বগাদা
ভারতের মাটিতে প্রথম অলিম্পিক গেমস শুরু হল আজ নয়াদিল্লিতে। সকাল থেকে রাজধানী সেজে উঠেছিল বিকেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য। বর্ণাঢ্য মার্চ পাস্টের মাধ্যমে অভিবাদন গ্রহণ করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের শীর্ষ বাছাই এক ঝাঁক ক্রীড়াবিদের সঙ্গে দলের পুরোধা হিসেবে জাতীয় পতাকা বহন করছিলেন দেশের মাটিতে সেরা সময় করা প্রখ্যাত দৌড়বিদ্ যশপাল রাণা। কিন্তু বেখেয়ালে তিনি পতাকা দণ্ডটি উল্টো হাতে ধরেছিলেন। সন্ধায় অনুষ্ঠানের ভিডিও রেকর্ডিং দেখে জাতীয় দলের এক সর্বময় কর্তা তড়িঘড়ি ব্যক্তিগত যোগাযোগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ক্ষমা প্রার্থনা করে বার্তা পাঠান। এই ঘটনায় ঘনিষ্ঠ মহলে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হলেও বিশেষ সেই যোগাযোগ বলে ঐ কর্মকর্তা এবং দৌড়বিদ নিজেদেরকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হন।
ঘটনার সূত্র ধরে আমাদের পাড়ার বগাদা সন্ধের মজলিশে ঘোষণা করলেন – একটু আগে বগাদা টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমগ্র দেশবাসীর হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় এবারের মত যশপাল বেঁচে গেলেন সাসপেনশনের হাত থেকে। আসলে ছোটবেলায় একই গুরুর কাছে কুস্তি শেখার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বগাদাকে একটু আলাদা চোখে দেখেন। তাই বগাদার রিকোয়েস্ট ফেলতে পারেননি। অবশ্য বিল্টু আর ছোটকা বগাদার এই ফোনাফুনিকে এক স্পেশাল ঢপ বলে দাবি করে বসায় এদিন সন্ধ্যার আসরটি সরগরম হয়ে ওঠে। সমালোচনার ভয়ে যশপাল রাণার সঙ্গে কোন আত্মীয়তার সূত্র খুঁজে পাননি নইলে একটু চেষ্টা করলেই হয়তো দেখা যেত যশপালের বাচ্চা বয়সে ওর সঙ্গে ডাঙ্গুলি খেলেছেন বগাদা। তাই মানুষটার বিপদের দিনে ঝাঁপিয়ে পড়তে দুবার ভাবেন নি।
একবার স্বপ্নে দেখেছিলাম – ঘনাদা, টেনিদা আর বগাদা চুপচাপ একটা রোয়াকে বসে আছে। পরদিন পাড়ার মজলিশে কথাটা পাড়তেই লাট্টু পুরো হাঁই হাঁই করে উঠেছিল – বিন্দাস গুল মারছিস। ওরা তিনজন , মানে থ্রি মাসকেটিয়ার্স চুপচাপ বসে আছে – কখনো হতে পারে? গুলবাগিচায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গুলিষ্টরা চুপচাপ! আমি বলি,আরে গুরু – ব্যাপার আছে।ভাল করে লক্ষ্য করে দেখলাম তিনজনেরই কানে ইয়ার প্লাগ গোঁজা আছে – একমনে গান শুনছে। জিজ্ঞেস করাতে বলল - আকাশবাণী থেকে এবছর অডিশনের সব গান নাকি ওদের কাছে জাজমেন্টের জন্য পাঠিয়েছে। হঠাৎ বাবু চিৎকার করে ওঠে – ঘন্টে তুইও!
---------
যোগাযোগঃ- পার্থজিৎ ভক্ত,তপোবন সিটি,বামুনারা,দুর্গাপুর – ৭১৩২১2,জেলা – পশ্চিম বর্ধমান,চলভাষ – ৯০৬৪৩০৯০১১,WA No.- ৯৪৩৪৭০৯১৮৭, ই – মেল – parthajitbhakta@ gmail.com