পোস্টগুলি

৭২তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। একুশ মানেই ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
একুশ মানেই জয়শ্রী সরকার  একটি দিনের একুশ তো নয়, একুশ সারাবছর ভাষাশহিদ দিবস মানেই সত্যি প্রাণের বাসর । এই ভাষাতেই কাঁদি-হাসি, প্রাণের পরাগ মাখি এই ভাষাতেই স্বপ্ন-সুখে দুঃখ-দৈন্য ঢাকি ! বাংলা মায়ের দামাল ছেলে রবীন্দ্র-নজরুল এই ভাষাতেই আগুন-আলোয় ফোটাচ্ছে যে ফুল। বাংলা মায়ের প্রাণের ভাষা ভায়ের রক্তে লাল একুশ মানেই ভাষাশহিদের স্মরণ করার কাল ! একুশ মানেই মনের মাঝে আমরা অকুতোভয় একুশ মানেই বিজয়োল্লাস, ভাষাশহিদের জয় । কোন্ ভাষাতে গাইবো মাগো দেশপ্রেমের গান ? মুখের ভাষা , বুকের ব্যথা বাংলা আমার প্রাণ ! একুশ মানেই আলোর দিশা নতুন চর্যাগান , একুশ মানেই অসীম আকাশ উড়ন্ত এক প্রাণ । একুশ মানেই ভোরের আজান, মোহন বাঁশির সুর একুশ মানেই সন্ধ্যাপ্রদীপ, আনন্দে ভরপুর ! *************************************** জয়শ্রী সরকার,  দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬

কবিতা ।। একুশ আমার ।। জগদীশ মন্ডল

ছবি
একুশ আমার জগদীশ মন্ডল একুশ শুধু সংখ্যা নারে স্বপ্ন দেখানো গান, রফিক,সালাম ভাইয়ের রক্তে জাগিয়ে রাখা মান। একুশ আমার শহিদ বেদী প্রতিবাদের তুর্য, ফাগুন দিনে আগুন ঝরায় ভোর বেলাকার সূর্য। একুশ আমার ফুল ফোটানো টগর,গোলাপ কুঁড়ি, মন্দির,মসজিদ,গীর্জাকে এক ভাষার সুতোয় জুড়ি। একুশ মায়ের উষ্ণ কোলে শিশু হাসে খিলখিল, নীল আকাশে রামধনু রঙ  চাঁদের আলো ঝিলমিল। একুশ আমার ভাইয়ের রক্ত কবুল করা জান, আট কোটি লোক বাংলা ভাষায় হই যে মহিয়ান। """" """"""""""""""" জগদীশ মন্ডল।।নতুন পুকুর রোড।।চড়কডাঙা।।পোস্ট::বারাসাত।। কলকাতা::700124.

কবিতা ।। বাংলা আমার প্রাণের ভাষা ।। দীনেশ সরকার

ছবি
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা      দীনেশ সরকার যে ভাষাতে কাঁদি-হাসি, যে ভাষায় গাই গান, যে ভাষাতে কইতে কথা প্রাণ করে আনচান, সে-ই তো মায়ের মধুর ভাষা, আমার মাতৃভাষা, আ-মরি সেই বাংলাভাষা, আমার ভালোবাসা। এই ভাষাতে মাঝি-মাল্লা গায় যে ভাটিয়ালি, এই ভাষাতে উদাস বাউল ভরায় মনের ডালি। এই ভাষার-ই সাধনাতে নোবেল পেলেন রবি বিশ্বমাঝে স্বীকৃতি তাঁর, হলেন বিশ্বকবি। উচ্চশিক্ষা, কর্মসূত্রে শিখি ভাষা কত, ভিন্‌ভাষাতে কইতে যে হয় কথা অবিরত। ঘরে ফিরে মাতৃভাষায় মনের আগল খুলি শান্তি-সুধায় দেয় ভরিয়ে বাংলাভাষার ঝুলি। বাংলাভাষার আঁচলভরা শত-সহস্র ফুল সুনীল-শক্তি, জসিম-শামসুর, রবীন্দ্র আর নজরুল। হাজার-হাজার লেখনিতে সমৃদ্ধ এই ভাষা, বাংলা আমার প্রাণের ভাষা, আমার ভালোবাসা। ************************ দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর---- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। ভাষাদিবস ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
ভাষাদিবস গোবিন্দ মোদক গাছের আছে নিজের ভাষা  আছে ভাষা পাখির –  কীটপতঙ্গের ভাষা আছে  তাইতো ডাকাডাকির।  তোমার আমার ভাষা আছে  মধুর বাংলা বুলি – যে ভাষাতে কাঁদা হাসা  কেমনে তা ভুলি!  এই মাতৃভাষার দাবি নিয়ে  রাখতে ভাষার মান – রফিক সালাম আব্দুল জব্বার  বরকত দিল জান।  ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ  বুকের রক্ত-ঋণ – বাংলা ভাষায় নতুন করে  শপথ নেওয়ার দিন।  বাংলা বলো বাংলা শোনো  মাতৃভাষার জয় – মাতৃভাষার মতো মধুর আর কি ভাষা হয়!! ======================= গোবিন্দ মোদক।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, ডাকসূচক - 741103

কবিতা ।। ভাষার সুধায় ।। বিবেকানন্দ নস্কর

ছবি
ভাষার সুধায় বিবেকানন্দ নস্কর এপার বাংলা ওপার বাংলা বাংলা ভাষার টান মাটির মাকেই রক্তাঞ্জলি ভাষা শহীদের মান। আপন কন্ঠে উচ্চারিত মাতৃ ভাষার  তান মায়ের  মতোই ভাষার ব্রত ই উৎসর্গিত প্রাণ। আ মরি ভাষার টানেই শব্দ মিছিল  মানুষ বিশ্ব জয়ের জেদের নেশায়  ওড়ায় স্বপ্ন ফানুষ। বাংলা আমার বাংলা সবার বাংলা আলোর মুখ পরম যাপন ভাষায় আপন ভাষায়  দু:খ সুখ। বর্ণমালায় রক্ত ধারায় একুশ ফেব্রুয়ারি  অমর গাথার স্মরণ ব‍্যাথার ভাষার আলোর তরী। বঙ্গ ভাষায় বোধের তৃষায় ভাষার অতল তল ভাষার সুধায় ভাষার মায়ায় চোখের কোণায়  জল।

কবিতা ।। একুশ আমারে ।। সুজন দাশ

ছবি
একুশ আমারে  সুজন দাশ  একুশ আমারে জাগায় আলোকে  দেখায় চলার পথ,  নেয় টেনে বোধে চেতনার রোদে  জ্ঞানের টানে রথ! একুশ শেখায় শির উঁচু করে অনিয়ম যেন রুখি,  দাঁড়াতে সাহসে প্রতিবাদে তার হই যাতে মুখোমুখি ।  শহীদ স্মৃতির বীরত্ব গাঁথা প্রেরণার ছবি আঁকে,  ভাসায় আমারে দুর্জয় ত্যাজে  একতায় কাছে ডাকে!  মায়ের গায়ের ঘ্রাণ দেয় মনে  দেশপ্রেম দেয় এনে, বাঁচতে শেখায় স্বকীয়তা ভিতে  আপন কীর্তি মেনে।  হাত ধরে তার পেয়েছি স্বদেশ  আপন মাতৃভূমি,  একুশ আমার আলো আশা গান  শহীদ চরণ চুমি! ============= সুজন দাশ  আটলান্টিক সিটি, নিউজার্সি,  যুক্তরাষ্ট্র।

কবিতা ।। পৃথিবীর বারান্দা মুখরিত হয় ।। আবদুস সালাম

ছবি
পৃথিবীর বারান্দা মুখরিত হয় আবদুস সালাম উদ্বেগে উথলে ওঠে বাহু অন্তহীন অভিসারে চুমু খায় প্রেমের পাখি কড়া নির্দেশে মূহুর্মূহু গর্জে উঠে  বুলেট নীরব স্রোতে মেশে রক্তের ফুলকি লুটোপুটি করে ফাগুনের রক্ত মাখা ভাষা শহিদের অঙ্গিকার  মৃতময় ধূসর আল্পনা আঁকে মাতৃভূমির উঠোনে  সালাম বরকত জাব্বারেরা  দেখছে বেহেশত থেকে  মাতৃভাষার ফেরেস্তারা খোঁজ করছে তাদের   স্মরণে লক্ষ পাখির কলতানে মুখর আজ পৃথিবীর বারান্দা ### আবদুস সালাম  প্রয়াস শ্রীকান্তবাটি মাদারল্যান্ড রঘুনাথ গঞ্জ মুর্শিদাবাদ

কবিতা ।। ৮ই ফাগুন, ১৩৫৮ ।। প্রদীপ বিশ্বাস

ছবি
৮ই ফাগুন, ১৩৫৮  প্রদীপ বিশ্বাস সেদিন ঢাকার রাজপথের দু'ধারে কৃষ্ণচুড়া, রাধাচুড়া ফুটেছিল মেলা পলাশ শিমুল ঝরেছিল থরেবিথরে  গাছে গাছে পাখি সব করেছিল কলরব  অজানা অচিন সুরে সুরে  কী যেন এক মধুর গানে মেতে ছিল তারা  সে গানেতে ছিল প্রাণ ভালবাসার টান আর অমিয় আশার আহ্বান!  সেই আশায় মাতাল হয়ে জীবনকে তুচ্ছ করে  উদ্দাম হয়েছিল দামাল ছেলের দল  রাখতে মাতৃভাষার মান হয়েছিল আগুয়ান দৃঢ়-প্রতীজ্ঞ চিতে  তাই বুক কাঁপেনি তাদের আগুনে বুলেট নিতে  মনে ভরা ছিল তাদের তেজোদ্দীপ্ত বল।  ভাষার সম্মানের তরে রক্ত ঝরায় পথে  রফিক, বরকত, সালাম, জব্বার কৃষ্ণচুড়া আর শিমুলের সাথে।  শহীদ-স্মৃতি বেদী-মূল ভরালো পলাশ বকুল আলোয় জাগিয়ে দিল প্রাণ।  শহীদের তাজা রক্ত আজও অম্লান  তাই সম্ভ্রমে স্মরণ করি  ফাগুনের ৮ তারিখ, ১৩৫৮ সন।  =================== প্রদীপ বিশ্বাস  ২০৬ সুভাষনগর রোড  ডাকঘর-রবীন্দ্রনগর, উত্তর চব্বিশ পরগনা পিন-৭০০০৬৫

ছড়া ।। মা আমার মা সাইফুল ইসলাম ।। সাইফুল ইসলাম

ছবি
মা আমার মা  সাইফুল ইসলাম  তোমার কোলে জন্ম মাগো তুমিই প্রথম বুলি, তোমার কোলে মাথা রেখে সকল দূঃখ ভুলি। তোমার কোলে বড় হল রবীন্দ্র নজরুল আরও কত মহীয়সী  নেই যাঁর সমতুল। বাউল সেজে মেঠোপথে  একতারাটি বাজাও মাঝি হয়ে বৈঠা হাতে গ্রাম বাংলা সাজাও। আজও তুমি রঙিন মাগো শহীদদেরই রক্তে বিরাজ আছো সগৌরবে  স্বর্ণে গড়া তখতে। তোমার দিকে চেয়ে মাগো দেখি বাঁচার আশা তুমি আমার প্রেমময়ী আমার বাংলা ভাষা। ----------------------------- সাইফুল ইসলাম বর্দ্ধনপাড়া, বীরভূম

কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। সমর আচার্য্য

ছবি
একুশে ফেব্রুয়ারি সমর আচার্য্য সময় বয়ে যায় নদীর স্রোতের ন্যায় আবার একুশে ফেব্রুয়ারি দুয়ারে দাঁড়ায় রক্তে রাঙা এই দিনে কত শত বঙ্গসন্তান মাতৃ ভাষার মান রাখতে করলো রক্ত দান । বাংলা যে আমার মায়ের ভাষা আমার তোমার প্রাণের আশা এই ভাষাতেই প্রথম কথা বলা জড়িয়ে ধরে আমার মায়ের গলা। বাংলা ভাষার রাখতে মান, বরকত জব্বর, রফিকুর, সফিকুল্লা, সালাম বন্দুকের নলের সামনে বাড়িয়ে বুক উজ্জ্বল করলো বাংলা মায়ের মুখ। ভাইয়ের রক্তে রাঙানো সেই দিন আমরা কি ভুলতে পারি কোনদিন তারা যে আমারই মায়ের সন্তান তোমার আমার সবার আপনজন। বাংলা ভাষা আমার মায়ের ভাষা আমার গরব আমার সকল আশা দুনিয়ায় সে সবার সেরার সেরা সুললিত ছন্দে অপরূপ মনোহরা। ভাষা দিবসের শহীদ অমর বঙ্গসন্তান ভুলবে না বাঙালি একুশের জীবন দান  অমর একুশ রইবে বাঙালির মনে শহীদদের প্রতি গর্বে,শ্রদ্ধায় স্মরণে। ============ সমর আচার্য্য বিধাননগর, রায়গঞ্জ উত্তর দিনাজপুর

নিবন্ধ ।। হতাশার মাঝেও আলোর ঝলকানি ।। প্রদীপ কুমার দে

ছবি
হতাশার মাঝেও আলোর ঝলকানি প্রদীপ কুমার দে এইসব লেখা অনেকেই পছন্দ করে না কিন্তু আমি জানি আমার দেখা আর উপলব্ধ অভিজ্ঞতা অনেককেই একবার ভাবাবে। দেশের সাহিত্য শিল্পকলা এই বিষয়গুলো শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে চুড়ান্ত রূপরেখা পায় না, বিষয়টিতে সরকারের দৃষ্টিনিক্ষেপ  এবং এক সুষ্ঠ পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যদিও সব ব্যবস্থাই অটুট, অর্থবরাদ্দও আছে। কিন্তু তা কতিপয় গুনীদের (?) ঘিরেই আবদ্ধ। কিশোর কিশোরী যারা এই বিষয় নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য কোন পরিকল্পনা থাকে না। যারা নিজেদের নাম সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করতে পারেনি অথচ অক্লান্ত পরিশ্রমে শিল্পের নানান দিকে কাজ করে চলেছেন সে সাহিত্যিক হোক অথবা কবি অথবা শিল্পী অথবা অভিনেতা অথবা পরিচালক, খোঁজ নিলে দেখা যাবে তারা বিনিময়ে কিছুই পায় না। অনেকে খাদ্যানুসন্ধানে এত ব্যস্ত  হয়ে পড়ে যে তাদের শিল্পস্বত্বা অনেক সময় লোপ পেয়ে যায়। বাহ্যিক পরিবেশ তাকে নিয়ে কটুক্তি ও করতে ছাড়ে না, স্বাভাবিকভাবেই সাধারণের মনে এই প্রশ্ন আসবেই। অধিকাংশ শিল্পীই কিন্তু সব মেনেই তার স্বত্বা ত্যাগ করতে বিমুখই থাকে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি দেশকে এক অন্যমাত্রায় উন্নত করে এটা সবাই জানে। কিন্তু

কবিতা ।। ভাষার দিন ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল

ছবি
ভাষার দিন সুদামকৃষ্ণ মন্ডল  ভোরের আলোর রঙ আলাদা আজ যে ভাষার দিন নীল আকাশে বর্ণমালা নাচে তা ধিন ধিন মায়ের বুকে পরশ পাথর জাগে বিয়োগ ব্যথা আজ যে ভা'য়ের দীপ্ত স্মৃতি আত্ম ত্যাগের কথা সবুজ পাতার  নাচন দেখি রক্তিম ফুলের বাহার জাত ধর্মে  মধুর সে টান মিলন আকুতি  তাহার  ঊষার অরুণে তারার বিতান শহীদ চাঁদের হাটে কথায় গানে সুরে বিশ্ব মঞ্চ মাঠে ঘাটে রূপসী বাংলার কল্প রতন বিশ্ব চুমে আছে  ঘরে বাইরে আনন্দ কেতন স্মৃতি উস্কে বাঁচে  অমর ভা'য়ের জীবন প্রদীপ রবির আলোয় মেশে মায়ের ভাষায় অমৃত সুধা ছড়িয়ে দেশ-বিদেশে           পাখির গানে উজান টানে কথায় চিত্র আঁকি  চেতনা  উন্মেষে ভাষা ভালোবেসে ওদের আগলে রাখি ============= সুদামকৃষ্ণ মন্ডল গ্রাম: পুরন্দর পুর (অক্ষয় নগর) থানা : কাকদ্বীপ জেলা : দঃ চব্বিশ পরগণা পিন কোড :743347

পুস্তক আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত (পুস্তক : সুন্দরবনের আঞ্চলিক শব্দকোষ ।। সংকলক : নিরঞ্জন মণ্ডল)

ছবি
'সুন্দরবনের আঞ্চলিক শব্দকোষ' পাঠে যেমন মনে হল অরবিন্দ পুরকাইত শব্দকোশ নানা রকম প্রচলিত আছে। তার মধ্যে যে-কোনো ভাষায় প্রচলিত সাধারণ থেকে বিষয়ভিত্তিক শব্দসংগ্রহ, পারিভাষিক শব্দকোশ, বানান অভিধান ইত্যাদি। বাংলা ভাষায় মান্য চলিত বাংলা শব্দকোশের সঙ্গে সঙ্গে— তুলনায় কম হলেও— স্থানীয় বা আঞ্চলিক ভাষায় শব্দকোশ বা বিচ্ছিন্ন সংগ্রহ দুর্লক্ষ্য নয়।        ভাল মানের শব্দকোশ বা অভিধান রচনা সে বড় অধ্যবসায় ও শ্রমসাপেক্ষ। বিশেষ করে পথিকৃৎদের ক্ষেত্রে তার জন্য হয়তো 'একটি জীবন'ই উৎসর্গ করতে হয়। পরবর্তী অভিধানকারদের তবু একইসঙ্গে বেশ খানিক দিশা ও সংগ্রহ হাতের কাছে মেলে, তাতে কাজটা তুলনায় সহজসাধ্য হয়। কিন্তু তাও কাজটা নেহাত কম সময়, শ্রম, অধ্যবসায় ইত্যাদি দাবি করে না। কেন-না একটি ভাল মানের অভিধান রচনা— আমাদের স্মরণীয় উত্তরাধিকার সত্ত্বেও— আজও খুব সহজ কাজ নয়। একই অভিধানের মাধ্যমে সবরকম পাঠকের দাবি বা সমস্ত ক্ষেত্রের প্রয়োজন মেটানো তো প্রায় অসম্ভবই, কোনও ভাষার একটি অভিধানকে বহুমান্য হয়ে উঠতে গেলে তা নানারকম দিকে আলোকপাত দাবি করে। সে ভাষায় প্রচলিত সমস্ত শব্দের (অন্য ভাষা থেকে

গ্রন্থ আলোচনা (গ্রন্থ - স্মরণীয় ইতিহাসের গল্প ।। সম্পাদনা - বিশ্বরূপ মজুমদার) ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
স্মরণীয় ইতিহাসের গল্প আলোচক - শংকর ব্রহ্ম আগামী ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত  ৪৭ তম International Kolkata Book Fair (আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা)-য় 'স্মরণীয় ইতিহাসের গল্প' বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে ইতিহাস আশ্রিত স্মরণীয় ষোলটি গল্প স্থান পেয়েছে।      সম্পাদক বিশ্বরূপ মজুমদার বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, "যা অতীত তা-ই ইতিহাস। তবু অতীতের স্মরণীয় এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলি ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়। সময় বিশেষে সেই জলন্ত ইতিহাস কথাও বলে ওঠে। অনুসন্ধিৎসু মানুষের কানে ফিসফিস করে সে বলে দেয় নিজের গৌরবগাথা, হিংসা, দ্বেষ, বিশ্বাসঘাতকতার নানান গোপন কাহিনি।      'গপ্পো-সপ্পো' নিবেদিত 'স্মরণীয় ইতিহাসের গল্প' সংকলনে স্থান পেয়েছে বাছাইকরা ষোলটি ইতিহাস আশ্রিত কাহিনি। যে ইতিহাস কথা বলেছে তারা আপন মহিমায় মহিমান্বিত। নানা রঙে রঙিন। রাজা রাণির শৌর্যবীর্য থেকে বুদ্ধের মানবতা সবই স্থান পেয়েছে এই গল্প সংকলনের পাতায় পাতায়। সংকলনের প্রত্যেকটি গল্পই তার আপন বৈচিত্রে অনন্য। 'গপ্পো-সপ্পো'-র  পাঠকেরা নানা বর্ণের নানা স্বাদের এই গল্পগুলির মধ্যে ইতিহাসকে ছুঁতে পারবেন। ইতিহাসের অ

না-ফেরার-দেশে বিশিষ্ট ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার ।। পাভেল আমান

ছবি
না-ফেরার-দেশে বিশিষ্ট ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার   বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন 'ভাষা আন্দোলন' হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। অথচ, যে ভাষাটির জন্য বাঙালিরা প্রাণ বিসর্জন দিলেন, সেই ভাষাই আজ বহু বাঙালির কাছে চরম অনীহার বিষয়। মাতৃভাষা বাংলা যেন আজ গুরুত্বহীন হয়ে উঠছে বাঙ্গালীদের কাছে। বর্তমান প্রজন্ম বাংলা মাধ্যমিক থেকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াকেই বেশি প্রাসঙ্গিক মনে করছে।এজন্যই তো এখন অনেক বাঙালিরা বলেন, 'জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না।' সেই অনীহাকেই মজার কবিতার রূপ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ভবানী প্রসাদ মজুমদার। তাঁর ক্ষুরধার লেখা, শব্দের প্রয়োগ, নজরকাড়া কিছু কথা অনেকের কাছে আজও অজানা।  তাঁর এই কবিতার প্রতিটা শব্দ আজকের দিনে বাঙালি পিতা-মাতার কিছু দৈন্যতা তুলে ধরে বৈকি। বাংলা ভাষার প্রতি আমরণ টান, ভালোবাসা, নতুন কিছু গড়ার স্বপ্ন, সর্বোপরি নবপ্রজন্মের মধ্যে এই ভাষার জন্য আবেগ তৈরি করার ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের প্রচেষ্টা আজীবন বাঙালি মনে রাখবে।  আজও বাংলা ভাষাকে বাঁচানোর তাগিদে যারা লড়েন, তাদের মুখে স্লোগানের মতোই শোনা যায় এই কবিতা।       বর্তমান বাং

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪