শুভানুধ্যায়ী
মহিসাদল বই মেলা থেকে চট জলদি বেরিয়ে এলাম
মনটা বাড়ীর টানে বড় টানছিল, মা মুখো ছেলে।
বেরিয়েই একটা টোটো পেলাম
সাথী জুটলো মনের মত, -মৃনালদা।
রাস্তাটা চওড়া নয়, পাশে সাইকেলের স্রোতে উজান ভাটির টান।
আরও সরু একটা গলি থেকে সবুজ স্কার্ট সাদা জামার মেয়েটা
হঠাৎ বেরিয়ে এসে হুড়মুড়িয়ে পড়ল টোটোর উপর।
সাইকেল টা ছিটকে গেল
টোটোর সামনে চাকার তলায় মেয়েটির হাঁটু, ডান কব্জিটা।
টোটোওলা নিজেই নেমে মেয়েটিকে চাকা মুক্ত কোরে
পথের পাশে নিয়ে গিয়েছে, এদিক ওদিক দেখছে।
বোধহয় জল এবং সাহায্য খুঁজছে।
আমরাও রাস্তায়, অসহায়।
বেশী সময় লাগেনি। বহু শুভানুধ্যায়ী ভীড় করে এলেন।
টোটো চালকই লক্ষ্য। আমরা উপলক্ষ্য তো বটেই।
মেয়েটির প্রতি তাঁদের একটা কর্তব্য তো আছে!
যতই হোক সচেতন নাগরিক বলে কথা,বেচারা মেয়েটা !
তখন ও যন্ত্রণায় কুঁকড়ে তার দেহটা।
মৃনালদা বোঝাতে গেলেন, আরও উত্তেজনা !
আমরা তো বিরোধী পক্ষের। এখন বিচার সভা চলুক।
চিকিৎসা ? এ ঠিক পালিয়ে যাওয়ার তাল।
টোটো চালক কে বাঁচিয়ে যখন বেরিয়ে এলাম
ততক্ষণে একই পোষাকের কয়েকটি মেয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে মেয়েটিকে -
যাক্, সে এখন ভবিষ্যত নাগরিকদের তত্বাবধানে।