শ্রাবণলহরি
বৃষ্টি হচ্ছে, ধুয়ে যাচ্ছে পাতার জমাট বিষণ্ণ ধুলো
মাটির শরীর ছাড়িয়ে ব্যথা, মন আজ পথ ভুলো
একতারা গানে একাকী আলের কান্না, অবেলায়
দলছুট গরুর চিৎকারলিপি খড় ভর্তি আঁজলায়
নৈঃশব্দ্যের প্রহর গোনে যখন ঘরবাড়ি সব জলে
থইথই, এই শ্রাবণলহরি আকাশ ভেঙে এলে
জলের স্রোতে বিলি কেটে যায় হাওয়া, ভাবে
সে উন্মুখ চোখে প্রবাহের দাঁড়ি, কমার আগে
বিরহযাপন, অথচ খলখল শব্দে বাতাস ভীষণ ভারি
জানে বুক, ওদিকে একমনে চলমান পিঁপড়ের সারি
একরেখায় জীবন রেখে মাটির তলায় খোঁজে ঘুম
পাতাও শিরায় লুকিয়ে রাখে তারাহীন রাতের নিঝুম!
বর্ষাকাল
বৃষ্টির পর্দা টাঙিয়ে দিল বর্ষাকাল
চরাচরের জৈবিক ঘড়ি ভুলে যায় -
কোনটা সকাল কিংবা বিকাল
যত তপ্ত শ্বাস পিছনে ফেলে দৃষ্টির ধূসর যায় ভিজে
আজ কারোর অপেক্ষা নেই গোধূলির কোলে জেগে
পথঘাটের ভূমিকায় জমিয়েছে আসর নদী
আঙুরের থোকার মতো ভয়, থমথমে যদি
আহত-চিহ্ন নিয়ে, ফেরার কথা বলে সিলেবাসে
কম্পিত ঠোঁটে চুম্বনের একক-দশক উঠে যাবে অনায়াসে
যাপনের পাট ফেলে জানালা দিয়ে -
জলজ সংবাদ শুনি অবিরাম
মানিব্যাগে বর্ষার স্মৃতি, তোমার মাদকতা,
সে আমার ডাকনাম ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন