বেআব্রু
অনন্যা মান্না
অভিকর্ষজ রুটিটার জীবন জুড়ে কালো দহন!
ছেঁড়াফাটা আস্তিনে একটুকরো ইজ্জত শুধু লেগে আছে এই 'আমি '-র 'আমি' হয়ে থেকে যাওয়ার মতো!
ভিক্টোরিয়ার পঞ্চইন্দ্রিয় যেভাবে গজাচ্ছে তাতে সতী হওয়া দুস্কর!
শুকরের মুখে লেগে থাকা কাঙ্গালিয়ানা প্রমাণ করে বিধ্বস্ত ধর্ষণ ।
'মর্সিয়া সাহিত্য' -এর খাতায় নাম লিখে আসে ধর্ষিতা ,
রেনেসাঁসের আলো জ্বালাতে গিয়ে যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছে , আজ বেআব্রু, উৎশৃঙ্খল পরজনমের সেই পুরুষ জীবন!
যে জীবনের বাদামি মোজায় বুননের লাইলন দেখে মনে পড়ে গড়িমসি করা একদল ছেলের নাম,
যে জীবনের 'সুন্দরী বৌ' -এর শাসনে যবনিকা সরে কচি দেহটা থেকে, মনে পড়ে সেই বিক্ষত, বিধ্বস্ত নীল নীলিমার রক্তাক্ততাকে !
পুরুষ জীবনটা ভালো থাকা ছেড়ে দিয়েছে...... অথচ বাঁচে বেআব্রু বিদুষীদের মতো !
এক সংহিতা থেকে কলম ধার করে টেবিলে শুধু আঁকিবুকি কাটে রেড লাইটের আলোয় ।
হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট হয়ে পুষে রাখে খাদকের মেরুদন্ড,
খাদকগুলোর জরিমানা হয় মুহূর্তে মুহূর্তে; পলান্নের লোভে যারা ছিঁড়ে খায় রক্তের প্রার্থনাকে!
পাতকুয়ার সূর্যশক্তি নিয়ে বেআব্রু হয়ে উঠেছে যে অর্ধনারীশ্বর ,
ষোড়শী আর যুবকটি বিনাশের ষড়যন্ত্র করে .... দুই জীবনের লিঙ্গপ্রাচীরে আজ যারা সহচর!
===================
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন