পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

বহুরৈখিক কাব্যকৈবল্যে সিদ্ধ কবি কুমারেশ তেওয়ারী -- জুবিন ঘোষ

ছবি
বহুরৈখিক কাব্যকৈবল্যে সিদ্ধ কবি কুমারেশ তেওয়ারী জুবিন ঘোষ কুমারেশ তেওয়ারী যার বহুরৈখিক কবিতায় তীর্যক শব্দসঙ্গম সমসাময়িক কবিতার স্থিতাবস্থাকে ভেঙে কলাকৈবল্যের চূড়ান্ত উচ্চতর বাস্তবে উত্তীর্ণ করেন। এশিয়ার একসময়ের বৃহত্তম সি.সি.আই.এল সাইকেল কারখানার সংলগ্ন কন্যাপুর গ্রামে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে সত্তরের পটসময়ে জন্ম এই কবি তার কৈশোরের প্রথম উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিটি দুর্ভাগ্যবশত হারিয়ে ফেললেও সেটাই হয়তো ছিল এখনকার কবিতার প্রস্তুতি। সি.সি.আই.এল সাইকেল হয়তো হারিয়ে গেছে কিন্তু স্পোকের নৈপুণ্যে যেভাবে তার দ্বিচক্র পরিশীলিত ব্যাস বজায় রাখতে পারে ঠিক সেইভাবেই যেন কুমারেশ তার কবিতায় ভাবনা ও কবিতার টোন-টেকনিকগুলোকে স্পোকের মতোই সাজিয়ে কবিতার গঠনশৈলীকে বহুরৈখিকতার বাহান্ন তীর্থে অযান্ত্রিক আহ্বান জানান। বাংলার বহু বাণিজ্যিক-অবাণিজ্যিক পত্রিকায় তার সমসাময়িকদের সংকটের নিমিত্ত হিসেবে বিচরণ করতে করতে ইতোমধ্যেই কবির চারটি কাব্যগ্রন্থ কবি সম্প্রদায়ে তুমুল হট্টগোল পাকিয়ে ফেলেছে আর সেখানেই কবি কুমারেশ এতদিনকার প্যানপ্যানে কাব্যধারাকে অধিদমন করে চিরাচারিত লালিত্য্যের ওভারকোট খুলে আন্ডার-গা

গল্পের অণু – পরমাণু ---শুক্লা মালাকার

গল্পের অণু – পরমাণু ---শুক্লা মালাকার বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্প এক মায়ার জগত। বাঙালীর জীবন সমাজ সংসার হাসি-কান্নার আখ্যান, তার অনুভূতি ছুঁয়ে থাকে গোটা গল্প জুড়ে। পড়তে পড়তে হটাৎ করে শেষ হয়ে গেলেও থেকে যায় অন্য এক রেশ, শেষ না হওয়া এক আবেশ। ছোটগল্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন- অন্তরে অতৃপ্তি রবে/ সাঙ্গ করি মনে হবে/ শেষ হয়ে হইল না শেষ এই রবীন্দ্রনাথ ই একসময় ছোটতর গল্প লেখা শুরু করলেন। ১৩২৯ সালে তার 'লিপিকা' গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। প্রথম শোক, পট, নতুন পুতুল, এমন আরো অনেক ছোটতর গল্প নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ গল্প লিখিয়েদের সামনে নতুন এক আঙ্গিক তুলে ধরে। এরপর আরো অনেক লেখক নানাভাবে ছোটতর গল্প লেখা শুরু করেন। এই ছোটতর গল্প ক্রমে মেদ ঝরিয়ে আরো রোগাটে হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রহস্যময়ী হল। তার গঠন হল সাংকেতিক। ছোটতর থেকে ছোটতম হতে হতে কয়েক দশকের মধ্যেই অনুগল্প নামে চিহ্নিত হল। মাত্র কয়েকটি বাক্যে লেখা নতুন আঙ্গিকের এই গল্পের অনু অনেকটা দীর্ঘশ্বাসের মতো। শুরু করে শেষ করার মধ্যে বুকের বাতাস হুস করে বেরিয়ে যায়। পড়া হয়ে গেলে অদ্ভুত এক বাতুলতার অনুভূতি হয় যা অস্তিত

রিম্পা নাথের কাব্য: এপিসেন্ট্রিক্যাল@ব্যক্তিগত ।। আলোচনা: সংস্কৃতি ব্যানার্জী

ছবি
কাব্য: এপিসেন্ট্রিক্যাল@ব্যক্তিগত কবি - রিম্পা নাথ প্রকাশনা - বার্তা প্রকাশন প্রচ্ছদ - কৃষ্ণেন্দু মন্ডল মূল্য - পনেরো টাকা এক নব্যপন্হী কাব্যিক মননের প্রকাশ সংস্কৃতি ব্যানার্জী " তৃষ্ণার গলায় আঙুল দিয়ে আমি যখন মা'কে জড়াই দেখি জল। আলো মাটি লুকোচুরি খেলে মায়ের আঁচলের ঠিক উপরিভাগটাই "... 'পৃথিবী মা' নামক কবিতায় এমনই সহজ সত্যকে কবিতা করে তুলেছেন নতুন প্রজন্মের কবি রিম্পা নাথ তাঁর এপিসেন্ট্রিক্যাল @ব্যক্তিগত কাব্য গ্রন্থে। প্রথাভাঙা কাব্য ভাষায় সুনিপূন ভাবে জীবনের ভেতর ও নৈঃশব্দের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন লেখায়। "মালিশে নজরে প্লাসটার সভ্যতা ,নাইট্রিক বৃষ্টিতে ভবিষ্যত শুয়ে"...তাঁর 'স-সভ্যতা' কবিতাটির মধ্য দিয়ে এক ভিন্নতর দর্শনের সন্ধান পেয়েছেন পাঠক। সামাজিক টানাপোড়েন, আবেগ অনুভূতি , অস্তিত্বের ভাবনা সবকিছু দিয়ে কবি তার শব্দচিত্র তৈরি করেছেন।এক অনন্য মাত্রা যোগ হয়েছে যেখানে তিনি বলছেন, "রোজ একটু জোৎস্না খাই"।প্রতিটি লেখার ভিতর নিজেকে ভেঙেছেন রিম্পা। বলছেন "মাথার মধ্যে গুঁড়ো গুঁড়ো চারা জন

বিক্ষুব্ধ এ ভারত ।। রণেশ রায় ।।পর্যালোচনা : নির্মল ব্রহ্মচারী (নরওয়ে)

ছবি
  বই: বিক্ষুব্ধ এ ভারত গ্রন্থকার: রণেশ রায় প্রকাশক: আন্তর্জাতিক প্রকাশন প্রকাশ: ডিসেম্বর 2017 মূল্য: 130 টাকা          বিক্ষুব্ধ এ ভারত ---- সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা নির্মল ব্রহ্মচারী (নরওয়ে) আন্তর্জাতিক প্রকাশন প্রকাশিত বিক্ষুব্ধ এই ভারত নামে রণেশ রায়ের লেখা বইটি তথ্য ও তত্ত্বের এক অসাধারণ সমন্বয়। সাবলীল ভঙ্গিতে কঠিন তত্ত্বের বিশ্লেষণ যেমন বিষয়কে সহজবোদ্ধ করে তুলেছে তেমনি পরিসংখ্যান তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে তুলতে সমর্থ হয়েছে । প্রবন্ধে কবিতার ব্যবহার এমন একটা গুরুগম্ভীর বিষয় পাঠকে মনোগ্রাহী করে তোলে। এগারোটি পরিচ্ছদে লেখা এই বইটিতে আদিবাসী অঞ্চলে যে বিপুল খনিজ সম্পদ তার বিশদ হিসেব দিয়েছেন লেখক। অপূর্ব নিপুণতায় তুলে ধরেছেন আজকের নয়া সাম্রাজ্যবাদের স্বরূপটা। আর এই খনিজ সম্পদের ওপর দখল নিতে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কর্পোরেট দুনিয়া, সরকার তাদের সহায়ক। আদিবাসীদের উচ্ছেদ যোজ্ঞ চলছে অবাধে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আদিবাসী সমাজ। আদিবাসী অভ্যুথ্যানের যেন এক গাঁথা রচিত হয়েছে বইটিতে । জীবনজিবিকার শ্রেনিযুদ্ধের সঙ্গে পরিবেশ ও প্রযুক্তির বিষয়টি যে যুক্ত সেটা লেখক

• সুজাতা ও হেমন্তকালীন কবিতা গুচ্ছ / উপানন্দ ধবল ।। পাঠ প্রতিক্রিয়া : শৈলেন চৌনী

ছবি
• বইঃ সুজাতা ও হেমন্তকালীন কবিতা গুচ্ছ কবিঃ উপানন্দ ধবল প্রকাশক - কবিতা দশদিনে প্রচ্ছদ/ ব্লার্ব - নয়ন রায় মূল্য - ৩০ টাকা এক অন্য স্বরের কবিতা   শৈলেন চৌনী ▪কাল্পনিক অথবা খুব সাক্ষ্যাৎ, কবি নিজের আড়মোড় ভেঙে স্ব-মহিমায়, ঐকান্তিক স্পৃহায় আটপৌরে যাপনের ভাবাবেগ সম্বলিত করে আমাদের উপহার দিয়েছেন এক অন্য স্বরের কবিতা, অন্য মাত্রার কবিতা। বইয়ের সর্বত্র শুধু সুজাতা এবং সুজাতা! কে এই সুজাতা? পদবী কী? কী চায় কবির কাছে? আর কবিই বা কেন মনোরথে চড়ে পাড়ি দিতে চান উদ্ভ্রান্তের পথে? উপানন্দ ধবলের 'সুজাতা ও হেমন্তকালীন কবিতা গুচ্ছ' কবিতা সংকলন টি পড়ে এমনই আগ্রহ এবং কৌতুহল জন্মেছে। বইয়ের পনেরোটি কবিতা জুড়ে কবি কেবলমাত্র লিখেছেন তাঁর কল্পনাপ্রসূত ভাবনা, নিজের বিষন্ন অথবা স্মৃতিভরা সুখ মুহূর্তের কথা, সাথে বাদ যায়নি আঞ্চলিক উপভাষার মহিমাও, দেখুন —"তবু জাড় কাটানোর লীনতাপ রয়ে গেছে বাকি"।কবিতায় বিশেষ করে আঞ্চলিক ভাষার উপমা কমই দৃষ্টিগোচর হয়, হয়তো বা কেউ কেউ সর্বসাধারনের বোধগম্যতাকে লক্ষ্য করে বাদ দেন, তবুও আঞ্চলিক শব্দ,

"দশমিক" (অণুগল্প সংকলন) সোমনাথ বেনিয়া।। আলোচনা-- অমিত বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়

ছবি
  দশমিক: এক অনবদ‍্য সৃষ্টি -- অমিত বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় প্রখ‍্যাত সাহিত‍্যিক সোমনাথ বেনিয়ার "দশমিক" একটি অণুগল্পের সংকলন। উড়ান প্রকাশনের হাত ধরে এই ব‌ইটি প্রকাশ পেয়েছে। ব‌ইটি তার গর্ভে রেখেছে ২৬টি অণুগল্পকে। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে তুলে আনা এক একটি গল্পের চরিত্র সামাজিক চিত্রটা খুব প্রাঞ্জল ভাবে মেলে ধরেছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে "দশমিক" একটি জীবন দর্শন তুলে ধরেছে পাঠকের সামনে। ব‌ইটির প্রথম গল্প 'চিংড়ি' যেমন সম্পর্কের গাঢ়ত্বের উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে দিয়েছে পাঠকের মনে, ঠিক তেমন‌ই ব‌ইটির শেষ গল্প 'বিশ্বাস' একটি সামাজিক দর্পণ হিসাবে পাঠককে রোমাঞ্চিত করে। এছাড়াও যে গল্পটির নামে এই ব‌ইটির নামকরণ হয়েছে সেই 'দশমিক' গল্পটিও নিঃসন্দেহে বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে। এছাড়াও 'দোসর', 'বীজ', 'নৌকা', 'দুধ', 'সাইকেল' এরকম আর‌ও অনেক অণুগল্পের মাধ‍্যমে সোমনাথ বাবু পাঠকের মন ছুঁয়ে নিয়েছেন। প্রত‍্যেকটি অণুগল্প‌ই এককথায় অসাধারণ। "দশমিক" হলো আমার তোমার কথা। প্রত‍্যেকটি গল্প প্রতি নিয়ত ঘটে যাওয়

রূপকথাদের আরশিনগর(কাব্যগ্রন্থ) ।। দেবাশিস তেওয়ারি ।। গ্রন্থালোচনায়--অনিন্দ্যকেতন গোস্বামী

ছবি
রূপকথাদের আরশিনগর (কাব্যগ্রন্থ) দেবাশিস তেওয়ারি  প্রকাশকঃ পত্রলেখা।  দাম ৫০ টাকা।  প্রকাশকাল ২০১৩।  বৃত্তালোকের বাইরে অনিন্দ্যকেতন গোস্বামী  বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি মহাদেব সাহা তাঁর "এই গৃহ এই সন্ন্যাস" কাব্যগ্রন্থে 'আমার দুঃখগুলি' কবিতায় একজায়গায় বলেছেন— "—ইচ্ছার বীজানুগুলি ঘামপুরে ছেড়ে দিই, অথবা আরেকটু হেঁটে চলে যাই জনাকীর্ণ নগরে মোড়ে কিছুক্ষণ জাদুর ভেল্কি ছুঁয়ে সানন্দে ডুগডুগি বাজাই" এই রকম নগরের ঘ্রাণ এবং নাগরিক সভ্য সমাজের কিছু ছবি এবং বিপুল ইংরেজি শব্দের উৎসারে কবি দেবাশিস তেওয়ারির কাব্যগ্রন্থ 'রূপকথাদের আরশিনগর' কে দেখতে পাই। 'প্রবেশক' ধরে মোট ৪১টি কবিতায় কবি নগর সভ্যতার মুখকে ধরতে চেয়েছেন এই কাব্যে। কবি যেন—"ঈশ্বর সে পথে হেঁটে যান যেতে যেতে দেখতে পান সবুজ গমের ক্ষেত, মিষ্টি ফুল গন্ধ পার হয়ে কোথায় লুকিয়ে পড়লেন পোড়া দুটো প্রান" কবি তো ঈশ্বরেরই প্রতিরূপ, তথা ঈশ্বরেরই আরশি...তাই কবিও যেন লুকিয়ে পড়লেন গ্রাম্যতার ভেতর...জন্মনিলেন আরবান কালচারে... তার 'রূপকথাদের আরশি

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা -- নকুল সামন্ত

ছবি
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা -- আজও প্রাসঙ্গিক নকুল সামন্ত আমার জীবনাকাশে যে কাব্যানক্ষত্র চিরকাল ধ্রুবতারার মতো ঝিকমিক করে জ্বলছে তার নাম "সঞ্চিতা" ।বিশ্ব সাহিত্যের অনেক অংশ তন্য তন্য করে খুজেঁও এমন অরূপ রতন আর পেলাম না ।এ যেন সেই কল্পতরু যার তলায় বসে যা চাইব ,তাই পাইব । এই গ্রন্থে কবি নজরুলের ধর্মীয় সম্প্রীতি, তারুণ্যের উছ্বাস, শিশুর সাধ, বীরের আবেগ,বিপলবীর গতি, পরাধীন দেশের কথা, দারিদ্র্যের মহানতা প্রভৃতি বিষয় গুলো আমাকে ছুঁয়ে গেছে ।তাই এই কাব্য অমর -অক্ষয়-অব্যয় । বর্তমান সমাজ যে অন্ধকার পথে চলছে, তার থেকে ফিরে আসতে গেলে অবশ্যই সঞ্চিতা বারবার পড়তে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে । প্রাথমেই বলি ছাত্রসমাজ যে পথে চলছে- তা বড় ভুলপথ ।আজ ছাত্রসমাজের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি তেমন অনুরাগ নেই , শিক্ষক ও গুরুজন দের প্ৰতি শ্রদ্ধা নেই, পিতামাতার প্ৰতি কর্তব্যবোধ নেই ।আছে কেবল আধুনিক পাশ্চাত্য অনুকরণে জীবনযাপনের ইচ্ছা ।তাই পড়ার নাম করে খুন,অপরাধ, মাদকসেবন, অন্যায় রাজনীতি করে চলেছে ।এই অবস্থায় তাদের ছাত্রদলের গান কবিতাটি পড়তে হবে ।সেখানে কবি তাদের উদ্যেশে বলেছেন তার

আবর্তন ।। তরুনার্ক লাহা ।। আলোচনাঃ বাবলু কুমার ঘোষাল

ছবি
          আবর্তন তরুনার্ক লাহা কৃষ্ণসীস প্রকাশন ১২০ টাকা           আবর্তন : চোদ্দ পার্বণী গল্পসংকলন বাবলু কুমার ঘোষাল ছোটগল্প বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। প্রতিদিনের জীবন-জীবিকার সংঘাত, প্রতিবাদ ও বিলাস ছোটগল্পের মাধ্যমেই মূর্ত হয়ে ওঠে। ফলে ছোটগল্পের প্রতি পাঠকমাত্রেই বিশেষ আকর্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। ব্যক্তি আমিও এর ব্যতিক্রম নই। ফলে কোথাও কোনো ছোটগল্প প্রকাশ পেলেই আদ্যন্ত পড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে, নতুন লেখকের ছোটগল্পের বই বেরোলেই লেখক সম্পর্কে কৌতূহল অধীর হয়ে ওঠে। এভাবেই একদিন গোগ্রাসে পড়ে ফেলেছিলাম তরুনার্ক লাহার 'আবর্তন'। তরুনার্কবাবু নতুন গল্পকার। 'আবর্তন' তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। প্রথম গ্রন্থ সমালোচনার ক্ষেত্রে দুটি দায় সমালোচককে প্রথমেই স্বীকার করে নিতে হয়। প্রথমত, প্রথম গ্রন্থে লেখকের হাত মকশো করার নানা ছাপ সমালোচককে মেনে নিতে হয়, হয়তো এড়িয়েও যেতে হয়। আর দ্বিতীয়ত, জীবন সম্পর্কে লেখকের সামগ্রিক জীবনদর্শন কোনোভাবেই তাঁর প্রথম গ্রন্থে স্পষ্ট হয় না। কারণ তখন তিনি বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে নিজেকে খোঁজার চেষ্টা করেন। 'আবর্তন' এর সমাল

...এবং অস্পৃশ্য হাত।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় ।। আলোচকঃ তনুশ্রী পাল

...এবং অস্পৃশ্য হাত: অপূর্ব পাঠ তনুশ্রী পাল সার্থক অণুগল্প রচনা কঠিন সাধনালব্ধ বিষয়ই বটে। আকারে ক্ষুদ্র বলেই তার দায় বেশি।অর্থাৎ ছড়িয়ে ছিটিয়ে শাখা-প্রশাখায় কাহিনী বিন্যাস করে রসগ্রাহী পাঠককে তুষ্ট করার সুযোগ অণুগল্পের আদৌ নেই। পরিসর তার স্বল্প ,বহু চরিত্র বা বিশাল প্রেক্ষাপটে গল্প তো লেখা যাবেনা। প্রতিটি শব্দ ,চরিত্র সুনির্দিষ্ট ও সুপ্রযুক্ত হওয়া চাই । অণুগল্পের আকৃতি ছোটোই হবে কিন্তু এই স্বল্প আয়োজনটুকু সার্থক করে তুলতে হবে গল্পকারকে। সুতরাং প্রতিপদেই তার পরীক্ষা ।খুব দক্ষ শিল্পী ছাড়া কাজটি নেহাতই কঠিন । বড়গল্পকে চেপেচুপে ছোট আকার দিলেই সে অণুগল্প হবে না।বিদগ্ধ পাঠকের চোখে তা ধরা পড়ে যাবে। বেশি ভার অণুগল্প নিতে পারেনা ,অতিকথনে উদ্দেশ্য তার ব্যর্থ হয়ে পড়ে। অণুগলপে গল্পটি থাকতেই হবে ,খুব কম শব্দে বিশেষ কথাটি বলতেই হবে। উপমা দেওয়া যেতে পারে এ ভাবে, ক্ষুদ্র জলাধারে বৃহৎ আকাশের রূপটুকু প্রতিবিম্বিত হওয়াই চাই। আজ্কাল বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অজস্র অণুগল্প ছাপা হচ্ছে। এখন ভাবার বিষয় সেগুলি সবই কি সার্থক অণুগল্প হয়ে উঠছে?পাঠক বিচার করবেন। হ্যাঁ মোট সাইত্রিশটি গল্পে

সুকমল দালালের 'সরোবর বাঁধে খরতাপ '।। আলোচনায় প্রতীতি চৌধুরী

ছবি
 # সরোবর বাঁধে খরতাপ  # সুকমল দালাল 'অনুভূতি'রা বেঁচে থাকবে তাঁর স্বপ্নে, কাব্যে, ভালোবাসায়... প্রতীতি চৌধুরী। 'কবিতা' এই তিন অক্ষরের শব্দটা আমার বড্ড প্রিয়। হয়তো সেই ছোট্ট বেলা থেকে বন্ধুত্ব, খুনসুটি, মান-অভিমান, প্রেম, বিরহ, মন খারাপের বেলা, প্রতিবাদী মনের কথা, ইচ্ছা, ভাবনা, চেতনা সব কিছুই কবিতার মাধ্যমে বরাবর কয়েদ করেছি ডায়েরিতে।কবি সুকমল দালালের সঙ্গে অল্প সময়ে আলাপ লেখা লেখির সূত্রে।বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের ছাত্র।গত বৈশাখে তার একুশের জন্মদিনে কবিতার বই 'সরোবর বাঁধে খরতাপ' প্রকাশিত হয়েছে। শান্তিনিকেতনের 'রুআক' প্রকাশনী থেকে। 'আন্তঃ কবিতাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত-একজন শ্রমিকের বই এটি' ভূমিকাতেই উল্লেখ করেছেন কবি রাহুল ঘোষ।কবিতাগুলি পড়লে মনে হয় সত্যি যেন রুদ্রতেজের কবিতা। বিশ্বভারতীর ছায়াতেই মনে হয় এমন কিছু প্রাণের স্পন্দন রয়েছে, এমন কিছু অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে যা সাধারণ মানুষের মধ্যেও কাব্যধারা সঞ্চার করতে সক্ষম। বইয়ের প্রতিটা কবিতাই বেশ ভালো। বলা ভালো ছোট্ট বইটিতে ছোটো বড়ো সকলেরই পড়ার উপযোগী কব

বইঃ মুসলমানের দুর্গাপুজো।। লেখকঃ চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য।। আলছনাঃ সুদীপ্ত মণ্ডল

ছবি
# বইঃ মুসলমানের দুর্গাপুজো।। # লেখকঃ চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য।। # প্রকাশকঃ জনস্বার্থ বার্তা। আলোক সন্ধানী বই সুদীপ্ত মণ্ডল অর্থে কিছু কিছু ধর্মীয় প্রথা সর্বাঙ্গীণ ভাবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মিলন স্থল হয়ে ওঠে।তা নিছক নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রথা থাকেনা।তাতে ভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতির সাক্ষরও থাকে। আর আমাদের দেশ,বাংলা হিন্দু মুসলমানের যুক্ত সংস্কৃতির ফসল।লেখক চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য গোটা বইটিতে এই কথাই বলার চেষ্টা করেছেন।আজ যখন সারা দেশ উগ্র ধর্মীয় বিদ্বেষ, জাতি সম্প্রাদয়গত বিদ্বেশে মেতে উঠেছে তখন এই বই টি আমাদের আলোকের সন্ধান দেয়। এই বইটি পড়ে জানতে পারি, রাজস্থানের একটি দুর্গাপুজোয় ৬০০ বছর ধরে মুসলমান পুরোহিত পুজো করে আসছেন।এই সেই রাজস্থান যেখানে পদ্মাবতী সিনেমাকে কেন্দ্র করে বিভাজনের রাজনীতি আমদানী করার চেষ্টা হয়েছে,সেখানে ওখানকার বাগোরিয়ায় দুর্গা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মুসলমান হবেন। তাতে হিন্দু মুসলমান কারোর সমস্যা হয় না। হুগলী জেলার পান্ডুয়ার কাছে বর্ধিষ্ণু গ্রাম জামগ্রাম। সেখানে মাজারে সিন্নি চড়িয়ে তবেই ওখানকার লক্ষী জনার্দন ঠাকুরে

আই-সোসাইটি ও ‘স্তুতি কবিতা’ ।। আলোচকঃ জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি

  আই-সোসাইটি ও 'স্তুতি কবিতা' জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি অনেকেই প্রশ্ন করছেন, আচ্ছা, আই-সোসাইটি ব‍্যাপারটো ঠিক কী বটেক? কেন? ও কীভাবে? ব‍্যাপারটো একটু বুঝাইয়া বলেন দিকি। এত্তো সহজে ও অল্পে আমি বুঝাইতে লারবো? এখন শুধু স্পষ্ট করে আই-সোসাইটির মূল চিন্তন বা উদ্দেশ‍্য'টা জানিয়ে দিই আপনাদের, বাকি কথা না'হয় পরেই হবেক। সাধারণ ভাবে মানুষ দুই প্রকার, ভালো ও খারাপ। (বাকি ভাগগুলোর প্রয়োজন আছে কী? তুমি হিন্দু না মুসলিম, গরীব ও ধনী ইত্যাদি ইত্যাদির প্রয়োজন কী? আরে মশাই, আপনি মানুষ, that's enough) আরো গভীর গিয়ে লক্ষ্য করলে দেখবেন মানুষ আদতে একপ্রকার'ই এবং তা হলো, ভালো ও খারাপ এনার্জি সমন্বিত একটা চিন্তা স্রোত। একটি মানুষের মধ্যেই বাস করে ভালো ও খারাপ দুটি মানুষ। চামড়া, মাংসের কাঠামোটা তো আসলে মানুষ নয়, মানুষ আসলে মানুষ তার চিন্তনে। যে চিন্তন নিয়ন্ত্রণ করে তার সামগ্রিক কর্মকাণ্ড। আই-চিন্তন বলছে (যা আসলে ভারতীয় সংস্কৃতি তথা সাহিত্যের মূল কথা) আমরা পারি আমাদের মধ্যে বয়ে চলা এই চিন্তা স্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করতে, আমরা পারি ক্রমাগত নেগেটিভ এনার্জি'কে বিনষ্ট

কবি শঙ্খ ঘোষের গদ্যসংগ্রহ।। আলোচনায় শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস

ছবি
ধারনাতীত এক সমুদ্র শঙ্খ ***************************************** শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস যেভাবে কবিকে পড়ছি, যতবার পড়ছি,ঠিক ততবারই চোখবন্ধ করলে ভেতরে এক আলোড়ন!..... পরিচয়? কেন পরিচয় চাও প্রভু? ওই ওরা বসে আছে অন্ধকার বনচ্ছায়ে সকলেই ঋদ্ধপরিচয়? বনে ভরে আগুনকুসুৃম-- আপন সোপানে কারা জলস্রোতে দেখেছিল মুখ? বুকে জ্বলে আগুনকুসুম-- আমি যে আমিই এই পরিচয়ে ভরে না হৃদয়? কেন চাও আত্মপরিচয়?.... কবি শঙ্খ ঘোষের জাবাল সত্যকাম কবিতাটির কিছুঅংশ তুলে ধরলাম পাঠকের জন্য। এমন অন্ধকার দিনেইতো শঙ্খ ঘোষকে পড়তে হবে, আর কবি শঙ্খ ঘোষ যখন আক্রান্ত হন, তখন সারা বাংলার কাব্যভুবন আক্রান্ত হয়ে যায়,একথা নির্নিমেষে বলার সময় এসেছে আজ। কবিতার একটি অন্যভুবন আছে।সেই বিশ্বলোক ও গ্রহতারকাখচিত আকাশে আছে রহস্য। আছে কিছু জটিল উপদ্রব! যেমন গরীব,অসংবৃত ও যুধ্যমান। কবি শঙ্খ ঘোষের গদ্য সংগ্রহ এমনই এক যুধ্যমান বই, যা তার প্রিয় ফুলদিকে উৎসর্গীকৃত। কে এই ফুলদি, প্রসঙ্গক্রমে তিনি আসবেন। কিন্তু হতে পারতো বইটির নাম গদ্য সমগ্র। অথচ তা না হয়ে বইটির নাম হলো গদ্য সংগ্রহ। কেন, তা পাঠকের বিষয় হলেও একক ভাবে পাঠকের ওপর

তপন মুখোপাধ্যায়ের কাব্যগ্রন্থ – ১)কবিতার কাছাকাছি ২)হৃদয় পুরের পদ্যকথা ।। আলোচনাঃ অসীম মালিক

ছবি
কবি তপন মুখোপাধ্যায়ের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ – ১)কবিতার কাছাকাছি ২)হৃদয় পুরের পদ্যকথা # প্রকাশনায় সোনালী রোদ # গ্রন্থ দুটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন হরিপ্রসাদ মেদ্দা। পাশাপাশি হাঁটার আলাদা উষ্ণতা অসীম মালিক ------------------------------------------------------------------------------ কবিতা কি আদেও হয়ে উঠেছে? এ প্রশ্ন শাশ্বত, প্রত্যেক কবির। দেখার চোখ বা কবিদৃষ্টি হয়ত বা কবিতার গুনগত মানের তারতম্য ঘটায়। তবুও কোনও কবিই তৃপ্ত নন। এর একটাই কারণ, সৌন্দর্যের কোনও প্রান্ত সীমা নেই। সম্প্রতি সোনালী রোদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে কবি তপন মুখোপাধ্যায়ের 'কবিতার কাছাকাছি' এবং 'হৃদয় পুরের পদ্যকথা' নামক দুটি কাব্যগ্রন্থ। প্রথমেই আসি কবিতার কাছাকাছি 'বইটির আলোচনা প্রসঙ্গে । কবি ভূমিকায় লিখেছেন 'এই বইয়ের মলাটবদ্ধ অক্ষরের সারি কবিতার পর্যায়ভুক্ত হয়েছে কিনা জানি না , তবে 'কবিতা' আর 'না কবিতার' কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে বলেই আমার বিশ্বাস । 'কবি কতটা কবিতার কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছেন, তা সময়ই পাঠককে দিয়ে বলিয়ে নেবে। যে কোনওকবিতাই তা

কাব্যগ্রন্হ - কনফিডেন্সিয়াল ডায়েরী কবি - অর্ঘদীপ পানিগ্রাহী ।। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ পৌলমী দেবনাথ ও কেয়া রায়

ছবি
কাব্যগ্রন্হ - কনফিডেন্সিয়াল ডায়েরী কবি - অর্ঘদীপ পানিগ্রাহী প্রকাশক - প্রাণেশ ভট্টাচার্য্য প্রকাশনী - ৯ নং সাহিত্য পাড়া লেন মূল্য - তিরিশ টাকা প্রচ্ছদ - সাগরিকা সরকার। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ লেখা পৌলমী দেবনাথ "কনফিডেনসিয়াল ডায়েরী " বইটিতে সর্বমোট ১৩টি কবিতা প্রত্যেকটিতেই কবি নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না | ডায়েরী শুনলেই কেমন যেন গোপনীয়তা কিংবা না বলা কিংবা কিছু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ লেখা থাকে. এই কবির কনফিডেনসিয়াল ডায়েরী ও বোধ করি কবির কোনো এক ডায়েরীর পাতা থেকেই উঠে এসেছে...এই বইয়ের মধ্যে থাকা প্রতিটা কবিতাই যেন তার কাউকে না বলা কিছু শব্দগুচ্ছ।" ক্ষ্যাপা কাব্যির প্রেম নিবেদন" আর "তোমাকে ছুঁয়ে ডুবচোরেরা" সে এক আলাদাই লেখনী...এমন সুন্দর ভাষার প্রয়োগ এই সময়ের লেখনীতে কমই দেখা যায়...এছাড়াও "ব্রাত্য ক্ষুধা","বেরঙা প্রচ্ছদ" বইটির অন্য মাত্রায় সৌন্দর্য এনে দেয়।এছাড়াও কিছু এমন কবিতাও আছে যা মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি,আসলে সবই প্রিয়,কিছু কিছু বিশেষভাবে ভালোলাগার কবিতা।কিছু কিছু লাইন

পুরাবর্ত্ম – নতুন সরণী বেয়ে পুরাণের নবনির্মাণ। লেখক শমীক জয় সেনগুপ্ত।।আলোচকঃ দীপা কর্মকার

ছবি
# পুরাবর্ত্ম – নতুন সরণী বেয়ে পুরাণের নবনির্মাণ। # লেখক শমীক জয় সেনগুপ্ত।  # প্রকাশক – অভিজয় প্রকাশনী। সম-বিসম-উভকামিতা এসবের উর্দ্ধে গিয়ে মানুষের সম্পর্কের কথা    দীপা কর্মকার কলকাতা বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিওনে ঘুরতে ঘুরতেই হঠাৎ দেখলাম কোন এক নিউজ চ্যানেলে ভদ্রলোক (যদিও দেখে মনে হল খুব বেশী বয়স হলে পঁচিশ বছর হবে) বাইট দিচ্ছেন। প্রসঙ্গ – ভারতীয় পুরাণ মহাকাব্য ও সমকামিতা। সমকামিতা এমনই এক সেক্সুয়াল প্রেফারেন্স বা যৌন চাহিদা যা নিয়ে লোকজন যে প্রকাশ্যে কথা বলে এমন ধারণা আমার ছিল না। অনেকের মতে আমিও ভাবতাম এ জিনিসটা আমাদের দেশে কেন? কিন্তু ছেলেটির কথা বলার মধ্যে এমন এক সততা ছিল যা আমাকে মুগ্ধ করে। চলে যেতে চেয়েও পাশের টেবিলে বই নাড়াচাড়ার অছিলায় দাঁড়াই। শুনি কি বলছে। কথাগুলো যুক্তিসঙ্গত তাও মানতে কেন জানি দ্বিধা হচ্ছিল। চ্যানেলের লোকজন চলে যেতে ওদের স্টলে গেলাম। সপ্তপর্ণ পত্রিকা। আর পাঁচজনের মত ছেলেটি আমাকে বই পত্রিকা এসব দেখাচ্ছিল। আমি সাহস করে ওর ওই মিডিয়াকে বলা কথাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারলাম না। একে আমার ছেলের বয়সী, তায় আমি এই বিষয়ে কথা বলতে

কবি শেখ সামসুল হকের কাব্য "রমণীয় স্বাধীনতা" আলোচকঃ ড. নাসরীন সুলতানা

ছবি
কবি শেখ সামসুল হকের কাব্য শক্তি ড. নাসরীন সুলতানা কবি শেখ সামসুল হক পারিপাশ্বিকতা থেকে মোহমুক্তি চেয়ে; নিরাসক্তভাবে স্বাধীনতার সুখ অনুভবের সংশ্লেষণের সাথে জাগতিক আবিষ্টতার মন্ময়তা কবিকে সত্যিই স্বাধীনতার সুখ দিয়েছে রমণীয় স্বাধীনতা। রমণীয় স্বাধীনতা কাব্যগ্রন্থে মুক্তির সাধ পেতে মুক্তির আকুলতা যেমন তীব্রতা পায়নি, তেমনি মোহ নির্মোহ দৃষ্টিতে ব্যক্তির স্বাধীনতা দেখেছেন। এ যেন অনেকটা ঘুড়ি খেলা- নাটাই হাতে ঘুড়িকে আকাশে উড়তে দেয়া আবার ঘুড়ির বেশী স্বাধীনতায় বাধা এ যেন দৃশ্য অদৃশ্য খেলা। স্বাধীন সত্তায় সুখ তীব্রতা ছড়ায় না। রমণীয় আমেজে বিভোর থাকে। স্বাধীন হওয়াটা বড় গোলমেলে। এ যেন কবি নিজের কাছে নিজে স্বাধীন। রূপের জগতে মায়ার জগতে মানুষ কি স্বাধীন ? এ যেন কবির ডুব সাঁতার। কবি কবিতা আলোচনা করলে কবিত্ব শক্তির পরিচয় পাওয়া যাবে। 'হেমন্ত স্পর্শে' কবিতায় বাঁজখাই যাপিত জীবনের রমণীয় শরৎ অসীমতার মাঝে চিত্রকল্পে কবি হেমন্তের কাব্যময় সন্ধ্যার বর্ণিল রূপময় জগতের খন্ড খন্ড চিত্র বর্ণনায় হেমন্তের স্নিগ্ধ রূপায়নে প্রাণের অস্তিত্ব যেন ঘোষিত হয়েছে। আর এ প্রানের

রীনা তালুকদারের কাব্য কথায় ইলিশ -- অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী

ছবি
রীনা তালুকদারের কাব্য কথায় ইলিশ --অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী অনুপ্রাসের আয়োজনে আজকের অনুষ্ঠানের শ্রদ্বেয় সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি বৃন্দ, ভারত থেকে আগত আমার দুজন বন্ধু জগদীশ বাবু ও সাকিল আহমেদ। মঞ্চে উপবিষ্ট যার কথা আপনারা জানেন কবি, সংগঠক, সাংবাদিক আসলাম সানী। এবং আমার ঘনিষ্ঠ কবি বন্ধুরা।আমরা অনেক গুলো কবিতা শুনেছি। অনুষ্ঠানটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমার দায়িত্ব পড়েছে রীনা তালুকদারের একটি প্রবন্ধ বই 'কাব্য কথায় ইলিশ'। লেখার জগতে রীনা নতুন নয়। এ পর্যন্ত তার ১০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদনা করছেন জাগ্রত সাহিত্য সংকলন ও শ্রাবণ মেঘের পালক নামে একটি কাব্যগ্রন্থ। অন্যদের সঙ্গেও একসাথে অনেক গুলো প্রকাশনা আছে। তার আরেকটি গুণ হচ্ছে তিনি কেবল কবি নন, সংগঠক তো বটেই। যে বইটি 'কাব্য কথায় ইলিশ' তার প্রচ্ছদ ও ভেতরের অলংকরণটিও তার নিজের করা। একটু আগে দেখলাম আজকের আলোচ্য স্মৃতি ভট্টাচার্যের কাব্যগন্থের প্রচ্ছদও রীনা তালুকদারের করা। একই সঙ্গে অনেক গুলো গুণের বা প্রতিভার অধিকারী রীনা তালুকদার। এই প্রবন্ধ গ্রন্থে ইলিশ সম্পর্কে যাব

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪