পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। পুরুষ তুমি ।। তরুণ মান্না

ছবি
   পুরুষ তুমি     তরুণ মান্না    তুমি রোজ রাত ক'রে বাড়ি ফেরো    সে কোনো দোষের কথা নয়    তুমি তো আর পাখি নও    সন্ধ্যে নামলেই নীড়ে ফেরার    আকুলতা জেগে উঠবে ডানায়    তুমি পুরুষ, এ তোমার অধিকার ।    তুমি রোজ ড্রিংক ক'রে বাড়ি ফেরো    সে কোনো দোষের কথা নয়     সংসার-সমুদ্র মন্থনের হলাহল    কণ্ঠ থেকে নামাতে    সুরামৃতের দরকার, তা মানি    তুমি পুরুষ, এ তোমার জন্মগত অধিকার ।    তোমার পোশাকে লিপস্টিকের দাগ    সে কোনো দোষের কথা নয়     আগুন দেখে পতঙ্গ যদি ঝাঁপ দেয়     আগুনের কী দোষ তাতে    দাহিকাশক্তি না থাকলে কীসের আগুন?    তুমি পুরুষ, এসব তোমায় মানায়।    তুমি নগ্ন হয়ে বাথরুম থেকে বের হও    সে কোনো দোষের কথা নয়     একা ঘরে বাবাই ঘুমিয়ে থাকে     হঠাৎ যদি ঘুম ভেঙে যায় তার    তুমি যেন লজ্জা পেয়ো না    তুমি পুরুষ, তোমায় সব মানায়।      ------------------------------      Tarun Manna.    Vill-Khandalia.     P.O.-Kalatalahat.     Via-Falta.     PIN-743504.     Dist-South 24Parganas.

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ভাবনা ।। শেফালি সর

ছবি
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে  আমার ভাবনা শেফালি সর         "নারী মানেই  অর্ধেক  আকাশ।নারী মানেই শক্তি।" কথাগুলো  শুধুই বানানো  বুলি। প্রকৃতপক্ষে  নারী চিরকাল  অবহেলিত  হয়ে  আসছে সমাজ সংসারে। সেই  ছোট্ট  থেকেই  একটি মেয়েকে   মা বুঝিয়ে  দেয় তার  অবস্থানটা ঠিক  কোথায় সমাজ  সংসারে। তুই  মেয়ে হয়ে  জন্মেছিস পরের জন্য, এই  সংসার থেকে  অন্য  এক সংসারে যাওয়ার  জন্য। তোকে  অনেক কিছু  মেনে  নিতে  হবে  জীবনে।আজ থেকেই অভ‍্যাস করতে  হবে - আগ বাড়িয়ে  কিছু  বলা যাবেনা,মেয়েদের স্বাধীন  ভাবনার কোনো মূল্য  নেই।পুরুষ-প্রধান সমাজ সংসারে নারী চিরকাল  অবহেলিত।       আর  ঠিক  সেই  কারণেই আজও  নারীকে আন্দোলনে নামতে হয় সমানাধিকারের দাবীতে।আজও সেই  কারণে বিশ্বজুড়ে  নারীদিবস পালন করতে হয়।নারীরা  এই দিনটিকে কেন্দ্র  করে পথে  নেমে  প্রতিবাদ  করে নারী  পুরুষের পক্ষপাত দূরীকরনের জন্য।সত‍্যি খুব  লজ্জা  হয়  ভাবতে - আমরা  নারীরা  কত  অবহেলিত নিপীড়িত আজও!প্রতিবছর ৮ই মার্চ নারীদিবসে ফেস্টুন  হাতে  নিয়ে পথে নামতে হয়। ঠিক  এর পরের দিন  থেকে যথারীতি  চলে  গতানুগতিক  জীবনযাত্রা।প্রশ্ন জাগে এই  নারী আন্দোলন  কার বিরুদ্ধে?

কবিতা ।। নারী নয় অবলা ।। দীনেশ সরকার

ছবি
 নারী নয় অবলা  দীনেশ সরকার নারীকে অবলা বলে ক'রো না অপমান নারীকে দাও সামাজে তার যথাযোগ্য সম্মান । নারী মাতা, নারী বধূ, নারী আমার কন্যা এই সমাজে সকল ক্ষেত্রে নারী আজ অনন্যা । ঘরে ঘরে নারীরূপে লক্ষ্মী-সরস্বতী রণরঙ্গিনী রূপ ধরে সে ঘোচায় দুর্গতি । নারী আছে তাই এ সংসার এমনই মধুময় নারীর ত্যাগেই সংসার জীবন বড়ই সুখের হয় । সমাজের আজ সর্বস্তরে নারী অগ্রগন্যা শিক্ষা-দীক্ষা সংস্কৃতি সবেই অসামান্যা । কর্মক্ষেত্রে সবার সাথে সমান তালে চলে সাফল্যের চূড়াতে নারী ইতিহাসই বলে । এভারেষ্টের চূড়ায় নারী, নারী মহাকাশে রণাঙ্গনে লড়ছে নারী পুরুষেরই পাশে । সাফল্যের এই মাপকাঠিতে নারী-পুরুষ সমান নারীকে অবলা বলে ক'রো না অপমান । ************************************     দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর --- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। অবগুন্ঠিত ।। বিবেকানন্দ নস্কর

ছবি
  অবগুন্ঠিত বিবেকানন্দ নস্কর   নারী দিবসে অবগুন্ঠিত নারীবাদ  গান্ধীবাদ, মাক্সবাদ, সঙ্ঘবাদ, ধান্দাবাদ রাস্তার মোড়ে মিছিলে  হাঁটে সংসারের সেবাদাসী উনুনে তপ্ত হয়। যে মেয়েরা আঁচল খুলেছে মাথা থেকে ফেলেছে ঘোমটার  ভার পুরুষের  পায়ের ওপর রেখেছে পা তাদের পিঠে লিখে দিও নারীবাদ । পুরুষের  সংবিধান  পুরুষের খুশিতে দেশের সমন্বয় লাঞ্ছিত  নারী পিছনের সওদাগর এঁটোকাটা কুড়োতে সময় যায়। মাতৃগর্ভে রেখেছো প্রজন্ম শরীরে বেঁচে থাকে নারীর অস্তিত্ব  ভোগের টেবিলে  আরো কতদিন নারীবাদ  হাঁটে না মিছিলের আগে !

সমাজে নারীর অবস্থান ও মূল্য ।। দেবযানী পাল

ছবি
  সমাজে নারীর অবস্থান ও মূল্য দেবযানী পাল ও মেয়ের সর্বঅঙ্গে তো নিষিদ্ধ বসন্তের প্রলেপ দেওয়া - নির্দিষ্ট সময়ে যার ছোঁয়ায় গ্রহণ লেগে যাবে সমাজ দর্পণে ----      আহা, এলোকেশীর এমন জ্যোৎস্না ঝড়ানো রূপে কত যে মৌমাছির আগমন হবে ----    এ তো গেল সুন্দরী মেয়ের নিত্য কথিত বর্ণিত পরিহাস, আবার যদি কালো মেয়ে হয় তো তার জন্মেই অমাবস্যার নিশি লেগে যায়।     এই পৃথিবী নামক গ্রহে মনুষ্যজাতির জন্ম ইভের থেকেই এবং তাকে আদমের সাথে দেখা যায় নিষিদ্ধ গাছের ফল পেড়ে খেতে, যার ফলে তাদের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় এবং তার ফলস্বরূপ বংশবিস্তৃতি (বাইবেল ও কোরানে লিখিত )। মানুষের প্রথমে উৎপত্তি হয় ৭০ লক্ষ বছর আগে ওরাং ওটাং প্রজাতির নরবানর থেকে ক্রমবিবর্তন এর মাধ্যমে নারী পুরুষ এই দুই ভাগে বিবর্তিত হয়ে।        পুরাকাল থেকেই নারী হল সমাজের,সংসারের পুরুষ দ্বারা কঠোর শাসনে অনুশাসিত, পদানত। নারীর নিজস্ব সত্তা নিমজ্জ্মান ছিল তার নিজের অন্তরে যার বহিঃপ্রকাশ ছিল অবর্ণনীয় অপরাধ, বিভিন্ন মহাকাব্যেও তার বর্ণনা আছে তাই হয়তো ক্লিওপেট্রা বা ভারতের বিভিন্ন নারীরা বা রামায়ণের সীতা ভিন্নভাবে নিজেদের লাঞ্ছনার হাত থেকে রক্ষা কর

কবিতা ।। নারী! তুমি দুর্গা ।। হামিদুল ইসলাম

ছবি
  নারী! তুমি দুর্গা    হামিদুল ইসলাম                       এই সেই নারী ! নারী ! তুমি আছো তাই পৃথিবী এতো কমনীয়  তুমি আছো তাই জীবনের প্রতিটি স্পর্শে জেগে ওঠে মায়া    ।। নারী ! তোমার মধ্যে এক দুর্বার শক্তি  তুমি দুহাতে গড়ো তুমি দুহাতে ভাঙো  ভাঙা গড়ার মাঝে গড়ো এক মোহময় মিলনের সেতু তুমি জল তুমি স্থল  তুমি স্বপ্ন। তুমি হৃদয়ের শ্বাশত স্বপ্নচারিণী       ।। নারী ! তুমি মা  তুমি বোন তুমি প্রেয়সী  তুমি আমৃত্যু আমার চির সহধর্মিনী       ।। নারী ! তুমি আগুন  তোমার মাঝে আদিমতার নৈ:শাব্দিক আগুন  তুমি সেই আগুনে জ্বলো  তুমি সেই আগুনে জ্বালাও  তুমি পোড়ো তুমি পোড়াও স্বর্গ মর্ত পাতাল। তুমি স্রষ্টার অপরূপা সৃষ্টি       ।। নারী ! তুমি আদ্যাশক্তি মহামায়া  তুমি দুর্গা  তুমি হাজার হাজার দুর্গতিনাশিনী দুর্গা       ।।   ---------------------------------------  হামিদুল ইসলাম গ্রাম+পোস্ট=কুমারগঞ্জ। জেলা = দক্ষিণ দিনাজপুর।

কবিতা ।। প্রত্নতত্ত্বের শরীর ও ইছামতি নারীদের জ্যোৎস্না সংহিতা ।। নিমাই জানা

ছবি
প্রত্নতত্ত্বের শরীর ও ইছামতি নারীদের জ্যোৎস্না সংহিতা নিমাই জানা প্রত্নতত্ত্বের মতো ভূ প্রকৃতির ফাটল থেকে যে নিশাচর শরীর বেরিয়ে আসে তারা ঠিক ঈশ্বরীদের মতো নৌকা চালাতে চালাতে রক্তকাশের পোশাক ফেলে রেখে গেছে জ্যোৎস্নাহীন রাতের মৃত প্রহরে একা একা ঘুরে বেড়ানো কালপুরুষীদের সারা শরীরে রক্তের প্রলেপ , চিৎকারের বমি উগরে দেওয়ার পর একা একা নিজেই সিঁদুরের আবির মেখে নেয় অন্ধত্ব নিবারণের পাখিরা, জাইলেম বৃষ্টিতে ভেজা কোন এক মৃৎশিল্পী রাতের ধ্রুবতারা আঁকছে পচে খত হয়ে যাওয়া কমলালেবু গাছের শেকড় দিয়ে কালো কালো ছায়াকে ছোবল মারলে বিষের পাথর দাঁত উপড়ে আসে, শুধু ঝাউ পাতার মতো সরু কোমরের নারীরা হিমগিরির মত ঠান্ডা উপত্যকায় দাঁড়িয়ে কতবার হিসহিস গোপী সেজে বিরহ কাতর হয়েছেন,  অমরাবতী স্নানের পর মাছেদের শিরদাঁড়ার কাঁটার ভেতরে থাকা জমাট অন্ধকার ক্রমশ গাঢ় হয়ে আসে নিঝুম আশ্রমিক কুঠুরির ভেতর লতাপাতার মতো, সবাই সর্পগন্ধা চেপে রাখে হরিণদের শরীরে প্রতিদিন নদী রজস্বলা অসুখ ধরে নেমে আসে আমি তার সারা শরীরে একাদশ মধ্যমার তারাদের কক্ষপথ আঁকার পর শ্বেতপাথরের শাঁখটি বাজিয়ে ফেলি, আর্তনাদ করে ওঠে বিবর্ণ পাথরের মত

পিয়ালী বসাক : অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয়ী প্রথম বাঙালী নারী ।। সুইটি রায়

ছবি
পিয়ালী বসাক : অক্সিজেন ছাড়াই ৮৮৪৮ মিটারে প্রথম বাঙালী নারী সুইটি রায়       নারীশক্তিকে বলা হয় আদ্যাশক্তি। নারী যেমন প্রেয়সী, তেমনি জননী আবার সেই নারীই মা চন্ডী। এখন নারী রা ঘরে বাইরে সর্বত্র সমান ভাবে দক্ষতা ও বুদ্ধি মত্তার পরিচয় দিয়েছে।        আমি নারী আমি সব পারি আমি রাজ্য চালাই দেশ ও চালাই বিশ্বটাকে এগিয়ে দিতে মহাকাশে দিই পারি আমি দুঃসাহসী নারী আমি তরোয়াল হাতে যুদ্ধ করেছি হিমালয়ের চূড়ায় উঠেছি।       হ্যাঁ সত্যিই সত্যি এক বাঙালী নারী অক্সিজেন ছাড়াই তার জয়ের ধ্বজা হিমালয়ে স্থাপন করেছেন। চন্দননগরের বাসিন্দা পিয়ালী বসাকের অনেক অভাবের মধ্যেই বড়ো হয়ে ওঠার গল্প। বাবা শয্যাশায়ী। মা কে নিয়ে জীবন যুদ্ধের পথে যখনই সে পাহাড়ের নাম শুনেছে ছুটে ছুটে গেছে। পারিবারিক আর্থিক অবনতির কারণে পর্বত আরোহণের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হবে এই আশঙ্কায় বাড়ি থেকে নেপালে পাড়ি দেয়। চন্দননগরের বাসিন্দা পিয়ালী অঙ্ক নিয়ে স্নাতক পাশ করে। এখন এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। পিয়ালী যেমন মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্ট তেমনি আইস স্কেটিংয়েও নজর কেড়েছেন।              দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধি

কবিতা ।। তিতাস নামের নদীটি ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

ছবি
তিতাস নামের নদীটি (অনুর্ধ্ব ঊনিশ মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম‍্যাচের ম‍্যান অব দ‍্য ম‍্যাচ তিতাসকে নিয়ে) নিরঞ্জন মণ্ডল তিতাস নামের ছোট্ট নদীর তিরতিরে কাঁচ জল সবুজ গাঁয়ের জীবন ছুঁয়েই বয় সে কলোকল। বাদল দিনের ছোঁয়ায় নদীর কূল ছাপানো ঢেউ, বুক জুড়ে তার কোন সে তুফান বুঝবে না তা কেউ! তিতাস নামের একটা মেয়ের অসীম মনের বল স্বপ্নে বিভোর চোখদুটো তার লক্ষ‍্যে অবিচল। পরম দিনেই ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ ছিল তার বুকে জগত সভায় দেখল সবাই, সাবাস সবার মুখে। তিতাস নদীর জলের ধারায় জুড়িয়ে শরীর মন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে রোজ মগ্ন অযুত জন। গল্প গাথা গানের কলির নাগাল পেলে পর উজল আলোর অমল ধারায় উজায় বুকের চর। তিতাস নামের একটা মেয়ের ঝর্ণাধারার নাচ রোগ শোকেতেও ভারতবাসীর বাড়িয়ে বুকের আঁচ বইয়ে দিলো আবেগ জোড়া অঢেল সুখের ধারা, নতুন গাথা গান কবিতায় করলো আপন হারা। তিতাস নামের এই মেয়ে তাই সাগর মুখো নদী, গঞ্জ শহর গাঁও পেরিয়ে সাগরকে ছোঁয় যদি তার পরশে সাগর বুকেও সফেন ঢেউয়ের মায়া জাগতে পারে বেবাক ছুঁয়ে অথির কালের কায়া। তিতাস মেয়ে তোমায় পেয়ে গর্বিত এই দেশ মিলিয়ে যেন যায় না তোমার সাগর ছোঁয়ার রেশ! তিরতিরে ঢেউ কাঁচ জলেতে তুফান তোলো তুমি, ক

কবিতা ।। অধিকার ।। সবুজ জানা

ছবি
          অধিকার         সবুজ জানা                           (1) --এ পৃথিবীর মাটি, জল, বায়ু এবং অধিকার    নারী আর পুরুষ সমান সমান। তাই অধিকার চাই         অধিকার। নারীদেরও সমান অধিকার। স্ট্রিটকর্নারে ভাষণ চলে। অফিস ফেরত দাঁড়িয়ে পড়ি। --সমাজের প্রতিস্তরে মেয়েদেরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। আমার ছাপোশা বাংলাপানমার্কা আলুভাতে টাইপের বউ -এর ছবিটা চোখে ভাসে। ওর আবার মতামত! সে ত ধান ভানতে শীবের গীত! হাসি পায়। --ইতিহাস সাক্ষী।   আর্যনারীদের স্বয়ম্বরে বর বাছার অধিকার স্বীকৃত ছিল।   আমরা কি সামনে হাটছি না পেছনে? আরে সে ত আর্য নারীর কথা। তার উপরে আবার রাজ কন্যা। অধিকার শব্দটা ওদের মানায়। তাই বলে বাংলা পান। এত অধিকারের অপমান! --কবি বলেছেন, এ পৃথিবীর যা কিছু সৃষ্টি অর্ধেক তার   রচিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। ভায়া কবির কথা ছেড়ে। বাড়ির খবরটা কাসুন দেখি ঝেড়ে। ওসব কথার কথা। আরে মঞ্চে ওসব সবাই বলে। তবে লোকটি বলে ভাল। হাজার হাতের তালিতে বাচন ভঙ্গি প্রসংশিত।                               (2) ক্লাবে আবার  ইয়ারবক্সি অপেক্ষমান। দ্রুত হাঁটা দিই। গল্পে আড্ডায় কয়েক পেগ। চাটে কষা চিকেন

প্রবন্ধ ।। পুরুষ এবং নারীর দ্বন্দ্ব কেন ।। আশিস ভট্টাচার্য্য

ছবি
  পুরুষ এবং নারীর দ্বন্দ্ব কেন ? আশিস ভট্টাচার্য্য নারী ও পুরুষের সমকক্ষ মানুষ কেবল উভয়ের দৈহিক গঠন আলাদা। নারী ও সুযোগ এবং সাধনার সমন্বয়ে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছে, দুর্গম ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হয়েছে।           বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব সামলে ছে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে লিখেছে অসংখ্য বই , বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সুতরাং নারীকে বিন্দু তম খাটো করে দেখার বা দেখানোর অবকাশ নেই। নারী এবং পুরুষ উভয়ের সম্মেলিত শ্রমেই পৃথিবী সুন্দর, সবুজ, চির আকাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠেছে।           তাহলে দ্বন্দ্ব কোথায়? নারীর সহজাত প্রবণতা সে বিন্দুমাত্র সুযোগ পেলেই পুরুষের সমালোচনা, নিন্দামন্দ করবে। নারী সদা সর্বদা অবহেলিতা, বঞ্চিতা, উপেক্ষিতা, অত্যাচারিতা সেই কথাগুলো বলবে, প্রচার করবে। সে অপর নারীর কাছে আলোচনার সুযোগ পেলে, সে মঞ্চে বলার সুযোগ পেলে পুরুষ কত ধরনের অত্যাচার নির্যাতন করে তার বিস্তৃত ব্যাখ্যা করবে। তাদের বক্তব্য শুনলে অথবা লেখাপড়লে মনে হবে পুরুষের একমাত্র কাজ মহিলাদের ওপর নির্যাতন করা, তাদের বঞ্চিতা, অবহেলিতা করা।           বিষয়টা কি সত্যিই তাই? পুরুষ য

নারীকে নিয়ে দুচার কথা ।। মনোরঞ্জন সাঁতরা

ছবি
নারীকে নিয়ে দুচার কথা  মনোরঞ্জন সাঁতরা দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীরা প্রায় সমানভাবে অবদান রাখছেন। ১৯৪৭ থেকে ২০২৩-স্বাধীনতার দীর্ঘ ৭৬ বছরে নারীরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন। নারীদের এগিয়ে যেতেই হবে; কারণ আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী। এ নারীরা যদি উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত না হয়, পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে এগিয়ে না চলে; তাহলে পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে?            দেশের অর্ধেক জনশক্তি দিয়ে দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়- এ বাস্তব সত্য আমাদের  উপলব্ধি  হয়েছে বলেই নারীরা আজ পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হতে পেরেছেন। নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি নারী। দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের যতগুলো খাত রয়েছে, তার প্রায় সব ক'টিতেই বিশেষ করে কৃষি এবং পোশাকশিল্প খাতে নারীর অবদান সবচেয়ে বেশি। দেশের রপ্তানি শিল্পে ৯০ ভাগই নারী শ্রমে অর্জিত।           সম্প্রতি একটি জরিপে জানা যায়, শুধু কৃ

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারী দিবসের তাৎপর্য ।। পাভেল আমান

ছবি
   বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারী দিবসের তাৎপর্য পাভেল আমান "বিশ্বে কিছু মহান সৃষ্টি চির যা কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর"। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের রচনায় নারীর বীরত্বগাঁথায় কোন বাহুল্য নেই। নারীর ভূমিকা সভ্যতার অগ্রযাত্রার ইতিহাসে সমন্তরাল। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ই মার্চ তারিখে পালিত হয়। আবিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসাবে এই দিবস উদযাপন করে থাকে। ভৌগোলিক দিক থেকে পৃথিবীর এক এক প্রান্তে নারী দিবস পালনের প্রধান লক্ষ্য এক এক রকম। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ,শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রম উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয় , আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। এক কথায় খোলসা করে বলতে গেলে নারী জাতির ক্ষমতায়ন। নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন যেদিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক,অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেওয়ার দিন।           ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় উৎপাদনকে কেন্দ্র করে সমাজ বিবর্তনের পরিক্রমায় আদিম মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে শ্রেণীবিভক্ত সমাজে প্রাদুর্ভা

বাংলাভাষা আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ।। রমলা মুখার্জী

ছবি
বাংলাভাষা আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা রমলা মুখার্জী বাংলার বাহান্নর ভাষা আন্দোলন সমগ্র পৃথিবীর মাতৃভাষার আন্দোলনের ইতিহাসে এক গৌরবময় গাথা।       অনেক নারীরাও একুশের বাংলাভাষা আন্দোলনে এগিয়ে এসেছিলেন কিন্তু তাঁরা অন্তরালেই রয়ে গেছেন। ভাষা-আন্দোলনকারী নারীদের  মধ‍্যে যে নামটি সবার আগে উঠে আসে তিনি হলেন দৌলতুন্নেসা খাতুন। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রেরণা বহু নারীরাই তাঁর কাছ থেকে পেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি  ছিলেন সে সময় বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের একজন সংগ্রামী উদ্যোক্তা। ১৯৩৫ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী অধ্যাপিকা চেমন আরার নামও এ প্রসঙ্গে উল্লখ‍্য। ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠক তমুদ্দন মজলিসের সঙ্গে ১৯৪৮ সাল থেকেই চেমন আরা সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং এ সময় থেকেই সভা ও মিছিলে যোগদান শুরু করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে চেমন আরা ইডেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী হয়ে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শহীদ বরকতের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে যে মিছিল বের হয়, সে মিছিলে চেমন আরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। আর এক নারী, শামসুন নাহার আহসান; জন্ম তাঁর ১৯৩২ সালে ১১ মে বরিশাল জেলার আলোকান্দায়, ৫২ এর ভাষা আন্দোল

মুক্তগদ্য ।। নারী ও নারী দিবস ।। রাণা চ্যাটার্জী

ছবি
             নারী ও নারী দিবস                রাণা চ্যাটার্জী কিসের নারী দিবস!নারীদের জন্য আলাদা করে দিন পালন শুনতে তো ভালোই লাগছে কিন্তু নারীরা কি আজ এই দিনে স্পেশাল সুবিধা পাচ্ছে তাদের প্রিয় জন,প্রিয় সমাজ ব্যবস্থা থেকে।এই যেমন বাড়ির লোকজন কি আদৌ বলছে মা আজ তোমার ছুটি,গিন্নি আজ আমি আমরা সামলে দেবো বাড়ির যাবতীয় ঝক্কি ঝামেলার কাজ! বাড়িতে আজ কি তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে!!সুতরাং অমন ভেক দেখানো নারীদিবস পালনের মানে টা কি যেখানে পান থেকে চুন খসলে দোষারোপের আঙুলওঠে নারীদের প্রতি। যে নারীকে বাড়ি,সমাজ ,অফিসে রাস্তা ঘাটে যোগ্য সম্মান আদায় করতে লড়তে হয়,লোভ লালসার আগুন চোখ থেকে বাঁচতে শরীর ঢাকতে হয়,অগোছালো মুহূর্তে সামান্য অপ্রীতিকর অবস্থায় হাঁ করে শরীর গিলতে আসা শকুনের মতো কামুকের চোখ চকচক করা দেখেও প্রতিবাদের ভাষা চেপে রাখতে হয় এই ভেবে যে একা পেলে যদি দিল্লির বাসের মতো নির্ভয়া কান্ড ঘটিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বীর পুঙ্গব,কিংবা উত্তর প্রদেশের মতো জ্বালিয়ে মেরে দেবার ঘটনা নিছক হাতের খেল হিসাবে গণ্য হয় অতি কামুকদের!আইন আদালত সব কব্জা করে বিচার ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করার ক্ষ

নিবন্ধ ।। নারী দিবসে নারী স্বাধীনতা ।। সোনালী ব্যানার্জ্জী

ছবি
 নারী দিবসে নারী স্বাধীনতা  সোনালী ব্যানার্জ্জী আজ নারী দিবস। নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে কে একজন আবৃতি করছে  রেডিওতে ----, কানে এলো নীলার  । সকাল থেকে সময় নেই এই সব শোনার।  আজ ঘটা করে ক্লাবে ক্লাবে,মঞ্চে মঞ্চে, পাড়ায়‌ পাড়ায় , প্রভাতী অনুষ্ঠানে, নারী দিবস নিয়ে লম্বা ভাষন দেবে সবাই । কবিতা লেখা হবে নারীদের নিয়ে , বক্তৃতা দেবে শহরে ,গঞ্জে,নারী স্বাধীনতা নিয়ে, অনেক কথা বলবেন নেতা, নেত্রী ও সেলিব্রেটিরা-----------!! আর রাস্তার ডাস্টবিনে পড়ে থাকবে আধা জ্বলন্ত দেহ! কোথাও বা আধা নগ্ন, লোহার রডে বা ব্লেডের চৌচির করা  রক্তাক্ত শরীর নিয়ে! বাচ্চা শিশুরা পড়ে থাকবে কোনো ডাস্টবিনে নাম পরিচয়হীন ভাবে------!! নারী স্বাধীনতা------!!! আনমনে এইসব ভাবতে ভাবতে, হঠাৎ নীলার সম্বিত ফিরে এলো শ্বশুরের চিৎকারে ------ "বৌমা আমার চা কোথায়?'' "বৌমা আমার বাতের ব্যাথার  তেলটা কোথায়? দিয়ে যাও না!" শাশুড়ি বলে ওঠেন! "মা আমার টিফিন রেডি? '' ছেলে বেরিয়ে আসে। :স্বামীর জোর তলব ,-----" হ্যাঁগো, আমার টাইটা কই? অফিস যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে !''  তাদের উওর দিতে না দিতেই মেয়ে বলে----,

সাম্প্রতিক কবিতা নিয়ে আলোচনা ।। আবদুস সালাম

ছবি
কবিতা এখন  আবদুস সালাম সমকালের কবিতায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে সুদূর প্রসারী বর্ণচ্ছটা। প্রত‍্যন্তগামী ভাবনার বিচ্ছুরণ। ভাবনার মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে  আনতে হয় কবিতার শরীর। ভাবনা থেকে ভাবনায় ডিঙিয়ে যাওয়া শুধু। ভাবনার ভগ্নাংশ জুড়ে তৈরি হয় কবিতার পঙ্ক্তিমালা। ভাবনার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। সাবলীল গতি হোঁচট  খাচ্ছে প্রতি পদে।লাফ দিয়ে ডিঙিয়ে যাওয়া শুধু। আমরা যারা সাধারণ পাঠক হারিয়ে ফেলেছি খেই। পাচ্ছিনা সঠিক দিশা। প্রায়শই মনে হয় এ যেনো ভাবনার বুনো হরিণ।একে ধরা যায় না কেবলমাত্র চোখে দেখে যায়। ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবনার স্ফুলিঙ্গ দিয়ে বোনা রাতের আকাশ। শরতের পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো ভেসে যাওয়া  টুকরো টুকরো আশা, আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক কবিতা বলতে আমরা উপলব্ধি করছি পেঁজা তুলোর মতো ভাবনা বিহীন ভাবনার জারিত কথামালা। যেমন দেবাশীষ সাহা লেখেন "মহিষ আর মেঘের সঙ্গমে জন্ম নিবে আমার উত্তর পুরুষ ।" "কাঠের স্বপ্ন অনুবাদ করছে গৃহ সজ্জা" "ঘরে ফিরে রং করি পাখিদের ডানা"  অসাধারণ সব অনুভূতি যা নতুন প্রজন্মকে কবিতার বনে ভ্রমণ করতে যোগাবে নতুন দিশা।     কবিতায় খুঁজে পাই নির্মাণগত আপাত বিশৃঙ্খলা

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪