পোস্টগুলি

১৯তম সংখ্যা: আশ্বিন ১৪২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

স্মৃতিকথাভিত্তিক প্রবন্ধঃ নন্দিনী পাল

ছবি
তালপাতার পাখা   দীর্ঘ লোডসেডিংটা না হলে ওর কথা হয়তো মনেই পড়ত না। বিস্মৃতির অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া অনেক জিনিসের মতই-ওটা রয়ে যেত আলমারীর মাথায়। ধূলোমাখা শরীরে ,অবহেলিত আর পাঁচটা জিনিসের মত।জুলাই মাসে কিছুটা প্যাচপ্যাচে পিলানী।আমাদের কলোনীতে জেনারেটরের সুবাদে লোডশেডিং-এর সময়, এই নিদারুন গরমে পাখার হাওয়ার জন্য হাপিত্তেশ করতে হয় না। ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়ায় আজ সেই হাপিত্তেস যখন অসহ্য হয়ে উঠল ঠিক তখনই ওকে মনে পড়ল।ফ্যানের হাওয়া বা এসি চললে কার আর মনে পড়বে ওর কথা।তা হয়ে গেল বেশ কয়েক বছর,অনেক খুঁজেপেতে নিয়ে এসেছিলাম। আজকাল আর বঙ্গের দোকানগুলিতে এর স্থান নেই বল্লেই চলে।এর জায়গা দখল করে নিয়েছে লাল নীল,সবুজ রঙের ছোটছোট হাতলওলা স্লিমট্রিম টেকসই প্লাস্টিকের পাখা। অনেক বিলুপ্তপ্রায় জন্তু জানোয়ারের মতই এটিরও স্থান হয়েছে আমাদের মস্তিষ্কের প্রাগৈতিহাসিক কোষগুলিতে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন গৃহস্থবাড়িতে তিনটে জিনিস অবশ্যই থাকত, একটা কুলো একটা কুনকে আর একটা তালপাতার পাখা। গরমের সময় শীতলপাটি বা কাঠির মাদুর বিছিয়ে তালপাতার পাখার হাওয়া খেতে খেতে কত গল্পই না শুনেছি।লোডসেডিং হলে প্রথমেই খোঁজ পড়ত এই

অতীতচারিতা আলেখ্য : মৌসুমী মুখোপাধ্যায়

আমার জলছবিরা  :::::::::::::::::::::::: চলো গল্প বলি'    আমি তখন বেশ ছোট , যদিও ছোট বয়সের সঠিক পরিসংখ্যান  আমার কাছে নেই । স্কুলের বইয়ের পাতায় তখন কবিগুরু , বঙ্কিমচন্দ্র বিভূতিভূষণ মিলেমিশে একাকার , আরেকদিকে পাটিগণিতে'র দুটি ট্রেনের দৌড়ের গতি অথবা পিতা পুত্রের ১০ বছর পরে বয়সের হিসেব , জ্যামিতি'র সম্পাদ্য উপপাদ্য সব মিলে একটা বিশাল উপপাদ্য আমার সামনে  দাঁড়িয়ে,  যার সমীকরণ হয়ত সহজ ছিল , কিন্তু পথ ছিল বর্নহীন।                     স্কুলের ছুটির ঘন্টা শোনার জন্য মন ,আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়কে কে  পরিচালনা করত । আমি শুধু তখন মনের কথাই শুনতে পেতাম।  বাড়ী ফিরে মায়ের আদর মাখানো  হাতের খাবার আর যত্ন শরীরকে আরাম দিত ঠিকই কিন্তু মন পরে থাকত,  সেই চিলে কোঠার সিঁড়িতে যেখানে মায়ের রান্নাঘর থেকে আড়ালে আবডালে সরিয়ে আনা হলুদ , জিঁরে , নুন কিছু লিলি গাছের পাতা কুচি হয়ত বা  আরও কত কী, আর ছোট বোনের সাথে রান্না বাটির খেলা , এনে দিত পরম পরিতৃপ্তি ,মনকে যে কি জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যেত ......সে মনের কথা শধু আমিই শুনতে পেতাম।            পরন্ত রোদে বড়্দাদা- র ঘুুঁড়ি য

স্মৃতিকথাভিত্তিক প্রবন্ধ, সর্বাণী বসু

                                    'স্বর্গাদপি গরিয়সী' মফস্বলে থেকে কলকাতার প্রতি আকর্ষণ বরাবরই সবার।আমিও তার ব্যতিক্রম নই। এখনো আকর্ষণ আছে। তবে সেটা কেরিয়ার জন্য।তবে আমার আকর্ষণের কারণ আমার আত্মীয় স্বজনদের বসবাসের জন্য।অনেকের কথায় শুনি কলকাতাই সব আর বাকি জায়গা ঠিক জায়গা নয়। এ ধারণা আমারও ছিল। এই ভাবনাটা এলো অন্য একটি জায়গা থেকে।আজ থেকে ছয় বছর আগে যখন প্রথম জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিং কলেজে U.G.র Form জমা দিতে গিয়েছিলাম; College Addminestrative Building এ দাড়িয়ে বাবাকে বলেছিলাম 'এই কলেজে কেউ পড়ে নাকি? কি বাজে দেখতে কলেজটা! জায়গাটাও কী বাজে!' ইত্যাদি ইত্যাদি।আসলে আমার বহরমপুর ছাড়া মুর্শিদাবাদের কোনো জায়গা খুব একটা ভালো লাগেনা।হতে পারে ছোটো থেকে বহরমপুর-কলকাতা করেও এই ব্যাপারটা জন্মেছিল। এর পাঁচ বছর পর আবার সেই শ্রীপৎ সিং কলেজে গিয়েই ভর্তি হই M.A.পড়ার জন্য।দেখতে দেখতে দুটি বছর কাটালাম ,আমার চোখে সেই বাজে জায়গাটায়।কিন্তু এই বাজে জায়গাটায় আজ অনেক নতুন বন্ধু পেয়েছি,পুরোনো চেনা কারোর সাথে নতুন করে বন্ধুত্ব হয়েছে,অনেক ভালো ভালো স্মৃতি হয়েছে,প্রকৃতির একরূপ কাশবনে গিয়ে স

স্মৃতিকথাভিত্তিক প্রবন্ধ -- নিসর্গ নির্যাস মাহাতো

ছবি
  ঐতিহ্য চিনেছিলাম হাত ধরে খুব ছোট তখন। জীবন বলতে পরিবার, খেলা, পড়া, খাওয়া, আবৃত্তি, সাঁতার। বেকারত্ব বা প্রেম কোনটাতেই ব্যথা নিয়ে মাথা ব্যথা ছিলনা।       পুজো এলে নতুন জামা, ঠাকুর দেখা, হৈ-হুল্লোড়। পাড়ার মন্ডপ দাপানো আর শহরের বড়বড় পুজো মন্ডপে ঢুঁ মারা ছাড়া কোন কাজ নেই। সামনেই মামা বাড়ি। দাদু-দিদার কোলে ঝাঁপিয়ে সেইসব গল্প করতাম। যেন বিশ্বজয়ের কথা বলছি। দিদার তৈরি নাড়ু আর দাদুর তৈরি আমসত্ব উপঢৌকন পাচ্ছি। আর পকেট বোঝাই হচ্ছে ফুচকা-আলুকাবলি-ঘুগনি-চকোলেট-আইসক্রিম বা পটকা কেনার টাকায়। এমনই একদিন দাদু বলল, চল আজ তোকে অন্য ধরণের ঠাকুর দেখাব। দাদুর লুনা তখন রথ। আমি অর্জুন। হাতে তীর-ধনুকের বদলে ক্যাপ ফাটানো বন্দুক। স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ সারথী। সারা শহর ঘুরে পুরনো পাড়া ও প্রাচীন পুজো চেনালো গল্প করতে করতে। প্রথম দেখলাম ঠাকুরের ইয়া বড় বড় টানা টানা চোখ, সিংহ কেমন ঘোড়ার মতো। একচালায় সব ঠাকুর। রঙগুলোও আলাদা কেমন। অবাক হতাম। দাদু হাসত, ইতিহাস-ঐতিহ্যের গল্প বলতো।               এভাবেই চিনেছি শহরের মল্লিক রাজ বাড়ির পুজো বা কর্ণেলগোলার বিপ্লবীদের পুজো। ঘুরে দেখেছি পুরনো পাড়ার পুজো। সেবার

অণুগল্পঃ সোমনাথ বেনিয়া

প্রণামি  আগে কোনো মন্দির বিশেষ করে শনি ঠাকুরের মন্দির দেখলে পাঁচ সিকি - আট আনা প্রণামি দিতাম। অনেকে দিতো দেখে একপ্রকার বিশ্বাস রেখে আমিও দিতাম। যাই হোক বিশ্বাসের উপর ভরসা রেখে যখন সেভাবে কিছু করে উঠতে পারলাম না, তখন থেকে প্রণামি দেওয়া বন্ধ। তারপর থেকে বড়ো রাস্তার পাশে শনি মন্দিরটা দেখলে শুধু প্রণামের উপর দিয়ে চলে যেতাম।          এখন অনেকগুলো বছর পেরিয়ে এসেছি। সেসব অতীত। আসলে বাস্তবতার চাপে ঈশ্বরপ্রীতি সরে গিয়ে ধর্মের উপর কর্মনীতি চেপে বসেছিল। ওসব আর মাথায় আসে না। তবে সেদিন ওই শনি মন্দিরের সামনে অনেক লোকের জড় হ‌ওয়া দেখে অহেতুক পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। ভাবলাম যাই। বয়স হচ্ছে তো!          তা গিয়ে দেখি পুজোর ধুম‌। আমি ওসবের দিকে না তাকিয়ে প্রণামির থালাটা খুঁজছিলাম, প্রণামি দেবো বলে। অবশেষে থালাটা দেখতে পেয়ে পকেট থেকে মানি ব‍্যাগ বার করে খুচরো পয়সা খুঁজি, দেখি মাত্র এক টাকার একটা কয়েন পড়ে আছে। ওটাই বার করে দিতে গিয়ে মনে হলো আশেপাশে এত লোক, এক টাকা, কী ভাববে, যদি দেখে ফেলে কারণ প্রণামির থালা ভালো করে লক্ষ‍্য করেছিলাম যে ওখানে সব‌ই প্রায় দশ টাকার নোট, তার আবার দু-একটা কুড়ি টাকার

সঞ্জয় গায়েনের অণুগল্প

                                             বউ বাসুন্তী  'বউ বাসুন্তী' কি বাপি?  অফিসছুটি। বর্ষাও প্রায় শেষ হতে চলেছে। তাই ঠিক করেছিলাম, র‍্যাকে তুলে রাখা বইগুলোকে একবেলার রোদ খাওয়াবো। সেই মোতাবেক সকালের চা খেয়েই ছাদে উঠে তোড়জোড় শুরু করেছি। আমার ছেলে তুতানও হাত লাগিয়েছে। এক এক করে বই রোদে দেওয়া হচ্ছে, আর ছেলের প্রশ্ন আসছে, ওটা কিসের বই, এটা কি নিয়ে লেখা। আমি যতটা পারছি উত্তর দিচ্ছি। আমারও মনে প্রশ্ন জাগছে। মনে পড়ছে বইগুলো কেনার সময়ের কথা। কত সব স্মৃতি। ঠিক তখনই তুতানের জিজ্ঞাসা, 'বউ বাসুন্তী' কি বাপি?           ওর প্রশ্ন শুনে হাতের বইটা রেখে ওর দিকে তাকাই। দেখি, ওর হাতেও একটা বই। কিন্তু কি বই দেখতে পাচ্ছিলাম না। প্রথম মনে হল, কোন বইয়ের নাম দেখে ও জিজ্ঞাসা করছে। পরক্ষণেই ভাবলাম, আরে ওই নামে তো কোন বই নেই। থাকলেও আমার জানা নেই। তাই ওকে বললাম, কি বই তোর হাতে? আর 'বউ বাসুন্তী' কথাটা পেলি কোথায়? 'এই তো তোমার বইটার প্রথম পাতায় লেখা, বউ বাসুন্তী তে হেরে যাওয়া সঞ্জু কে।'             বইটা হাতে নিতেই হু হু করে সব মনে পড়ে গেল। বাস

কবিতা : চন্দন মিত্র

                        ফিরে দেখা ( কবিতা-শহিদ বিনয় মজুমদারকে মনে রেখে )                               কেবল পিছনে দেখা             ফিরে ফিরে ফিরে             প্রকৃত ফেরার স্বাদ             নিতে গিয়ে হেরে             বেদম প্রহৃত হয়ে             ফিরে যেতে হয়             ফিরে দেখাটুকু মায়া             শুধু অপচয় ...             তবুও তাকাতে হয়            ফেলে আসা দিনে            তবুও জড়াতে হয়            পুরাতন ঋণে            স্মৃতির সরণী বেয়ে            হাঁটার নেশায়            যে মজেছে অকপট            তাকে কে ফেরায় ...            সে তখন সারল্যের            বেদনা-লাঞ্ছিত            হেঁটে যায় টানটান            শ্রী বিতর্কাতীত            বিনয়ের মজুমদার             গায়ত্রীর জপে            যেমন শহিদ হয়            তীব্র মনস্তাপে  ...         ============= চন্দন মিত্র ভগবানপুর ( হরিণডাঙা ) ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সূচক --- ৭৪৩৩৩১

কবিতা - তাপসকিরণ রায়

তোর কথা খুব মনে পড়ে  সব কিছুই আজ অনেক দূরে সে বালক বেলার দৃশ্যপট,   টুকরো স্মৃতির ঝাপসা চোখে জড়িয়ে আছে জীবন জট ! মাঠে মাঠে ঘুরে ফিরতাম দুপুর রোদের ঝাঁকে  উঁকি দিয়ে দেখতাম তোকেই জানালার সেই ফাঁকে।  নদীর চড়ে ঘুরতাম ফিরতাম কখন আসবি তুই--  তোকে নিয়ে ছুটির বেলায় খেলতাম ছোঁয়া ছুঁই।  কানামাছির বাঁধান কাপড় কোথায় যেন উড়িয়ে নিলো,  বাঁধা মনের ঘূর্ণিপাকে সে সব দিন যে স্বপ্ন হল।  ঝড় জলের ওই বৈশাখীতে তোর আমার সেই ছুটোছুটি--  ছিল গল্পগাঁথার ফাঁকে ফাঁকে হাসি হুল্লোড় লুটোপুটি।  ছোট বেলায় আমের বোলের গন্ধে তোকেই পাই,  হায় রে সময়, অকাল বেলায়, দেখি, সে সব কিছুই নাই ! শান্ত দীঘির টলমল জল আয়না দিতো মেলে,  তুই আর আমি পা ডুবাটাম সময় কাটতো খেলে। শাস্তির ভয়ে স্কুল পালানো, ছিল কি এক এডভেঞ্চার ? তুই ছিলি ভীতু, বলতি আমায়--পালিয়ে তুই যাবি কোথা আর ? খটখটে রোদে ঘুরে বেড়াতাম তুই দাঁড়াতি জালানায়,  বলতিস তুই, এই, ঘরে যা না--পড়বি জ্বরে বিছানায়। তুই পেতি ভয়, আমি তাই আরো ভয় দেখাতাম তোকে, আমায় ছুঁয়ে তুই কাঁদো কাঁদো দুটি ভীতু লাল চোখে।  আড়াল আবডালে বকুলের ফুল কুড়াতি খেলা

কবিতাঃ কৌশিক চক্রবর্ত্তী

ছবি
প্রতিষ্ঠাদিবস কোনো এক আশ্চর্য উপলব্ধি ঘিরে ধরছে আপামর বুকে সকলের জন্য তৈরি আছে মিথের বাগান এখানে পাঁচিল ডিঙিয়ে ছুটে আসে রঙিন ফেস্টুন আমিও নিজের অজান্তেই রঙ করে রাখি নিজস্ব মাঠে যে কেউ ছুটতে এলে সাজিয়ে দিই রঙের ক্রমতালিকায়-- আজ নিস্তব্ধ তপোবন তোমরাও নিতে এসেছ সকলের মতো সেজে ওঠার পাঠ আবার ছুটতে হলে একদৃষ্টে তাকিয়ে দেখো ধর্মহীন, আড়ালহীন পরিশ্রান্ত পায়েদের ভিড়ে আবার কখনো এই দেয়ালের পাশেই হুবহু ছড়ানো আছে ভবিষ্যতের ঘুটিগুলো... এমন ভবিষ্যৎ-চোখ উড়ন্ত পাখিদের বুকে বুনে দিচ্ছে ডানা- যোগাচ্ছে ভেসে থাকবার অমোঘ শক্তি-- যে সাগরের বুক থেকে তুমি বেছে নিচ্ছ এতটুকু নীলাভ সংকেত তার পথে আমরাই তৈরি করব গভীর প্রাসাদ, একেবারে অভিজ্ঞ হাতে... প্রতিটা শ্লোগান থেকে তোমরাও এইবার আমার নাম নাও, হাতে নাও নিঙড়ানো বিবেক, পরিশ্রুত আত্মাজল সামনে চেয়ে দেখো, প্রত্যেকটি রঙিন পালক কিভাবে ঢেলে দিচ্ছে তোমার দুর্বলতা-- এখানে পাখিরা বসে দুপায়ের ভারে- আকাশেই মেলে ধরে স্নান করা নতুন শরীর- এই উড়ে যাবার আর কোনো বাধা নেই বলে  তোমাকেও সেইভাবে অনায়াসে ওড়ানো যাচ্ছে মাথা

মাথুর দাস : কবিতা

ছবি
পিছন পানে         সুবিধা কিছু  ছাড়তে পারো যদি,     এবং তাকাও পিছন পানে সোজা ; কষ্ট  হবে, তবুও যে  সুখ খোঁজা -- দেখবে  খুশির উছল  অথৈ নদী । সামনে  তো সেই  অজানা অন্ধকার,    অালোর ঝলক  পেতেও পারো কিছু ;       এগোতে গিয়ে দেখলে যেসব বন্ধ দ্বার,    দেখতে  পাবেই মুক্ত  সে দ্বার পিছু ।   যদি  পিছন পানে  তাকাও একটি বার,   গতি  না হয়   থামলো একটু  খানি ; যখন  পুরনো  দিন দিলই  হাতছানি নিতেই পারো ক্ষণিক, আনন্দ সুখ তার । হয়তো সেদিন দুঃখ ছিল বেশি, জেনো        ভোগবাদী  দিন দুঃখ  আনেই আরো ;         তাই পিছন ফিরে তাকিয়ে যতটা পারো    পুরনো  সুখের রঙ  মনের মধ্যে এনো ।    ***** মাথুর দাস ১-বি, ঝর্ণা অ্যাপার্টমেন্ট ১০, নজরুল সরণি শ্রীনগর পল্লী (সাউথ) দুর্গাপুর - ১৩, পশ্চিম বর্ধমান পিন - ৭১৩২১৩ হোয়াট্স অ্যাপ - ৯৪৩৪৩ ৩২৪০২

সবিতা বিশ্বাসের কবিতা

প্রথম চিঠি আমি তখন একটু বড় ফ্রকটা ছেড়ে শাড়ি শহর থেকে তোমরা এলে ঠিক পাশের বাড়ি ব্লক অফিসে তোমার বাবার খুব উঁচু পোস্ট মা বললো, নতুন ওরা আমরা ওদের হোস্ট ছিলাম আমি আদুরে মেয়ে পড়াশোনায় ভালো বাবা বলতো, মিঠি সোনা আমার ঘরের আলো তুমি এসে ভর্তি হলে আমারই সেকশনে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে আছে আমার মনে পড়া বলতে চোখটা বুজে একটু দুলে দুলে তাইনা দেখে ক্লাসসুদ্ধ হাসছি ফুলে ফুলে স্যার বললেন, বেস্ট বয়। হিংসে হল খুব জেদের বশে আমি তখন পড়ায় দিলাম ডুব বছর শেষে ফল পেলাম সবার সেরা আমি বাবা বললো, মেয়ে আমার সোনার চেয়ে দামী জানলা খোলা পড়ছি বসে হঠাৎ শুনি "মিঠি" রঙিন খাম খুলেই দেখি সেটা প্রেমের চিঠি তারপর তো অনেক কথা পড়ে গেলাম ধরা সোনার মেয়ে রাঙতা হলো বন্ধ হল পড়া তোমার বাবা বদলি হলে তুমিও গেলে চলে বরের বেশে আসবে ফিরে গিয়েছিলে বলে রাখোনি কথা, আমি এখন একা একাই থাকি একটিবার আমার কাছে আসতে পারো নাকি? প্রথম চিঠি এখনো আছে পুরনো শাড়ির ভাঁজে একলা ঘরে বাক্স খুলে পড়ি মাঝে মাঝেই বদলে গেছে সময় তাই মোবাইলেই প্রেম গোপন কথা ওপেন আজ কেউ বলেনা শেম বুকের

অণুগল্প -- শেফালি সর

 স্মৃতির সরণী বেয়ে                                    সারাদিন আকাশ টা বড্ড মেঘলা। গুমোট হয়েছে। একফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই।মালিয়ার মনটাও আজ বড্ড খারাপ। মেঘলা আকাশের সাথে মনখারাপের বহুদিনের ওঠা বসা। তাই তো মন খারাপের আর এক নাম ঘোলাটে আকাশ।আলোর ও বুঝি মন খারাপ হয়! তাই অভিমানে মেঘ বৃষ্টি কে গোপন করে রাখে।         বিচিত্র জীবন পর্বের কত ওঠা নামা, জোয়ার ভাটার টান!আলো আঁধারের কী বিচিত্র সমাবেশ এই জীবনের বেলাভূমিতে।আজ এমনি কত কথা যে মনে পড়ছে মালিয়ার! স্মৃতির সরণী বেয়ে সে হাঁটছে ধীরে ধীরে এক পা এক পা ফেলে এই বৃদ্ধাশ্রমের ঘরে বসে। বৃদ্ধাশ্রমের অন্যান্য বন্ধুরা যখন বিকেলে দল বেঁধে বেড়াতে বেরিয়েছে, মালিয়া তখন চুপচাপ বসে ছিল ঠায় জানালার পাশে।কত স্মৃতি ভীড় করছে তার মনে। জীবনের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত সব কিছু যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে এক এক করে। ফিরে দেখার সাধ জাগলো মালিয়ার মনে। মনে পড়ে তার জন্মের ইতিহাস,যা তার বড়ো হয়ে শোনা তার পালিত বাবা মায়ের কাছ থেকে।সে নাকি কাপড় জড়ানো অবস্থায় পথের ধারে ঝোপের মধ্যে পড়েছিল। রিক্সাওয়ালা ভুবন বাগদী শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে কাছে গিয়ে দেখে এ

ভ্রমণ কাহিনি -- তরুণ প্রামানিক

ছবি
                  বৈচিত্র্যময় বিচিত্রপুরের চাঁদবালিতে চাঁদমারি                           তরুণ প্রামানিক " মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলি বলেছিল , বড় হও দাদাঠাকুর তোমাকে আমি তিনপ্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো , সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে ...!!!! " প্রিয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের খেদ থেকে গিয়েছিল । তিনপ্রহরের বিল তাঁর আর দেখা হয়নি । কিন্তু হে   ভ্রমণ পিপাসু পাঠককুল আজ আমি কথা রাখবো ! আমি আঁকবো সেই মায়া জগতের রূপকথার আখ্যান । পদ্মের মাথায় কালো ভ্রমরের গুঞ্জন নয় , দেখাবো প্রকৃতির জলরঙে আঁকা সুবর্ণরেখার মোহনা আর চাঁদবালিতে অপরূপ ভাব বিভঙ্গে একলাহয়ে যাওয়া সমুদ্রতটে   বৈচিত্র্যময় ম্যানগ্রোভের বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপএর   মোম ছবি ।   বিপুলা প্রকৃতির অপার নৈশব্দের মাঝে , যারা বরাবর ব্যতিক্রমী সুখের স্বাদ খোঁজেন , তারা হুট্ করে একদিন বেরিয়ে পড়ুন । কোথায় যাবেন ? আরে বাবা কোথায় আবার দীঘাতে । দিঘার কথা শুনে যার

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪