Featured Post
কবিতা ।। দেবীপ্রসাদ পাঁজা
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জাগ্রত ইতিহাস
কিছুটা নোনা জলেই ধুয়েছে পৃথিবীর বেঁচে যাওয়া উঠোন।
তাই বিপন্ন অস্তিত্বে পড়ে থাকা কালি দিয়ে
লিখতে বসেছি এক পৃথিবী পাঁচালী।
দাঁড়ি কমা না দিয়েই এগিয়েছে লেখনী,
নিভৃত সংলাপ তাই গোপন জ্বরে।
সন্ন্যাসী তুমি বানপ্রস্থে বিশ্বাসী?
শিশির বিন্দুতে সেই অষ্টাদশীর মুখ দর্শনেই প্রশ্নবাণ!
খট করে উঠেছিল বুকের বাম পাঁজর।
বুড়ো শিবতলায় জ্বর মাপতে হাজির কত রক্তশালুক....
শহরটার উত্তাপও পারদ ছাড়িয়ে যাচ্ছে,
বারান্দার গ্রীলের লতানো আঁকিবুঁকি,
যা তোমার বনভূমি, আগাম দাবানলে ভীত।
চিন্তা নেই শরীরের জলপ্রপাত তৈরি রেখেছি।
নির্মম ইতিহাসের দোর গড়ায় হাজির,
দাঁত মাড়ি বিহীন এক ভিনগ্রহী এলিয়েন
বাঁচার মানে খুঁজতে এসেছিল হয়তো।
সে জানেই না পরিবর্তনের ণত্ব বিধান
হেরেছে বিধির বিধানে, অবাক পৃথিবীতে অবাক হইনি,
শুধু মোচড় দেওয়া দুই অলিন্দে মেদবহুল শিরা।
আমাদের সেই মৌ সাক্ষর, ভালো থাকার চুক্তি
জেনে রেখো মোটেও খারাপ যাচ্ছে না,
শুধু বৃত্ত পরিধিতে ঠান্ডা যুদ্ধের পরিবেশ।
পিছনের দেওয়ালে জমা হওয়া অতীতের ডাকাডাকি,
আর ঈশ্বরের মন্দিরে ঘুঙুরের শব্দে,
সন্ন্যাসী জাগছে অর্ধশতাব্দী বয়সে।
জাগছে খাঁচাবন্দি নিষিদ্ধ পাখি...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন