রহস্যহীন লোকটা
এইট-বি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটা গোটা ভুট্টার ক্ষেত শেষ করেই এসেছিলাম প্রায়। বহুদিন পর সর্বরূপের সঙ্গে দেখা। সর্বরূপ এখন পক্ষী-চিত্রগ্রাহক ... সব পাখি ডিম পেড়ে আসার পরই যে ঘরে ফেরে , সর্বরূপই আমাকে শিখিয়েছিল। অনেকদিন আগে। যেদিন কমলেশ স্যার লাইব্রেরি কার্ডে সই ক'রে আমাকে দিয়ে দিলেন আগুন পাখির রহস্য ...
আগুন পাখির রহস্য ব্যাগে নিয়েই আমি চলে গ্যাছিলাম লক্ষী-নারান সংঘের মাঠে। ছাত্র-শিক্ষক ম্যাচের দিন কী বৃষ্টি! কী বৃষ্টি! রূণা ম্যাডামের আঁচল ধ'রে ধ'রে , যে যেদিকে পারলাম – আমরা দৌড়লাম। দৌড়তে দৌড়তে আমি ভুলেই গেলাম আমার সঙ্গে একটা রহস্য ছিল। আগুনের রহস্য।
খেয়াল হতেই রূণা ম্যাডামের আঁচল ছেড়ে এসে অনেক খুঁজেও আমি আর সে রহস্য পেলাম না। পেলাম না তো পেলামই না ...
তার পর থেকেই আমি
সিগারেট জ্বালাতে পারি না
পি. আই. সিট গরম করতে পারি না
ঠোঁটের কাছে দেশলাই কাঠি নিয়ে গেলেই তাপ ঠিকরে এসে চোখে লাগে!
— কী রে তোর খবর কী ? এখানে ?
— এই ভাই , বসের ছেলেকে খেলতে নিয়ে এসেছি। দারুন বোলিং এর হাত। ...ভোল তো একেবারে বদলেছিস... সৌরভের খবর কী রে ?
— ঘাগু মাল। ত্রৈমাসিক একেকটা মেয়েকে ধরে আর তাদের সবার ঘরে কারেন্ট চ'লে যায়। ফুটফাট জ্বলে ওঠে এমার্জেন্সি লাইট ...
— কীকরে জানলি ?
— বার্ড আই রপ্ত ক'রে ফেলেছি বন্ধু!
— ভুট্টা খাবি ?
— দে ... তোরটাই দে
সর্বরূপের ঠোঁটের সিগারেট আমি আমার ঠোঁটে নিয়ে নিই। আমি জানি, সেদিন আমার ব্যাগ কে নিয়েছিল।