শ্রাবণকুমারী
আমাদের একফালি ছাদেই আকাশ নেমে আসে
শ্রাবণের কুমারী আকাশ —
তার অদৃশ্য নূপুরশব্দে জেগে থাকি সারারাত
আজ মন যদি ভিজতে চায়
ওকে ভিজিয়ে নেবো —
ফুলের গন্ধের মতো ফুটুক হৃদয়...
বিবাহ
ঘরে ঘরে বেজে উঠছে শাঁখ
শ্রাবণ সন্ধ্যায় আমার বিবাহ হল
মেঘকুমারীর সাথে
জলে জলে সঙ্গম ছয়লাপ
চারিদিকে শব্দ ছড়িয়ে যায়
সন্ধ্যামাখা শব্দের আলোতে
মেঘের সংলাপ ঝরে বৃষ্টির ফোঁটায়
আমাকে ভেজাতে আসে মেঘকুমারীরা
অবলীলা এখানে পড়ে থাকে
জাগরণে ঘুমের বাতাস বয়ে যায়
শ্রাবণবিছানা জুড়ে জলীয় বিলাস
আমাকেও উষ্ণ করে আসঙ্গ লিপ্সায়
আরশিনগরের পাখি
আরশিনগরে কত চাঁদ ডুবে যায়
বাঁশি থেমে যায়
কত রাধা ফিরে যায় বাড়ি
কৃষ্ণের দেখা নেই , অথচ কথা ছিল
কত কথা থাকে
কথারা গাছ হয় অবশেষে
কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে পাতাদের উৎসর্গ করে
শ্রাবণের জলে ধুয়ে নেয় মুখ
আরশিনগরে মানুষ থাকে না ?
ভেসে বেড়ায় শুধু মানুষের ছায়া
ছায়ারা পাখির মতো
খুঁটে খুঁটে খায় মায়া....
সু ন্দ র ...
উত্তরমুছুন