পোস্টগুলি

৬৩তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ মে ২০২৩ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। জেদ ।। বিবেকানন্দ নস্কর

ছবি
  জেদ বিবেকানন্দ নস্কর ১ বালুচরে পাতা ফাঁদ বৈধব‍্য কপালে  এঁকে দিল কে প্লাবণ সময় , ঢেউ ভাঙে ঢেউয়ের ফেনায় গরলের দাগ সহবাস হাতছানি দিয়ে ডাকে। ২ এবার ন‍্যাকামো রাখো সতীত্ব ঝলসে যায় শরীরী ছোঁয়ায়  পুরুষের আঙুলে বারুদের ঘ্রাণ  কত রাত নিজের  সাথে যুদ্ধরতা অভিসারে বেরিয়ে পড়ার অদম‍্য আগুন। ৩ বেশ তবে আঁচলে বাঁধো বসন্ত রেণু অতীতকে মুছে দেওয়ার শপথ অলীক আলোয় সমুদ্রের টান পাথরে এঁকে রাখো নষ্টার মুখ সব সুখ বন্দী আছে জীর্ণ খাঁচায় । =================

কবিতা ।। চাঁদনী রাতে মনের সাথে ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
চাঁদনী রাতে মনের সাথে  জয়শ্রী সরকার চাঁদনী রাতে মনের সাথে এই সাধারণ মেয়ে আপন মনে যায় সে ভেসে সুরের তরী বেয়ে। বুকের ভিতর উথাল পাথাল কোন্ সে সুদূর টানে মন চলে যায় দূর বহুদূর আপন-ভোলা প্রাণে ! স্নিগ্ধ আলোর পরশ পেয়ে এই সাধারণ মেয়ে  চাঁদকে নিয়ে মিষ্টি সুরে উঠলো সে গান গেয়ে। জ্যোৎস্না আলোর কুচি মেখে গাছের পাতা দোলে এই আমিটা একাই হাসে খুশির কলরোলে ! চোখ চলে যায় নদীর জলে পূর্ণিমা চাঁদ দেখে ঢেউয়ের তালে দুলছে সে চাঁদ ভাসছে এঁকেবেঁকে। জ্যোৎস্না রাতে ফুলগুলো সব আনন্দেতে মাতে মিষ্টি-মধুর হিমেল হাওয়ায় রূপটি খোলে তাতে ! যতই ডাকি আয় চাঁদ আয়, চাঁদ চলে যায় সরে এমনি করেই মোহময় চাঁদ মনকে তোলে ভরে। মায়ের কোলে চাঁদের হাসি অপূর্ব এক শোভা মায়ার কাজল মেখে সে তো বড়ই মনোলোভা! চাঁদনী রাতে মনটা যে চায় একটু একা হতে সৃষ্টি-সুখে ভাসবে সে তো মিষ্টি আলোর স্রোতে। মনের সাথে চাঁদনী রাতে খেলবো সৃজন খেলা অক্ষরেরা সার বেঁধে তো গাঁথবে শব্দ-ভেলা  ! *************************************** জয়শ্রী সরকার, দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬

ঐতিহাসিক মে দিবসের তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা ।। পাভেল আমান

ছবি
ঐতিহাসিক মে দিবসের তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা পাভেল আমান    আজ পয়লা মে । মহান মে দিবস। শোষণের বিরুদ্ধে শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক সংগ্রামের দিনটাই হচ্ছে মহান মে দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস । মে দিবস শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ও মর্যাদা রক্ষার দিন।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষেরা ,শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটি পালন করে। এই দিনটিতে তারা এই বার্তায় বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেন যে মানব সভ্যতা বিনির্মাণে শ্রমিকদেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান। তাদের রক্ত ও ঘামের বিনিময়ে আধুনিক বিশ্বের চাকা সচল রয়েছে। এবারে আসা যাক ইতিহাসের পাতায়। সেই বহুকাঙ্খিত ঐতিহাসিক মে দিবস বা ১৮৮৬ সালের ১ লা মে। দিনে আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে প্রত্যক্ষ ধর্মঘটে সামিল হন পাঁচ লক্ষ শ্রমিক।৩রা মি পুলিশী হামলায় নিরস্ত্র ৬ জন শ্রমিক নিহত হন হারভেস্টার কারখানায়। পরেরদিন 'হে 'মার্কেট স্কয়ারে সমবেত প্রতিবাদ সভায় পুলিশ গুলি চালালে নিরস্ত্র শ্রমিকের বুকের রক্তে রঞ্জিত হয় হাতের নিশান। চার শ্রমিক নেতা স্পাইজ,  পার্সনস ,ফিসার ওএঞ্জেল কয়েদ হন এব

সোনার পাহাড় : বদ্রিনাথ ।। শোভন লাল ব্যানার্জি

ছবি
  সোনার পাহাড় :  বদ্রিনাথ শোভন লাল ব্যানার্জি আপামর বাঙ্গালির ছোটবেলা কেটেছে সত্যজিৎ রায়ের অনবদ্য সৃষ্টি অপুর সংসার , পথের পাঁচালী আর সোনার কেল্লা দেখে । সব শিশু , কিশোর এই সোনার কেল্লা খুঁজে পেতে চেয়েছে কখনো বা স্বপ্নে অথবা বাস্তবে ।  আসানসোলের নতুন পল্লীর মুখার্জি বাড়ির ছোট ছেলে বরুন ।   মাউন্টেন ট্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সব স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে একটি দল পাড়ি দিল শুধু হিমালয়ে ।  উত্তরাখণ্ড দেবোভূমির চামুলী জেলার বদ্রিনাথ , হিন্দুদের চারধাম যাত্রার এক অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ।            বদ্রিনাথ - স্বয়ং শ্রী বদ্রি নারায়ণ শ্রীবিষ্ণু ভগবানের পূর্ণ তীর্থ । সমুদ্দস্তল থেকে প্রায় ৩৩০০ মিটার উচ্চতায় এক স্বর্গীয় অনুভূতি ।   বছরের শ্রেষ্ঠ সময় মে - জুন আর সেপ্টেম্বর - অক্টোবর ।  বরুণরা পৌঁছেছে ঠিক পূর্ণিমার দিনে , মাসটা অক্টোবর । সড়কপথে জশিমাথ থেকে বদ্রিনাথ অথবা হেলিকপ্টারে হরিদ্বার থেকে যাওয়া যায় ।  অক্টোবরের ঠান্ডায় প্রায় দুই তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস , মুখ খুললেই সাদা ধোঁয়া ।  সন্ধ্যা   হতেই হোটেলে সবাই নৈশভোজন সেরে গল্পের আসরে ব্যস্ত ।  কাঠ জ্বালিয়ে লোকাল ফোক মিউজ

কবিতা ।। এল ডোরাডো ।। রশ্মিতা দাস

ছবি
  এল ডোরাডো রশ্মিতা দাস মায়াফুলের সুবাস ভাসায় জ্যোৎস্না মায়ার নেশা, জীবন হাতের মুঠোয় পুরে জীবন খোঁজে দিশা। অচিন দেশের গল্পকথা শ্বাসের শিহরণে, পায়ের তলায় সর্ষে জাগায়, পুলক জাগায় প্রাণে। কল্পদেশের ঘোড়ার পিঠে স্বপ্নের এ সওয়ারী, আঁকছে কত রূপকথা আর করছে গল্প ফেরী। সোনায় মোড়া স্বপ্ননগর দুচোখ জুড়ে নেমে, রক্তে ছোটায় তুফানী ঘোড়া তৃষ্ণা জাগায় রোমে। ক্যারিব সেনার বন্দী হুয়ান দুচোখ কালোয় ঢেকে, অজানার দেশে ভ্রমণ করে স্বপ্ন নিলেন এঁকে। এলেন ফিরে গল্প নিয়ে রংতুলি ক্যানভাসে, এঁকে দিলেন স্বর্ণনগর কল্পনার আকাশে। দক্ষিণ আমেরিকার বুকে ক্রয়োদশ শতকে, মুইসকা রাজার সর্বাঙ্গে স্বর্ণপরাগ মেখে জয়ধ্বনির উড়িয়ে কেতন হতেন অভিষিক্ত, হ্রদের জলে বিসর্জনে স্বর্ণ হত ব্যক্ত। হাতের পুতুল,হাতের "সোনা" ফিসফিসিয়ে বাতাসে, অলীক দেশের গল্প শোনায় তোলে শিহরণ শ্বাসে। সেই টানেতেই কত মানুষ হয়ে মোহাচ্ছন্ন, জীবন বাজি রাখত, চোখে ছিল না কার্পণ্য। স্বপ্ননগর স্বর্ণমৃগ। আজও সে অধরা, দেখা দেয় সে আঁখির কোণে হয়ে স্বপনধারা। মনের কোণে গল্প বুনে রূপকথাতেই রাজ, মনের পক্ষীরাজের ঘোড়ায় গল্পে নামায় সাঁঝ...

ছড়া ।। লেখাপড়া ।। অবশেষ দাস

ছবি
লেখাপড়া অবশেষ দাস চাঁদ নগরের চাঁদের আলো কে দেখেছে ? জানিস তো সবার আগে লেখাপড়া এই কথাটা মানিস তো ? চাঁদ তো আছে সব পাড়াতে , আলো ছড়ায় ঝলমলে কিন্তু যারা বই পড়ে না, তাদের আলো টলমলে। বিষয়টা তো খুবই সহজ, এমন কি আর কঠিন বল ? লেখাপড়া যে করেছে, চাঁদের মতো সে উজ্জ্বল ! এসব আলো পয়সা দিয়ে বাজার থেকে কেনার নয় দূর আকাশে চাঁদ দেখা যায়, জ্যোৎস্না ভেজা সে বিস্ময়! চাঁদ মানে তো সোনার ছেলে,বিদ্যে-বুদ্ধি চমৎকার হয়নি কেন লেখাপড়া, খুঁজতে হবে গলদ কার ? চাঁদ নগরের আর একটা নাম,আমার মতে পাঠশালা ভাঙাচোরা নড়বড়ে বা হোক না যতই আটচালা। ভাষা, গণিত, ভূগোল কিংবা ইতিহাসের চর্চাতে পাঠশালা তো মনোযোগী বিদ্যা-বুদ্ধি খরচাতে। পড়াশোনা করলে জানি, চাঁদ তো ওঠে তক্ষুনি ছড়ায় আলো দিগ্বিদিকে পান্না-হীরে আর চুনি। চাঁদ নগরের চাঁদের আলো চাঁদ তো কোনো গল্প নয় লেখাপড়া বিষয়টি নয় সহজসাধ্য কল্প জয়। চাঁদ নগরের তালিকাতে কাদের যেন নাম আছে ? অজস্র নাম, তাঁদের নিয়ে মস্ত শহর,গ্রাম আছে। তাঁরাই তো সেই চাঁদের আলো , তাঁদের কত দাম মানি বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ আরও অনেক নাম জানি। নতুন করে চাঁদের আলো তোমরা

কবিতা ।। প্রশ্ন আজও ।। সান্ত্বনা ব্যানার্জী

ছবি
প্রশ্ন আজও সান্ত্বনা ব্যানার্জী রবি ঠাকুর তোমার প্রশ্ন বেড়ে গেছে কলেবরে, উত্তর আজও মেলেনি তোমার প্রাণের আকুল স্বরে।  সংসার সেই দয়া মায়াহীন স্বার্থের কারাগার, অন্তর ভরা বিদ্বেষ ক্ষোভ ঘৃণার সমাহার! দূর্বল আজও নির্যাতিত শক্তের অপরাধে, বিচারের বানী প্রহসন শুধু ধর্ষিতা নারী কাঁদে। শোষণ শাসন অত্যাচার যে চলেছে ভিন্ন রূপে, বিষময় বায়ু , মাটি আর জল সব দূষণের কোপে কোন অভিশাপে জ্বলে পুডে যায় সবুজ আমাজান মহীরূহ কত অগ্নিদগ্ধ জ্বলে গেলো কত প্রাণ! আজও মোরা প্রভু করি প্রার্থনা পরিত্রাণের তরে নির্মল করো মানব হৃদয় যেথা স্নেহ আছে ভরে। ক্ষমতার লোভে লোলুপ মানুষ ভালোবাসা গেছে ভুলে, সেই লোভ তুমি দাও করে দূর হৃদয়ের দ্বার খুলে।

গল্প ।। ভাগ্যের পরিহাস ।। সুচন্দ্রা বসু

ছবি
ভাগ্যের পরিহাস সুচন্দ্রা বসু    দীপক চাষ করেই সাধ্যমত তার সংসার গড়েছিলেন। তাদের টানাপোড়েনের সংসারে অভাব নিয়মিত হলেও ঠিকঠাক চলেই যাচ্ছিল। সে সাধ্যমত দুই সন্তানকে মানুষ করার চেষ্টা করেন। এখন তার, দুই ছেলে প্রতিষ্ঠিত। দীপক  ও দীপা দম্পতির দুই  সন্তানের মধ্যে  গোবিন পুলিশে কর্মরত। রবিন ইজি বাইক চালিয়ে জীবন ধারণ করে। কিন্তু জীবনের নির্মম পরিহাসে অনেক সময় এই 'মানুষ' হওয়া সন্তানের আচরণও অমানবিক হয়ে উঠে। আজ সংসারে মা যেন তাদের বোঝা। একজন মায়ের শ্রেষ্ঠ অর্জন তার সন্তান। সারাজীবনের সমস্ত প্রাপ্তি আর শ্রম দিয়ে মা তার সন্তানদের মানুষ করেন।  দীপক হঠাৎ পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলে দীপার শুরু হয় সংগ্রামী জীবন। ছেলেরা জমি জায়গা সব বেচে নিজেরা টাকা ভাগ করে নিয়ে নেয়।  বৃদ্ধার  বয়স হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পর্যন্ত পারেন না। ছেলেরা নিজের সংসারে মাকে রাখতে চায় না তাই ভিক্ষার ঝুলি হাতে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। একদিন ভিক্ষা করতে গিয়ে পড়ে কোমরের হাড় ভেঙ্গে যায়।  ছেলেরা খবর পেলেও কেউ দায়িত্ব নিতে আসে না।  সেই থেকে শহরে একটি খুপরি ঘরে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে বেঁচে আছেন। নিঃস্ব, অসহায়, মূক। একদিন দীপার ইজি বাইক

অণুগল্প ।। দূরদর্শিতা ।। পীযূষ কান্তি সরকার

ছবি
 দূরদর্শিতা পীযূষ কান্তি সরকার     প্রিয়াঙ্কা আর সন্দীপ নতুন ফ্ল্যাটে এসে খুব খুশি। খুশি তাদের পনেরো বছরের ছেলে সায়ন, মাধ্যমিকের আগেই নিজস্ব একখানা ঝাঁ-চকচকে ঘর পেয়ে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে ঘটা করেই গৃহপ্রবেশ করেছিল তারা।     সেদিন সন্দীপের বন্ধু মলয় ফোনে বলল, "গৃহপ্রবেশের দিন তোদের ফ্লোরেই একখানা এককামরার ফ্ল্যাট পড়ে আছে বলেছিলি না! বুক করে দিস আমি নেবো।" সন্দীপ কিছু বলতে যাচ্ছিল, প্রিয়াঙ্কার ইশারায় থেমে গিয়ে বলল, "খোঁজ নিয়ে দেখছি। ফাঁকা থাকলে জানাবো ।"     ফোন রাখতেই প্রিয়াঙ্কা বলল, "টালিগঞ্জে যার তিনতলা বাড়ি সে কিনা এককামরার ফ্ল্যাট বুকিং করতে চাইছে এখানে -- নিশ্চয়ই ইণ্টু-মিণ্টু কেস কিছু আছে ! নাক গলাতে যেও না, ফেঁসে যাবে কিন্তু !" বৌ-এর দূরদর্শিতায় খুশিই হল সন্দীপ।                      ------------ পীযূষ কান্তি সরকার ১/১, কুচিল ঘোষাল লেন, কদমতলা হাওড়া-১ পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

কবিতা ।। ফিরে মন চায় ।। দেবযানী পাল

ছবি
  ফিরে মন চায় দেবযানী পাল  ফিরে চল স্মৃতিকণায় একটিবার দীর্ঘশ্বাসের চোরাকুঠুরিতে যেখানে আজও অতৃপ্তির প্রেতাত্মার বাস দীর্ঘ সময়ের ইচ্ছের ওপর ধুলোর চাদর যাতনা হয়ে ফিরেছে সময় সৈকতে। মনে পড়ে এক চাঁদ,চন্দ্রমার তপ্ত আবেগ! কথা ছিল ছায়া দেবে শেষ রোদ যেখানে, অবিচল অনির্বাণ হবে পৃথিবীর শেষ কোটালেও এ কোন বিধাতার উচ্চ হাসি কানে পৌঁছলো না, থেমে গেল নিয়তির হাতে কেনা দাস হয়ে। অথচ কেউ ছিলনা বাঁধা জন্মের গোড়া থেকে শৈশবের মুখর মসৃণ দুটি মুখ আলোর প্রতিরূপ কৈশোর ধরা দিল বিনা দ্বন্দ্বে নির্ভীকতায়, যৌবন কেন তবে খল চরিত্রের দাবিদার হল গোঁড়া ভবিষ্যের ধ্বজায় দু'ভাগ করল অভিন্নকে? বারবার ফিরে যাই সেই নিষ্প্রাণ মরুভূমিতে সেই কোলাহল ফিরে শুনি চারপাশে চমকিয়ে যেন অতৃপ্তি গান ধরে ঘিরে বেহালার বৈরাগে  দীর্ঘশ্বাসের বাতাস কথা কয় নিঃশব্দের আস্ফালনে পৃথিবীর যত সুখ অস্ফুটে কাছে ডাকে প্রত্যাখানে। যদি সময়ের মেশিনে ফিরতাম আজকের আমি তোমারও দিন গোনা হত সবুজ আবিরে খেলে আজ আর সেদিন মিশে যেত ভারহীন গোলকে, নবজন্ম প্রত্যাশায় এত পথ পেরিয়ে ফিরে আসা হায়রে, দৈন্যতার উপঢৌকন আজও ভরে আছে পথে। ============== দেবযানী পা

কবিতা ।। মিলি ।। সৌম‍্যদীপ দে

ছবি
  মিলি  সৌম‍্যদীপ দে আচমকা এক এল ঝড়; উড়লো ধূলো, বালি, খড়। সাইকেল থামিয়ে দাড়ালাম এসে; একটি বাড়ির সানসেটে। জানালার ওপাশ থেকে ওই; টুকরো কথার ফুটলো খই। করছে বকবক নিজ মনে; কোন সে মেয়ে কে জানে। কি জানি তার নাম কি হবে? ভাবছি বসে আকাশপাতাল সবে। এমন সময় কে যেন দিলো ডাক; 'ও মিলি' জানালাটা ভেজিয়ে রাখ..।। ========= সৌম‍্যদীপ দে বড়শুল, পূর্ব বর্ধমান

দুটি কবিতা ।। বিচিত্র কুমার

ছবি
দুটি কবিতা ।। বিচিত্র কুমার  বৈশাখী  ওর মুখ যেন উৎসবমুখরীত কাজল রাঙা দুটি আঁখি, রঙিন ফিতায় সেজেছে বৈশাখী  ও যেন এক প্রাণবন্ত পাখি। প্রজাপ্রতির মতো ডানা মেলে ফুরফুর করে উড়ছিল ঊষার আকাশে, কত না আনন্দ আর উল্লাসে আগমনী বার্তা নিয়ে রঙিন বাতাসে। আমি যেই না চোখ খুলি - সে অমনি পালিয়ে যায় দূর অজানায়, ফুলের পাপড়িগুলো উড়ে যায় হাওয়ায় রৌদ্রের রঙ থাকে শুধু চাওয়ায় পাওয়ায়। কালবৈশাখী উড়িয়ে ধুলা গাছপালা বাড়িঘর ভেঙে খিলখিলিয়ে হাসে; বৈশাখ জৈষ্ঠ্যের হাত ধরে কালবৈশাখী আসে, চুল তার উরুউরু কালো দুচোখে বিজুলি চমকায় ওই যে ক্ষিপ্ত বেগে সিঁদুর মেঘের গাঁয়। হায় হায় আঁধার সৃষ্টি! ঘূর্ণিঝড় বজ্রবৃষ্টি আমাদের কপাল পুড়ে যায়। ====================   বিচিত্র কুমার গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া পোস্টঃ আলতাফনগর থানাঃ দুপচাঁচিয়া জেলাঃ বগুড়া দেশঃ বাংলাদেশ

কবিতা ।। দুঃসময় ।। বিশ্বজিৎ কর

ছবি
  দুঃসময়  বিশ্বজিৎ কর  শব্দগুলো কবিতা হয়ে যায়,  তোমার অদ্ভুত নীরবতায়!  উষ্ণতার মাপকাঠি থাকে না,  তোমার অবহেলার তাপে!  রাতের হিরণ্ময় নীরবতায়,  কবিতাগুলো কেমন যেন বাঙময়!  তুমি হৃদয়ের 'বর্ণপরিচয়'- আগলে রেখো.....  ঐ শোনো, লেনদেনের ফিসফাস! কারা যেন 'কলম' কিনতে চাইছে!  *************

ছড়া ।। পতিতপাবন পাঠক ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
  পতিতপাবন পাঠক             — অরবিন্দ পুরকাইত পতিতপাবন পাঠক করেন ভাল নাটক রাগেন তিনি বেজায়, বললে 'নাটক-ফাটক'। 'এ তো তুচ্ছ করা— শিল্পের অমর্যাদা', গজরান মনে মনে, 'হয় কেউ এমন হাঁদা!... নাটক তো নয় সোজা— নিত্য মানুষ খোঁজা চোখ-কান রাখলে খোলা যথার্থ যায় বোঝা।' বলেন তিনি, 'দেখো, নিত্য দেখে শেখো, লোকের চলা-বলায় তীক্ষ্ণ নজর রেখো। গোয়েন্দা তো তুমি, কিংবা এক ডুবুরি,  খুঁজে-ডুবে দেখো, মানুষের নেই জুড়ি।' যোগ্য নট বা নটী সহজ তো নয় পাওয়া— ভাল নাটক পেলে ভোলেন নাওয়া-খাওয়া! আছে মুদ্রাদোষ এক, সব কথায় হাত নাড়া তেমন ভঙ্গি করে কেউ খেয়েছে তাড়া। কিন্তু নিজের বউ-ই ঠোকেন মাঝে মাঝে  লোকে ধরলে হাসেন, 'যান তো নিজের কাজে!'              * * * অরবিন্দ পুরকাইত গ্রাম ও ডাকঘর — গোকর্ণী, জেলা — দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ডাকসূচক সংখ্যা — ৭৪৩ ৬০১

ছড়া ।। উন্নয়ন ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল

ছবি
  উন্নয়ন  সুদামকৃষ্ণ মন্ডল বাচ্চু বাবু মহান নেতা দুধেল গরু পুষেন দলের ছেলে কামায় টাকা নিজের ঘরে রাখেন সময় বুঝে সরিয়ে রাখেন ব্যাংক -জমি- সোনায় উঠতি ছামড়ি ফ্রেন্ড রাখেন ধরতে গেলে কোমায় কথার বেলায় হম্বি তম্বি গায়ে মানে না মোড়ল ভোটের খেলায় রক্তে হোলি  পাতে টানে ঝোল দশের কথায় নেই তো তিনি টাকার গন্ধে ওড়েন সুযোগ পেলেই সাধু সাজতে মিথ্যে মামলা করেন সাদা পোশাক কালো অন্তর এটাই নাকি পরিবর্তন যার ঠেলাতে মানুষ ক্ষিপ্ত বইছে ধারা উন্নয়ন ====================== সুদামকৃষ্ণ মন্ডল গ্রাম: পুরন্দর পুর (অক্ষয় নগর) পোস্ট : অক্ষয় নগর থানা : কাকদ্বীপ জেলা : দঃ চব্বিশ পরগণা

গ্রীষ্মের ছড়া ।। দীনেশ সরকার

ছবি
             গ্রীষ্মের ছড়া          দীনেশ সরকার গ্রীষ্ম মানে ভীষণ গরম, শরীর ঘামে ভরা সূর্যিমামার রক্তচক্ষু, চতুর্দিকে খরা । মাঠ-ঘাট সবই ফুটিফাটা, শুষ্ক জলাশয় দহন জ্বালায় হাঁসফাঁস করি, বড়ই কষ্ট হয় । কষ্ট যতই হোক না গ্রীষ্মে, ঝরুক যতই ঘাম মন ভরে যায় যখন দেখি ঝুলছে গাছে আম । থোকা -থোকা জামরুল-লিচু ঝুলছে গাছে গাছে কালো কালো পাকা জামে গাছটি ভরে আছে । জাম-জামরুল আর আম-কাঁঠালে বাজার আছে ভরে পাকা ফলের সুবাস ছড়ায় প্রতি ঘরে ঘরে । আম-কাঁঠাল আর জামরুল-লিচু মনের সুখে খাই মিষ্টিফলের এমন সম্ভার কোন্‌ ঋতুতে পাই ? গ্রীষ্ম মানে কালবৈশাখী মত্ত ঝড়ের নাচন গাছগাছালি ঝড়ের ঘায়ে হয় যে উৎপাটন । বিদ্যুতেরই কশাঘাতে আকাশ ফালা-ফালা ঘর ভাঙে আর উড়তে থাকে গরিব লোকের চালা  । গ্রীষ্ম মানে রবি প্রণাম, কাজী নজরুল স্মরণ নৃত্য-গীতে শ্রদ্ধা জানাই ছুঁই যে তাদের চরণ । ভালো-মন্দের সমাহারে গ্রীষ্ম ঋতু আসে সুখে-দুঃখে হাসি-কান্নায় হৃদয়খানি ভাসে । ********************************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ----- ৭২১৩০৬

ছড়া ।। অভিমান ।। রূপালী মুখোপাধ্যায়

ছবি
  অভিমান  রূপালী মুখোপাধ্যায়  চড়াই রে, তুই সত্যি করে বল মিথ্যা কথা বলবি নারে করবি নাকো ছল ফুলের শোভা দেখার জন্য  মারিস উঁকি ঝুঁকি ? ফুলটা নাকি ফেলবি ছিঁড়ে   ভাবছে বসে খুকি  আমি এতো নিঠুর নাকি  ভাবতে পারি না  ফুলের শোভা দেখার ইচ্ছা  আমার কি হয়না ? আমরা পাখি কখনো কারো করিই নাকো ক্ষতি  ফুলের মধু যায় গো খেয়ে সাধের প্রজাপতি  তারবেলা তো দোষ দেখোনা ভালোবাসো তাকে  আজকে আমি যাচ্ছি ফিরে  বলছি গিয়ে মাকে  আমি অতি ছোট্ট বলে  বলছো যা তা কথা  আমারও তো হৃদয় আছে  পাইযে বড় ব্যথা  কক্ষনো আর আসবো না গো  একটু কাজের ফাঁকে  নটারমণি কেনো আমায়  হাতছানিতে ডাকে ? ================== রূপালী মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুর ,পশ্চিম বর্ধমান। 

ছড়া ।। ভীমশঙ্করের গলা সাধা ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
  ভীমশঙ্করের গলা সাধা!  গোবিন্দ মোদক ভীমপুরের ভীমশঙ্কর ভোরবেলাতে জাগে,  গলা সাধে "সা–রে–গা–মা" বিশুদ্ধ রাগে!  রেওয়াজটা শুনে তার সব্বাই চোখ বোঁজে, তড়িঘড়ি দুই কানেতে তুলো নিয়ে গোঁজে! এলাকার কুকুর যতো — ক্রন্দন সব ছাড়ে,  বানরছানা লাফিয়ে ওঠে পালের গোদার ঘাড়ে! ভীমশঙ্করের সংগীত-Gun গোলা বর্ষণ করে, ঘর-বাড়ি গাছ-পালা সব — কাঁপে থরো-থরে! গাছের থেকে ধুপুস-ধাপুস ঝরে যায় সব আম, গান গাওয়ায় ভীমশঙ্করের — ভীষণই সুনাম!! ___________________________ গোবিন্দ মোদক রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ডাকসূচক - 741103

গল্প ।। ভুটকার কীর্তি ।। সান্ত্বনা চ্যাটার্জি

ছবি
  ভুটকার কীর্তি সান্ত্বনা চ্যাটার্জি নবমীর সকাল ,  হালকা রোদে গা ডুবিয়ে চৌধুরী বাড়ির লাল ইটের পাঁচিলে বসে পা দোলাচ্ছি  ,  ঢাকের আওয়াজ বুকের মাঝে কবিতা লিখছে আর আগাম বিচ্ছেদের সুরে বেহালা বাজাচ্ছে । ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ - ঠাকুর যাবে     বিসর্জন শম্পা অ্যায় মেয়ে  , কে রে বাবা ! আমি রে মা । নিল্টু সেজে গুজে লাল টি-শার্ট নীল জিনস ছেঁড়া কাবলি আর এক মুখ হাসি নিয়ে হাজির  , অবশ্যই সংগে লেজ নাড়তে নাড়তে ভুটকা কান খারা করে তাকিয়ে আছে । কি ব্যাপার  ,  বসে আছিস !বেরবি না ? ' চ '  কিন্তু বাকিরা কোথা য়  ? বান্টি আর চিংড়ি প্যান্ডেলে আছে চল ওদের ডেকে নিয়ে আসি । ভুটকা হটাত ভুট ভুট করতে শুরু করল । কি হল রে রেগে যাচ্ছিস কেন ? ভুটকার দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখলাম এক লম্বা মতন লোক হেঁটে যাচ্ছে একা । লোকটার ডান পা টা একটু ছোটো ,  কালো প্যান্ট আর সবুজ সাদা ডোরা কাটা হাফ শার্ট । মাথায় কমলা রঙের টুপি  ,  না না টুপি নয় মনে হচ্ছে চুল । আমি বললাম , কি অদ্ভুত রে বাবা । এ রকম রঙের চুল মানুষের হয় নাকি । নিল্টু সায় দিল " হুমম  , বেশ সন্দেহ জনক ,  কিন্তু ভুটকার পক্ষে চুলের রঙ দেখে রাগ করা তো মোটেও স্বাভাবিক নয়। &

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪