*'মনন' এর পথচলা*
কালের নিয়মে সৃজন ও ক্ষয় দুটোই ক্রমান্বয়ে চলতেই থাকে । এই প্রাকৃতিক নিয়মের
বাইরে এই ভূমণ্ডলের কোনোকিছুই নয় । মানুষ সামাজিক জীব, তাই মনুষ্যসমাজেও এই
ধারা বর্তমান । ১৮৫০ <1850> থেকে ১৯৫০ <1950> - এই শতক আধুনিক ভারতবর্ষের সমাজ
সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যদি সবথেকে গঠনমূলক এক ধারা আনয়ন করে থেকে থাকে তাহলে
বলতেই হয়, হয়তো এই সময়কালের পরেই শুরু হয়েছে কিছুটা ক্ষয় । অবক্ষয়িত সমাজে ও
সংস্কৃতির অন্দরে এটা ধরা পড়ছে স্বচ্ছভাবেই ।
কোনও এক সামাজিক গঠনমূলক ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় 'মনন' নামক সংস্থাটি ।
গঠনপূর্বে আলোচিত হয়েছিলো, কি ও কতটুকু কাজ করবে এই সংস্থা । সার্বিক সামাজিক
চিত্রপটের উপর চোখ রেখেই এইটা নির্ধারিত হয়েছিলো যে কিছু সামাজিক ধ্বন্যাত্মক
কাজ যেমন অর্থনৈতিক পিছিয়ে পড়া নারী ও শিশুদের জন্যও কিছু দান সংগ্রহ করে
সেগুলো প্রকাশ্যেই যথাযথ হাতে পৌঁছে দেওয়া, আর তার সঙ্গে সঙ্গে আজকের
সাংস্কৃতিক জগতে যে সমস্ত নতুন নতুন লেখক কবিরা আসছেন তাদেরকে যথাযথ উপায়ে
যাতে তারা তাদের লেখালেখিকে প্রকাশ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া । মূলত
এই দুটি লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু সেই ২০১৬ <2016> অগস্ট মাস থেকে 'মনন' নামক
ছাতার তলাতে । আজও একই ধারাতেই চলছে এই কাজ । প্রথিতযশা বর্তমান সাহিত্যিককূল
যেমন – কবি শঙ্খ ঘোষ, ঔপন্যাসিক নিমাই ভট্টাচার্য, কিশোর সাহিত্যিক শ্রী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, শিশু সাহিত্যিক শ্রী ভবানীপ্রসাদ মজুমদার, কবি শ্রীমতী
মন্দাক্রান্তা সেন, সাহিত্যিক শ্রীমধুসূদন, অলকেন্দু শেখর পত্রী, অনুকূল
চক্রবর্তী ও কলকাতার স্বনামধন্য প্রকাশককূল আর অগণিত পাঠককে একটি ছাতার নীচে
এনে 'মনন' একইভাবে এগিয়ে চলেছে তার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যেই । এখনো পর্যন্ত্য
প্রায় একশোর কাছাকাছি নতুন লেখকদের বই প্রকাশিত হয়েছে মনন সংস্থার উদ্যোগে।
বর্তমানে মনন সংস্থার উদ্যোগে গঠিত মনন সাংস্কৃতিক দল জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে
। তাদের পরিবেশিত মনোরম গান,কবিতা পাঠ সকলের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
অতি সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট হিউম্যান ফিলানথ্রোপিক ট্রাষ্ট' 'র উদ্বোধন
মঞ্চে হাজির ছিল 'মনন' সাহিত্য সংস্থা এবং 'মনন সাংস্কৃতিক টিম' এর গান
বাজনার দলকে সঙ্গে নিয়েই ।
কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি / অন্যান্য মাননীয় বিচারপতিগণ /
মাননীয় অ্যাডভোকেট জেনারেল ও গন্যমান্য জ্ঞানীগুণী মানুষদের সামনে মনন
সাংস্কৃতিক দলের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য
বিচারপতিগণ একটানা বসে দেখেছেন - আর 'মনন' সম্পর্কে দারুণ ধন্যাত্মক বার্তা
আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন অনুষ্ঠান শেষে ।
এই কাজ করতে গিয়ে যাদের সহযোগিতা না থাকলে এই কাজটি করা সম্ভবই হতো না তারা
হলেন – মুক্তধারা মুখার্জী, সঞ্চিতা রায় চৌধুরী, দীপক রায়, ভোলানাথ দে, মিঠু
নাথ কর্মকার, আলপনা মিত্র, নন্দা মুখার্জী রায় চৌধুরী, টিংকু মুখার্জী,
স্মৃতিকণা ভাদুড়ি, আশিস দত্ত প্রমুখ এবং মনন সাংস্কৃতিক দলের। এ ছাড়াও স্বল্প
সময় হলেও শ্রী স্নেহাংশু বিকাশ দাস ও শ্রীমতী জয়া রায়ের অবদানকেও অস্বীকার করা
যায় না ।
এই বৃত্তকে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে আর চলবে, আরও আরও বহু মানুষের
কাছে ওইটুকু বার্তা নিয়েই আমরা টিকে থাকতে চাই আমাদের এই পরিমণ্ডলে, একটা
সুস্থ সচেতনতার বার্তাকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই ।
সম্পাদক
স্নেহাশীষ চক্রবর্তী
মুক্তধারা মুখার্জী
যোগাযোগ
৯৮৩৬৮৩৭৮৭৪
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই 'নবপ্রভাত' সাহিত্য গোষ্ঠীকে ।
উত্তরমুছুন