বৈশাখের জানলায় শ্রাবণ
---------------------------
( চার )
অনেকটা রাস্তা জল পায়ে পায়ে হেঁটে এলাম। তুমি দেখলে। কিছু বললে না। তুমি কথা বললে আমি জলের রঙ চিনতে পারতাম। জল পায়ে আসা কি ভালো নয় ? পায়ে জল তো থাকেই। জীবনে প্রথম যেদিন তোমাকে ধরেছি তখন থেকেই তো জল। জল ছাড়া পা হয় ? কে কবে কোন রাস্তায় জল ছাড়া হেঁটেছে ? জল ছাড়া রাস্তা অলংকৃত করবে কে ? অথচ আজ হঠাৎ জল পা দেখে তুমি গম্ভীর হয়ে গেলে ! পা তো জলেরই। জলই তো পা-কে হাঁটি হাঁটি করতে শিখিয়েছে। আমি তো এসেছি তোমার জল পায়েই। মাথা নিচু করে দ্যাখো মাটি ভেঙে ভেঙে তোমার জল নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
( পাঁচ )
যতক্ষণ জানলা বন্ধ ততক্ষণই তো শরীর। চারদেয়ালে চোখের আড়ালে আটকে রাখতে হয়, খাওয়াতে হয়, ঘুম পাড়াতে হয়। তারপর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে জল বাঁধতে হয়। রাতপাখি ডানা ঝাপটালে যাতে বাঁধ ভাঙা বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
( ছয় )
জানলা উড়ে গেলে শরীরও উড়ে যায়। তখন চোখে আসে গাছের সবুজ ডানা। ডালপালা হাত ধরে বলে, চলো একটু নদীজল খেলে আসি। মাটির গন্ধ নিয়ে শুয়ে যেসব আলোর পা তারা আরও দূর হেঁটে যাবে জলপথ ধরে। তুমি পায়ে পায়ে যেতে পারো সব গলি ছাড়িয়ে সবুজের গভীর অঞ্চলে। শরীর নেই বলেই যেকোনো দিন যেদিকে খুশি উড়ে যাবে ডানা ফেলে দিয়ে।
**********************
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
ময়নাডাঙা ( আশ্রয় অ্যাপার্টমেন্ট )
পোঃ --- চুঁচুড়া. আর. এস.
জেলা --- হুগলী
পিন --- ৭১২১০২
পশ্চিমবঙ্গ
ভারতবর্ষ
ফোন --- ৯৪৩৩৩১২৯৬২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন