চালিত হচ্ছে। শ

কবিতা ।। স্বাধীনতার জাদু ।। অবশেষ দাস

ছবি
স্বাধীনতার জাদু অবশেষ দাস চাঁদ ওঠেনি ফুল ফোটেনি, কদমতলা খাঁ খাঁ সর্বনাশের আর বাকি নেই,চাষের কোদাল বাঁকা! কাস্তে-কুড়ুল সবই ভোঁতা, ক্যাচক্যাচানি কাঁচি তারপরেও ইচ্ছে তো হয়,ময়ূর হয়ে নাচি। চাঁদ ওঠেনি ফুল ফোটেনি, কদমতলা খাঁ খাঁ হাটে থেকে আনতে গেলাম, হিমসাগরের ঝাঁকা। ঝাঁকা খুলে অবাক হলাম, কিচ্ছুটি নেই তাতে দুপুরবেলা মা রেঁধেছে ,গরম ফ্যানে ভাতে। চাঁদ ওঠেনি, ফুল ফোটেনি, কদমতলা খাঁ খাঁ দেশের ছবি যত্ন করে রঙতুলিতে আঁকা। একটা দিঘি জল টলমল,শালুক হাসে জলে কদমতলার মুখটা কেমন বঞ্চিতদের দলে। পঁচাত্তরের স্বাধীনতা দেখতে দেখতে বুড়ো সমাজপতি পাকা মাথা খাচ্ছে মাছের মুড়ো। বাকি সবাই আমড়া আঁটি, চুষতে থাকে শুধু পঁচাত্তরের স্বাধীনতা নদীর মতো ধূ ধূ! জলের মতো বছর যাচ্ছে , সময় যাচ্ছে হু হু মানুষ এখন মানুষ তো নেই, সবাই যেন ঘুঘু! জল পড়ে না,পাতা নড়ে না, আঙুল শুধু নড়ে সাধারণের জীবন কাটে নড়বড়ে সব ঘরে। প্রতিবাদের তুফান ওঠে, ওইটুকু যা আশা দিকে দিকে বাজতে থাকে, হাড় কাঁপানো তাসা। কাকে ছেড়ে কাকে ধরি, পঁচাত্তরের ভিড়ে আমরা সবাই অপেক্ষাতে আসবে তাঁরা ফিরে! দুর্নীতি

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। বিকাশ দাস

ছবি
  স্বাধীনতা   বিকাশ দাস স্বাধীনতা...  আকাশের মেঘ ছায়া রোদ্দুর। শস্যের জ্যোৎস্না দূর বহুদূর রাত্রি মধুর। কিশোর কিশোরীর রমণ সাঁতার।সুখের উল্লাসে সরসী। রুপালী বৃষ্টি দুপুর। মানুষের উত্তরণ সতেজ সাহসী হাসি। প্রজন্মের নির্ভীক বটবৃক্ষ ছায়া তরুণ তরুণীর অনিরুদ্ধ সংলাপ। উঠোন ঘর-দুয়ার জননীর সৃজন মায়া। স্বাধীনতা...  উদ্যান ঘরবাড়ি। বৃদ্ধগাছ লতাপাতার গান। বাতাসের অরণ্য অভিসার নিজের ইচ্ছেই বলা-কওয়া লেখা।কবিতার খাতায় ইষ্টি শব্দের সম্ভার। দিগন্তের হাতে হাতে তেরঙ্গা। জ্বলন্ত সূর্যের অঙ্গবাস। শিরদাঁড়া চেতনার  সিঁথির সিঁদুর শানিত মাটির রক্তাক্ষর ধ্বনিপ্রতিধ্বনি অতর্কিত চমত্কার।   স্বাধীনতা...  বুকের ফুসফুসে সৃষ্টির জন্ম। প্রতীক্ষার আগুনে ঝলসে বলিদান একতার দৃষ্টান্ত ­ইশতেহার। সলতে পোড়া সকাল সন্ধ্যার খতিয়ান।   রক্ত ঘাম শ্রম বিশ্বাস বাসনার মিছিলে মিছিলে ক্ষুধা-জ্বালার বহ্নিতাপ ধানের সবুজে সাদা ভাতের স্বাদ। নির্ভরতার নিঃস্বার্থ হিতৈষীর ভাপ।    =============== বিকাশ দাস /কলকাতা 

আঞ্চলিক ভাষার কবিতা ।। অ মা একট' স্বাধীনতা লুবো ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
অ মা একট ' স্বাধীনতা লুবো                সবিতা বিশ্বাস    পটল মাঝির ছোঁয়াট' বড় বেবুদা দমে কাঁদেই চইলেছ্যে নাক্যে মুখ্যে সিকনিতে লটরপটর কইরছ্যে ছোঁয়াটর কুনো হুঁশ লাই এক হাট ভদ্দরলকের মাঝে উদোম পাছায় দড়িতে ঝুলানো তেরঙ্গা পতাকা আর বেলুনগুলানের দিকে তাকায়ে দমে কাঁদেই চইলেছ্যে অ মা আমি স্বাধীনতা লুবো একট' স্বাধীনতা লুবো যিমনি ছিলা তিমনি মা বঠ্যে ভর ভরন্ত পুয়াতি ছিঁড়া ত্যানা পোইরে বাঁশের আগায় গিঁঠা মারা ফতাকাট'র দিকে হাঁ কইরে ভাইলে আছে ভাবটা এমুন  গিঁঠা খুললেই উয়ার মুখে টপস টপস কোইরে ভুজুং ময়রার দুকানের রসগুল্লা পইড়ব্যেক আরে বাবা স্বাধীনতাট' কি অতই স্বস্তা? ইবার আবার স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর তার লেইগ্যে এত তোড়জোড় মদ মাংস খায়্যে রাত জাইগ্যে পধানের স্যাঙ্গাত প্যাঙ্গাত সোব খাট্যে খুট্যে পুরা মহল্লার ভোল পাল্টাইছ্যে শহর থিক্যে ফটোক বাবু আইসেছ্যে রিপোটার বাবু আইসেছ্যে ইখন উ ছোঁয়াট' সব ভন্ডুল কইরল্যে চলব্যাক কেনে? পধানের ডান হাত উঁই বাগু সদ্দারের ব্যাটা মতি মস্ত বড়

কবিতা ।। স্বাধীনতা পঁচাত্তরে ।। সৌমিত্র মজুমদার

ছবি
  স্বাধীনতা পঁচাত্তরে   সৌমিত্র মজুমদার   স্বাধীন আমরা সত্যি ঠিকই       শুধুই খাতার মধ্যে, জীবন সবার বইছে দেখো       কঠোর, কঠিন গদ্যে ; আঁধার দেখেও বলতে যে হয়       ভীষণ রকম আলো, বলবো কাকে, শুনবেটা কে       জ্বালো, আলোক জ্বালো ক্রমেই যেন যাচ্ছে থেমে       জীবন নদীর ঢেউটা -- কিসের মোহে আর কতোদিন       ধরবো মেকি ফেউটা ! স্বাধীনতার একটি সে দিন       যাবে, আবার আসবে, কেউ ঘুমাবে টাকার টিলায়       কেউ বিপদে ভাসবে ; ভাবতে গেলে কণ্ঠ রোধ হয়       বুকে জমাট কান্না অকালেতে ঝ'রছে দেখি       লক্ষ চুনী, পান্না।  ---------------------------------------- প্রেরক : সৌমিত্র মজুমদার পূর্বাচল, রহড়া, উত্তর ২৪ পরগনা।

কবিতা ।। আমার বসত ।। সুমিত মোদক

ছবি
আমার বসত সুমিত মোদক বুকের ভিতর আবেগ ছিল , ছিল ফুটন্ত এক ফুল ; তুমি তাকে পিষে মেরেছো খুঁজেছো আমার ভুল ! আমার দুটো ডানা আছে স্বপ্ন আছে বাঁচার ; বেঁচেই আমি থাকবো জানি জীবনটা কেবল দেখার ; এক দিন তুমি একা হবে , পাগল হবে … তোমার ভুল সঙ্গে নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াবে ; আমি তখন আকাশ ছুঁয়ে বাতাস হবো ; তোমার জন্য দু ফোঁটা জল রেখে যাবো … আমার হাতে রামধনু রঙ কালপুরুষের তরবারি ; ধ্রুবতারার আলো নিয়ে সাজিয়ে নেবো হৃদয়-বাড়ি ; পঁচাত্তরের গল্প শোনায় এ মাটিরই মানুষ ; তাদের সঙ্গে আমার বসত স্বাধীনতার সুখ ; অন্ধকারে আলোর মেলা  আলোর মধ্যে আমি ; নিজের হাতে খুন করেছো শেষ করেছো তুমি ; একে একে খসে পড়বে সমাজের শুকনো পাতা ; সভ্যতার নতুন সুরে নতুনের আসন পাতা ; তোমার আমার সে দিনের গল্প হবে শেষ ; বর্ষা ভেজা প্রেমিক যুগল দেখে স্বপ্নের রেশ ; আমিও এখন বৃষ্টি ভিজি বৃষ্টি আনি মনে ; সৃষ্টি নিয়েই জেগে থাকি সরল সকল প্রাণে । ==================

কবিতা ।। পঁচাত্তরে স্বাধীনতা ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
পঁচাত্তরে স্বাধীনতা   অনিন্দ্য পাল  পঁচাত্তর বছর পেরিয়ে এসেছি কোনও স্বপ্ন নয়  থামেনি তবু সময়ের নাগরদোলা  থামার কথাও ছিল না লেখাজোকা দলিল দস্তাবেজে  তবু যেন কোথায় বাঁধা পড়ে আছি দাঁড়িয়ে আছি  কোনও ঝুলন্ত ব্যাবিলনে,  পর্তুগীজ, মোগল, ইংরেজ চলে গেছে সনাতনভূমি ছেড়ে  রং বদলেছে চামড়ার, পাল্টে গেছে পোষাকের মাপজোক তবু  সিংহাসন থেকে চলকে ওঠা আগুন সেই একই রকম পোড়ায়  চোষকের জ্বালা সেই একই রকম রয়ে যায় শতাব্দী পরেও  দেশীয় কাঁটা চামচের ফাঁকে আজও স্পষ্ট লেগে আছে  পাঁশুটে রক্ত  রক্ত বোবা হলেও ইতিহাস লিখে রাখে অদৃশ্য প্যাপিরাসে  দেশীয় ড্রাকুলার দাঁতের দাগ মুছতে পারি না কোনও অর্চনায়  অথচ লোভরাক্ষস নিয়ম করে অস্থিমজ্জা চুষে খায়,  অক্ষমদৈত্যরা বেড়ে উঠেছে ঘুনপোকাদের মত  ভাগাভাগি করে খায় পুষ্টিকর সাধারণ জনসংখ্যা যত  বিচারক তবু বলে ওদের দোষ নেই কোনও  যোগ্যতা লাগে বিশেষত ওরকম হতে জেনো  এত খাদ্য, এত দুর্বল বিপন্নতা সাজিয়ে দিয়েছ অসহায় পোর্সেলিন প্লেটে  খাওয়াটাও তাই বিশেষ কিছু দোষনীয় নয়।  দুঃখ হয়?  তবে চলে এসো তুমিও, বসে পড় পাশের চেয়ারে  ভরে উঠবে পকেট, পেটে থাকবেনা এক ছটাকও ফাঁকা জমি  আরও যদি কিছু চাও, তবে পরে নাও

স্বাধীনতা দিবসেরর দুটি কবিতা ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
  স্বাধীনতা দিবসের দুটি কবিতা ।। প্রতীক মিত্র অক্ষর আর স্বাধীনতা অক্ষরগুলোকে উদাসীন হতে বলি। তারা হতে পারে না মানুষের মতন করে। তাদের কিন্তু বিবেক, হাত-পা নেই। তারা ঠিক মেপে নেয় হাওয়া রাজনীতির : কোন দিক থেকে কোন দিকে কতটা জোরে সে বইবে… তবে অক্ষরগুলোর মিলও থাকে মানুষগুলোর সাথে। মানুষগুলোর মতনই তারা অনেক কিছু জানলেও স্বাধীনতা বলে যে  কিছু একটা আছে সেটা তারা জানেনা জানেনা যে এভাবে স্বাধীনতা নষ্ট করা যায় না। অথচ বৃষ্টির বাড়তি জল ছাদের পাইপ দিয়ে ধুয়ে যাওয়ার মতন স্বাধীনতা নষ্ট হতে থাকে, স্বাধীনতা ধুয়ে যেতে থাকে।   স্বাধীনতার বার্ধক্যে আমরা ভালো আছি  এমনটা ধরে নেওয়াই ভালো। নইলে কে বা কারা কোথ্থেকে এসে ধরে নেবে, ধমকাবে, মারবে হয়তো মারতে মারতে মেরেই ফেলবে বলা যায় না। বলা কোনো কিছুই যায় না; মানে এই যে আসলে আমরা ভালো নেই স্বাধীনতার বার্ধক্য চলে এলেও। অনৈতিকতা, অরাজকতা, অসততা, অমানবিকতা ---এরা ভালো আছে। এদের সদাগরী করে যারা তারাও ভালো আছে। অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। দেশ এই জন্য এত রক্তপাত এত বলিদানের  ফলস্বরুপ স্বাধীন হয়নি। এখন এই দেশে দ্বেষের গন্ধ। এখন এ দেশে পরাধীনতার ছন্দ। অগত্যা ঝামেলায় না জড়ি

দুটি কবিতা ।। আবদুস সালাম

ছবি
  দুটি কবিতা ।। আবদুস সালাম মাটির কাছাকাছি তালের আটি চোষা দিনগুলো ভুলতে পারি না পাড়ার নুরফার মা গুনে গুনে আঁটিগুলো ফেরত দিতো ক্ষুধার বন্ধুত্ব চিরদিনের জং ধরা ফুটো টিন   দিয়ে বর্ষা নামে বাড়িতে নিজ হাতে লাগানো আম গাছটার সাথে কথা কই বাসি ভাত, কাঁচালঙ্কা ,মসুর ডাল সিদ্ধ এভাবেই চড়ুই  আর ছাতারেপাখিরা ভাগ্ বসায় আমানিটুকু গাইয়ের পাওনা মাটির কাছাকাছি  আসি মায়ের সাথে দু'দন্ড কথা বলি, শূন্যস্থানে সেই দুটো অক্ষর আর নেই দক্ষিণা  মেঘ এসে ভিজিয়ে দেয় স্নেহের উঠোন এভাবেই বৃদ্ধ হওয়ার ক্ষণগুলো উঁকি মারে বোধের দরজায় কচুরিপানায় মজে যাওয়া  পুকুরে চুনো মাছের জলকেলি ###   ধর্ষিত ধন্যবাদ বিপ্লবের গান বাজে অবিশ্বাসের পাড়ায় মিথ্যার অপভ্রংশে পালিত হয় ধন্যবাদ চড়াই-উৎরাই ভেঙে ভেঙে বিশ্বাস  হাঁটে জলের  তলায় লুকিয়ে আছে আর্সেনিক নিষিদ্ধ প্রান্তরে খেলা করে অবুঝ বিশ্রাম মৃত্যুরা শিখে গ্যাছে যন্ত্রণার ভাষা ফি বছর 15ই আগস্ট এলে ধর্ষিত স্বাধীনতা র নবীকরণ হয় ### আবদুস সালাম  প্রয়াস শ্রীকান্তবাটি মাদারল্যান্ড ডাক রঘুনাথ গঞ্জ মুর্শিদাবাদ ৭৪২২২৫

কবিতা ।। হায় স্বাধীনতা ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
  হায় স্বাধীনতা            জয়শ্রী সরকার একটা নয়, দু'টো নয়, পঁচাত্তরটা বছর পার করে দিলি মা আমার স্বদেশ, আমার স্বাধীনতা ! রক্তক্ষরণ হয়েছে অনেক, ছড়িয়েছিস্‌ অফুরান অশ্রু, কী পেলি ? ইতিহাসের পাতা উলটে যা ------- মহাসমারোহে পালন করতে চলেছি স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী, শুধু চেতনায় ভুলতে বসেছি তাদের কথা, যাদের আত্মবলিদানে আজকের এই স্বাধীনতা । চারিদিকে শুধুই মিথ্যার বেসাতি । আমার দেশ, আমার জন্মভূমি ! বিজ্ঞান তোকে গরিয়সী করেছে, ড্রয়িংরুমেই বিশ্বায়ন । তবু, এত বারুদ কেন তোর ভান্ডারে ! আন্ডারওয়াল্ডের বাজারটা একটু বেশীই রমরমা, বণিকবিশ্ব হাতছানি দেয়, ওপরের আধপোড়া মানুষগুলো কবে যে থিতু হবে মৃত্তিকার শিকড়ই তা জানে ; এত অশ্রু, এত অন্ধকারে দেশ ------- তবু, আনন্দের বেলোয়াড়ি বন্যায় মাতোয়ারা । ভারতবর্ষ, আমার মা, আমার জন্মভূমি ! স্বাধীনতার এতগুলো সূর্যোদয় পার করলি ----- তবু, তোর চোখে জল, শূন্য বুকে এক পাহাড় জমাটবাঁধা অভিমান ! কত আজনবি পেয়ে গেল রাজতিলক ----- তবু, তোর বীর সন্তানকে দিতে পারলি না যোগ্য স্বীকৃতিটুকুও । আমরা যেন সেই ফিনিক্সপাখি, ধোয়াশাচ্ছন্ন হাজার বছরের ভস্ম ভেদ করে যারা আজকের দিনটাতে ফিরে ফিরে আস

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। বিশ্বজিৎ কর

ছবি
  স্বাধীনতা!  বিশ্বজিৎ কর।    স্বাধীনতা, তুমি কেমন আছো - পঁচাত্তর বয়সে ? স্বাধীনতা, তোমায় পড়ে মনে - জীবন ক্যানভাসে ! স্বাধীনতা, তোমার হৃদয়ে - কেন নখের আঘাত ? স্বাধীনতা, তুমি আক্রান্ত - কেন এই উৎপাত!   স্বাধীনতা, মৌলবাদ সক্রিয় - তোমার কবিতায়,  স্বাধীনতা, জানো কি তুমি - মানুষ আজ অসহায়!  স্বাধীনতা, তুমি গর্জে ওঠো - আপন মহিমায়,  স্বাধীনতা, তুমি ভাস্বর- ত্রিরঙ্গা পতাকায়!  ও স্বাধীনতা, তোমাকে বলছি - আমরা ভারতবাসী,  সবকিছুর উর্ধ্বে ভারতবর্ষ - দেশকে ভালোবাসি!    *****   

কবিতা ।। আমাদের পতাকাটি তেরঙা জমজমাটি || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ছবি
  আমাদের পতাকাটি তেরঙা জমজমাটি  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ভারতের পতাকাটি বিবিধের মাঝেই খাঁটি পরিচয় শীর্ষে তোলে দুশো বছর ধরে ব্রিটিশের শিকল পরে কেটেছে কে আর ভোলে ? পতাকার তিনটি বরন আসলে দেশের ধরন তেরঙা নামটি যে তার উপরে গেরুয়া ছোপ মাঝে তার শুভ্র আরোপ নীচে পাই সবুজ বাহার। অশোকের চক্র মাঝে চব্বিশ দাগেও সাজে নীল রঙে রাঙা আছে ন্যায় ও ধর্মনীতি গতিসুখ আর প্রগতি মানে তার বুঝি পাছে। গেরুয়া প্রতীক ত্যাগের বৈরাগ্য-অনুরাগের মহাজন কথাই সেটা সাদা মানে পবিত্র মন সত্য,শান্তি কথন এদেশের আদর্শ তা। সবুজে তারুণ্য ভাব নির্ভীক কর্মী-স্বভাব শপথে এগিয়ে চলার পতাকা যখন ওড়ে থাকি সব স্বপ্নঘোরে স্মৃতিকথা শুধুই বলার। ভারতের ইতিহাসে এ ধ্বজা দিব্য হাসে শহিদের মুখের মেলা মহান এই দেশের নীতি মিলনের মধুর গীতি পাখি গায় দিন দু-বেলা। প্রগতি সাম্য কথা ঐক্যের মালায় গাঁথা জনগণ হৃদয়ে বই জাতীয় দিবস এলে সবকিছু হিসেব ঠেলে আমরা মিলিত হই। তেরঙা জাতির সুরে দিবসের প্রহর জুড়ে ওড়ে ওই প্রণাম করি কেউবা স্যালুট করেন বেদিতে ফুলমালা দেন ধ্বজাটি বুকেই ধরি। ================== জয়ন্ত চট

কবিতা ।। সহজে শহিদ ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
সহজে শহিদ   অরবিন্দ পুরকাইত ভাবছ কেন , পথের ধারে শহিদবেদি পাবে নেতাদের কি মরলে চলে , চলবে দেশ কীভাবে !   মরে গিয়ে অমর হওয়া তাতেই যাবে তরে অমর হওয়া সোজা তো নয় , সহজে তা জোটে ! গুরু দায় তো নিলাম সেধে দেশের সেবার তরে দেশের জন্যে প্রাণটা দিতে কুণ্ঠিত নই মোটে । কিন্তু এটা ভাবতে হবে আবেগ দূরে রেখে কর্মী মেলে হাজার লাখে নেতা মেলে ক ' জন ! নেতার দামি প্রাণ রক্ষা একান্ত প্রয়োজন শিক্ষণীয় সেটাও কি নয় , ক ' জন সেটা শেখে ! দেখো আমরা জন্মনেতা – যে দলেতে যেমন , স্বাধীন দেশে শহিদ হওয়ার সুযোগ কোথায় তেমন ! বিরল সেই সুযোগটা পাবে , জীবন পাবে মানে পরিবারের বাড়বে যে মান শহিদের কল ‍ ্যাণে ।              *             *             * অরবিন্দ পুরকাইত , গ্রাম ও ডাক — গোকর্ণী , থানা — মগরাহাট , জেলা — দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা , ডাকসূচক সংখ্যা — ৭৪৩ ৬০১ ।

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪