পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। অজানা উদ্দেশ ।। দীপঙ্কর সরকার

ছবি
অজানা উদ্দেশ     দীপঙ্কর সরকার গোধূলির শেষ হাওয়া কেমন ক্লান্ত নিথর আপাদমস্তক ঝুঁকে আছে যেন বর্ণময় পটে । স্মৃতিচারণমূলক এটুকু উচ্চারণ প্রাপ্য ছিল বুঝি ! অভিধান গত কোনো ত্রুটি ছিল না কোথাও জ্যামিতিক অনুভূতি , শয়নে স্বপনে কোনো আদেশনামা কিম্বা লিখনের বাড়াবাড়ি । গাণিতিক পদ্ধতিতে এসবের হিসেব মেলে না গোধূলির শেষ হাওয়া কীভাবে ক্লান্ত নিথর হয় কোথাও নেই তার সঠিক পরিক্রমা । =================       দীপঙ্কর সরকার কাঁঠাল পুলি (সিংহের হাটের কাছে) চাকদহ নদীয়া ৭৪১২২২

কবিতা ।। আলোর উৎসব ।। উৎপলকুমার ধারা

ছবি
  আলোর উৎসব উৎপলকুমার ধারা রঙবাহারী রঙের আলোর- উৎসবে রঙ উপচে পড়ে দুলছে রঙবেরঙের ঝালর ছোট্ট খুকির পুতুলঘরে ! সুর তুলেছে রাখালবাঁশি আনমনা মন উঠছে নেচে বাজছে তাকুড় ঢাক আর কাঁশি আকাশ তখন নীল মেখেছে ! ছুটছে খুশির মাতাল হাওয়া দুধসাদা রঙ কাশের ব'নে উঠছে সেজে মাটির দাওয়া সুর জেগেছে বাউলমনে ! উৎসবে আজ মাতছে পাড়া বন্দি যারা বাঁধনছাড়া স্বপ্ন গড়ে রূপকথারা ফিরছে, ছিল বাইরে যারা ! আনন্দে মন উঠছে মেতে সাজছে রঙের নকশিকাঁথা  মাতছে আলোর উৎসবেতে গান-কবিতা ছড়ার খাতা !!   ---------------- Utpal Kumar Dhara, Purba Nischintapur, Budge Budge, Kolkata - 700138, """"""""""""""""""""""

কবিতা ।। ঘ্রাণ ।। হামিদুল ইসলাম

ছবি
  ঘ্রাণ    হামিদুল ইসলাম প্রতিদিন কবিতার পাতায় গুছিয়ে রাখি  অক্ষম শ্বাস  বেলা পড়ে আসে  পাখিরা নীড়ে ফেরে  আমি নিঃস্ব। নষ্ট নীড়ে গুছিয়ে রাখি সংসার       ।। খেয়াঘাটে জীবন পাটনী  অনাহারী চোখ  কতোদিন কেটে যায় নিরন্ন দুপুর। হিসেব রাখে না ঈশ্বর       ।। ছায়া ডোবা বিকেল সিঁদুর কৃষ্ণচূড়া  জলনূপুরের নিক্কনে ভিজে যায় সুপ্ত  সিম্ফোনিকার্পাস   লুপ্ত জনপদ        ।। আলোয় আলোয় সন্ধ‍্যা নামে  সাঁঝের মফস্বলে নিভে যায় বাতিঘর  ঘরে ঘরে যাপনের নির্যাস  ঘরে ঘরে স্বপ্ন  প্রতিটি স্বপ্ন ভেঙে দেখি ফসলের ঘ্রাণ        ।। কবিতার বুকে আঁকি জীবন  জীবন কেবলই চলা  প্রতিটি কবিতার পাতায় গোছানো জীবন সংগ্রাম         ।। _____________________________       হামিদুল ইসলাম, গ্রাঃ+পোঃ=কুমারগঞ্জ। জেঃ=দক্ষিণ দিনাজপুর।

কবিতা ।। অভিমানী মেঘ ।। অরুণ কুমার দাঁ

ছবি
অভিমানী মেঘ অরুণ কুমার দাঁ অভিমানী মেঘ যে আসে উড়ে তোর মনের সুনীল আকাশ জুড়ে, গভীর জমে বৃষ্টি হ'লে তুই দু'হাত ভ'রে একটু তোকে ছুঁই  । মনখারাপের নিবিড় কালো চুলে চুল বাঁধনি ? সারাদিনের ভুলে, আঁধার কালো আকাশ দেখো কেমন বৃষ্টি হ'লে রামধনু দেয় যেমন  । নদীর বুকে বন্যা হয়ে পাগলী ঢেউ তুলে যে একাই শুধু থাকলি, তোর বুকেতে নৌকা কেমন নাচে ঝড়-বাদলে হালের মাঝি বাঁচে  । পাড় ভেঙে ওই দেখলি শুধু চোখে হা-হুতাশে কেমন কাঁদে লোকে, পলিথিনের মত উড়লি বাতাসে পাগল, পাগল মন যে শুধু হাসে  । মন-খারাপে গাছের পাতা নুয়ে হলুদ-বরণ  দু 'একটি ভুঁয়ে, শুকনো পাতা বাতাসে আজ উড়ে মেঘ কাটে না তোর যে মন-জুড়ে । ==================   অরুণ কুমার দাঁ ভিড়িঙ্গি স্কুলপাড়া (আনন্দ নগর ) দুর্গাপুর -713213 পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ

দুটি কবিতা ।। সুজিত কুমার পাল

ছবি
দুটি কবিতা  ।।   সুজিত কুমার পাল        বৃষ্টি নামে যখন      শিশির ভেজা চাঁদ ক্ষয়ে যায় রোজ ।     পড়ে থাকে শূন্য ফসলের মাঠ     শুক্লা পঞ্চমীর রাতে ।     সব তারা ভুলে গেছে জোনাকির আলো ,     সব পাখি ফিরে যায়     ফেলে আসা খাতে ।।     মোহনীয় রাত্রি আঁধার প্রসব করে ।     সবটুকু কাটাছেঁড়া শেষে ,     পড়ে থাকে দুর্বোধ্য ভোর ।     স্মৃতি কনা মেঘের জন্ম দিলে ,     ভিজে যাই নোনা জলে ,     আর ভেজে অক্ষর ।।   তোমার অপেক্ষায় সন্ধার তীরে আছড়ে পড়া অন্ধকারকে ফিকে করার জন্য একমুঠো আলো জ্বালিয়ে দিলাম । ইচ্ছে গুলো মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয় ভালো লাগা স্রোতের ভিতর । নদীর ডাক ভেসে আসে নিঃশব্দের গভীরে । আমার মতই রয়েছো একাকী । একঝাঁক জোনাকি দিলাম নদী তোমার আঁচলে , তোমাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য । পাশাপাশি না থাকলেও আছি তুমি আছো তাই । একটি তারা সারারাত জেগে থাকে তোমার অপেক্ষায় ।।  ===================     সুজিত কুমার পাল     লাভপুর পুরাতন বাস ষ্ট্যান্ড     ডাকঘর লাভপুর     জেলা বীরভূম      

গল্প ।। হাত-পা বাঁধা ।। চন্দন মিত্র

ছবি
  হাত-পা বাঁধা চন্দন মিত্র এখন আর স্যার-ম্যাডামদের উপর অম্লানের কোনো রাগ নেই । হেডস্যার মৃণালবাবুর উপরও   নেই । কিন্তু একসময় তাঁকে কাপুরুষ, অমেরুদণ্ডী বলে মনে হত অম্লানের । সে দিনগুলো এখনও   তার স্মৃতিতে দগদগে ঘায়ের মতো টিকে আছে। আচমকা কখনও কখনও তারা জেগে উঠে জানান দেয় যে, তারা মরেনি মরবেও না কক্ষনো।       ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত টানা চার বছর অম্লান চরম হেনস্থা সহ্য করেছে । অথচ এই হেনস্থার জন্য সে কোনোভাবেই দায়ী ছিল না। কেবল ফার্স্ট বয় হওয়ার জন্য নয়, সুন্দর চেহারা   ও মার্জিত ব্যবহারের জন্য সে স্যার-ম্যাডামদের প্রিয় ছিল। ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরাও তাকে খুব ভালোবাসত। ব্যতিক্রম ছিল সহপাঠী রাজু আর তার জন চারেক সঙ্গী। অথচ রাজু আর অম্লান একই পাড়ার বাসিন্দা। একই সঙ্গে খেলাধূলা করে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু সেভেনে ওঠার পর থেকে রাজুর মধ্যে অদ্ভুত সব পরিবর্তন ঘটতে থাকে। বিড়ি-সিগারেট খৈনি গুটখা এসব খাওয়া শুরু করে। স্যারেরা কয়েকবার হাতেনাতে ধরেও ফেলেন। কিন্তু বিষয়টা নিয়ে কেউই উচ্চবাচ্য করেননি। গার্জেন কল তো দূর-অস্ত। সব বিষয়ে ফেল করেও

অণুগল্প ।। তালগাছটা ।। তপন মাইতি

ছবি
তালগাছটা তপন মাইতি মাস তিনেক হল অরিন্দম একটা মোটা মাইনের চাকরি পেয়েছে। সাতাশ বসন্তের পর শহর থেকে ফিরছে সে। রাত দশটা! পাড়াটা যেন কুম্ভকর্ণের ঘুম দিচ্ছে। ঘুরপথ ছেড়ে সোজা ফাঁকা মাঠ ভেঙে আসছে। হঠাৎই গা ছমছমের বাতাস লাগল তালগাছটায়। সারা শরীরে তড়িৎ খেলে গেল। গাছটার গা বেয়ে নেমে আসছে হু হু বাতাস। আচমকায় থস্ করে কি যেন একটা পড়ল। টর্চের আলোয় কিছুই দেখা গেল না। দেখার মধ্যে সাপের ফণার মতো দুলছে বাবুই পাখির বাসা সব। সকালে উঠেই ব্রাশ নিয়ে তালগাছটার পাশে দাঁড়ালেই শৈশবের সেই তালগাছটার কথা মনে পড়ল। কত বড় হয়ে গেছে সে। বাসায় বাসায় অন্ধকার। তার চোখের সামনেই ভেসে উঠল। সেই ভয়ার্ত খুনখারাপী রাজনীতি।গা ছমছম রাতে কজন মিলে বাবাকে টেনে হিচড়ে তুলে নিয়ে যায়।মা মুখ চেপে টানতে টানতে নিয়ে চলে যায় তাকে। সেই তার যা যাওয়া। মাটিতে কয়েকটা ডিম ফাটার হলদে খয়েরি দাগ আর ফাঁকা লবনাক্ত দাগ। তালগাছটার মাথায় তখন সকালের মরাচাঁদ! ==================================  তপন মাইতি   গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর; থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ ২৪পরগণা।

কবিতা ।। শারদ পুজোর কায়া ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

ছবি
শারদ পুজোর কায়া নিরঞ্জন মণ্ডল রাতের ঘুমে স্বপ্ন এসে সামনে দাঁড়ায় যদি আমি তখন সুর কলকল বাঁধন হারা নদী। নদীর চরে দুলতে থাকে সফেদ জটার কাশ টুকরো মেঘে উঠবে জেগে শিউলি ফুলের বাস। মেঘের ফাঁকে আলোর রেখায় সাকার অলোক মুখ আগমনীর গান ভেসে যায় উজিয়ে দিয়ে সুখ। আকাশ-গাঙে মিটমিটানো হিরের পারা তারা ডাক পাঠাবে উড়াল দিতে, ঢাকের কাঠির সাড়া আঁধার বুকের গহিন কোণে--নাড়িয়ে দেবে পা পাগলা হাওয়া বলবে এসে --যা রে খোকন যা; তোর নাগালে আসল যখন দুর্গা মায়ের ডাক সেই ডাকেতে সাগর মুখো সজল বিভোর থাক। সাগর জলের অতল নীলে ঝিনুক পাতে বুক তার গহিনে মুক্তো নিটোল জানাতে উৎসুক শারদ বেলার উচ্ছ্বলতায় নীলের ছোঁয়া চাই, নীল পদ্মের অমল ছটায় যে রূপ খুঁজে পাই তার ছোঁয়াতে মুছতে যে চাই আমার মলিনতা ; জগত জুড়ে চাই ছড়াতে বাঁচার বাড়ার কথা। বছর ফেরে শিউলি আসে জাগে সফেদ কাশ নতুন রূপেই বছর বছর শারদ পুজোর মাস আসবে ফিরে, তাকে ঘিরেই স্বপ্ন-ঘুমের রাত এই দুনিয়ায় জাগবে অঢেল সবল বরদ-হাত। কলকলাবে সুখের নদী ছুটবে সাগর মুখে, সীমানা হীন নীল জাগাবে সফেদ ফেনা বুকে। সেই ফেনাতেই থাকবে আঁকা শারদ পুজোর কায়া, জগত জুড়ে বাড়বে রোজই এ উৎসবের ছায়া।   ----------------

কবিতা ।। জীবন ।। মনসিজ বিশ্বাস

ছবি
জীবন মনসিজ বিশ্বাস   পেচ্ছাপের কাটাকুটি খেলায় আত্মাগুলো যায় মিশে, দিনের শেষে বিকেলবেলায় ফেরে যখন মলিন বেশে, শক্তি রইলো মলাট খাতায়, সবই এক, সুনীল - সমর নির্বিশেষে।    =================        মনসিজ বিশ্বাস  বুড়িরবাগান, বর্ধমান ।

ছড়া ।। আশ্বিন এলেই ।। দীনেশ সরকার

ছবি
  আশ্বিন এলেই    দীনেশ সরকার আশ্বিন এলেই মনের কোণে আলোর বেণু বাজে উড়ু-উড়ু মন যে সবার বসে না আর কাজে । আশ্বিন এলেই হৃদয় ভাসে আগমনির সুরে আপনজন সব ফিরছে ঘরে থাকে যারা দূরে । আশ্বিন এলেই নদীর চরে কাশফুলেরই মেলা পালকশুভ্র কাশের বনে বাতাস করে খেলা ।  আশ্বিন এলেই শালুক-পদ্ম সরোবরে ফোটে মধুর লোভে মধুপেরা দলে দলে জোটে । আশ্বিন এলেই শিউলি গাছটা রাতে ফুলে ভরে সূর্য ওঠার আগেই সে ফুল ঝরে ঝরে পড়ে । আশ্বিন এলেই সুনীল আকাশ মেঘের ভেলা ভাসে কৈলাস থেকে মর্ত্যভূমে ওই বুঝি মা আসে । আশ্বিন এলেই প্রতিমার গায় রঙের প্রলেপ পড়ে চিন্ময়ী মার মৃণ্ময়ী রূপ দেখি দুচোখ ভ'রে ।    আশ্বিন এলেই মায়ের পুজোর কাঠি পড়ে ঢাকে অবাক হয়ে দেখি সবাই ত্রিনয়নী মাকে । ************************************ দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ---- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। বেসামাল ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
বেসামাল প্রতীক মিত্র   গ্রীলের বারান্দা। বৃষ্টির ফোঁটার সেখান থেকে অনুপ্রবেশ ঘটে ছন্দে-অছন্দে। নিচে রাস্তায় ততক্ষণে ব্যস্ততার ক্যাকোফোনি। পাখিদের ঐক্যতানও আছে। অবাক লাগে এখনও তাদের আওয়াজ কানে আসে বলে। কোথায় তারা থাকে? গাছ কই? বারান্দায় শখের ছোটো-ছোটো গাছের অরাজনৈতিক সবুজে দৃষ্টি অবগাহন করতে বেশ লাগে। মনে হয়  আগামীকে কিছু যেন দেওয়ার এখনও আছে এইসব ব্যস্ততার বাইরেও। বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকি। ওর ফোঁটাগুলো আলাপচারি হতে চায়। কিছু যেন বলতে চায়। গাছের কথা, গাছের ওপর না পড়ার কথা, পাখির ডাক, তাদের খুঁজে পাওয়া, না পাওয়া… আমার শৈশব! শেষের বিষয়ে ছলাৎ করে ওঠে আবেগ। পথ যেন বেশিই খরস্রোতা। আর আলাপ সুপাচ্য থাকবেতো? গ্রীলের বারান্দাতেই রয়ে গেলে ভালো হত না? কিন্তু বৃষ্টি? তার বেলা? সময় যার কাদামাটি, স্মৃতি যার কাছে শুধুই খেলা!   ==================== প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235, পশ্চিমবঙ্গ

ছোটগল্প ।। সাব্বিরের হাসি ও রুপনার মনোদহন ।। সৌমেন দেবনাথ

ছবি
সাব্বিরের হাসি ও রুপনার মনোদহন সৌমেন দেবনাথ  দীর্ঘয়ী রুপনার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী। এই প্রথম রুপনাদের বাড়ি এসেছে। রুপনার স্বামীর সাথে লম্বা সময় আলাপ করেছে। রুপনাকে আলাদা করে ডেকে বললো, তোর স্বামী বড্ড মিষ্টি আর মিশুক একটা মানুষ। কিন্তু প্রতি কথার শুরুতে হাসে। দিলে গিয়ে লাগে। ওভাবে আর অত বেশি হাসতে মানা করবি, যার তার স্বপ্নে গিয়ে বাসা বাঁধবে তো! রুপনা কথাটি সিরিয়াসভাবে না নিয়ে বললো, প্রাণবন্ত একটা মানুষ। ভীষণ ভাগ্যবতী ভাবি নিজেকে। দীর্ঘয়ী বললো, কি মিষ্টি হাসি! আহা, যদি কেনা যেত! এক মুষ্টি কিনে নিতাম! যতটুকু দুঃখ আছে, তা আর থাকতো না। রুপনা শুনে বললো, চোখের জল, মুখের হাসি কেনাবেচা করা যায় না।  দীর্ঘয়ী চোখের পাতা নাচিয়ে বললো, অত মোহমুগ্ধ হাসি ভালোও না। যে কেউ তার প্রেমে পড়ে যাবে। অতি আবেগপ্রবণ যারা, তারা হাসির প্রেমে পড়ে, তুই তো বাস্তববাদী বুঝতে পারছিস না। কথাটি শুনে রুপনার খারাপ লাগলেও খারাপ লাগা প্রকাশ করলো না। ওদিন বিকালেই দীর্ঘয়ী চলে গেলো। রুপনা সাব্বিরের হাসি ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে থাকলো। একটা মানুষ হাসবে, তার হাসি কি কাড়া যায়! একটা মানুষকে কি হাসতে মানা করা যায়! যে মানুষটা হৃদস্পন্দনেই ব

কবিতা ।। নীলাঞ্জনা তোমায়… ।। তপন মাইতি

ছবি
  নীলাঞ্জনা তোমায়… তপন মাইতি বলতে বলতে একত্রিশটা শরৎ চলে গেল দেখতে দেখতে কত হেমন্ত শীত চলে গেল তবুও কোথায় যেন নিঙড়ে আনি আশৈশব মুখ থেকে ঝরে পড়ে প্রতিবাদী নীল জেহাদ এখন আমরা বিপরীত ঝুলন্ত সাঁকোয় দুলছি। শীতের রোদকে সবাই কাছে পেতে ভালোবাসে গল্পটা জেনেছি বুঝেছি বারো বছর পর ভেসে ওঠে মাঠে একটি খেসারী ফুলের মুখ আকাশের একটু নীল রেখে গেলাম তোমার হাতে ফুরফুরে শীত আর নিজস্ব নির্জনতার নীল শখ হয়তো এরচে'ঢের বেশী দিতে পারে অনেকেই খটমট, চমক ,থমকে, খটকা লেগেছিল বোধহয় 'এইটুকু নীল দিয়ে বুঝি ও কী বলতে পারে… আমি আলপথ ধরে হাসতে হাসতে চলে গেলাম বলে গেছি সুন্দর এই পৃথিবী ভালো থেকো নীলাঞ্জনার মতো এক বুক ভালোবাসা নিয়ে।   ================

কবিতাগুচ্ছ ।। মনোজ চৌধুরী

ছবি
কবিতা-১  ঘড়ি মনোজ চৌধুরী নির্দিষ্ট সংখ্যার মারপ্যাঁচে অনর্গল সময়কে  আমি অনবরত হত্যা করে সামনের দিকে কেবল স্মৃতিগুচ্ছ গুছিয়ে আলমারি বন্দী করে রাখার চেষ্টা করি...তবু পিছলে যায়  এ জীবনকে পা পা করে ঠেলে নিয়ে যায়  বোকা সেজে বাধ্য হয়ে; বারবার আটকে  যাওয়া সত্ত্বেও হলদে হওয়া জীবনরসকে  চিরহরিৎ করার জন্য শতবার করি সন্ধি।  কিন্তু ঘূর্ণন থমকে যায় না কোনো মুহূর্তে এক বিন্দুর জন্য। সুখ দুঃখ সাজায় বৃত্ত সবুজ পাতার;শত ধূসর পাতার পরিবর্তে ঘড়ির কাটা ঘুরবে রামধনুর মতো নিত্য।      কবিতা-২  আকাশ মনোজ চৌধুরী মাইলের পর মাইল অক্লান্ত পথ হেঁটে কষ্টাঘাত উপেক্ষা করে  মাথার উপর দিব্যি এক নিশ্চিন্তের আকাশ সৃষ্টি করেছে লোকটি রক্তসম নোনা বৃষ্টিতে অসীম ভিজে  চার দেয়াল দাঁড় করিয়েছে নগ্ন শরীর রক্ষার্থে লোকটির বৃহৎ কঠিন চামড়া  শুধু চিত্ত স্পঞ্জের মতো নরম  দিবারাতহীন জীবন ধূসর আবছায়া ভর্তি একরাশ সেতু এড়িয়ে  লোকটি স্থায়ী একটি আকাশ সৃষ্টি করে  আগামীতে ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যায়  না চাওয়া সত্ত্বেও।   কবিতা-৩  একরাশ মান মনোজ চৌধুরী চিত্তমাঝে বিবশভাবে একরাশ মান জমেছে  আমি একদৃষ্টিও আড়াল হতে পারিনি, শুধু তোমার

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪