শ্রাবণে
এ বৃষ্টিতে সামান্য কৃষ্ণচূড়া দিও । যদি ইচ্ছে থাকে বরফের মতোই--সাম্যের
তর্কে জিতবে।মূর্খের স্বর্গ এখানে রচনা করে কি লাভ!!
স্তব্ধতা মেঘ হয়ে ওড়ে,ছিলিমে প্রেম নিষিদ্ধ খ্যাতির নীড়ে । সাঁতারুর মতো
শরীর পরিক্রমা ।
অন্যায়ের সাম্রাজ্য, ভাত খেতে হয় এখনো । আর ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার
উপায়হীন জ্ঞান আরবসাগর চেনে নোনা শ্বাসপর্ব ।
সাদা কাপড়ে ঢাকা ছিল দেহটা। মর্গের দক্ষিণ জানলা বৃষ্টির কদিন বন্ধই
থাকে। পরপর সাদা কাপড় সরিয়ে দেখানো হলো,না ঠাণ্ডা ঘরের ধোঁয়ায় বৃষ্টিকে
দেখা গেলো না।।
চতুষ্কোণ কার খপ্পরে! এবার অযান্ত্রিক সে এগিয়ে আসবে, হয়তো বিদ্রূপমাখা
মুখ থেকে মুখোশ শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যাবে। কেউ নেই বাধা দেওয়ার,এভাবেই
প্রতিটা কোণ শূন্যতা চেনে,মেঘ রোদের খেলা শেষে বিস্ফারণ বিজ্ঞাপনের মতোই
সীমাস্থ । এখানকার বৃষ্টির কালো রঙ কৃষ্ণ চেনে না,তাই কৃষ্ণচূড়া
রাধাচূড়ার গায়ে হেলে পড়ে।
অক্সিজেনের বিনিময়ের মধ্য দিয়েও অনুসন্ধানের বিন্যাস। কাঁটা বিছানো পথ-
সামনে ধুধু মাঠ- নির্মম অভিধানে নির্মাণের শূন্য তালিকা ।
নমনীয় হই বৃষ্টির আঁচড়ে! একথা কে বলতে পারে!! বরং কর্ষণ বন্ধ থাকুক
নিয়মমাফিক, আর স্বরচিত জল্পনায় পথ চলতে গিয়ে - যখন মুখ থুবড়ে পড়বে তখনি
স্মরণ করো!!ঈশানকোণ ঘিরে রাখবো, ভয় পেও না ।
কেয়াপাতার নৌকো নিয়ে ভাসার পালা, চেনা বাড়ি অচেনা হচ্ছে,হারিয়ে যাচ্ছে
বন্ধু। প্রিয় ডাক নাম ধরে ডাকা সে-ই । কিছুতেই সোজা হচ্ছেনা পথ,কুণ্ডলী
পাকিয়ে সে,।শিকল থেকে অলংকার । হাঁসুলির মতো গলায় চেপে বসেছে, খাদের
ধারের ঘর ধ্বস বুঝেছে । ইউনিভার্সাল এখনো ভালো লাগে তাকেই,এখনো খুঁজে
ফিরি। স্তব্ধতার ফাঁকে।
===========================
শান্তা কর রায়,১৭৪ রাজেন্দ্র এভিনিউ, উত্তর পাড়া,হুগলি-৭১২২৫৮,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন