পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

গল্প ।। কালোচিত্র ।। সৌর শাইন

ছবি
কালোচিত্র সৌর শাইন     বৃদ্ধার উদাসীন দৃষ্টিতে মৃতাত্মাদের আনাগোনা, কতশত শেষ দাফনের স্মৃতি। নিশ্বাসে আগুনের হলকা এসে পুড়িয়ে দেয় সব গুন গুন সঙ্গীতকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে। রেললাইনের বস্তির অন্যসব ঘরের মতো এখানেও নিস্তব্ধতা ছোবল দিয়েছে, হাহাকারের যাঁতাকলে গলা টিপে ধরে সময়ের অভিশাপ। সুঁচের পেট ফুঁড়ে লাল সুঁতো বেরিয়েছে, এক একটা ফোঁড়ে ছোট্ট প্লাস্টিকের ব্যাগটা যতটা সম্ভব মেরামত চলে সেলাই চিন্তায়। ভিক্ষের চালগুলো এখানেই জমাতে অভ্যস্ত বৃদ্ধা।   মৃত ক্ষুধারা পেটের ভেতর হঠাৎ হঠাৎ চিৎকারে নাচে। শহরের মেইন রোডে উঠা যায় না, মুখোশ পরা পুলিশ বাঘের মতো তেড়ে আসে। বৃদ্ধার মগজ এখনো বুঝতে পারে না করোনা শব্দের পেছনে কী এমন দৈত্য দানব লুকিয়ে আছে। রাতে ছোট্ট নাতনিটি বৃদ্ধাকে বিদেশি রোগের ব্যাখ্যা শুনায়। বৃদ্ধা শুনতে শুনতে নিশ্বাস ফেলে। আট বছরের নাতনির উরুসন্ধিতে হাত ছুঁয়ে বলে, তুই এহনো বাড়ছ না ক্যান? হাতের আঙুল গভীরে যেতেই নাতনিটা আঁৎকে উঠে। আঃ ব্যথা পাই নানি। বৃদ্ধা ধমকে বলে, একটু-আধটু ব্যথা লাগবোই। বেডারা তো মাঙনা টেকা দিবো না। কষ্ট দুক্ষু সহন লাগবো। আমি তো তোর মতন থে

ছোটগল্প ।। শেষ উপহার ।। অরূপ কুমার গোপ মন্ডল

ছবি
      শীতের সকালে শিশুর মত মিষ্টি রোদটা এসে লুটোপুটি খাচ্ছে সুজয়দের দালান বাড়িতে ।  পূবদুয়ারী  একতলা বাড়ি । কাছেই কোন একটা ফুল ফুটেছে । তার সুগন্ধ ভেসে আসছে বাতাসে । তবু সুজয়ের মনটা ভালো নেই । শিশু হীন  বাড়িটা  যেন বিগ্রহ ছাড়া মন্দির ।  সকালবেলায় বরাবর  ব্যস্ত থাকে সুজয় ।  ভোরে পড়ার অভ্যাসটা ছাত্রজীবন থেকেই  বাঁচিয়ে রেখেছে আজও । কবিতা  গল্প পড়ে কয়েক ঘন্টা কাটায় ।  কিছু লেখালেখির চেষ্টাও করে । আগে গল্প লিখত । এখন কবিতা ।  তারপর,  স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টার ত্রুটি রাখে না । বিয়ের পর দিনে দিনেই কমে এসেছে সেটা । মৌসুমীর পটলচেরা চোখগুলো মার্বেলের মতো গোল গোল মনে হয় এখন । কদিন আগেই  বাপের বাড়ি গেছে । কবে আসবে ঠিক নেই । তাই ব্যস্ততাটা বহুগুণে বেড়ে গেছে । রান্না বান্না । হালে পানি পায় না সুজয় । বেড়েছে একাকীত্ব। মনটাও ভালো নেই সকাল থেকেই। হঠাৎ মোবাইলটা বেজে ওঠে । হয়তো মেয়ের ঘুম ভেঙ্গে গেছে । সকালেই বাবাকে আবদার জানাবে । মৌসুমিও হতে পারে । বিছানায় শুয়ে মায়ের দেওয়া বেড টি পেয়েছে । হাই তুলতে তুলতে বলবে, একা একা ভালোই তো আছো সোনা ? ভালো না ছাই !  না,অপরিচিত নাম্বা

অণুগল্প ।। ক্রন্দসী ।। বিজয়া দেব

ছবি
  আমাকে মনে পড়ে ক্রন্দসী?  পন্ডিচেরির সমুদ্র সৈকতে আপনার সাথে দেখা হয়েছিল ।আপনি খানিকটা দূরে একা বসেছিলেন। আপনার শীর্ণ করুণ মুখশ্রীতে গোধূলিবেলার করুণ আলো এসে পড়েছিল। আমিও খানিকটা দূরে বসে উচ্ছ্বল ঢেউয়ের ভেতর উচ্ছ্বাসে মেতে থাকা নারীপুরুষদের দেখছিলাম। খুব গরম ছিল সেদিন। আপনার পুরুষসঙ্গীটি স্নান করছিলেন তার পাশে আরও দুজন নারী পুরুষের জুটি সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছিল। একটি উত্তুঙ্গ ঢেউ এলো। স্নানরত নারী পুরুষদের টেনে নিল তার ভেতর। ঢেউ সরে গেলে পর দেখা গেল আপনার পুরুষ সঙ্গীটি আলিঙ্গনে বাঁধা পড়েছেন এক মহিলার সাথে, প্রায় মিনিটখানেক এই আলিঙ্গনাবদ্ধ নারীপুরুষ এক স্থিরচিত্রের মত বাঁধা রইলেন। গোধূলিবেলার আলোয় তখন আমি আপনার মুখ দেখছিলাম। আপনি আমার চোখ চোখ রেখে দেখলেন, যেন বিষম লজ্জায় অতঃপর চোখ নামিয়ে নিলেন। আমরা তো একই হোটেলে উঠেছিলাম। আপনারা তিনটি জুটি নারীপুরুষের। অথচ আপনার সঙ্গীটি পাশের ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিতেন আর আপনি সামনের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হোটেলের আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে থাকা অজানা বৃক্ষের আন্দোলন দেখতেন, আর উল্টোদিকের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আমি দেখতাম আপনাকে। আপনার বিশীর্ণ চেহারায় অদ

কবিতা ।। ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ ।। জীবনকুমার সরকার

ছবি
  ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ  জীবনকুমার সরকার    ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ  আমরা আর বেঁধে বেঁধে  থাকতে পারছি কই?  যেদিকে তাকাই সেদিকেই জীবন্ত  লাশেদের চরম ভীড়  তাদেরই বাতাসে মেরুদণ্ডহীন  গাছেরা করছে হই  শেয়াল আর শকুনের ফাঁদে  এত এত মানুষেরা সব  সুবিধার খোঁজে ব্যস্ত  ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ  নষ্টরাই এখন ভুবন চালাবে  শিশুরা আরও আরও বেশি লাশ হবে  ধরিত্রী হবে বিধ্বস্ত  একে একে সবাই লাশেদের দেশে  নষ্টদের উল্লাসে বাজাবে নূপুর  এ সমাজ নষ্ট হতেই ত্রস্ত।    =============== জীবনকুমার সরকার  পরশপাথর অ্যাপার্টমেন্ট ৩ নং গভঃ কলোনী মালদা ৭৩২১০১

লিমেরিকগুচ্ছ ।। কান্তিলাল দাস

ছবি
১| কাপড় শুকানো মাতাল ঝাঁঝায় বউকে ভীষণ তুইও দিবি ফাঁকি ? সুয্যিটা রোজ নয় ওঠে না, চাঁদ তো আছে নাকি !         চাঁদের আলোয় কাপড় ভিজে         শুকোতে তোর কষ্ট কি যে তোর জ্বালাতে লুঙ্গি ছেঁড়ায় লজ্জা আমি ঢাকি ! ২| রাতপাহারা ভাদর মাসে কোকিল কেন ডাকছে এমন ওরে বলল খুড়ো, এমন হলে ধন নিয়ে যায় চোরে            বউ ছাড়া আর নেই কোনও ধন            সাবধানে রয় অষ্টুচরণ রাতপাহারা দিয়ে সজাগ ঘুমোয় অতি ভোরে! ৩| ঘাটের মড়া খুড়োর গলায় কুটকুটানি, ঢোল হয়েছে ফুলে ভাবল খুড়ি কমবে খাওয়ায় জলে তেঁতুল গুলে            পাড়ার লোকে জুটল ত্বরা            ভাবলো টাঁসবে ঘাটের মড়া গাঁদাল ভেবে বিছুটি যে খেলো মনের ভুলে! ৪। বুদ্ধি বটে হাঁটুন ঘাসে পা ডুবিয়ে ভোরে শিশির-জলে চোখের রোগে ওষুধ সাথে ডাক্তারে যেই বলে         পায়ে ঢেলে দশ শিশি জল         হাঁটছে খুড়ো মিলছে না ফল ডাক্তারে কন 'শিশির' কোথা! বুদ্ধি হবে ম'লে? ............................... কান্তিলাল দাস কিসমত অপূর্বপুর বেলতলা লেন( সাধুখাঁ মাঠ ) ডাক- সিঙ্গুর জেলা- হুগলি দূরভাষ- ৮৭৭৭৬৩৯৭৭০

কবিতা।। সুকন্যা ভট্টাচার্য্য

ছবি
  পরিণতি  ................. দু-একটি স্বপ্ন একটি মোরগের গলায় ঝুলিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। নীল খয়েরী পালক ঝরে ঝরে পড়ল।  ওড়ার চেষ্টা পৃথিবীর টানের কাছে  তুচ্ছ। সূর্যের লাল চোখের দিকে গলা তুলে কথা বলার সাহস আর মাঝে মাঝে নেচে ওঠার আনন্দ। একসবের পরেও নসাৎ হয়েছে গুরুজনদের আশীর্বাদ। বিদায়ের আগে সূর্য মাঝ গগনে থেকেও অসহায় হত্যালীলার সাক্ষী থেকেছে। ....................................   সুকন্যা ভট্টাচার্য্য কাশী ঘোষ লেন,কলকাতা।

কবিতা ।। ব্রতপালন ।। ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
ব্রতপালন  ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথাটা ঠিক বলেছে গোঁসাই তোমার আমার কন্ঠীবদল হলে পৃথিবীর সব ঈর্ষায় গাছের গোড়ায় দু -এক  ফোঁটা বৃষ্টি পড়বে ঝরে, আমিও আমার  তরুণ অঙ্গ মেজে তোমার সঙ্গে গানের মাধুকরী, গাঁ  শহরের সবার ঘরে ঘরে বৌ-ঝিয়েরা মারবে উঁকি -ঝুঁকি, পথে যেতে কৃষ্ণচূড়ার তলে চুড়োর  মধ্যে সাজিয়ে নেবো ফুল আমরা শুধু হাঁটবো মাধুকরী ভালোবাসায় আর হবে না ভুল। ------------------------ Dr bharati Banerjee AC. 71 profullakanan east Kestopur, kol, 700101

দুটি কবিতা ।। আবদুস সালাম

ছবি
  শূন্যতার গা ঘেঁষে বিশ্বাসের দরজায় বিড়ম্বনা তুলছে মাথা  আটপৌরে জীবন নেমে আসে দ্বিধা দ্বন্দের নিত্যসমাস শূন্যতার ভিতর লেপ্টে  যায় নিষ্ঠুরতার সন্যাসী অভিযান প্রাত্যহিক জীবনে দল বেঁধে অভাবেদের  যাওয়া আসা মন্দ লাগে না  মৃত্যু এখন সহজ লভ্য অহংকার ঘরে ঘরে জ্বলে  দুঃখের উনুন আবর্তনের গা ঘেঁষে  পুড়ে যায় চিতা ভর্তি শ্বাসকষ্ট অগ্নিস্রাব হয় বিশ্বাসী রমণীদের  অপরিণত বোকা কাহিনীর মতো প্রেম  গর্ভবতী হয় আটপৌরে সংসারে নাড়ীর যোগ বলে কিছু হয়না শূন্যতার আগমনে আক্রান্ত হয় ভালোবাসা ধূলোর আস্তরণ জুড়ে  বিচ্ছেদের বিস্তীর্ণ মাঠ অসফল ধূসর স্বপ্নেরা  চৈত্রের ঝড়ে ঠুংরী গায় এভাবেই বিশ্বাসের দরজায় হানা দেয় অপরিচয় আমরা আধুনিক হই প্রেমের রাস্তায় খেলা করে  খোলাম কুচির নিষ্ঠুর আহ্বান    ওরা বাড়ি ফেরে না আর্তনাদের বাতাস ধেয়ে আসছে পাড়ায় রাস্তারা কেঁপে উঠছে থর থর করে বিকেলের মাঠ, আলো কমে এলে ওরা সবুজ ঘাসে রক্তের আলপনা আঁকে অন্ধকার  পাড়ায় নেমে এলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকে সন্ত্রাস ধর্মের কাছে প্রশ্ন করি বারবার " ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারবার ঠাকুর"  হিংস্র তুলিতে  এঁকে চলেছে অন্ধকারে

কবিতা ।। অভ্যন্তরীন প্রেম ।। জহির খান

ছবি
অভ্যন্তরীন প্রেম জহির খান খুব দূরে খুব করে বসে থাকে পোষা কুকুর মাছের কাঁটায় তখন বিড়ালের ঠোঁটে চোট কোলাহলে মেতে পাতিহাঁসের ছানা- পোনা সদর উঠোন জুড়ে হাসে সোনালী রোদেরা ভাব করে হেঁটে যায় কোমল ভেষজ শরীর টেরাচোখ ফেরানোটা বড় দায় হয়ে পড়ছে আর বারান্দায় বসে এক কোকিল বসন্তের ভোর কামভাব ছলাকলায় পিনিক উঠায় জিহ্বায় অথচ উষ্ণ বৌ এর গায়ের গন্ধে মাতোয়ারা দুপুর এই-সব প্রেমে পোয়াতি হয় বিকেলের গান সুসন্ধ্যা লজ্জায় মুখ লুকায় প্রতিবেশী ডেরায় এখন নির্বোধ রাত সুরা পান করে পাহাড়ে উঠে    ========০০০=======     জহির খান  বাংলাদেশ

কবিতা ।। প্রতিধ্বনি ।। অরূপ পান্তি

ছবি
 প্রতিধ্বনি                          অরূপ পান্তি পর্বতের কোলে চিৎকার করলে ফিরে আসে প্রতিধ্বনি  ।  ফিরে আসে । পাহাড় শোনে না, গুহার ভেতরে চিৎকার করলে গুহা শোনে না । হলঘর কিংবা করিডোরে চিৎকার-- শব্দ ফিরে আসে প্রতিধ্বনি হয়ে ।                 # # বেকার         কর্মহীন          বেকার ক্ষুধার্ত         অন্নহীন           ক্ষুধার্ত নিরাশ্রয়       গৃহহীন            নিরাশ্রয়                    #  # কেবলই প্রতিধ্বনি' আর প্রতিশব্দ হিমসাদা স্বপ্নের কুঁড়িরা ক্রমশ স্তব্ধ ।                  #       #       #   অরূপ পান্তি AC 71 প্রফুল্ল কানন পূর্ব কেষ্ট পুর,কলকাতা 700101

কবিতা ।। আলপিন ।। সোমনাথ বেনিয়া

ছবি
                             গানের ভিতর মন বিভোর দৃষ্টির ব‍্যভিচার খেয়ে নিচ্ছে প্রকৃতির ঠোঁট  অসহায় ডাকনাম পদবির কাছে নতজানু যে চিনছে তার অভিধান হবে হৃদয় স্বপ্নের ভিতর নগর পরিক্রমা বৃন্দাবন ক্রমশ বাতাসার অবতার তবুও প্রতিটি অবাকের পাশে অর্বাচীন মাটি থাকে হঠাৎ করে বিস্ফোরিত উচ্চারণে গতিময় এক লহমায় লিফলেটের বিশেষ দ্রষ্টব্য হতে চায় আদৌ জানে কি পরিক্রমা শেষে সব বেলুন আলপিন মুখ বার করছে গ্রে ম‍্যাটার সরিয়ে ...   ---------------- Somnath Benia 148, Sarada Pally By Lane (Near Sarada Bhavan) P.O. + P.S. - Nimta Dist. - North 24 - Parganas Kolkata - 700 049. Mob. 8697668875 (Call & Whatsapp)

ভ্রমণকাহিনি ।। আনলকপর্বে গরুমারার জঙ্গলে ।। শংকর লাল সরকার

ছবি
  আনলকপর্বে গরুমারার জঙ্গলে শংকর লাল সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে প্রায় গোটা বছরটাই ঘরবন্দী থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম । ভ্রমণপিয়াসী মন মাঝেমধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করছিল । ডিসেম্বর মাস থেকে যখন সবকিছু আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল তখনই পরিকল্পনা করলাম , এই সুযোগ কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসা যেতে পারে । নিউ নর্মালের যুগে বেশিদূর গেলে বিপদে পড়তে হতে পারে তাই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই কয়েকদিনের পরিকল্পনা । ঘন জঙ্গল , চা বাগান , নদী আর দূর দিগন্তে নীল পাহাড়ের উদ্ভাস - ডুয়ার্সের সবুজ প্রকৃতি , নাম না জানা অসংখ্য পাখি আর বন্যজন্তুদের সাহচর্য কটা দিন কাটানোর জন্য ফেব্রুয়ারীর শেষে দার্জিলিং মেলে চেপে বসলাম । মালবাজার থেকে মূর্তিনদী পার হয়ে ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলেছি। মাঝেমাঝে পথের দুপাশে বুক সমান ঢেউ তুলে চা বাগান কখনওবা ঘন জঙ্গল। চালসা পার হয়ে যেতে যেতে একজায়গায় ড্রাইভার বলল ডানদিকে খুনিয়ার জঙ্গল , বাঁদিকে চাপড়ামারি। এসব নামকরন মানুষের , মানুষের করা ভাগাভাগি। বন্যজন্তুরা অতশত বোঝে না , তাই রাস্তা পার হতে গিয়ে কখনওবা ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারায়। ড্রাইভার চঞ্চল , একটা জায়গা দেখিয়ে বলল , এখা

দু'টি কবিতা ।। জয়ীতা চ্যাটার্জী

ছবি
          এ কথাও যথেষ্ট নয় সৃষ্টির অলোক থেকে আজ অন্ধকার নেমে আসে ধীর পায়ে তুমি এসে দাঁড়ালে অকস্মাৎ আমার পাশে কোথাও তুমি নেই তোমার চুলের মতো রাত্রি ঝড়ে পড়ে তোমার গায়ের গন্ধ আমাকে জড়িয়ে জাপটে ধরে তোমার মুখে হঠাৎই বৃষ্টি জ্বলে ওঠে রোমাঞ্চ লাগে আজও আমার উতপ্ত ঠোঁটে তোমার চোখেই এখনও প্রেমের ক্ষমতা আছে তোমার ঠোঁটে এসে দাঁড়িয়েছে কৃপা বাক্য পায়ে পায়ে এসে দাঁড়িয়েছে তোমার কাছে ধীরে ধীরে কথা উঠে যাচ্ছে একাকী দুজনকে রেখে দুজন দুদিকে সিন্ধুর দুপারে এক অঙ্গ কাঁদে দূরের অঙ্গকে ভালোবেসে।।     ওলটপালট ঢেউ আমার হাতের থেকে শাবল খসে যায় তুমুল বৃষ্টিতে তিল তিল করে গড়ে তোলা দূর্গ ধুয়ে যেতে চায় ওই বিশাল পাথুরে অবরোধ আড়াল করে রাখে কতরাত হার্মাদের মতো ক্ষেপা নদী লুকিয়েছে কতো দস্তানা পড়া হাত অনর্গলহীন সজলে জাহাজ চলে ভাসিয়ে নেয় আমায় কোথাও বন্দর আছে কি? অবরণহীন ভাসতে ভাসতে যা আমাকে থামায় সমুদ্রের নাভি থেকে উঠে আসছে শব্দ উঠে আসছে কত কত গান তার জোয়ারে জোয়ারে ধুয়ে যাচ্ছে আমার গার্হস্থ্য সন্ন্যাস আমার নীরবতাই আমার কথা দেরি হয়ে যাচ্ছে আমাকে করে নিতে হবে স্নান।।   ===০০০=== 

দুটি কবিতা ।। কনকজ্যোতি রায়

ছবি
 (  ১) ' কম্পাস' দিগভ্রান্ত নাবিকের হঠাত্‍ আবিষ্কার করা কম্পাসের মতো  খুঁজে পেলাম একদিন তোমাকে। সেদিন  বুঝিনি মরচে ধরা কম্পাসটি ছিল অচল । তাই পথ ভুলেছি বারবার । উচ্ছ্বল আশা দুচোখে নিয়ে পাড়ি দিয়েছি উদ্বেলিত পারাবার। প্রাণচঞ্চলতার কল্পনায় নোঙর ফেলেছি যে দ্বীপের তীরে বুঝিনি তা ছিল শুষ্ক নির্জীব।  মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে চেয়ে গেয়েছি বসন্তের গান । বিশুদ্ধ বাতাসের কামনায় ছুটেছি যে ডাঙার পানে ,  বুঝিনি তা ছিল ক্ষণস্থায়ী মরীচিকা। অনেক ডুবজল সাঁতরে পাড়ে উঠে বিস্ময়ে দেখি,  ভিজে বালুচরে  পড়ে আছে ভাঙা কম্পাসটির এক তীক্ষ্ম  শলাকা।         ( ২)     " ফ্রেম " মন জুড়ে তারাহীন আকাশ   হৃদয়ে অলীক কল্পনার অনুরনন চোখের পাতায় ভেসে যাওয়া টুকরো টুকরো মেঘ। অনেকদিন বৃষ্টি হয় নি, সিঞ্চনের আশায় পাতাগুলি হলুদ শুষ্ক ধানের শিষে ফলে না মমতার ফসল, ক্ষয়িষ্ণু শিকড় উৎপাটনের অপেক্ষায়, ধুমকেতুর মতো হঠাৎ এসেই মিলিয়ে যায় লাল নীল আর সবুজ স্বপ্নগুলো, ভালবাসার মোড়কে নকল সোনা বাজারদর তারই সবচেয়ে বেশী অলিতে গলিতে হীরের টুকরোর ছড়াছড়ি। প্রজাপতিটা আসেনি অনেকদিন ওটা শুধুই রং ভুল করে ধরতে পারলে  বাঁধিয়ে রাখতাম সুদৃশ্

নিবন্ধ ।। ধর্ষণের সংস্কৃতি ।। শেফালি সর

ছবি
আধুনিক  প্রযুক্তির এই উন্নত  বিশ্বেও ধর্ষণ  হ'ল একটি  শব্দ। আমাদের  সভ‍্য সমাজে ধর্ষণ  এবং ধর্ষণকারীকে নিয়ে  কিছু  বিশ্বাস  প্রচলিত আছে।কিছু পৌরাণিক  কাহিনীকে বিশ্বাস করলে ধর্ষণ প্রবৃত্তির মধ‍্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।কারণ পুরুষের মধ্যে  এই  প্রবৃত্তির বিকাশ ঘটেছে  প্রাকৃতিক  ভাবেই।সেই যে,সভ‍্যতা শুরুর আগ থেকেই। অবাধ‍্য বুনো স্বভাবের মেয়েদের বশে আনতে,তাদের গৃহপালিত  করে নিজেদের  সম্পত্তি হিসাবে  চিহ্নিত করে  রাখতে পুরুষালি  বল প্রয়োগ  করতেই  হ'ত।ধর্ষণ হ'ল সেই প্রয়োগ বিদ‍্যার একটি  স্তম্ভ বলা যেতে পারে। এই পৌরাণিক তত্ত্বের সঙ্গে  কিছু  জনপ্রিয় বিশ্বাসও রয়েছে।যেমন-নারীরা নাকি  আসলে  এই  ধরনের বলপ্রয়োগকারী পুরুষদের প্রকৃত  পুরুষ হিসাবে  মান‍্য করে এবং তাদের  কাছে  নিজেদের  সমর্পন করেই গোপন আনন্দ  অনুভব  করে।তাই তাদের  মুখে বলা 'না' কথাটা  অত‍্যন্ত মূল‍্যহীন। আসলে তা 'হঁ‍‍্যা' বলার ই নামান্তর।যখন থেকে   নারীর পবিত্রতা,সতীত্ব  তাদের  অক্ষত যোনিতেই থেমে গেল-ঠিক তখন  থেকেই  সামাজিক,রাজনৈতিক এমনকি  মানসিক  ভাবে ধর্ষণের সমস্ত দায় যোনি ধারিনীদের বহন করার রীতি  বা প্রথ

কবিতা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া

ছবি
বিবর্তণ  মোয়াল্লেম নাইয়া       আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম, মা ছিল বুনোফুল স্নেহের পাপড়ি পড়তো ঝ'রে আনন্দে মশগুল ৷ আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম, মা ছিল ধানক্ষেত আঁচল দিয়ে রাখত ঢেকে তাড়াতো ভুত-প্রেত ৷ আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম, মা ছিল দুধ ভাত ঘন হয়ে পড়তো পাতে সকাল বিকাল রাত ৷ আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম,মা ছিল এক পুকুর সবাই সেথায় ডুবসাঁতারে পার করেছি দুপুর৷ আমরা ক্রমে হলাম বড় মা হয়েছে ছোট মা যেন এই সংসারেরই বামন গ্রহ প্লুটো ৷ আজও মায়ের শুকনো চোখে ঝরে অশ্রুবিন্দু হৃদয় তাহার জল টলমল অপার স্নেহের সিন্ধু ৷ মা এখন আর ধানক্ষেত নয় বিছায় না আঁচল পুকুর গেছে ভরাট হয়ে প্রোমোটারি দখল ৷ বিবর্তিত মায়ের এরূপ বড্ড অবহেলা মা যেন এক স্বপ্নপুরী শুধুই ছোট্টবেলা ৷   ------------------০০--------------------       নাম- মোয়াল্লেম নাইয়া গ্রাম+পোষ্ট- ইমামদ্দীপুর থানা-ঢোলাহাট জেলা- দক্ষিণ২৫ পরগণা পিন-৭৪৩৩৯৯ ফোন নং-৯৯৩৩১৯৫৭৫২       

নিবন্ধ ।। চিরসখা হে... ।। অমিতাভ

ছবি
  চিরসখা হে....   অমিতাভ         একটা খাদের দিকে ঢলে পড়েছি সব্বাই। শুধু একটা টোকার অপেক্ষা, তারপরই তলিয়ে যাব এক অতলান্ত গভীরতায়। হয়তো এতটাই গভীরে তলিয়ে যাব যে হাজার চেষ্টা করেও একচিলতে আলোরও দেখা পাওয়া যাবে না। তবুও একটা টান, একটা গান এখনো তিল তিল করে গড়ে তোলা সভ্যতার মধ্যে আটকে রেখেছে আমাদের। প্রাগৈতিহাসিক যুগের দিকে যদি আমরা চোখ রাখি তাহলে দেখবো মানুষ ভাষা শেখার আগে শিখে গেছিল সুর। সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে যখন আমরা অর্থাৎ মানুষেরা নিজেদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে ভাগ করে নিয়েছি তখন সেই সুরও ভাগ হয়ে গিয়েছে আপন আপন বৈশিষ্ট্যে। তবুও ভেতরের একটা চোরাস্রোত সমস্ত সুরকেই ছুঁয়ে  ছুঁয়ে বেঁধে ফেলছে একসূত্রে। ভারতীয় সভ্যতাও এক বহুবর্ণের সমাহার কিন্তু ঐ যে চোরাস্রোত যা সমগ্র ভারতবাসীকে একসূত্রে বেঁধে ফেলেছে তা হল "জনগনমন অধিনায়ক"। আহ!কি প্রচন্ড আবেগ ঐ সুরে আর কি প্রচন্ড আবেগ সুরস্রষ্টাকে ঘিরে। সেই সুরস্রষ্টারই আরেকটি সৃষ্টি "আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।।" মৃত্যুকে বন্ধু করে নেওয়া এক মহান প্রাণই লিখতে পারেন এমন কথা। প্রতিপদে শোকাগ্নি

কবিতা ।। ধারাপাত ।। মাথুর দাস

ছবি
ধারাপাত মাথুর দাস ধারাপাত ভুলে যাও, সারা রাত জেগে যেমন মেলে না অঙ্ক, কাটাকুটি সার ; দিন কাটে আতঙ্ক আর অশান্তির মেঘে, ভোগবাদে ভোগ দিলে বাদ, শান্তি অপার । ধারাপাত ভুলিয়ে দিয়ে তোমাকে আমাকে গুণের নামতা গোনে অগণন তস্করের দল, গুণী বা গুণিন তারা, বুঝে নেয় অগ্রিম ডাকে কোন্ অঙ্কে কখন শিখর ছোঁবে সম্পদ সকল । বৃথাই হাতে ধরো গণিতের প্রাথমিক পাঠ, সুচারু শোণিত-ফলা ছিন্ন করে মগজের স্নায়ু ; দুঃখকষ্ট যোগ হলে শুধু বিয়োগেরই মাঠ, ভাগশেষে শূণ্যফল পূর্ণ করে অবশিষ্ট আয়ু । **********   মাথুর দাস দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান ফোন/হোয়াট্স্-অ্যাপ : ৯৭৭৫৬৭৯৭৮৩ ***********************************  

কবিতা ।। সাত্যকি

ছবি
এখনও আকাশের দিকে তাকাচ্ছি  সাত্যকি   ছাড়া ছাড়া হাতের বন্ধুত্বের মতো  এখন বাতাস  দু-একটা মানুষ  সামান্য কিছু কথা  অস্ফুট অবিচল চোখের দৃষ্টি  একটানা রোদ হলেও  মাঝেমধ্যে বৃষ্টি নামছে  এখনও তাই আকাশের দিকে তাকাচ্ছি    =====০০০=====      -সাত্যকি। বারাসাত।                                   -----------------

ছড়া ।। রবির জন্মদিনে ।। সুব্রত চৌধুরী

ছবি
রবির   জন্মদিনে সুব্রত   চৌধুরী   রবির   ছটায়   হেসে   ওঠে জাগে   নিখিল   বিশ্ব , প্রাণের   ছোঁয়ায়   খুশে   মাতে ধনী   গরীব     নিঃস্ব। জন্মদিনের   খুশে   নীলে ডানা   মেলে   পাখি , ফুলে   ফুলে   ভ্রমর   ওড়ে   খুশির   রেনু   মাখি। রবির   সুরে   লাগে   দোলা সবার   মনে   প্রাণে  , ধিতাং   ধিতাং   মনটা   নাচে জন্মদিনের   ঘ্রানে। ' চির   নতুনের   দিলো   ডাক   পঁচিশে   বৈশাখ ', দিকে   দিকে   আলোর   রোশনাই বাজে   কাঁসর   ঢাক।   ———————————————-             সুব্রত   চৌধুরী   আটলান্টিক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র হোয়াটসআপ# +1 6092332728 

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪