Featured Post
কবিতা : সুনন্দ মন্ডল
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
লাদাখ থেকে বলছি
যুদ্ধক্ষেত্রে বোমা আর বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে
নির্ভয়ে লাদাখ থেকে বলছি,
আমি তোমাদের পরাজিত সৈনিক!
সীমান্তের প্রহরী,
এক হতভাগ্য সন্তান।
তোমার আমার সবার ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে
কিন্তু তোমার মান মর্যাদা রক্ষা করতে পারিনি।
শেষ পর্যন্ত সীমান্তে বন্দি হয়েছি!
আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই আমাকে বুলেট বিদ্ধ করা হবে।
শক্তির বিরুদ্ধে শক্তি
আমার শরীরটাকে ঝাঁঝরা করে দেবে।
কেনই বা তা করবে না?
আমি তো আর ওদের জামাই নই,
যে আদর যত্নে রাখবে!
আমি একজন পরাজিত সৈনিক,
সামান্য সীমান্ত রক্ষী।
কে জানত হঠাৎ করে যুদ্ধ শুরু হবে?
শেষ কোথায় তাও অজানা।
এজন্য আমার এতটুকু দুঃখ নেই,
বরং শান্তি নিয়ে মরব।
তোমার সম্মান বাঁচাতে অনেক শক্তি ক্ষয় করেছি,
কিন্তু কাপুরুষোচিত হৃদয়ে পরাজয় মানব না।
অভিমন্যুর মতোই বীরত্বের সাথে শহীদ হব।
সরকারের উদ্দেশ্যে একটাই অনুরোধ,
আমার পরে এভাবে আর কারও যেন প্রাণটা না যায়।
আর কারও বীরমাতার কোল যেন শূন্য না হয়।
আপনি দেখবেন, যেন যথাযোগ্য প্রতিশোধে ফিরিয়ে দিতে পারেন জবাব।
ওরা অন্যায় করেছে,
অন্যায়ভাবে আমাদের আক্রমন করেছে।
ওরা হাজার হাজার সৈন্যে সজ্জিত!
আর মাত্র কুড়ি জনের ঐক্যবদ্ধ হাতে
ওদের চক্রব্যূহে নিরস্ত্র হয়ে লড়াই করেছি।
তারা শহীদ হয়েছে, আমিও হব
বুলেট থেকে গুলি বেরিয়ে গেছে
শত্রুরা তাদের অস্ত্র ছুঁড়ে দিয়েছে আমার দিকেও
কেবল কয়েক সেকেন্ড সময়ের বিরতিতে
তোমাকে এই চিঠি লিখছি।
হে প্রিয়জন,
আমি লাদাখ থেকে বলছি।
তোমরা ভালো থেকো,
যুদ্ধ নিরপেক্ষ পরিবেশ গড়ে তোলো।
আমার সময় শেষ,
নইলে ধ্বংসলীলা কাকে বলে দেখাতাম
নতুন সৃষ্টির আনন্দ পেতে যতটা হিংস্র হওয়া দরকার
ততটাই হতাম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
আমার দেশ, আমার মা
তুমি কষ্ট পেয়ো না!
কান্না নয়, চোখে আগুন জ্বালো।
তোমাদের সম্মিলিত শক্তি যেন যুদ্ধ জয়ের প্রেরণা দেয়!
আমার লাশে ছড়ানো কোন ফুল মালার বর্ষন চাই না!
না তো চাই পরিবারে কোন একজনের চাকরি!
আর আমার আত্মার শান্তি চাইলে
অবশ্যই স্বদেশী দ্রব্যে সাজিয়ে তোলো সংসার।
বীর শহীদদের প্রতিও এতটুকুই অঞ্জলি প্রার্থনা আমার!
তোমাদের প্রতি শেষ নমস্কারে এই সর্বশেষ নিবেদন।
==========================
সুনন্দ মন্ডল
কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম
8637064029
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন