পোস্টগুলি

৯ম সংখ্যা অগ্রহায়ণ ১৪২৫ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

তন্ময় সিংহ রায়ের অণু প্রবন্ধ ও অণুগল্প

আত্মকেন্দ্রিক বাঁচা ♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦ ভাপা ইলিশ অথবা মাটন বিরিয়ানির গন্ধে আমাদের লালারস ক্ষরিত হয় কিন্তু দুর্নীতির গন্ধ খুব সহজেই আমরা উপেক্ষা করি কারণ জীবন একটাই। ভগৎ সিং আর ক্ষুদিরামের আত্মবলিদানের বীজ বুনে সমাজে নিজেকে মহৎ প্রমাণ করে বেড়াবো কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবো মূক ও বধির রূপে, সুযোগ পেলে চুপিচুপি কমেই ছেড়ে দেবো মনুষ্যত্বটাও। সমাজটা কোমায় যায় যাক, পরিবারসহ নিজেরা ফার্স্ট ক্লাস এসিতে একবার হলেও কাশ্মীরে যাবো। দিনের শুরুতে চায়ের পেয়ালায় সুখচুম্বনসহ খবরের পাতায় অসামাজিক বিশ্লেষণে চোখ রাখবো আর ব্যক্তিত্বপপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপিত আস্ত শরীরে কৃত্রিম হুঙ্কারে সিংহকেও হার মানাবো... "কি হচ্ছে মশাই এসব, ছি! ছি! ছি!... এদের মেরে ফেলা উচিৎ, জেল হওয়া উচিৎ... সমাজটা শেষ হয়ে গেলো।" গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাবে মনুষ্যত্ব শুকিয়ে কখন যে আমসত্ত্বে পরিণত হয়েছে তা ঠিক বোঝা যায়নি। মাতঙ্গিনী হাজরায় অনুপ্রাণিত মন সংখ্যায় কমে হু হু করে নিলামে দাম চড়ছে ক্যাটরিনার সৌন্দর্য। ঈর্ষ্বা আর হিংসার রোষানলে সমাজে জ্বলছে দাবানলের আগুন, সে জীবন্ত চি

মৈনাক চক্রবর্ত্তীর কবিতা

বিষাক্ত হেমন্তের দিন এই হেমন্তের বাতাস বড্ড বেশী বিষাক্ত.. এলোমেলো হাওয়ার স্রোতে স্থিরতা নেই বয়ে চলছে এক গুচ্ছ বিষাক্ত চঞ্চলতা.. বিষ ছড়াচ্ছে রঙীন ফুলের পাপড়ি থেকে। ভরা দুপুরের ছিনিমিনি রৌদ্র স্নান শেষে পরিযায়ী পাখিদের পালক উজ্জ্বল হয়েছে সেই ওজ্জল্যে ঘনিষ্ট হচ্ছে একজন অন্যতে সেই ঘনিষ্ঠতাতেও বিষ ছড়াচ্ছে থেকে থেকে। মাঠে হলদে ধান কিনবা শিশির মাখা ঘাষ নেই আছে এক কাস্তে তেড়ে আসা বিষাক্ত থাবা সেই বিষাক্ত আলিঙ্গনে উষ্ণতা নেই, নেই সান্নিধ্য আছে এক নদী বিষাক্ত রক্ত মাখা স্রোত। ==========================

বুদ্ধদেব দাসের অণুগল্প

লাইক তুই কি আর ফোন করার সময় পাস না -- স্মিতা রেগে গিয়ে দুম করে ফোনটা কেটে দিল। কয়েকদিন ধরে স্মিতার মেজাজটা যেন খিটখিটে। অস্বাভাবিক লাগছে স্মিতাকে। স্মিতাতো ওরকম মেয়ে নয়। হাসিখুশি এক পুতুল পুতুল মেয়ে। কেন যে এরকম হল কে জানে? কি হয়েছে রে তোর আজকাল? একটুতে রেগে যাস! - মা রান্নাঘর থেকে হাঁক দিলেন। কে ফোন করেছিল কে? - মা এবার উত্তর না পেয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। তখনো একমনে মাথা গুঁজে ফোন ঘেঁটে চলেছে। এখন এরকমই চলে প্রায় রাত দুটো আড়াইটা পর্যন্ত। কি যে করে কি জানি। মা জিজ্ঞাসা করলে মুখের উপর বলে - তোমার জেনে লাভ নেই। সত্যি বলতে কি মেয়েটা এরকম ছিল না। দিন কে দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে মেয়েটা। মায়েরও চিন্তা হয়। কিন্তু কিছুই বলতে পারে না। মেয়ে বড় হয়েছে। কোন কিছু যদি করে বসে। ওর বন্ধু বান্ধবীরা বলে ও নাকি ভালো কবিতা লিখতে পারে। ও নাকি একদিন বড় কবি হবে। - কিরে কে ফোন করেছিল বললি নাতো? - কে আবার? রনি ফোন করেছিল। - ফোন ধরলি না? - দেখছ তো, আমি এখন কাজ করছি। - কি যে কাজ করিস দিনরাত। জানিনা বাপু। - তুমি জানবে না। এখন তুমি যাও তো। মা আবার রান্নাঘরে চলে গেলেন। কি যে হয়েছে হাসিখুশ

জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি কবিতা

ছবি
সেই মোষটা ঘটনাটা আমার ছেলেবেলার না, ঠিক ছেলেবেলার নয়। ছেলেবেলাটাকে একটু টেনে টুনে বাড়িয়ে নিলে যা হয় আর কী, ওই যখন হাঁটার চেয়ে দৌড়ানোটাই পথ চলা মনে হতো ঠিকঠাক সিঁড়িভাঙা অঙ্ক কষতে না পারলেও, দু'তিনটে সিঁড়ি টপকে টপকে উঠে গেছি উপরে, আবার নিচে। অবশ্য সিঁড়ির চেয়ে তখন সুরুৎ ছিল বেশি প্রিয় গাছের ডালে পা'দুটোকে আটকে দিয়ে দোল দোল বা ফেলে রাখা বালি, কুটুড়িতে মাথা বাজি রেখে ডিগ। ধুলো আর কাদা মেখে ভুত হতে যখন সায় দিতো শরীর ও মন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথেই হোক বা টায়ার পিটিয়ে ছুট্। দৌড়টাই ছিল যেন সে বেলার খেলাঘোর ঠিক সেইসময়ই মৃত্যুর মতো হাজির হয়েছিল একটা মোষ। আমি এখন তার কথাই বলবো। মোষটা ছিল স্বপনদাদের। স্বপন ঘোষ আমাদের বাড়ির কাছেই বাড়ি স্বপনদাদের। তখন আমি পুরনো বাড়িতে, মানে আদি বাড়িতে। মোষটা ছিল মাদী। বাচ্চা টাচ্চা ছিল কী? হয়তো ছিল আমি আর মৌ'দি বসে আছি স্বপনদার বাড়ির দরজায়। এই মৌ'দি আমার দিদি মৌ নয়। এখন এ্যামেরিকায় থাকে। গৌতমদার বৌ (বউ) হঠাৎ ডানপাশ থেকে উঠে এলো মৃত্যুদূত। খুব দ্রুত। ভয়ংকর। দূরত্বটাও ছিল সামান্য। তবু কীভাবে বেঁচে গেছিলাম জানি না। স্বপনদা

জগবন্ধু হালদারের কবিতা

গোপন অসুখ জগবন্ধু হালদার টপাস টপাস শব্দ শুনি বাইরে এবং বুকে মেঘলা বিকেল একলা ছাদে তখন থেকেই ঝুঁকে কাল দুপুরে তার সাথে হঠাৎ চোখাচোখি ভুলে যাওয়া তানপুরাটায় আগুন দিল উঁকি । জ্যান্ত হলো ক্লান্ত নদী, শপিং মল আর অটো তার আঙুলে বেয়ে বেড়াই, কাঁপলো মৃদু ঠোঁটও ফিরতি পথে নৌকাডুবি অবশ দিশেহারা তারও কী আয়না ভেজে রাত্রে গোপনধারায় ? টপাস টপাস শব্দ শুনি বাইরে এবং বুকে একটি শালিখ ডানা মোছে রাতদুপুরে ধুঁকে । একটি বালিশ সবই জানে তুলোয় চাপা হিস্ট্রি সঙ্গী ছিল টিউশনে কে বাংলা না কেমিস্ট্রি ? মন কী মানে ঘড়ির কাঁটা কিংবা নদীর স্রোত ? কালের হিসেব থোড়াই রাখে উল্টে কালির দো'ত কোন ফাগুনে আবীর ছিল বাসন্তী বা সবজে ? কোন বোশেখে রৌদ্র প্রখর, শ্রাবন ভাসায় সব যে টপাস টপাস শব্দ শুনি বাইরে এবং বুকে তুমি আমার গোপন অসুখ খুবলে খাচ্ছ সুখে । .......................

সম্পা পালের কবিতা

স্বপ্নহীন জানালা জানালায় আজ কোনো মোহ নেই তবু খুলেছি স্বপ্নহীন জানালা । বাইরে শীতের মেঘলা সকাল । শিশু গাছটা একলা দাঁড়িয়ে । আশেপাশের গাছগুলো কেঁটে নিয়ে গেছে প্রোমোটাররা এবার কোনো একদিন ওর পালা । জানালাটা অসহায়ভাবে ওদিকেই তাঁকিয়ে । অপলক পাতায় ফিকে হয়ে আসা স্বপ্ন । জানালার খবর কেউ নিল না। অথচ জানালা দিয়েইতো পৃথিবীকে দেখা ! সম্পা পাল , শিলিগুড়ি ।

উৎপলকুমার ধারার কিশোর কবিতা

॥ সকল পাওয়ার দেশ ॥ আকাশটাকে কেউ পেতে চায় হাতে কারো রাজার-রাজা হওয়ার সাধ কেউ চাইছে উড়তে মেঘের সাথে চায় ধরতে কেউ আকাশের চাঁদ ! আলাদিনের প্রদীপটা চায় কেউ কেউ চাইছে সুখের জীয়নকাঠি কেউ খেতে চায় সাতসাগরের ঢেউ চায় পেতে কেউ সোনার পাথরবাটি ! কেউ উড়তে চাইছে পক্ষীরাজে কারোর চাওয়া একটা সুখের বাসা কেউ হাসি চায় হাজার সুখের মাঝে চাইছে রে কেউ একটু ভালোবাসা ! চায় কেউ কেউ সুস্থ পরিবেশ কেউ হতে চায় সত্যি ভালো ছেলে চাইছি আমি এমন একটা দেশ যে দেশটাতে সকল চাওয়াই মেলে ! ! ----------------------------------------------------------------- From : Utpal Kumar Dhara , Purba Nischintapur , Kolkata - 700138 ________________________________________

সুপ্রীতি বর্মনের কবিতাগুচ্ছ

১. বিদ্যায় বানভাসি সংসার সমুদ্র তুমি গুনী তুমি বিদ্যালঙ্কার, শৌর্যের আস্ফালন আত্ম-অহংকার, বাচালতায় বাকপটু, শিক্ষনীয় আদর্শের চাটুকারিতা। বিনা প্রয়োগে অসারের তর্জন গর্জন সার। অল্প বিদ্যা ভয়ংকারী উচ্ছাসে আত্মগোপন চাতক পাখি।সম্মুখে হায় সাগর শুকায়ে যায়। বালতি ভরে জল ট্যাঙ্ক ভর্তি, চোখে মুখে আত্মভরি জৌলুসে চকচক, চকচক করলেই সোনা হয় না। উপমায় মার্জিত উচ্চাশায় বুক বাঁধা স্বপ্ন। ব্যতিক্রমী চালচলন প্রশয়ে পক্ষপাতিত্ব। সিলেবাসের ঐকান্তিক ইন্দ্রজালের আটপ্রহরে গুটিয়ে নিরাশ্রয় মুর্খ, কথায় কথায় হেয় হীনমন্ন্যতার আত্মগ্লানি। শ্বাসরোধে জীবনি শক্তি ওষ্ঠাগত।নুন আনতে পান্তা ফুরায়, ভাতের পূর্ন থালা স্বপ্ন। চোখে আঁচড়ে রক্ত জল শিরানালী শুকায়। ঘুমিয়ে অতীত গুমড়ে থাকা চাহিদা দিনপ্রতিদিন, হাহাকার ছেঁড়া বইয়ের পাতা। হাড়জিরজিরে আঙুল বুলাতে থাকে অপদার্থের আদ্যাক্ষর। সাঁকোর ওপারে শস্যশ্যামলা ক্ষেতে ঝকঝকে মডেল স্কুল। হাতছানি বিলাসিতা বৈভব, শৈশবের হাত ধরাধরি আগামী প্রজন্ম। ঠাটবাট কলার ঝোলানো টাই ইংরেজ সন্তান। মাতৃভাষায় পরজীবি শোষনে ইংরেজী আধিক্য। আদব কায়দায় দেশী অপ্রচলিত বস্তাপচা। গড়গড় ইংরেজী ন

বহ্নি মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

ওদের কথা আমি কি তোমাকে আঘাত করেছি গায়ে বসিয়েছি থাবা? জানোনা, আমার অরণ‍্যে নেই আজ একটুও খাবার? বন নেই তাই বন‍্যেরা আজ রাস্তায় ভিক্ষুক খান্ডবদাহী আগুনের মত লোভী তোমাদের মুখ। দেয়ালে কেমন ঝুলিয়েছ আহা আমার শৃঙ্গ, চর্ম আমার দন্তে বোধহীন শোভা কীবা শিকারির কর্ম! আমার ধর্ম ক্ষুধা মেটানোর তোমার ধর্ম কি? তোমার শঠতা, নিষ্ঠুরতাকে আমরাও বলি, ছিঃ!

পিয়াঙ্কি মুখার্জির কবিতা

ছবি
মায়া তেলচিটে মাথার বালিশ , চৌকির উত্তর-পূর্ব কোণে আটকানো মশারি টাঙ্গানোর হুক , সকালের অ্যালোভেরা জুসের দুশো এম এল -এর বোতল... হাতছানি দেয় আদরবাসা লোভের ! বাঁ পা চৌকাঠ ডিঙ্গোবে এমন সময় উনুনে বসানো ভাতের হাঁড়িতে উপচে পড়ে ফ্যান , তরকারি পোড়ার গন্ধে ঘরের বাতাসে ফিরে আসে ধুনোর সুবাস ! একশো দশ টা ঘর নিয়ে শুরু হওয়া সোয়েটারের উল-কাঁটার রণনীতি রিপ অবধি এগোনোর পর পরিশ্রান্ত হয়ে প্রাপ্তির আশা ত্যাগ করে । স্থান নেয় রঙ্গীন পলিথিনে ,,, ওদের একত্রিত বিষ নজর সংসারকে দগ্ধ করে রোজ সন্ধ্যাপ্রদীপের আলোআগুনে ! দীঘির ঠান্ডা কালচে জলে পড়ন্ত গোধূলির লালচে আলোবাষ্প মরণকে প্রত্যয়ী করে প্রতিমুহূর্তে... জীবন সৃষ্টির নির্বাচিত সংলাপের ধারাভাষ্যকার হয়ে ! ==================== Piyanki Mukherjee C/o Balaram Mukherjee p.o Nawabganj Bankimnagar Ichhapur pin 743144 24 pgs ( n)

শেখ সামসুল হক এর একগুচ্ছ কবিতা

মিলিত চোখ দুরালাপনীর সেই রাগত কণ্ঠ ভেসে ওঠার কথা ভুলিনি, ভুলা যায় না, কী করে ভুলি সে কথা ? অনেক বছর হয়ে গেছে, তাই না - কি বলো ? পেছনে তাকাতে আমি আর চাইনা আজকে সামনে যাবার মানুষ, অতীতে অনেক কিছুই ছিলো কি ছিলো না থাকতে পারে কি পারে না সে কথা ভাবলে অবাক হবার নানান ঘটনা আসবে এসব ঘটনা বিহীন আমাকে খুঁজলে পাবে না যাকগে পেছনে দোরের সাজোয়া নিকট নগর এবার বলছি তোমাকে দেখতে যাইনি তা নয়! উদার আকাশ আর জাগর নদীর তীর হৃদয় অতলে নিয়ে, সামনে নজর ঢেলে বড়ই একা চুপচাপ হেঁটে গেছি আমি - সেদিন কোথায় ছিলে তুমি খুব কাছাকাছি না কি এক হাজার মাইল দূরে ? ভোর চলে যাবার মিলিত চোখ হাসির খোয়াব হঠাৎ হারিয়ে ফেলছিলো শুধু মোহন রাতের গোলাপ খুনের ভাষা ভুলে গিয়ে। পরিপূর্ণ তুমি ডুবে যাচ্ছি নাতো, ঠাঁই কোথায় ? দূরে না কাছে ময়ূর পঙ্খী নাও, ভীষণ দুলছে দুঘন্টি পালে দমকা হাওয়া খেলছে দারুণ খেলা এরপর আরো আছে ঢেউয়ের মাতলামী ঠাঁই কি নেই তাহলে আজকে আমার আপৎকালীন আশ্রয়ের পারাপারে আপন বলতে এক নাম জানি সে আর কেউ নয় আশায় ভালোবাসায় সেতো তুমি তুমি ছাড়া এ দুর্মর ক্ষণে কারো কথা কোন স্মৃতি মনোভূমি আলোকিত ক

দেবপ্রসাদ মুখার্জী

অভিব্যক্তির ব্যস্তানুপাত মিউজিয়ামে রাখা কালো পাথরের মূর্তিতে আমি আজও দেখি কিছু , কিছু ঝুলজমা অন্ধ কোটরে লুকিয়ে থাকা ছাপোষা আর্তনাদ , যেটা শ্রাবনের প্রথম বৃষ্টিফোঁটার সোহাগে সজীব হয়ে ওঠে বন্দী কীটের পিছনে ধাবমান ক্ষুধার্ত মাকড়সার মতো । যে খোদাই চোখের আড়ালে আজও সূর্যোদয় হয় , সূর্যাস্ত হয় , যে খসে যাওয়া ভ্রুয়ের ভেতর আজও সপ্তম রিপুর লীলা বর্তমান , যে টকটকে জিভ আজও স্বাদ নিতে চায় লবনাক্ত শরীরের , সেই জীবিত শবদেহ আজ শীতের শিহরণে কম্পমান । আমরা শুধুই হলোগ্রাম দেওয়া অভিব্যক্তি খুঁজে যাই রাতের পর রাত তার শরীরে । নীল বসন্তেও যখন খুঁজে পাইনা সমীকরণের সমাধান , লেজ গুটিয়ে ফিরি নিরাশ শান্তনীড়ে , একরাশ হাহাকার নিয়ে । মূর্তি পড়ে থাকে তার মতোই ব্ল্যাক হোলের গভীর অন্ধকারে একমুঠো সুপ্ত অভিব্যক্তি নিয়ে , নির্জীবতার ভোকাল কর্ডে ।

শুভদীপ পাপলুর গুচ্ছকবিতা

ছবি
১। হত্যাকারী ********* আলজিভের চৌকাঠে আহত শৈশব- 'হরতালে আপ্লুত এ কোন পরব-উৎসব, কেন এত উচ্ছৃংখল নর-নারী?' রক্তের স্বরলিপি একমাত্র জানে-কারা হত্যাকারী! কার জন্যে ঘুম ভাঙে নৈঋতে কে-ই বা সধবা হয় মকর সংক্রান্তি'তে, কেন মূল্যবান ক্ষতি,হয় অপূরণীয়? বলতে পারো,কোন কোন শরীর অপ্রয়োজনীয় কোন কোন পাখি শোনায় মৃত্যুর শিষ! বর্ণমালা'য় জাগ্রত আজ গান্ধারী'র নালিশ। মুক্তমঞ্চের মুখোশে প্রযোজিত,সমস্ত কুশীলব- 'হাততালির সাথে ভাসছে নক্ষত্রের কলরব, ওতপ্রোত মিশে আছে সাধু ও ঘোরতর সংসারী, রক্তের স্বরলিপি একমাত্র জানে-কারা হত্যাকারী! ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ ২। প্রতিকৃতি ******** গুপ্ত শিবিরে কোন শব্দের ভিড়?বা সেই প্রেক্ষাপটে বাজিমাৎ হওয়া সমস্ত গণতন্ত্র,হতে পেরেছে সফল! অথচ,শারীরিক সাক্ষাতে বহু কবিতা'র বদনাম রটে এবং পিয়ানোর মজ্জা শুষে ঘন হয় সুরেলা জঙ্গল। আদৌ তো হয়নি হরন,বস্ত্র;মহাকাব্যে,কৌরব দ্বারা- উচ্চতর শৃঙ্গ হতে সংকোচে উচ্চারণের বিবৃতি একা বীরাঙ্গনা;কিন্তু সে চোখে যারা দিচ্ছে পাহারা, তারাই কোলাহলে দুঃশাসন,তারাই বিপক্ষে নৃপতি। বন্ধু-প

শুক্লা মালাকারের কবিতা

*মরুপ্রান্তর* সোনালী বালির ঢেউ থেকে উঠে এল আগুনের মতো উজ্জ্বল এক মরু তরুনী সারা শরীরে মৃত প্রজাপতির পাখা মনে পড়ে গেল তোমার অনল মাখা চোখ আমাদের জ্বলে যাওয়া চন্দনবন ফারাও খুফুর মতো তুমিও কি ভেবেছিলে যাপনের মমির জন্য বানাবে পৃথিবীর নবম আশ্চর্য পিরামিড! তাই কি অজানা মরুতে হারিয়ে যেতে চেয়ে মরীচিকা হয়ে গেলে! সেই থেকে অনিশ্চিত সুগন্ধ বুকে নিয়ে এই নির্মম মরুপ্রান্তরে বালুকণা হয়ে আছি। *সৈনিক* ভাঙাচোরা অন্ধকার দ্বীপ থেকে রোজ সে বেরোয় হাতে লাঠি চোখে কালো চশমা চারপাশে ছুটন্ত জীবন তার দিগ্বলয় নিশানাহীন তবু সে চলে দৃপ্ত অবহেলা কিংবা সমবেদনার মতো ফুরফুরে ব্যাবহার সে ঘৃণা করে তার নৌকোর মাস্তুলের ডগায় শুধুই আত্মবিশ্বাস ছঘন্টার খাটুনি শেষে রেল বস্তির বাচ্চাদের শোনায় গল্প কবিতা, শেখায় জেগে ওঠা রাতের বিশ্রামে লেখে তার প্রতিবাদ কেয়ার করে না শহর তাকে কি দিল কলমের ডগায় ছড়িয়ে চলে শিরদাঁড়া তার উপকূল জুড়ে কেবল লড়াই। -------------------------------------

পারভেজ মল্লিকের কবিতা

এক অনভিজ্ঞের লেখা রাস্তার মোড়ে যেখানে করতালি কিনতে পাওয়া যায়। সেখানে বেঁধেছি সভার শামিয়ানা। ইচ্ছে শুধু একটাই। যেন প্রশংসার খামতি না ঘটে। ভাবি। পেশ করি। কখনও বা বুঝি না। বেমালুম। অর্থহীন শব্দের তীক্ষ্ণ ফলা ওদের কানে আঘাত করে। বিচারাধীন কিছু সরল বাক্য জটিল হয় জনমতে। যেটুকু প্রাপ্য বেলাশেষে। সে আমার নয়। অভিজ্ঞতার। নিঃশর্ত অধিকার লঙ্ঘন। স্পটলাইটের একচেটিয়া স্বত্তাধিকার বলে আর কতদিন চলবে এভাবে? সময় পরিশ্রান্ত। বয়স হয়েছে শতাধিক। তদানীন্তন। যে ভাষা বোধগম্য। সে ভাষায় ডাক দিও। শমন পাঠিও ফুরাবো যখন কুর্নিশের অভাবে। ============================== পারভেজ মল্লিক ৬/১৮ মহিস্কাপুর রোড, দুর্গাপুর- ৭১৩২০৫

সৌরভ ঘোষের কবিতা

টিউব বোমা বাবা খেয়ে নে এভাবে মুখের সামনে খাবার ফেলে রাখতে নেই কেক যে খুব ভালোবাসিস। আগের বছর,তুই তখন সাত সকালে সারা পাড়া ঘুরে মোটা মাসুরী চালের ভাত। কেকের জন্যে অনেক কেঁদেছিলিস সেদিন একটা কেক জোটাতে পারিনি আজ এনেছি খা বাবা,স্পেশাল চকলেট কেক। রাগ করে আছিস এখনো? এভাবেই তাকিয়ে থাকবি? দেখ তোর প্রিয় হলুদ সরবত,পুরো এক গ্লাস তোর প্রিয় সবুজ চিপস। উফ ধুপের ধোঁয়াটাও না, দাঁড়া ধোঁয়া সরিয়ে দিই। সে দিনের মতো যেদিন টিউব বোমের শব্দে কেঁপে উঠেছিল বস্তি কলোনি। ধোঁয়া কেটে কেটে, তোর ছড়ানো ছেটানো ছোট ছোট আঙুল, কান, হাত, পা খুঁজেছি... তারপর একটা বড় গাড়ি এল তার পেছনে ছোট হাতি কালো মত লোকটা তোকে বস্তায় পুরে ছোট হাতির খোলা ডিকিতে ছুঁড়ে ফেলে দিল, উফ্! আঃ বলেছিলিস, স্পষ্ট শুনেছি... রাঙা ধুলো ধুয়ে দিল বড় জলের গাড়িটা। আতস কাঁচ আর হাতে প্লাস্টিক পড়ে কারা সব এল কিচ্ছু পায়নি,আতস কাঁচ হতাশ। ওরা ফিরে গেল, কয়েকটা পোড়া পাতা নিয়ে বড্ড ছোট তুই কি পাপ করেছিলি বাবা,কেন হল বলতো? খেয়ে নে তোকে নিজে হাতে খাওয়াতে পারলে... জানি, আমার চোখে জল দেখলে তোর কষ্ট হয়, খালিপেটে থাকার থেকেও বে

ফিরোজ আখতারের কবিতা

ছবি
হৃদয় প্রতিস্থাপন ........................... হৃদয় প্রতিস্থাপন করা'র আগে বিশল্যকরণী-দ্রবণে ধুয়ে নিও একবার । ডায়ানামিক মেমরি'র মতো-ই রিফ্রেশ হয়ে যাবে ভাইরাস ক্ষতগুলো ৷ দেখবে, ভালোবাসা'র জন্য কত জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে ৷ লজ্জিত হবে না তখন । লজ্জিত হবে না ভালোবাসতে গিয়ে, লজ্জিত হবে না একটু ভালোবাসা আপলোড করতে গিয়ে ৷ ====================== ফিরোজ আখতার ঠিকানা - ১৮ই জায়গীর ঘাট রোড, ঠাকুরপুকুর, কোলকাতা - ৭০০o৬৩

অদিতি বসুর কলম

সদ্য বিবাহিতা মেয়েদের ইচ্ছের কোনো দাম থাকেনা, তাই তো বাড়ির ইচ্ছাতে আর নিজের অনিচ্ছাতে বিয়ে টা করে নিতে হল আমায়। কোনো আড়ম্বর ছিলনা সেরম,লোকজন জানাজানি ও ছিলনা। শুধু ছিল একটা ছাতনাতলা, সাত পাক,ফুলের গন্ধ,অগ্নিসাক্ষী আর সিঁদুর। নিজের ইচ্ছে গুলোকে দুমড়ে মুছড়ে শেষ করে ফেলেছি একপ্রকার। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন,টাকা রোজগার করে অনাথ বাচ্চা দের খাওয়ানোর স্বপ্ন সব। শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠে পা রাখতেই বুঝেছিলাম এ সংসারের যোগ্য পুত্রবধু হওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তা এই দু চারদিনে তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে হ্যাঁ আমিই ঠিক। পূজো করতে দেরী হলে শাশুড়ি মার চোখ রাঙানি থেকে বাদ পড়িনা আমি, চায়ে চিনি বেশি হলে শ্বশুর মশাই চা টাই আর খান না,স্বামীর জামার ইস্ত্রি ঠিক মত না হলে আবার আমায় সেই জামাটা কেচে ইস্ত্রি করতে হয়। যে হাতে রোজ সিঁথি রাঙাবো ভেবেছিলাম সেই সিঁথিতেই আজ চিরুনির পিছনে সিঁদুর লাগিয়ে পরে নিতে হয় আমায়। আসলে ও চায়নি এত তাড়াতাড়ি সব হোক। এসটাবলিস্ট হতে চায় আগে। তাই আজ আমি অন্য কারোর অর্ধাঙ্গিনী। জানাইনি ওকে। তবুও ভালোবাসি এখনও। ওর দেওয়া শুকনো গোলাপ বুকে টেনে বাঁচতে শিখছি। স্ব

অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতা

তিনটি কবিতা ----------------------------------------- ১ ধূতরা ফুল এই অগোছালো উঠোনে পরম্পারার তুলসীমঞ্চের গায়ে ক্রমশ হেলান দিয়েছে শরণার্থী ঘাস, অতিথি জারবেরার দুধ-আলতা ঠোঁটের সঙ্গে যখনই করি আলাপ, বাঁশী হারানো রাখালের মতো সাদা ধূতরার আনত মুখ তখনই হুতাশ কে যেন আদর চেয়েছিল অযত্ন কুঁড়ির কোঠরে, কাকে এড়িয়ে পেরিয়ে গেছে প্রত্যেক পরিচর্যার হাত পাশাপাশি পংক্তিতে দাঁড়াবার শব্দমালা গেঁথে রেখেছিল কারা, হায়! নি:শব্দ সৌরদিন সকল পরিশীলিত ভাব আমার কবেকার অনুশীলনের কাছে এখনও পরাধীন... ২ দুপুর এখন দুপুরবেলা গোলাকার সূর্যের সোজা হয়ে পড়েছে রোদ্দুর হৃদয়ে, এখন আসপাশে কোনও ছায়া নেই ব্রক্ষ্মতালু ধারণ করেছে সব উত্তাপ, দূরে হেঁটে যায় ঘোলাটে বিকেল সকাল এখান থেকে তামার মতো লাগে, একটাও ফুল ফোটে না এখন এখন ফুলবনে না যাবার সময় আ-মাস্তুল ভিজে একশেষ পথে এ দুপুরে হঠাৎ মেঘ করে এলে মাথায়, শুধু পায়ে পায়ে পথ পেরোবার কথা দিগন্ত শুধু প্রান্তর এই বেলা--- ক্রমশ ফাঁকা হওয়া নদী পারে একা ডিঙি ভরসার ধূসর দ্বিপ্রহরে । ৩ ফেরিওয়ালা সমস্ত নালা ভরা বৃষ্টির পুণ্য জল স্

অমিত পাটোয়ারী কবিতা

ছবি
 নির্মিত অহং আলগোছে রচিত হই এই শেষ সন্ধ্যেবেলায় যে ওর পাতা ভরে দিয়ে এলো গানে তার আবরণ মুক্ত করুক ষোড়শ সপ্তাহ তুমি এই দেয়াল ভেঙে ফ্যালো , অনামিকা। আমাদের স্বচ্ছ - সেলোফেন কোনো কবিতায় পল্লীর তালগাছ হোক প্রিয়নাম জসীম সাহেব। ==========

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪