দুঃখগাথা
হঠাৎ হঠাৎ মেঘেরা থমকে দাঁড়ায় ছাদে, অকারনে
নোটিস ছাড়াই মুছে দেয় হাতে মুখে লেগে থাকা আসমানি রঙ
বিরল মুর্ছায় প্রতিদিন কাঁপে ফুসফুস, শিকড়ে শ্বাসকষ্ট বাড়ে
পাখিরাও ফিরে যায় ডানায় শেষ রোদ মেখে আর হঠাৎই
মরে যাওয়া চৈতি বিকেল ভাঙা নৌকার মতো শুয়ে থাকে,
কাত হয়ে নিরুত্তাপ বুক ঘেঁষে
আত্মার অমত তবু শাখা ও মূলের মুখালাপ হয় মেপে
অতঃপর বগ্গা বাতাস, ঝরা পাতা আর ঝাপটে আসা বৃষ্টিরা শূন্যতার গন্ধ বয়ে
কুলুঙ্গির শিখায় ছুঁড়ে দেয় শীতার্ত বিষণ্নতা
আমি চেটোয় থুতনি চেপে ধুলো-বালি ছাইয়ের শব্দহীন ওড়া,
কপালে কোঁচকানো অন্ধকার দেখতে দেখতে দেখি
ফুরফুরে ঝাউয়ের মতো খুনসুটি মোছে নুন- ছেঁড়া গামছায়
গোপনে এবং সমস্ত ঘর জুড়ে সারাদিন দাপাদাপি করে অশরীরী দুঃখবোধ....