পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। জীবাশ্মহীন অ্যানথ্রাসাইট ও নতুন অক্ষর পুরুষ ।। নিমাই জানা

ছবি
জীবাশ্মহীন অ্যানথ্রাসাইট ও নতুন অক্ষর পুরুষ   নিমাই জানা মন্দাক্রান্তা আলোর নিচে অ্যানথ্রাসাইট মেশানো অজৈব মৃতজীবী শহর ঘুমিয়ে থাকে জীবাশ্মহীন হয়ে আমি সব বিয়োগ চিহ্নের আবছায়া কাল্পনিক মায়াময় মূর্তিকে রাতের অন্ধকার থেকে বের করে আরো একবার নব্য মন্বন্তর পরাগের দিকে নিয়ে যাই , প্রহরের পাখি শুধু দৈর্ঘ্য মেপে যায় আয়ু বড় ক্ষীন হতে থাকে রাতের তারার মতো আমি শুধু নিশাচরের সাথে ঘুরে বেড়াই প্রাচীন জলজ রাশিচক্রের গান বক্ষস্থলে চেয়ে দেখো সনাতন ,ফুরিয়ে যাচ্ছে কৃষ্ণকায় অলৌকিক দেহঘরের সম্বন্ধ পদ সরল দৈর্ঘ্যের জিরাফের পিঠে বেরিয়ে যায় নগরকীর্তন আর কিছু ত্র্যম্বক চৈতন্য কথা, নতুন করে আমার পিঠ থেকে খসে পড়ে হলুদ পাতার দেহজ ফসিল , আমি এক নতুন বৈশাখের অবিভাজ্য ধনাত্মক রাশিচক্র ফেলে আসি নৈসর্গিক ঈশ্বরের জন্য , আরো একবার ভূগোলের প্রতিটি পৃষ্ঠা জুড়ে পরজীবী অসুখেরা নেচে উঠবে নতুন দেহ ঘরের জন্য , প্রাচীন গুহার ভেতর বসে কোন এক আবুল ফজল গান গাইতে গাইতে কম্বোজ থেকে মাংসল পা বের করে রোপন করবেন বিবিধ রসায়ন ক্ষেত্র চেয়ে দেখো সূর্য , কেমন করে আরো একবার টকটকে লাল হতে পারো প্রতিটি বুবুক্ষু মানুষদের জন্য

কবিতা ।। প্রস্তুতি ।। লাবণী পাল

ছবি
      প্রস্তুতি        লাবণী পাল সদর দোরে কড়া নড়লো বোধ হয়। নেই তো সময় একটুও আর হাতে। ফেলতে হবে গুছিয়ে যা সব জীর্ণ, পুরাতন। শোবার ঘরের চাদর জুড়ে ফুল গেঁথেছে রক্ত মেয়ের, ধর্ষকামের লোলুপ হাতের কাজ। পুড়িয়ে ফেলো, শেষ রেখো না কোথাও। পর্দা ঘিরে এ কোন্ অলক্ষণ ! চাকরি-হারা বেকার ছেলের লাশ যে ঝোলে ! ডিগ্রি ভরা কাগজগুলো জমছে মিছে ধুলোর পরে। সরাও, সরাও, সাফ্ করো সব। বসার ঘরেও ঝুল-কালি সার, ধর্মে পোড়া আগুন ও ছাই - নেভাও এবার। চতুর্দিকই অগোছালো, সামলে নিও। নতুন বছর পৌঁছে গেছে দুয়ার ধারে, আজকে তাকে নতুন আশায় বরণ করো, শপথ নিও। ================= লাবণী পাল। ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি।

ছড়া ।। এই নববর্ষে ।। আনন্দ বক্সী

ছবি
এই নববর্ষে  আনন্দ বক্সী  পুরাতন বিগত       নয়া সাল আগত            জানাইনা স্বাগত                 পয়লার প্রভাতে                       বৈশাখী সভাতে । নতুনের পরশে      চারিদিক হরষে              আনন্দ বরষে                বাঙালির প্রাণেতে                      রবির সে গানেতে। পদ হোক বাহারে         বাঙালির আহারে              ভালোবাসো যাহা রে                               বর্ষের বরণে                                  স্বাদ থাক স্মরণে। নতুন সে পোশাকে          খুকি আর খোকা সে                থাকুক না ফোকাসে                        খুশির সে বেলাতে                               গোষ্ঠের মেলাতে। অতিমারি করোনা       জ্বালাতন কোরোনা                দূরে তুমি সরোনা                    নয়া সালে বেড়োনা                         আর প্রাণ কেড়োনা।  দূর হোক ভ্রান্তি        কেটে যাক ক্লান্তি                 আসুক প্রশান্তি                   বাংলার আকাশে                          বাংলার বাতাসে। থাকবোনা রুদ্ধ          হবোনা প্রলুব্ধ               ধরা হোক শুদ্ধ                     নতুনের স্পর্শে                     

কবিতা ।। নতুন বছর ।। সুশান্ত সেন

ছবি
নতুন বছর সুশান্ত সেন নতুন বছর ত এসে গেল এখনো সবাই চুপ করে থাকলে বাতাসের স্রোত কি দক্ষিণ সাগর থেকে আসবে ! পাশেই যে তরঙ্গভঙ্গ হয় বারবার বারবার সমুদ্রস্রোত যে বালিয়াড়িকে ধুয়ে ধুয়ে                                                              যায় সেই কথাটা কারো মনেই থাকে না। চুপ করে থাকার স্বাধীনতা                                  পরাধীনতাই ডেকে আনে। ভয়, শেকলের ভয়, মরণের ভয়, দল ছাড়া হয়ে                                   বাঁচার ভয় চুপ করিয়ে রাখে। তাই মাসের পর মাস প্রতিবাদেও চুপ করে থাকে        সংবিধান, অনড় থাকে আইন ও আদালত । একবার তো জেগে ওঠো একবার তো বলো ---              আমি বেঁচে আছি, আমার কথা শোন । ************************ সুশান্ত সেন ৩২বি, শরৎ বসু রোড কলিকাতা ৭০০০২০

কবিতা ।। স্বপ্ন নিয়ে ।। সুমিত মোদক

ছবি
স্বপ্ন নিয়ে  সুমিত মোদক আকাশ-জল বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে  মহাকাশের পথে ; হয় তো সে কারণে মানুষের পা মাটিতে পড়ে না ; গনগনে আগুনের উপর একটার পর একটা  সময়ের ধারাপাত ; জীবনের নামতা শিখে নিয়েছে চাতক পাখি ; আকাশ-জল চাতক পাখি খোঁজে ; আর অসময় খোঁজে কান্নার শব্দ ; এ ভর দুপুরে কে কাঁদছে ! কে মাটির হাঁড়ি থেকে বাড়ছে ভাত ! সে কি আমাদের মা ! নাকি অস্পষ্ট এক হাত  ; দুপুর গড়িয়ে  বিকাল আসতে জানে ; ভাসতে জানে গো-রাখালের বাঁশি দখিনা বাতাসে ; আটপৌরে মেয়েটাও প্রেম নিবেদন করে নিজের কাছে ; অনেক গুলো স্বপ্ন নিয়ে নতুন বছরের পা রাখতে চেয়েছে উত্তর পুরুষ ; একের পর এক জলীয় বাষ্প ধরে রাখছে হাতের মুঠোয় ; অনাবাদী জমিকে আবাদী করে বোধ ।

কবিতা ।। নতুন দিনের ডাক ।। সুজন দাশ

ছবি
নতুন দিনের ডাক সুজন দাশ মুছে যাক জরা-শুচি হোক ধরা নতুনেরে দিই ডাক, যাক গ্লানি মুছে-ব্যবধান ঘুচে সু-সাম্য ঘিরে থাক। সুন্দরে মাতি-টুটে যাক রাতি মিলনে সবাই বাঁধি, ঐক্যের টানে-প্রেরণার গানে দেশের জন্য কাঁদি। মলিনতা যত-হৃদয়ের ক্ষত ফেলে দিই দূরে ঠেলে, আসি পাশাপাশি-এক স্রোতে ভাসি প্রেমটুকু দিই ঢেলে। অপরের দুখে-যাই হাসি মুখে সাহায্যে রাখি হাত, ভুলি হানাহানি-মিছে টানাটানি টুটাই তিমির রাত। বাঁচবো মরমে-বর্ণে ধর্মে বিভেদে যাব না আর, মানুষ উর্ধ্বে-নীতির যুদ্ধে মহত্বে খুলি দ্বার! এসো নি' শপথ-বের করি পথ দাঁড়াই একতা বোধে, অন্যায় রুখে-বাঁচি সবে সুখে নেয়ে উঠি সুখো রোদে। হয়ে একজোট-তারে দিই ভোট মানবতা যার আছে, বেচব না নীতি-রাখি সম্প্রীতি সুখ যেন সবে যাচে! মহত্ব ছাড়া -হব পথহারা বর্গী লুটবে ন্যায়, সখ্যতা ধরি-চলো সবে লড়ি রচি নব অধ্যায়! :::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::;;;;::::::: সুজন দাশ আটলান্টিক সিটি,নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র। ফোন -6097469510

কবিতা ।।বাংলা নববর্ষ।। শ্রীমন্ত সেন,

ছবি
  বাংলা নববর্ষ  শ্রীমন্ত সেন     রোদের রকমফেরে সহজেই বোঝা যায়, সহজেই বোঝা যায় বাতাসের আনমনা ভাবে, বিকেলের আলো জাগে তার দীপ্ত প্রতিভাসে— সে আসছে—সে আসছে-- বুকের কিনারা ঘেঁষে; কারা যেন চুপিসারে রেখে যায় প্রণামের দ্যুতি।   সবকিছু পুরাতন অনুষঙ্গে বিদায়ের সুর, পুরাতন অনুভবে নতুনের সান্ধ্যভাষা-পাঠ, নতুন দিনের সূর্য ফালাফালা করে ভোর, পয়লা বৈশাখ আসে নতুন দিশার মত— দিকে দিকে বুকে বুকে আলোর ইশারা নিয়ে।   আদিগন্ত জেগে ওঠে মায়ের মমতা হয়ে, বাংলা বর্ণপরিচয়ে মাখে সুগহন স্বর, আমন্ত্রণে-নিমন্ত্রণে সোনালি স্বপ্নেরা কাঁপে, পয়লা বৈশাখে শাঁখে ফোটে বদলের ডাক— 'যা কিছু আনন্দময় প্রাণের গভীরে এসো'। ____________________________________         শ্রীমন্ত সেন 29/A/1, ভাগীরথী লেন, পোঃ মাহেশ, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।   পিন-712 202 চিত্র ঋণঃ ইন্টারনেট।

কবিতা ।। নববর্ষের গল্প বলি ।। তুহিন কুমার চন্দ

ছবি
নববর্ষের গল্প বলি তুহিন কুমার চন্দ  শিউলি ডাকে ও চামেলি  একলা গেলি নদীর ঘাটে, বুনো চাঁপায় হাস্নুহানার  গল্প করেই সময় কাটে। কাঠমালতি এককোনে চুপ  নববর্ষ আদর করে, কনকচাঁপার গন্ধে মাতাল  হাওয়ায় সাথে গল্প করে। কেয়া বনের ভেতর দিয়ে  বাবলা কাঁটার বন যে ভীষণ,  উল্টোদিকে বিলাই খামচি  এ বনকে করছে শাসন।  ঝুমকোলতার নূপুর পড়ে  টাপুরটুপুর বৃষ্টি নামে, চাঁপার গন্ধে সূর্য ডোবে  রাতচড়াদের নিঝুম গ্রামে। শিউলি ডাকে ও চামেলি  মেঘ ধরেছে গানের কলি, তারচেয়ে চল মেঘের সাথে  রূপকথাদের গল্প বলি। ***************** তুহিন কুমার চন্দ  সুদর্শনপুর,রায়গঞ্জ-৭৩৩১৩৪ উত্তর দিনাজপুর (প.ব.) ভারত। মোঃ ৮৬১৭৮২৯১৩৩ tuhinchanda030@gmail.com

কবিতা ।। বর্ষবরণ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

ছবি
বর্ষবরণ তীর্থঙ্কর সুমিত নতুন বর্ষ এলো আবার নতুন খুশি মুখে ভালোবাসার স্বপ্নপূরণ হবেই সর্বসুখে। বর্ষবরণ নতুন করে পুরোনো পিছে ফেলে সুখের খোঁজে সুখ প্রহরে নিজস্ব সম্বলে। রামধনু রং সবার মনে ছড়িয়ে যাক প্রাণে নতুন বছর নতুন আসা আসুক ভেসে কানে। ******************* তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুণ্ডু হুগলি পশ্চিমবঙ্গ     

কবিতা ।। নববর্ষ ।। দীপঙ্কর সরকার

ছবি
নববর্ষ    দীপঙ্কর সরকার প্রতিটি সকাল আনে প্রতিটি নতুন ভোর হৃদয়ে প্রত্যাশা জাগে নববর্ষে এলো বুঝি খুশির খবর  ! যা কিছু পুরনো ছিন্ন মলিন সাফ সুতরো  করে গৃহস্থ সাজায় নতুন উঠোন । দোকানে দোকানে হাল খাতা শুভ মহরত । পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় হয় দূরে রেখে যা কিছু সংক্ষোভ , জীর্ণ পাতা ঝরার শেষে গাছে গাছে গজায় নব পল্লব । নতুন বছরে সব নতুন নতুন পাখির কণ্ঠেও  যেন নব সুর ! পুরনো নির্মোক ছেড়ে পুব দিগন্তে দ্যাখা দ্যায় নবারুণ । ************** দীপঙ্কর সরকার কাঁঠাল পুলি ( সিংহের হাটের কাছে) চাকদহ নদীয়া ৭৪১২২২

ছড়া ।। নাইয়র ।। সুব্রত চৌধুরী

ছবি
নাইয়র সুব্রত   চৌধুরী বোশেখ   মাসে   নাইয়র   আসে   হারায়   পথের   বাঁকে , পথের   ধূলোয়     পদচিহ্নে সুখের   ছবি   আঁকে। নাইয়র   আসে   সখী   হাসে বাজে   খুশির   বীণ , এই   ক ' টা   দিন   দু : খ   ব্যথা ওদের   হবে   লীন। নাইয়র   বেড়ায়   বাগান   জুড়ে   আলতা   পায়ে   নুপুর , কাঁঠাল   মুচি   কুচি   কুচি ঘামে   ভেজা   দুপুর। সন্ধ্যা   নামে   রূপোর   খামে নাইয়র   মাতে   গানে , রূপোর   সিকি   ঝিকিমিকি   ডাকে   খুশির   বানে।   ————————————- সুব্রত চৌধুরী আটলান্টিক সিটি, নিউ জারসি, যুক্তরাষ্ট্র  হোয়াটসআপ # +1 6092332728

ছড়া ।। নববর্ষের নব হর্ষে ।। সুব্রত দাস

ছবি
নববর্ষের নব হর্ষে     সুব্রত দাস ফুল পাখি মেঘ আকাশ বাতাস আজ কেন চঞ্চল, ঝরা পাতায় তবুও যে গাছ  রোদ্দুরে ঝলমল ! কিসের কিসের, কোন খুশিতে ফুটছে হাজার ফুল, কোথায় কে ভাই, অজান্তে হায় করলো কী যে ভুল ! কচিকাঁচা, ফুলকুঁড়িদের ডাগর চোখের তল, নতুন কিছু আশার ভাষার ভাসছে শতদল ! বলছি শোনো আসল কথা কথার কথা নয়, নববর্ষের, নব হর্ষেই এসব কিছু হয় !! ------------------------------------- সুব্রত দাস ৩১/১, গোবিন্দ সেন রোড, পোঃ রামঘাট, সূচকঃ ৭৪৩১৬৬, গরিফা, উওর ২৪ পরগণা, থানাঃ নৈহাটি, পশ্চিমবঙ্গ।

ছড়া ।। মিঠে আলোয় ।। স্বপন মুখোপাধ্যায়

ছবি
মিঠে আলোয়  স্বপন মুখোপাধ্যায় আজ বোশেখের নিমন্ত্রণে  মাতছি খুশির গানে, হাসছে পলাশ কৃষ্ণচূড়া সবার প্রাণে প্রাণে। নতুন বছর দিচ্ছে দোলা শিরিষ ফুলে ফুলে, রঙিন আশায় গর্বে এ বুক  উঠছে দুলে দুলে। সকাল থেকেই দোকান দানি সাজছে নতুন করে, হালখাতা আর গনেশ পুজো  হচ্ছে আড়ম্বরে। সাজছে ঘরের দেওয়ালগুলো  নতুন ক্যালেন্ডারে, মিঠে আলোয় মনের দুয়ার  খুলছে বারে বারে। *************** স্বপন মুখোপাধ্যায় বহড়া,ষাটপলসা,বীরভূম  ফোন নম্বর 8617822208

কবিতা ।। নববর্ষ ।। সুব্রত কুণ্ডু

ছবি
নববর্ষ  সুব্রত কুণ্ডু  পয়লা বোশেখ মানেই হল নতুন বরষ,  পয়লা বোশেখ মানেই হল মনের হরষ,  উথলে ওঠে প্রাণ--  রায়বাগানে ছেলেপুলের  আমেরই সন্ধান।  পয়লা বোশেখ এলেই হবে নতুন খাতা,  জীর্ণপাতা ঝরে গিয়ে কচিপাতা,  সবুজে ভরপুর -- আমের আঁটির ভেঁপু তোলে  নতুন গানের সুর।  বোশেখ এলেই ভাঙে সবার খুশির বাঁধ,  ফিনিক ফোটা জ্যোৎস্না ছড়ায় পূর্ণিমা-চাঁদ,  জ্যোৎস্না মাখামাখি--  ঠাম্-মা শোনায় রূপকথা আর  আমরা চাতক পাখি।  বোশেখ মানেই চিরনতুন রবিঠাকুর,  গানে গানে হৃদয় ভরে রবীন্দ্র-সুর,  প্রাণে প্রাণে হর্ষ-- আনন্দে ও মন-খুশিতে  কাটুক নববর্ষ।  ****************** সুব্রত কুণ্ডু  নবগ্রাম, রহিমপুর, হুগলী  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত  ৭১২৪০৮

বোশেখ মানেই আলোর দিশা ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
বোশেখ মানেই আলোর দিশা  জয়শ্রী সরকার বোশেখ মানেই নতুন বছর , আনন্দ-কলতান ভোরের মৃদু-মন্দ হাওয়ায় পাখপাখালির গান । বোশেখ মানেই দুই বাংলারই আকাশ ছোঁয়া আশা হৃদয় দিয়ে লালন করি প্রাণের ভালোবাসা ! বোশেখ মানেই জীবনবৃক্ষে একটা ঝরাপাতা আনন্দেতে খুলবে মানুষ জীবিকার হালখাতা । বোশেখ মানেই আনন্দগান প্রকৃতির কলরব প্রত্যাশারা অপেক্ষাতে জীবনেরই বৈভব ! বোশেখ মানেই রবীন্দ্রনাথ প্রাণের ঠাকুর বরণ কাব্য-নাটক , নৃত্য-গীতে সবাই করি স্মরণ । বোশেখ মানেই আনমনা হই রবীন্দ্রনাথ চিতে আকাশ-বাতাস মন্দ্রিত হয় রবীন্দ্রসংগীতে ! বোশেখ মানেই কালবোশেখী ঝড়ের মাতন সে কী ! স্নিগ্ধ তো হয় বসুন্ধরা , সেই ছবিটাও দেখি । বোশেখ মানেই পিচ্ গলা পথ তপ্ত তাওয়ার মতো দীঘল বটের শীতল ছায়া প্রাণটা জুড়ায় কত ! বোশেখ মানেই নতুন শপথ, র'ইবো সবাই বেঁধে গাইবো যে গান একসাথে সব এক সুরেতেই সেধে। বোশেখ মানেই নতুন আলো , নতুন প্রাণের দিশা সবুজে মন উঠবে ভরে , কাটবে অমানিশা ! ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^

কবিতা ।। নতুন বছর নতুন দিনে ।। মৃত্যুঞ্জয় হালদার

ছবি
নতুন বছর নতুন দিনে মৃত্যুঞ্জয় হালদার ভোর হতেই কাকা জ্যাঠা জমিতে যায় ছুটে, খড়ের আঁটি গোটাকয়েক আগুন ধরায় জুটে। নতুন বছর নতুন দিনের সূর্য যখন হাসে, ধোঁয়ায় ধূসর কুয়াশা যেন জমাট চারিপাশে। ধীরে ধীরে বাড়লে বেলা রীতি রেওয়াজ যত, ঘরে ঘরে বর্ষবরণ আমোদ অবিরত। নিম হলুদে মাখামাখি শিল-নোড়াতে জোর, সবার গায়ে নিম-হলুদের  আজ লেগেছে ঘোর। দেবালয়ে পুজা আচ্চা নতুন পোশাক পরে, সবাই যেন সুস্থ থাকে সমবৎসর ভরে। পদে পদে পাকশালেতে সুঘ্রাণে ভরপুর, আয়েশ করে একসাথে আজ জমজমাটি দুপুর। বিকেলবেলা গোষ্ঠ মেলা  দলবেঁধে সব যাওয়া, বাউল কিংবা গাজন গানে মনের আরাম পাওয়া। ........................................................... ✍️ গড়িয়া স্টেশন রোড ফরতাবাদ মোড় কলকাতা-৮৪  পশ্চিমবঙ্গ   ভারত

ছড়া ।। নববর্ষ ।। রূপালী মুখোপাধ্যায়

ছবি
নববর্ষ  রূপালী মুখোপাধ্যায় সারাদিনই গলদঘর্ম, সন্ধ্যে বেলায় হাওয়া চৈত্র শেষ, বৈশাখেতে এটাই পরম পাওয়া। গাছে গাছে ভর্তি থাকে সবুজ কিশলয়  বেলীর সুবাস ছড়িয়ে থাকে গোটা বাগান ময়। জুঁই মাধবী দুজন মিলে গল্প করে কত  গল্প শোনার জন্য ছোটে মলয় বাতাস যত। এগারো মাস পরে আসে নতুন বোশেখ মাস  বছরটা তো ভালো যাবে সবার মনে আশ । এই মাসেতেই আছে আবার কবির জন্ম তিথি  বকুল ফুলের গন্ধেভরা সকল বনবীথি । কুহু কুহু কোকিল ডাকে পুষ্পভরা শাখে  আম কাঁঠালে ভর্তি থাকে এই ভরা বৈশাখে। উঠান জোড়া আলপনাতে বোশেখ বরণ করে  শুভ নববর্ষ বলে ,জড়িয়ে সবাই ধরে । নিয়ম করে নববর্ষ পালন করা হয়  বছর টা কি ভালো যাবে শঙ্কা যেন রয়। ******************** রূপালী মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান 

ছড়া ।। সোহাগ মায়ায় এসো ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

ছবি
সোহাগ মায়ায় এসো নিরঞ্জন মণ্ডল নতুন বছর এসো হে এসো বস দাওয়ার পর তোমার ছোঁয়ায় শীতল হাওয়ায় ভরুক সবার ঘর। দিন কাটে না রাত কাটে না পেটের খিদেয় যাদের একটু দিয়ো খুশির খবর ,ভাত দু'মুঠো তাদের। যেসব ছেলে মেয়ের রোজই পথেই গড়ায় দিন শতেক ব‍্যথা না পাওয়াতেই বুক করে চিনচিন তাদের দিয়ো স্বপ্ন ভেজা একটা দুটো রাত, রোগ যাতনায় কাতর জনের মাথায় সোহাগ হাত। কঠিন কাজে হাঁফায় যারা খেলার সময় ভুলে সামনে তাদের অবকাশের দরজা দিয়ো খুলে। একটু কোরো উজল কোমল খোস খসখস গা ; খেত খামারে সময় ভোলা বিরাম বিহীন পা রক্ত ঘামের আলপনা দেয় দণ্ড প্রহর পলে শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়ো তাদের চলাচলে। ঢেউয়ের ঝুঁটি জাপটে যারা খিদের মানিক খোঁটে জোয়ার স্রোতে রাত কেটে যায় দিনের আলো ফোটে, তাদের দিয়ো সুর ঝুরঝুর অবসরের কাল মন পবনে ভরিয়ে দিয়ো তাদের ডিঙার পাল। নতুন বছর তোমার কাছে চাই না তেমন সুখ একটু মায়া আবেগ দোলায় ভরিয়ে দিয়ো বুক। চারপাশেতে ধুঁকছে যারা এড়িয়ে পরিহাস তাদের কথা ভাবতে দিয়ো একটু অবকাশ। গলায় দিয়ো নতুন কথার সুর কলকল গান, ফুল ফোটানোর খেত জাগানোর অমল পিছন টান। ****************

বৈশাখী ছড়া ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
বৈশাখ মানে... রঞ্জন কুমার মণ্ডল বৈশাখ মানে বাংলা সনের শুভ প্রথম মাস হালখাতার মহোৎসব শুরু দুর্গতি হবে নাশ। বৈশাখ মানে খাঁ খাঁ রোদ্দুর  তাপের ভ্রুকুটি চলে পথিকজন জিরিয়ে নেয় বসে গাছের তলে। বৈশাখ মানে গাছে কাঁচাআম ঝিনুকে ছাড়িয়ে খাওয়া ভোরবেলাতে আম কুড়ানো শিশুকালে ফিরে যাওয়া। বৈশাখ মানে গাছে কচিপাতা কাঁচা আমের দুপুর দুপুর গড়ালে মাঝে মাঝেই কালবৈশাখীর সুর। বৈশাখ মানে তাপের বহর শুকিয়ে পুকুর জলা নোনা ঘামেতে চাষীরা মাঠে চাষ করে সারাবেলা। বৈশাখ মানে খুশির আমেজে বৈশাখী মেলা ফেরে কবি গুরুর জন্মদিন স্মরণ  বাংলার ঘরে ঘরে। ______________________________________   রঞ্জন কুমার মণ্ডল  সারাঙ্গাবাদ, মহেশতলা,  জেলা -দক্ষিণ ২৪ পরগণা। পিন-৭০০১৩৭. পশ্চিমবঙ্গ। ফোন  : +91 8240249978.

নববর্ষের কবিতাগুচ্ছ ।। সৌমেন দেবনাথ

ছবি
নববর্ষের কবিতাগুচ্ছ  ।। সৌমেন দেবনাথ  নববর্ষে প্রত্যাশা আসলো আবার নববর্ষ উঠলো নতুন আলো, সকল জীর্ণ যাবে কেটে নিপাত যাবে কালো। বাঁধনহারা সুখে সবাই ভাসবে সুখের ভেলায়, আর ভুল ভ্রান্তি করবে না কেউ ভেসে হেলায় খেলায়। দুঃখ যত ঝরে যাবে থাকবে না আর ক্ষরণ, রঙে রঙে জীবন জাগবে নতুন করে বরণ। কষ্ট স্মৃতির কাটবে ইতি নতুন যাত্রায় সামিল, বর্ণিল জীবন সবার আসবে কেটে যাবে অমিল। দুঃখ ভোলার দিনে সবার মনে থাকবে রঙিন, যত গ্লানি যাবে ডুবে হবে না কেউ সঙিন। নতুন বছর নতুন আলোয় বাঁচবো নিয়ে আদর্শ, সুখে দুখে শক্ত রবো শুভ নববর্ষ। আল্পনায় বৈশাখ নববর্ষ ঘিরে মনে থাকে যে জল্পনা, নতুন বর্ষ বরণ করতে আঁকা হয় আল্পনা। উঠানে তাই ঝাড়-পোছ-লেপন নান্দনিক উঠান সাজ, তারপর উঠানে চিত্রাঙ্কন আহ রঙিন কারুকাজ। দেয়াল জুড়ে শৈল্পিক আঁকা দেখলেই করি শংসা, পিচঢালা ঐ সড়ক জুড়েও আঁকা রঙিন নকশা। নকশায় থাকে কত কিছু লতা-পাতা ফুল ফল ঢোল-তবলা হাতপাখা কুলা চোখের পড়ে না পল। আঁকিবুকি দিয়ে আমরা দেশটা করি বিন্যাস, পয়লা বৈশাখ ঘিরে দেশ মা হয় রং-তুলির ক্যানভাস। নতুন বর্ষের নব আশায় নতুন বছর নতুন আশায় ভাসবো স্বপ্ন ভেলায়, ভুলে যাবো হানাহানি মাতবো রঙের মেলায়। নতুন

অণুগল্প ।। নববর্ষের আনন্দ ।। মিঠুন মুখার্জী

ছবি
।।  নববর্ষের আনন্দ ।।            মিঠুন মুখার্জী নববর্ষ বাঙালির কাছে খুব আনন্দের। বিশ্বের সকল জাতির আনন্দের দিন যেমন ইংরেজি নববর্ষ, তেমনি বাঙালির কাছে বাংলা নববর্ষ। পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরন করার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি নবীন যাদব। আমি বাঙালি নই ,কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে থাকতে থাকতে আমি মনে প্রানে বাঙালি হয়ে উঠেছি। আমার বাড়ি বিহারের পাটনায়। কর্মসূত্রে আমি কলকাতার বেহালায় থাকি। আমি একজন স্টেশন মাস্টার। বারাসাতে আমার পোস্টিং।                 বাঙালি মানেই বারো মাসে তেরো পার্বণ।তারা আনন্দ করতে খুব ভালোবাসেন। তাই প্রত্যেক মাসেই কোনো না কোনো উৎসবে মেতে থাকে। এখানে কুড়িবছর থাকার ফলে আমি মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমি বিহারী না বাঙালি। দীর্ঘ দিন এখানে থাকার ফলে আমি ও আমার পরিবার ভালোই বাংলা শিখে গেছি।প্রত্যেক নববর্ষে আমার বাঙালি কলিগরা ও বাঙালি বন্ধুরা আমাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। আমাকে কেউ মিস্টির প্যাকেট আবার কেউ লাড্ডু ও ক্যালেন্ডার দেন। আমার খুব ভালো লাগে।এমন কি কোলাকুলিও করেন। বেশিরভাগই পাঞ্জাবি ও পাজামা কিংবা ধুতি পড়েন। দারুন লাগে দেখতে।              বারাসাত

ছড়া ।। বর্ষবরণ ।। বিদ্যুৎ মিশ্র

ছবি
বর্ষ বরণ বিদ্যুৎ মিশ্র নতুন মনের নতুন দিনের নতুন বরষ যাপন আজকে শুধুই ভালোবাসার সবাই নিজের আপন । ভুলে সবাই দ্বন্দ্ব বিবাদ প্রেম ছড়িয়ে দেবো গরিব দুখি আর্তজনে নিজের করে নেবো । সারা বছর মিলেমিশে থাকবো আবার সাথে স্বপ্ন সকল পুরণ হবে জোছনা ঝরা রাতে । সবাই মিলে করবো বরণ নতুন বছর শুরু ছন্দ গানে থাকবো মেতে আছেন কবি গুরু । **************** বিদ্যুৎ মিশ্র পুরুলিয়া , পশ্চিমবঙ্গ,ভারত

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪