Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

অণুগল্প ।। গহনাজীবন ।। সৌমেন দেবনাথ

গহনাজীবন

সৌমেন দেবনাথ 


সজনির বেশিদিন বিবাহ হয়নি। আশীর্বাদের সময় সে খুব বেশি গহনা পায়নি। তবে হাতের, কানের, নাকের, গলার একটি করে হলেও অলংকার পেয়েছে। নিজের বাবাও দিয়েছে, মামারাও দিয়েছে গহনা। গহনাপ্রিয় সজনির তবুও গহনার লোভ থেকেই গেলো।

স্বামীর ঘরে যাওয়ার পর থেকেই খুব মিষ্টিকণ্ঠে আবদার করে বসে, কানপাশা গড়ে দেবে, সোনাপাখি!
বিবাহটা সেরে উঠেছে মাত্র ঋষভ। হাতে টাকা-পয়সা তেমন বাড়তি নেই। বিবাহের পর থেকেই খরচ বেড়েছে আগের থেকে তিনগুণ। কিন্তু বৌয়ের মিষ্টি আবদার সে ফেলতে পারলো না।

নতুন কানপাশা পরে বাবার বাড়ি গেলো সজনি। কাকিকে কানপাশা দেখালো আর স্বামীর প্রশংসা করলো সে। বৌদি এসে দেখলো; পাশ্ববর্তী আরও দুই তিনজন মহিলাকে দেখালো। সজনির আনন্দময় মুখ দেখে সবাই মনে মনে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি গেলো।

কিছুদিন পরেই স্বামী যখন তাকে আদর দিতে কাছে আসে আদরকণ্ঠে সজনি আবদার করে, আমার ছোটোবেলা থেকেই মাকড়ির খুব শখ। গড়ে দাও না!
আদর আর না দিয়ে ঋষভ কিছুটা সরে যায়। মুখ গোমড়া করে থাকে সজনি। সজনির স্বর্ণের গহনার বাহানা তাকে বেসামাল করে দিয়েছে। নির্দিষ্ট রোজগার তার, সঞ্চয় করবে ভাবে; হয়ে পড়ে ঋণগ্রস্ত। পরের বার  মাকড়ি নাকে পরে বাবার বাড়ি গেলো। স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সজনি, দেখে আর হিংসায় মরে প্রতিবেশিনীরা।

এরপর সজনি স্বামীর থেকে ব্রেসলেট আদায় করলো চরম ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে। তার চাওয়ার ধরনের কাছে হেরে যায় ঋষভ। এ বছর মঙ্গলসূত্র চেয়ে নিলো, সামনের বছর সীতাহার নেবে বাহানা রাখলো। এসব স্বর্ণালংকার সে বাবার বাড়ি গিয়ে বরাবরের মতো সবাইকে দেখায়, আর স্বামীর প্রশংসা করে।

ঋষভ এবার শ্বশুরবাড়ি গেলো, শ্বশুর আর শ্বাশুড়ির থেকে বড্ড প্রশংসা পেলো। নিজেরা মেয়ের যখন গহনা গড়ে দিতে পারতো না, তখন বলতো, তোর স্বামী তোর সব গড়ে দেবে। আজকে তারা খুব খুশি এমন জামাই পেয়ে। 

শ্বশুরবাড়ি এসে একা একটু চা খেতে যাচ্ছিলো চার রাস্তার মোড়ে ঋষভ। তিন চারজন অপরিচিত আবার বলা চলে পরিচিত লোক, নিজের কাকা শ্বশুর, নিজের চাচাত দাদা লাঠি হাতে তার সামনে। বৌকে এত স্বর্ণালংকার গড়ে দিয়ে দিয়ে নিজেদের সংসারে এত অশান্তি ঢোকানোর সে কে!
ঋষভ হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলো, আর কেঁদে দিলো। স্বর্ণালংকার গড়ে দিতে গিয়ে সে যে পরিমাণ ঋণগ্রস্ত হয়েছে তার শেষ সম্বল নিলামে উঠালেও শোধ হবে না।

এমন বিপদগ্রস্ত এক মানুষের কথা শুনে সবাই তাদের হাতের লাঠি ফেলে দিলো।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক