শুধু অরণ্য খোঁজে
স্তব্ধ সকাল আর উল্লসিত দুপুর—
মৃত্যুর ধূসর রঙে ঠোঁটে চুম্বন আঁকে।
আমি কি সূর্যের মতো হৃদয়হীন?
চেনা, অর্ধনগ্ন শহরের কান্নায়—
আমিও দূষিত; স্বপ্নের বেখেয়ালে।
মর্ডান আর্টের ফাঁকে তুচ্ছ বিপ্লব,
রাজপথের নীচে মাথা তোলে না—
দেড়ফুট মাটির নীচ থেকে শবের ফুল।
স্মৃতির পাকস্থলী ক্ষতবিক্ষত মাদুরের ভাঁজে।
ধ্বস নেমেছে দেওয়ালে আর সিলিং জুড়ে।
বিশল্যকরণীর আড়ালে ঢেকো না গরল,
নক্ষত্রের অন্ধকারে ও তো আমারও প্রতিচ্ছবি!
রাস্তায় উলঙ্গ নাটকের কুশীলব—
শুধু আজ নয়; কালও হেসেই ছিল।
তুমিও অপদার্থ, শুধু বেগার খাটো।
অনিশ্চিত প্রেমে পড়া দিনলিপির শোকে,
সময় নষ্ট করার সুখ ক্ষয়িষ্ণুই খুঁজবে।
অশ্রুর নেশায় বন্দী রাত-জাগা কিশোর,
আর কবে চিনবে ঘুমন্তের অসুখ?
হে প্রাণ, তোমার পথনাটিকা চাই!
মেরুদণ্ডহীন চাঁদ, বড় আধুনিক,
বিশ্বাসের পাপড়িতে অর্থের নিরাপত্তা।
অস্তিত্বের ঠিকানা হারিয়েছি তিন যুগ আগে,
ক্লোরোফিল, সবুজতায় শুধু পিপীলিকার অধিকার।
গন্তব্য লুকিয়ে ওরা চিৎকারেতে বাঁচে।
শুধু শরীরেতে অরণ্য খোঁজে।
================
নাম—প্রিয়াঙ্কা কুণ্ডু,
পিতার নাম—দিলীপ কুণ্ডু,
গ্রাম—ছোটডোঙ্গল,
পোস্ট অফিস—বালীদেওয়ানগঞ্জ,
থানা—গোঘাট,
জেলা—হুগলি,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন